সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

(৬) ষষ্ঠ অধ্যায় লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইন্দোচিনের পরিবর্তিত অবস্থা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। এ প্রসঙ্গে হো-চি-মিনের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।

অথবা, হো-চি-মিন কে ছিলেন? ভিয়েতনামের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান কী ছিল? এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য এখানে ক্লিক কর । 

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের পটভূমি ও তাৎপর্য নির্নয় করো। এই আন্দোলনে মহিলাদের অংশগ্ৰহণ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

১৯৪২ সালের ২৬ শে এপ্রিল। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী 'হরিজন' পত্রিকায় 'ভারতছাড়ো' আন্দোলনের পরিকল্পনা পেশ করেন। এই বছর ১৪ ই জুলাই ওয়ার্ধা অধিবেশনে ভারতছাড়ো আন্দোলনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। শুরু হয় ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সর্বশেষ বৃহত্তর গণআন্দোলন। এই আন্দোলনের নেতা হিসেবে গান্ধিজি ঘোষণা করেন, অবিলম্বে ব্রিটিশদের ভারত ত্যাগ করতে হবে, অন্যথায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও কংগ্রেস প্রত্যক্ষ সংগ্রামে নামবে। আন্দোলনের পটভূমি : তবে এই আন্দোলনের পটভূমি তৈরি ছিল আগে থেকেই। ১) ক্রিপস মিশনের ব্যর্থতা : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমি ভারতীয়দের সমর্থথন ও সহযোগিতার আশায় হাজার 942 সালে 23 শে মার্চ ক্রিপস মিশন কিছু প্রস্তাব নিয়ে ভারতে আসেন। কিন্তু এই প্রস্তাবে ভারতকে পূর্ণ স্বাধীনতা  দেওয়ার প্রতিশ্রুতি  না থাকায় এই মিশন ব্যর্থ হয়। ফলে গান্ধীজীর মনেে তীব্র ব্রিটিশবিরোধী মনোভাব সৃষ্টি হয়। তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ঘোষণা করেন, ' পূর্ণ স্বাধীনতাা অপেক্ষা কম কোন কিছুতেই আমি সন্তুষ্ট হবো না।' ২) জাপানি আক্রমণের সম্ভাবনা :  ১৯৪২ সালের প্রথম থেকেই জাপান একে একে সিঙ্গাপুর মালয় ও ব্রহ্মদেশ কে প্রধ...

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। অথবা, ইন্দোনেশিয়ার জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে ড. সুকর্ন-র ভূমিকা আলোচনা করো।

অথবা, কোন কোন অঞ্চল নিয়ে ইন্দোনেশিয়া গড়ে উঠেছে? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইন্দোলনেশিয়ার পরিবর্তিত অবস্থা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। ইন্দোনেশিয়া : প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ দ্বীপ-রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া অবস্থিত যা প্রায় ৩ হাজার দ্বীপে র সমন্বয়ে গঠিত। এখানকার প্রধান প্রধান দ্বীপগুলির মধ্যে অন্যতম হল সুমাত্রা, জাভা, বালি, বোর্নিও, পাপুয়া নিউ গিনি ইত্যাদি। ডাচ উপনিবেশ : আনুমানিক ১৫১১ সালে পর্তুগাল এখানে বাণিজ্যকুঠি স্থাপন করে। তাদের  আগমনের সূত্র ধরে একে একে স্পেন ও ব্রিটিশরা পৌঁছায়। সপ্তদশ শতকের শেষ দিকে স্পেন ও ব্রিটিশদের বিতাড়িত করে হল্যান্ড ( ডাচ / ওলন্দাজ ) এখানে  ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠা করে। ডাচ বিরোধী আন্দোলন : ডাচ কোম্পানির শাসনের অবসানের পর ১৭৯৯ সালে ডাচ সরকার প্রত্যক্ষভাবে ইন্দোনেশিয়ার শাসনভার গ্রহণ করে। বিংশ শতকের শুরুতে ইন্দোনেশিয়ায় ওলন্দাজ-বিরোধী জাতীয়তাবাদী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের কারণ (প্রেক্ষাপট) : জাতীয়তাবাদী আন্দোলন শুরুর পিছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ লক্ষ্য করা যায়। ওলন্দাজরা ...

