সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিষয়ে হবসন ও লেনিনের তত্ত্ব আলোচনা কর। ৪ + ৪ = ৮

অথবা, নয়া সাম্রাজ্যবাদ কী? হবসন-লেনিন থিসিস  বলতে কী  বোঝ ? এ বিষয়ে হবসন ও লেনিনের মতামত ব্যাখ্যা কর। ২[১+১] + ৩ + ৩ = ৮ অথবা, ঔপনিবেশিকতাবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিষয়ে হবসন-লেনিনের তত্ত্বের বৈশিষ্ট বিশ্লেষণ কর। এই তত্ত্বের গুরুত্ব লেখো। ৩ +৩ + ২ = ৮ হবসন-লেনিন থিসিস : আধুনিক বিশ্বে সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলি কোনো দেশের ভুখন্ড দখল না করেও সুকৌশলে সে দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হয়েছে। ঔপনিবেশিকতাবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ প্রসারের এই আধুনিক কৌশল 'নয়া সাম্রাজ্যবাদ'  বা 'নয়া   ঔপনিবেশিকতাবাদ' নামে পরিচিত। নয়া সাম্রাজ্যবাদ ও নয়া ঔপনিবেশিকতাবাদের প্রসারকে বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। উদারনৈতিক ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জে. এ. হবসন ও ভি. আই. লেনিন সাম্রাজ্যবাদ ও ঔপনিবেশিকতাবাদের অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এ বিষয়ে তাঁদের এই অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা ' হবসন-লেনিন থিসিস'  বা 'হবসন-লেনিন তত্ত্ব'  নামে পরিচিত। এই তত্ত্বের মূলকথা হল -- বাড়তি মূলধনের চাপই সাম্রাজ্যবাদ বা উপনিবেশ দখলের মূল কারণ। এই বাড়তি মূলধন বা সম্পদের চাপ সম্পদের  সুষম বন্টন ও

মার্কেন্টাইল অর্থনীতির প্রভাব ( ফলাফল ) বা গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। ৪

  মার্কেন্টাইল অর্থনীতির  গুরুত্ব বা প্রভাব ( ফলাফল ) : ষোড়শ, সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতকে ইউরোপে মার্কেন্টাইলবাদ যথেষ্ট গুরুত্ব লাভ করেছিল। ইউরোপের ইতিহাসে তাই এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। কৃষি উৎপাদন ব্যাহত : মার্কেন্টাইল মতবাদ অনুসরণকারীদের মতে, দেশের বাইরে খাদ্যশস্য রপ্তানি করলে দেশে খাদ্যসংকট দেখা দেবে। এই কারণে রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়। ফলে কৃষরা ফসলের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হয়। কৃষকরাও পরিবারের প্রয়োজনের বেশি খাদ্যশস্য উৎপাদন করত না। এই পরিস্থিতে কৃষির উন্নতি ও উৎপাদন বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। সাম্রাজ্যের প্রসার ঘটায় :  মূলত এই মতবাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ইউরোপের রাষ্ট্রগুলি এই সময়ের মধ্যে তাদের ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের প্রসার ঘটায়। 'War for trade' শুরু হয় :  জাতীয় অর্থনীতির অবনমন রোধ করার জন্য সরকারি হস্তক্ষেপ করার নীতি নেওয়া হয়। এই উদ্দেশ্যে বহু নিষেধাজ্ঞা জারি, আমদানি শুল্ক চাপানো, বিভিন্ন শিল্পোদ্যোগকে ভর্তুকি দেওয়া, একচেটিয়া বাণিজ্য ইত্যাদি বৃদ্ধি পায়। ফলে বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে 'War for trade' শুরু হয়। পারস্পরিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া : ফ্রান্স মার্ক

উপনিবেশবাদের রাজনৈতিক ভিত্তি সম্পর্কে আলোচনা কর। সাম্রাজ্যবাদের তাৎপর্য বা পরিণতি কী হয়েছিল? ৪ + ৪ = ৮

