অথবা , ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত ভারতে শিল্পের বিকাশ সংক্ষেপে বর্ননা কর । উত্তর : ভারতে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠার পর ব্রিটিশ সরকার ভারতকে একটি কাঁচামাল রপ্তানিকারক দেশ হিসাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করে । ১৮৫৭ সালে মহাবিদ্রোহের পর পরিস্থিতি পাল্টায় । বিলম্ব হলেও এই সময় ইউরোপীয় ও ভারতীয় উদ্যোগে শুরু হয় নির্দিষ্ট কিছু শিল্পের বিকাশ । ইউরোপীয় শিল্পোদ্যোগ বৈশিষ্ট্য ইউরোপীয় উদ্যোগে ভারতে শিল্প- বিকাশের কয়েকটি বিশেষত্ব লক্ষ্য করা যায় । যেমন – A. ভারতীয় উদ্যোগের বিরোধিতা । কারণ , ইংল্যান্ড ও ভারতীয় ইংরেজ শিল্পপতিরা মনে করতেন যে , ভারতীয় উদ্যোগে শিল্প গড়ে উঠলে ভারতের বাজার ও কাঁচামাল তাদের হাতছাড়া হবে । B. ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতি । ভারী বা মূলধন সৃষ্টিকারী শিল্পের পরিবর্তে ইউরোপীয়রা মূলত ভোগ্যপণ্যের সঙ্গে যুক্ত শিল্পে পুঁজি বিনিয়োগ করতেন । শিল্প বিকাশের কারণ ভারেত ব্রিটিশ পুঁজিপতিদের শিল্পোদ্যোগের পিছনে কয়েকটি কারণ ছিল – 1) উৎপাদন ব্যয় কম । কারণ , সামান্য মজুরিতে প্রচুর শ্রমিক পাওয়া যেত । 2) ...
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তগুলি (বৈশিষ্ঠ্য) উল্লেখ কর। ভারতের আর্থ-সামাজিক ইতিহাসে এই ভূমি-ব্যবস্থার গুরুত্ব আলোচনা কর।
অথবা , চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি ব্যাখ্যা কর । এপ্রসঙ্গে ভারতের কৃষক সমাজের ওপর এই বন্দোবস্ত কীরূপ প্রভাব ফেলেছিল বর্ননা কর । উত্তর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত । চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হল এক ধরণের ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা । ১৭৯৩ সালে লর্ড কর্ণওয়ালিস বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যায় এই ভূমি-ব্যবস্থা চালু করেন । পরবর্তীকালে বারাণসী , উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ও মাদ্রাস প্রেসিডেন্সির কোনো কোনো অঞ্চলে এই ব্যবস্থা চালু করা হয় । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি । কোম্পানির কর্মচারী ও ঐতিহাসিক আলেকজান্ডার ডাও ১৭৭২ সালে প্রথম চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কথা বলেন । এরপর হেনরি পাত্তুলো , ড্যাক্রিস , টমাস ল প্রমুখ এই বন্দোবস্তের সপক্ষে যুক্তি দেখান । ১৭৮৬ সালে কর্ণওয়ালিশ গভর্নর জেনারেল হয়ে ভারতে আসেন । তিন বছর ধরে তিনি বাংলার ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যপক অনুসন্ধান চালান । এরপর ১৭৯০ সালে দেশীয় জমিদারদের সঙ্গে দশ বছরের জন্য একটি বন্দোবস্ত করেন, যা ‘ দশসালা বন্দোবস্ত ’ নামে পরিচিত । সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন , ইংল্যান্ডের কর্তপক্ষ অনুমোদন করলে এই...