ইন্দোচিন কী? হো চি মিনের নেতৃত্বে ভিয়েতনামের মুক্তি যুদ্ধের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

অথবা, ভিয়েতনামের মুক্তি যুদ্ধের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। অথবা, হো-চি-মিন কে ছিলেন? ভিয়েতনামের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান কী ছিল? অথবা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইন্দোচিনের পরিবর্তিত অবস্থা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। এ প্রসঙ্গে হো-চি-মিনের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। ইন্দোচিন  ফরাসিরা ১৮৫৭ সালে কোচিন চিন ও কম্বোডিয়া অধিকার করে। এর পর একে একে ভিয়েতনাম, টংকিং, আন্নাম দখল করে ১৮৮৭ সালে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো গড়ে তোলে। ফরাসি অধিকৃত এই অঞ্চলই ' ইন্দোচিন' নামে পরিচিত। ক) মুক্তি সংগ্রামের প্রথম পর্যায় : ফরাসি সাম্রাজ্যবাদ ও ইন্দোচিন : বিংশ শতকের প্রথম দিক থেকে ফরাসি সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ইন্দোচিনে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সূচনা ঘটে। যাঁর নেতৃত্বে এই আন্দোলন সাফল্যের দোঁড়গোড়ায় পৌঁছায় তিনি হচ্ছেন ভিয়েতনাম মুক্তি-সংগ্রামের পথপ্রদর্শক হো-চি-মিন। জাপানি সাম্রাজ্যবাদ ও ইন্দোচীন : ভিয়েতনাম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র :  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির কাছে ফ্রান্স বিধ্বস্ত হলে তারা ইন্দোচিন থেকে সরে আসে। এই সুযোগে জার্মানির মিত্র দেশ জাপান সেখানে আধিপত্য গড়ে তোলে। ১৯৪৫ সালে অগ...

ক্ষমতা হস্তান্তরের পটভূমি উল্লেখ করো। এ ক্ষেত্রে ব্রিটিশের ভূমিকা ও ভারতীয়দের প্রতিক্রিয়া ব্যাখ্যা করো।

ক্ষমতা হস্তান্তর : ভারত বিভাজনের পরিকল্পনা ব্রিটিশ সরকার অনুমোদন করার পর লর্ড মাউন্টব্যাটেন ৩ রা জুন ১৯৪৭ তাঁর ভারত বিভাজনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। এই ঘোষণা 'মাউন্টব্যাটেন প্রস্তাব' নামে পরিচিত। কংগ্রেস ও মুসলিম লিগ এই প্রস্তাব মেনে নিলে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট 'ভারতের স্বাধীনতা আইন ১৯৪৭' পাশ করে এবং ভারতকে স্বাধীনতা প্রদান করে। এই ঘটনা 'ক্ষমতা হস্তান্তর' নামে পরিচিত।  ক্ষমতা হস্তান্তরের পটভূমি : ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের পর ঘটনা পরম্পরা অতি দ্রুত ব্রিটিশদের বুঝিয়ে দেয় যে ভারতবাসীর হাতে শাসন ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় এগিয়ে আসছে। ভারত ছাড়ো আন্দোলন : ভারত ছাড়ো আন্দোলন ব্যর্থ হলেও এই আন্দোলন প্রমাণ করে যে মুক্তি সংগ্রামে ভারতের জয় অনিবার্য। বড়লাট ওয়াভেল ব্রিটিশ সরকারকে লেখেন, ভারতে ব্রিটিশ শাসনের দিন শেষ হয়েছে।' আজাদ হিন্দ বাহিনীর সংগ্রাম : আজাদ হিন্দ বাহিনীর প্রবল বীরত্ব ও আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত দেশবাসীর মনে প্রবল জাতীয়তাবাদী আশা-আকাঙ্খা জাগিয়ে তোলে। প্রবল গণবিক্ষোভ ব্রিটিশ সরকারকে উপলব্ধি করতে বাধ্য করেছিল যে ভারতে তাদের দিন ফুরিয়ে এসেছে। ওয়াভেল প...