উপনিবেশিকতাবাদ : ল্যাতিন শব্দ  ‘ ইম্পোরিয়াম ’  থেকে  ‘ ইম্পেরিয়ালিজম ’  বা  ‘ সাম্রাজ্যবাদ ’  কথাটির উৎপত্তি হয়েছে ।   এর অর্থ  ‘ সামরিক কর্তৃত্ব ’ ।  আর  ‘ সাম্রাজ্যবাদ ’  বলতে বোঝায় কোনো একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র কর্তৃক অপেক্ষাকৃত দুর্বল রাষ্ট্র বা জাতির ওপর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার তত্ত্বকে । বর্তমানে যে-কোনো দেশ কর্তৃক বিদেশ নীতি হিসাবে যে আগ্রাসনমূলক বিস্তার নীতি গ্রহণ করা হয় তাকে সাম্রাজ্যবাদ বলা হয় ।  চার্লস বেয়ার্ডের মতে ,  ‘ কোনো একটি রাষ্ট্র কর্তৃক অন্য রাষ্ট্রের ভূখন্ড দখল করে তার ওপর দখলদারী রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠাই হল সামাজ্যবাদ ’ ।  লেনিন বলেছেন ,  সাম্রাজ্যবাদ হল পুঁজিবাদের চূড়ান্ত পর্যায় ’ । অন্যদিকে ,  কোন দেশ সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতাকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে অন্য কোনো দেশে বসতি গড়ে তোলে ও শাসন শুরু করে তখন তা  উপনিবেশবাদ  হিসাবে বিবেচিত হয় । সাম্রাজ্যবাদ ও ঔপনিবেশিকতাবাদের সম্পর্ক : সুতরাং দেখা যাচ্ছে ,  সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদ প্রায় সমার্থক ।  এপ্রসঙ্গে  রবার্ট ইয়োং  বলেছেন , ‘ সাম্রাজ্যবাদ কেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রিত একটি রাষ্ট্রনীতি ,  অ

মার্কেন্টাইল অর্থনীতি (পুঁজি) কী? এর বৈশিষ্ঠ আলোচনা কর। কীভাবে এর অবসান হয়? ২ + ৩ + ৩ = ৮

অথবা, মার্কেন্টাইল মূলধন কী? এই মতবাদের মূল কথা কী? এই মতবাদের ত্রুটিগুলি দেখাও।  মার্কেন্টাইল অর্থনীতি (পুঁজি / মূলধন ) : অথবা, মার্কেন্টাইলবাদ কী? এর প্রকৃতি বিশ্লেষণ কর। এই মতবাদের নেতিবাচক দিকগুলি আলোচনা কর। মার্কেন্টাইলবাদ ( মার্কেন্টাইল মূলধন / পুঁজি ) : মার্কেন্টাইলবাদ হল একটি 'সংরক্ষণবাদী' অর্থনৈতিক মতবাদ। ইউরোপীয় নবজাগরণ ও ভৌগোলিক আবিষ্কারের সূত্র ধরে ইউরোপীয়রা নতুন ভুখন্ড আবিষ্কার এবং সেখানে নিজেদের উপনিবেশ গড়ে তোলে। এই সময় এই মতবাদ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। লর্ড অ্যাক্টনের মতে, মার্কেন্টাইলবাদ ছিল জ্ঞানদীপ্তির যুগের স্বৈরতন্ত্রের পরিপূরক অর্থনৈতিক মতবাদ। এই মতবাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ইউরোপের রাষ্ট্রগুলি ষোড়শ থেকে অষ্টাদশ শতকের মধ্যে তাদের ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের প্রসার ঘটায়। এই মতবাদের মূলকথা হল : রাষ্ট্রের অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ থাকবে রাষ্ট্রের হাতে। রাষ্ট্রের স্বার্থ ও বণিকের স্বার্থ অভিন্ন। দেশের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ গিল্ডের পরিবর্তে জাতীয় সরকারের হাতে থাকবে। সুতরাং রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতিই মার্কেন্টাইল অর্থনীতি । রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক কার্যকলাপ ও তার

