ঊনবিংশ শতকের শেষ দিকে ভাববাদী দর্শনের বিরোধীতা করে বস্তুবাদী দর্শনের জন্ম হয়। এই দর্শনে বিশ্বের যাবতীয় ঘটনার ব্যাখ্যা দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের আলোকে অর্থ্যাৎ 'অর্থনৈতিক মাপকাঠিতে' দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই দর্শনে বিশ্বাসী ঐতিহাসিকগণ মার্কসবাদী ঐতিহাসিক নামে পরিচিত। এই দর্শনেই সফল প্রচারকের (কার্ল মার্কস) নাম অনুসারে এই নামকরণ। দুজন মার্কসবাদী ঐতিহাসিক এর নাম হল - ১) ইরফান হাবিব, ২) সতীশচন্দ্র। এছাড়া ক্রিস্টোফার হিল, ধর্মানন্দ কোশান্বি।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তগুলি (বৈশিষ্ঠ্য) উল্লেখ কর। ভারতের আর্থ-সামাজিক ইতিহাসে এই ভূমি-ব্যবস্থার গুরুত্ব আলোচনা কর।
অথবা , চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি ব্যাখ্যা কর । এপ্রসঙ্গে ভারতের কৃষক সমাজের ওপর এই বন্দোবস্ত কীরূপ প্রভাব ফেলেছিল বর্ননা কর । উত্তর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত । চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হল এক ধরণের ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা । ১৭৯৩ সালে লর্ড কর্ণওয়ালিস বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যায় এই ভূমি-ব্যবস্থা চালু করেন । পরবর্তীকালে বারাণসী , উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ও মাদ্রাস প্রেসিডেন্সির কোনো কোনো অঞ্চলে এই ব্যবস্থা চালু করা হয় । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি । কোম্পানির কর্মচারী ও ঐতিহাসিক আলেকজান্ডার ডাও ১৭৭২ সালে প্রথম চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কথা বলেন । এরপর হেনরি পাত্তুলো , ড্যাক্রিস , টমাস ল প্রমুখ এই বন্দোবস্তের সপক্ষে যুক্তি দেখান । ১৭৮৬ সালে কর্ণওয়ালিশ গভর্নর জেনারেল হয়ে ভারতে আসেন । তিন বছর ধরে তিনি বাংলার ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যপক অনুসন্ধান চালান । এরপর ১৭৯০ সালে দেশীয় জমিদারদের সঙ্গে দশ বছরের জন্য একটি বন্দোবস্ত করেন, যা ‘ দশসালা বন্দোবস্ত ’ নামে পরিচিত । সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন , ইংল্যান্ডের কর্তপক্ষ অনুমোদন করলে এই বন্দোবস্তই ‘ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ’ -এ পরিণত হবে