নৌবিদ্রোহের কারণ ও গুরুত্ব সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

নৌবিদ্রোহ : ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সর্বশেষ আন্দোলন হল নৌবিদ্রোহ। ভারতছাড়ো আন্দোলন, আজাদহিন্দ বাহিনীর সংগ্রাম ইত্যাদির চাপে ব্রিটিশ সরকারের যখন নাভিশ্বাস ওঠার উপক্রম ঠিক তখনই নৌবিদ্রোহ (১৯৪৬) যেন ভারতের ব্রিটিশ শাসনের কফিনে শেষ পেরেক টি পুঁতে দিয়েছিল। ড. সুমিত সরকারের মতে , এই বিদ্রোহ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে বীরোচিত সংগ্রাম। বিদ্রোহের কারণ বা পটভূমি : এই বিদ্রোহের পটভূমি বিশ্লেষণ করলে এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ নজরে পড়ে। কারণগুলি হল -- বেতন বৈষম্য : ভারতীয় নৌবাহিনীতে প্রবল বর্ণ বৈষম্য ছিল। বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেও ভারতীয় নাবিকরা ইংরেজদের মত বেতন পান নি।  বর্ণবৈষম্য : ভারতীয় নাবিকরা ইংরেজ ও শ্বেতাঙ্গ অফিসারদের দ্বারা সর্বদাই লাঞ্ছিত হতেন। জাতি ও বর্ণগত কারণে তাঁরা এই লাঞ্ছনার শিকার হতেন।  নিম্ন মানের খাদ্য : ভারতীয় নৌসেনারা ইয়রোপীয়দের তুলনায় নিম্নমানের ও অল্প পরিমাণে খাবার পেতেন।  পদোন্নতির অভাব : যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় নৌসেনারা পদোন্নতির সুযোগ থেকে বঞ...

লিনলিথগো প্রস্তাব কী? এর আর এক নাম কী?

১৯৪০ সালে ৮ই আগস্ট বড়লাট লর্ড লিনলিথগো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতীয়দের সমর্থন ও ভারতের জনসম্পদ ও অর্থসম্পদ ব্যবহারের উদ্দেশ্যে যে সুপারিশপত্র পেশ করে তা 'লিনলিথগো প্র...

কংগ্রেসের কোন অধিবেশনে পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি জানানো হয়?

১৯৪০ সালে মার্চ মাসে কংগ্রেসের রামগড় অধিবেশনে পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি জানানো হয়।

মুসলিম লিগ কবে 'মুক্তি দিবস' পালনের ডাক দেয়?

১৯৩৯ সালে ২৯ অক্টোবর কংগ্রেস মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করলে, ওই দিনটিকে মুসলিম লিগ 'মুক্তি দিবস' হিসেবে পালনের ডাক দেন।

১৯৩৯ সালে কংগ্রেস মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে কেন?

১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ আলোচনা না করেই ভারতকে 'যুদ্ধরত দেশ' বলে ঘোষণা করে। এতে অসন্তুষ্ট হয়ে জাতীয় কংগ্রেস মন...

'রোম-বার্লিন-টোকিও অক্ষশক্তি' কী?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে ১৯৩৭ সালে ইতালি, জার্মানি ও জাপানের মধ্যে যে সমঝোতা চুক্তি গড়ে ওঠে তাকে 'রোম-বার্লিন-টোকিও অক্ষশক্তি' বলে।

কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, কবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়?

১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ১লা সেপ্টেম্বর জার্মানি পোল্যান্ড আক্রমণ করে। এর প্রতিবাদে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স ৩ সেপ্টেম্বর জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ফলে দ্বিতীয় বি...

হিটলার পোল্যান্ড আক্রমণ করেছিল কেন?