নতুন বিশ্ব কী? এখানে ঔপনিবেশিক শক্তির অভিযানের কারণ ও ফলাফল বর্ণনা কর। ৩ + ৫ = ৮

অথবা, নতুন বিশ্ব বলতে কোন কোন অঞ্চলকে বোঝানো হয়? এখানে ইউরোপীয়দের উপনিবেশ স্থাপনের উদ্দেশ্য কী ছিল? নতুন বিশ্ব ও ইউরোপে এর প্রভাব কেমন পড়েছিল? অথবা, কীভাবে নতুন বিশ্ব আবিষ্কার হয়? নতুন বিশ্বের নামকরণ হয় কীভাবে? ইউরোপীয়রা কেন উপনিবেশ স্থাপনে আগ্রহ দেখিয়েছিল? এর পরিণতি কী  হয়েছিল? নতুন বিশ্ব : পঞ্চদশ শতক পর্যন্ত পৃথিবীর মানচিত্র সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট ধারণা ছিল না। ইউরোপীয় নবজাগরণের সূত্র ধরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যার অভূতপূর্ব অগ্রগতি ইউরোপীয়দের মধ্যে পৃথিবী সম্পর্কে আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়। এই সময় জলপথে প্রাচ্যের দেশগুলিতে পৌঁছানোর তাগিদে তারা সামুদ্রিক অভিযান শুরু করে। পৃথিবী গোলাকার, বিজ্ঞানের এই আবিষ্কারকে কাজে লাগিয়ে তারা পশ্চিম দিকে যাত্রা করে। উদ্দেশ্য  প্রাচ্যের দেশগুলিতে পৌঁছানো। এমনই উদ্দেশ্য নিয়ে ইতালীয় নাবিক কলম্বাস স্পেন সরকারের (রাণী ইসাবেলার) সহযোগিতায় ভারতে আসার জন্য অভিযান শুরু করেন। ১৪৯২ সালের ১২ ই অক্টোবর কলম্বাস আমেরিকায় পৌঁছান। মজার কথা হল তিনি ভেবেছিলেন, যে তিনি ভারতে পৌঁছেছেন। কিন্তু ১৪৯৭ সালে আমেরিগো ভেসপুচি নামে আরও এক ইতালীয় নাবিক আমেরিকার মূল ভূখণ্ডে প

সাম্রাজ্যবাদ কী ? সাম্রাজ্যবাদ প্রসারের কারণ ও ফলাফল আলোচনা কর।

অথবা , ১) ঔপনিবেশিকতাবাদ কী ? ঔপনিবেশিকতাবাদ প্রসারের কারণ কী ? এর প্রভাব আলোচনা কর । অথবা , ২) সাম্রাজ্যবাদের উদ্যেশ্য কী ছিল ? উপনিবেশগুলির ওপর ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব আলোচনা কর । অথবা , ৩) ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদ বলতে কী বোঝ ? ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদ প্রসারের কারণ ও ফলাফল আলোচনা কর । অথবা , ৪) উপনিবেশবাদের রাজনৈতিক ভিত্তি সম্পর্কে আলোচনা কর । সাম্রাজ্যবাদের তাৎপর্য বা পরিণতি কী হয়েছিল ?   সাম্রাজ্যবাদ ও ঔপনিবেশিকতাবাদ : ল্যাতিন শব্দ ‘ ইম্পোরিয়াম ’ থেকে ‘ ইম্পেরিয়ালিজম ’ বা ‘ সাম্রাজ্যবাদ ’ কথাটির উৎপত্তি হয়েছে । এর অর্থ ‘ সামরিক কর্তৃত্ব ’ । আর ‘ সাম্রাজ্যবাদ ’ বলতে বোঝায় কোনো একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র কর্তৃক অপেক্ষাকৃত দুর্বল রাষ্ট্র বা জাতির ওপর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার তত্ত্বকে । বর্তমানে যে-কোনো দেশ কর্তৃক বিদেশ নীতি হিসাবে যে আগ্রাসনমূলক বিস্তার নীতি গ্রহণ করা হয় তাকে সাম্রাজ্যবাদ বলা হয় । চার্লস বেয়ার্ডের মতে , ‘ কোনো একটি রাষ্ট্র কর্তৃক অন্য রাষ্ট্রের ভূখন্ড দখল করে তার ওপর দখলদারী রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠাই হল সাম্রাজ্

আলজেরিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করো। এই আন্দোলনে বেন বেল্লার কৃতিত্ব নিরূপণ করো।

অথবা, আহমেদ বেন বেল্লা কে ছিলেন? আলজেরিয়ার জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের কারণ ও তার বিভিন্ন পর্যায় সংক্ষেপে আলোচনা কর। অথবা, কত সালে আলজেরিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। আধুনিক আলজেরিয়ার বিকাশ ও জাতি গঠনের বিভিন্ন পর্যায় সংক্ষেপে লেখো।  আহমেদ বেন বেল্লা : আলজেরিয়া হল আফ্রিকা মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র। আরবের মুসলিমরা সপ্তম শতকের শেষদিকে এখানে এসে ইসলাম ধর্ম ও আরবি ভাষার প্রসার ঘটায়। ঊনবিংশ শতকের প্রথমার্ধে ফরাসিরা এখানে আসে এবং তাদের ঔপনিবেশিক আধিপত্য কায়েম করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ফরাসি শাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণআন্দোলন গড়ে ওঠে। যার নেতৃত্বে এই আন্দোলন ব্যাপকতা পায় তিনি হলেন আলজেরিয়ার জাতীয়তাবাদী নেতা আহমেদ  বেন বেল্লা। তাঁর নেতৃত্বেই ১৯৬২ সালে আলজেরিয়া স্বাধীনতা লাভ করে।  মুক্তি-সংগ্রামের প্রেক্ষাপট ( কারণ ) : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে অধিকাংশ ফরাসি উপনিবেশে মুক্তিসংগ্রাম শুরু হয়। এই সময় আলজেরিয়ার জাতীয়তাবাদীরাও ফরাসি অধীনতা মুক্ত হয়ে পূর্ণ স্বাধীনতা প্রাপ্তির লক্ষ্যে  ঝাঁপিয়ে পড়ে। যে যে বিষয়গুলি তাঁদের এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট বা কারণ হিসাবে কাজ করেছিল সেগুলি

ঠান্ডা লড়াইয়ের প্রভাব আলোচনা কর।

ঠান্ডা লড়াইয়ের প্রভাব আলোচনা কর। সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতি ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের ওপর ঠান্ডা লড়াইয়ের কী প্রভাব পড়েছিল? ঠান্ডা যুদ্ধের প্রভাব : ঠান্ডা লড়াই সারা বিশ্বে বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল। বিশেষ করে দেশগুলির রাজনীতি ও অর্থনীতিতে এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হয়েছিল। সামরিক জোট গঠন : ঠান্ডা লড়াইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি সামরিক জোট গড়ে ওঠে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল NATO, SEATO, ANZUS, CENTO, COMECON  ইত্যাদি।  অস্ত্র প্রতিযোগিতা : ঠান্ডা লড়াইকে সামনে রেখে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন 'ন্যাটো' জোট এবং সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে 'ওয়ারশ' চুক্তিবদ্ধ শিবির পরস্পরের বিরুদ্ধে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় শুরু করে। উভয় পক্ষই পরমাণু অস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। আন্তর্জাতিক বিরোধ : মার্কিন ও সোভিয়েত জোটের মধ্যে শুরু হওয়া ঠান্ডা লড়াইয়ের সূত্রধরে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে কয়েকটি গুরুতর সংকট তৈরি হয়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কোরিয়া সংকট (১৯৫০), ভিয়েতনাম সংকট (১৯৫৬-৭

অব-উপনিবেশবাদ কী? উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনের কারণ ও উপনিবেশবাদ অবসানের কারণ ব্যাখ্যা করো।