হিটলার ডানজিগ বন্দরে পৌঁছনোর জন্য পোল্যান্ডের কাছে একটি করিডোর বা অভ্যন্তরীণ পথ দাবি করে। পোল্যান্ড এই দাবি মানতে অস্বীকার করলে হিটলার পোল্যান্ড আক্রমন করেন।

কোন পরিস্থিতিতে ক্রিপস মিশন ভারতে আসে? এই মিশনের প্রস্তাবগুলি কী ছিল? এক্ষেত্রে ভারতীয়দের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল? এর ব্যর্থতার কারণ কী ছিল?

ক্রিপস মিশন বা ক্রিপস প্রস্তাব : ১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির সাঁড়াশি আক্রমনের চাপে মিত্রশক্তির অন্যতম সদস্য ব্রিটেন নাজেহাল হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে ভারতে জাপানি আক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় নেতৃবৃন্দের সমর্থন এবং ভারতকে যুদ্ধরত দেশ হিসেবে ঘোষণা করার প্রয়োজন পড়ে। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার সদস্য স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস ১৯৪২ সালের ২৩ মার্চ ভারতে পৌঁছান। ক্রিপসের এই ভারত-আগমন 'ক্রিপস দৌত্য' বা 'ক্রিপস মিশন' নামে পরিচিত। আর এই সময় ভারতীয় নেতৃবৃন্দের কাছে যে একগুচ্ছ প্রস্তাব পেশ করেন তা 'ক্রিপস প্রস্তাব ' নাম পরিচিত। পটভূমি বা কারণ : ক্রিপস মিশনের ভারত আগমনের পিছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে যা তার পটভূমি বিশ্লেষণ করলে পরিষ্কার হয়ে ওঠে। জাপানি আক্রমণের সম্ভাবনা : ১৯৪১ সালের ৭ই ডিসেম্বর জাপান মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগদান করে। এবং জাপান অতিদ্রুত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি দখল করতে করতে ভারত সীমান্তে পৌঁছে যায়। কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে।  মিত্রশক্তির চ...
OUR OTHER BOOKS (ICSE & CBSE)
OUR BOOKS fOR WBBSE & WBCHSE


বাংলা বই ★ দ্বাদশ শ্রেণি
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার 👆আদর্শ প্রশ্নোত্তরের একমাত্র পোর্টাল

জনপ্রিয় প্রশ্ন-উত্তরগুলি দেখুন

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তগুলি (বৈশিষ্ঠ্য) উল্লেখ কর। ভারতের আর্থ-সামাজিক ইতিহাসে এই ভূমি-ব্যবস্থার গুরুত্ব আলোচনা কর।

অথবা , চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি ব্যাখ্যা কর । এপ্রসঙ্গে ভারতের কৃষক সমাজের ওপর এই বন্দোবস্ত কীরূপ প্রভাব ফেলেছিল বর্ননা কর । উত্তর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত । চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হল এক ধরণের ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা ।   ১৭৯৩ সালে  লর্ড কর্ণওয়ালিস বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যায় এই ভূমি-ব্যবস্থা চালু করেন । পরবর্তীকালে বারাণসী , উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ও মাদ্রাস প্রেসিডেন্সির কোনো কোনো অঞ্চলে  এই ব্যবস্থা  চালু করা হয় । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি । কোম্পানির কর্মচারী ও ঐতিহাসিক আলেকজান্ডার ডাও ১৭৭২ সালে  প্রথম  চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কথা বলেন । এরপর হেনরি পাত্তুলো , ড্যাক্রিস , টমাস ল প্রমুখ এই বন্দোবস্তের সপক্ষে যুক্তি দেখান । ১৭৮৬ সালে কর্ণওয়ালিশ গভর্নর জেনারেল হয়ে ভারতে আসেন ।  তিন বছর ধরে  তিনি  বাংলার ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যপক অনুসন্ধান চালান ।  এরপর ১৭৯০ সালে দেশীয় জমিদারদের সঙ্গে দশ বছরের জন্য একটি বন্দোবস্ত করেন, যা ‘ দশসালা বন্দোবস্ত ’ নামে পরিচিত । সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন , ইংল্যান্ডের কর্তপক্ষ অনুমোদন করলে এই...

জাদুঘর কাকে বলে? অতীত পুনর্গঠনে জাদুঘরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা , জাদুঘর কী ? জাদুঘরের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলি বর্ননা কর । অথবা , জাদুঘর বলতে কী বোঝ ? আধুনিক ইতিহাস রচনায় জাদুঘরের গুরুত্ব লেখ । উঃ জাদুঘরের সংজ্ঞা বাংলা ‘ জাদুঘর ’ শব্দটির ইংরাজি প্রতিশব্দ হল মিউজিয়াম ( Museum) । ‘ মিউজিয়াম ’ শব্দটির মূল উৎস হল প্রাচীন গ্রীক শব্দ Mouseion ( মউসিয়ান) , যার অর্থ হল গ্রীক পুরাণের শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক মিউসদের মন্দির । এই ধরণের মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে প্রাচীন গ্রিসে পাঠাগার , প্রাচীন শিল্পকলা প্রভৃতির সংগ্রহশালা গড়ে উঠত । ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মিউজিয়াম -এর মতে, জাদুঘর হল একটি অলাভজনক, জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত এবং স্থায়ী সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান যা শিক্ষালাভ, জ্ঞানচর্চা ও আনন্দলাভের উদ্দেশ্যে মানব ঐতিহ্যের স্পর্শযোগ্য ও স্পর্শ-অযোগ্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করে, সংরক্ষণ করে, প্রদর্শন করে এবং সেগুলি নিয়ে গবেষণা করে। উদাহরণ – ব্রিটিশ মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ের নিদর্শন। এখানে পৃথক পৃথক ঘরে পৃথক পৃথক বিষয়ের নিদর্শন প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। জাদুঘরের উদ্দেশ্য , ক...

ঠান্ডা লড়াই কী? ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি আলোচনা করো।

ঠান্ডা লড়াই কী : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের (১৯৪৫) পর পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ পরস্পর দুটি রাষ্ট্রজোটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। একটি আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট অন্যটি সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট। এই দুই রাষ্ট্রজোট কোন প্রত্যক্ষ যুদ্ধ না করেও দীর্ঘকাল ধরে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও যুদ্ধের আবহ বা ছায়াযুদ্ধ চালাতে থাকে। এই ছায়াযুদ্ধই ইতিহাসে 'ঠান্ডা লড়াই' নাম পরিচিত। মার্কিন সাংবাদিক ওয়াল্টার লিপম্যান ( Walter Lippmaan ) ১৯৪৭ সালে তাঁর The Cold War গ্রন্থে সর্বপ্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য : 'ঠান্ডা লড়াই কী' এই অংশের জন্য ৩/৪ (তিন বা চার ) নম্বর (মার্কস) থাকলে অথবা বৈশিষ্ঠ্য লিখতে বললে  এখানে ক্লিক কর এবং যে অংশ বের হবে তা এই পয়েন্টের নিচে জুড়ে দাও। ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি : ঠান্ডা লড়াই-এর পিছনে শুধুমাত্র আদর্শগত বা অর্থনৈতিক কারণ বা ভিত্তি কাজ করেছিল এমন নয়। এর পিছনে আরও কিছু বিষয় তথা আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী কার্যকর ছিল। সমগ্র কারণকে এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। সাম্যবাদের বিরোধিতা : রাশিয়...

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল বর্ননা কর।

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল পলাশির যুদ্ধ ১৭৫৬ সালে নবাব আলীবর্দি মারা যান । এরপর তাঁর পৌত্র সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার সিংহাসন আরোহন করেন । সিংহাসন আরোহনের কিছুদিনের মধ্যেই ইংরেজদের সাথে তাঁর বিরোধ বাঁধে , যার চূড়ান্ত পরিনতি হল ১৭৫৭ সালের পলাশির যুদ্ধ ।   এই যুদ্ধের পটভূমি বিশ্লেষণ করলেই সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি পরিষ্কার হয়ে ওঠে । সেই সঙ্গে এটাও বোঝা যাবে এই বিরোধে সিরাজেরে ‘ অহমিকাবোধ ’ ও ‘ অর্থলোভ ’ দায়ী ছিল কিনা । পলাশির যুদ্ধের পটভূমি / কারণ সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি হল –   আনুগত্যদানে বিলম্ব। সিরাজ বাংলার সিংহাসনে বসলে প্রথা অনুযায়ী নবাবের প্রতি আনুগত্য জানিয়ে ফরাসি, ওলন্দাজ প্রভৃতি কোম্পানিগুলি উপঢৌকন পাঠালেও ইংরেজরা ইচ্ছা করে উপঢৌকন পাঠাতে দেরি করে। এতে সিরাজ অপমানিত হন।   ষড়যন্ত্রের সংবাদ। সিংহাসনে বসার সময় থেকে ঘষেটি বেগম, সৌকত জঙ্গ ও কয়েকজন রাজকর্মচারি সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র লিপ্ত ছিলেন। খবর আসে যে, এই ষড়যন্ত্রে ইংরেজরা যুক্ত আছে এবং তাঁকে সরিয়ে অনুগত কাউকে সিংহাসনে বসানোর চক্রান্ত করছে।   কৃষ্ণদাসকে আশ্রয়দান। ঘষেটি ব...

বাংলার সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা, বাংলার সমাজ ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর। অথবা, ঊনবিংশ শতকে নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান উল্লেখ কর। অথবা, উনিশ শতকের নবজাগরণে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা কি ছিল? এ প্রসঙ্গে নারীজাতির উন্নয়নে তাঁর অবদান ব্যাখ্যা কর।  বিদ্যাসাগর ও সংস্কার আন্দোলন : ঊনবিংশ শতকে ভারতে যে কজন সংস্কারকের জন্ম হয়েছিল তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি ছিলেন বঙ্গীয় নবজাগরণের মূর্ত প্রতীক। তাঁর মধ্যে ইউরোপীয় নবজাগরণের প্রবল যুক্তিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, প্রগাঢ় মানবতাবাদ, এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবাদর্শের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছিল। মাইকেল মধুসূদনের মতে, ' যাঁর মনীষা প্রাচীন ঋষিদের মতো, কর্মদক্ষতা ইংরেজদের মত এবং হৃদয়বত্তা বাঙালি জননীর মত। ' বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টা : বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টাকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যায়। এক . শিক্ষা সংস্কার, দুই . সমাজ সংস্কার। তবে তাঁর এই দুই প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে ছিল নারীশিক্ষা ও ...

তিন আইন কী?

তিন আইন কী? ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলনের ফলে ১৮৭২ সালে ব্রিটিশ সরকার বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রভৃতি সামাজিক কুসংস্কারগুলি নিষিদ্ধ করে এবং বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়। যে আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার এই ঘোষণা জারি করে তাকে ' তিন আইন ' বলে।

চিনের ৪ ঠা মে আন্দোলনের কারণ বিশ্লেষণ কর। এই আন্দোলনের প্রভাব আলোচনা কর। (২০১৬)

অথবা, বিংশ শতকে চিনে ৪ ঠা মে-র আন্দোলনের উত্থান ও গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। চিনের সেই সময়কার দুটি উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্রের নাম লেখো। অথবা, চিনের ৪ ঠা মের আন্দোলনের পটভূমি আলোচনা কর। এই আন্দোলনের ফলাফল বা তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।  ৪ ঠা মে-র আন্দোলন : ১৯১৪  সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপান চিনে আগ্রাসন চালায়। যুদ্ধে চীন মিত্রপক্ষে যোগ দিলেও যুদ্ধের পর তারা কোনো সুবিচার পায় নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি আধিপত্যের বিরুদ্ধে চিনা জাতীয়তাবাদী জনগণ চেন-তু-শিউ এর নেতৃত্বে  ১৯১৯ সালে ৪ ঠা মে পিকিং-এর তিয়েন-আন-মেন স্কোয়ার -এ  এক আন্দোলনের ডাক দেয়। এই আন্দোলন চিনের ইতিহাসে ৪ ঠা মে-র আন্দোলন নামে পরিচিত। আন্দোলনের কারণ ( পটভূমি ) : এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করলে এর কারণগুলি অনুধাবন করা যায়। ইউয়ান-সি-কাই এর নৃশংসতা : ১৯১১ সালে বিপ্লবের পর রাষ্ট্রপতি সান-ইয়াত-সেন দেশের গৃহযুদ্ধ এড়াতে ইউয়ান-সি-কাই  - এর অনুকূলে স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রপতি পদ ত্যাগ করেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর  ইউয়ান-সি-কাই  সমস্ত সাংবিধানিক পদ্ধতি বাতিল করে সামরিক একনায়কতন...

'মুক্তদ্বার নীতি' (Open Door Policy) কী?

চিনে ইউরোপীয় দেশগুলির উপনিবেশিক আধিপত্য স্থাপনের ফলে আমেরিকা শঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা ভাবতে শুরু করে এর ফলে চিনে আমেরিকার বাণিজ্যিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই পরিস্থি...

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল?

কোন পরিস্থিতিতে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) শুরু হয়? এই মামলায় অভিযুক্ত কয়েকজন শ্রমিক নেতার নাম লেখো। এই মামলার ফলাফল কী হয়েছিল? অথবা, মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল? অথবা, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কমিউনিস্ট পার্টির অবদানের একটি উদাহরণ দাও। এপ্রসঙ্গে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষাপট আলোচনা কর। এই মামলার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। উত্তর : মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা : ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে কমিউনিস্টদের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে ব্রিটিশ সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এইরূপ পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেছিল। মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) হল এরকমই এক দমননীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মামলার প্রেক্ষাপট : ১) শ্রমিক-মালিক বিরোধ । ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে ভারতে শিল্পায়ন শুরু হলে শ্রমিক শ্রেণির উদ্ভব হয়। বিংশ শতকের প্রথম দিকে মালিক শ্রেণির শোষণ ও অত্যাচারে শ্রমিক-মালিক সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। শ্রমিক শ্রেণির অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিস্টরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন জোরদার করে তুলে ব্রিটিশ সরকার চিন্তায় পড়ে যা...

সার্ক (SAARC) কী?

সার্ক হল দক্ষিণ এশিয়ার একটি আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা। এর পুরো নাম 'দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা'  ( South Asian Association for Regional Co-operation) । ১৯৭৯ সালে এই সংস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে সর্বপ্রথম উদ্যোগ নেন স্বাধীন বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। অবশেষে ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় মোট ৭টি দেশ নিয়ে এই সংস্থা আত্মপ্রকাশ করে। এর সদস্য রাষ্ট্রগুলি হল ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ।  -----------x---------- অষ্টম অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন বিভাগের আরও প্রশ্ন  ১)  অব-উপনিবেশবাদ কী?   ২)  অব-উপনিবেশিকরণ শব্দটি কে কবে প্রথম ব্যবহার করেন?  ৩)  নয়া-উপনিবেশবাদ কী?  ৪)  তৃতীয় বিশ্ব কী?   ৫)  'তৃতীয় বিশ্ব' কথাটি কবে, কোথায়, কে প্রথম ব্যবহার করেন?  ৬)  কোন দেশকে কেন্দ্র করে আফ্রিকা ঠান্ডা যুদ্ধের আবর্তে জড়িয়ে পড়ে?  ৭)  আলজেরিয়া কবে কার শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে?   ৮)  বেন বেল্লা কে ছিলেন?  ৯)  'ত্রিপোলি কর্মসূচি' কী?  ১০)  HIT AND R...