অথবা, বি-উপনিবেশিকরন বলতে কী বোঝো? উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনের কারণ ও অব-উপনিবেশবাদের কারণ ব্যাখ্যা করো।  অব-উপনিবেশীকরণ : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন উপনিবেশগুলি পশ্চিমি সাম্রাজ্যবাদী শক্তির অধীনতা থেকে মুক্তি লাভের জন্য সংগ্রাম শুরু করে। সেই সূত্রে এই সময় অধিকাংশ উপনিবেশই স্বাধীনতা লাভ করে। ঔপনিবেশিক শক্তির নাগপাশ থেকে উপনিবেশগুলির মুক্তির ঘটনাকেই 'অব-উপনিবেশীকরণ' (Decolonisation) বলা হয়। ১৯৩২ সালে জার্মান পন্ডিত মরিৎস জুলিয়াস বন সর্বপ্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। Springhall তাঁর Encyclopedia of social science গ্রন্থে অব-উপনিবেশবাদ বলতে বুঝিয়েছেন ভূতপূর্ব সাম্রাজ্যবাদী শক্তি কর্তৃক উপনিবেশগুলির রাজনৈতিক সার্বভৌমত্ব সমর্পণ অথবা সার্বভৌম ক্ষমতা সাম্রাজ্যের হাত থেকে জাতি রাষ্ট্রগুলির হাতে সমর্পণ করা। অর্থাৎ অব-উপনিবেশীকরণ এমন একটি প্রক্রিয়া যেক্ষেত্রে সাম্রাজ্যবাদী শাসক তাদের ঔপনিবেশিক ক্ষমতা ও প্রতিপত্তিকে প্রত্যাহার করে নেয় । আবার অন্য একটি ধারণা অনুযায়ী সক্রিয় মুক্তি সংগ্রাম এবং গণআন্দোলনের চাপে ঔপনিবেশিক ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি অ

ইন্দোনেশিয়ার বিকাশ ও জাতি গঠনের বিভিন্ন পর্যায় আলোচনা কর। এক্ষেত্রে ড. সুকর্ণের ভূমিকা কী ছিল?

অথবা, ড. সুকর্ণ কে ছিলেন? আধুনিক ইন্দোনেশিয়ার বিকাশ ও জাতি গঠনে তাঁর অবদান ব্যাখ্যা কর। ইন্দোনেশিয়া ও সুকর্ণ : প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ দ্বীপ-রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া অবস্থিত যা প্রায় ৩ হাজার দ্বীপে র সমন্বয়ে গঠিত। এখানকার প্রধান প্রধান দ্বীপগুলির মধ্যে অন্যতম হল সুমাত্রা, জাভা, বালি, বোর্নিও, পাপুয়া নিউ গিনি ইত্যাদি। আনুমানিক ১৫১১ সালে পর্তুগাল এখানে বাণিজ্যকুঠি স্থাপন করে। তাদের  আগমনের সূত্র ধরে একে একে স্পেন ও ব্রিটিশরা পৌঁছায়। সপ্তদশ শতকে র শেষ দিকে স্পেন ও ব্রিটিশদের বিতাড়িত করে হল্যান্ড ( ডাচ / ওলন্দাজ ) এখানে  ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠা করে।  ডাচ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি র শাসনের অবসানের পর ১৭৯৯ সালে ডাচ সরকার প্রত্যক্ষভাবে ইন্দোনেশিয়ার শাসনভার গ্রহণ করে। বিংশ শতকের শুরুতে ইন্দোনেশিয়ায় ওলন্দাজ-বিরোধী জাতীয়তাবাদী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। যার সুযোগ্য নেতৃত্বে এই আন্দোলন (মুক্তি সংগ্রাম) তীব্রতর হয়ে ওঠে, এবং আধুনিক ইন্দোনেশিয়ার বিকাশ ও  জাতি গঠন সম্পূর্ণ হয় তিনি হলেন ড. সুকর্ণ। বিকাশ ও জাতিগঠনে বিভিন্ন পর্যায় : অষ্টাদশ শতকের শেষ দিক থেকে জাতি-রাষ্ট

ঠান্ডা লড়াই -এর বৈশিষ্ঠ্য লেখো। ঠান্ডা লড়াইয়ের তাত্ত্বিক ভিত্তি ব্যাখ্যা কর। (২০১৬)

ঠান্ডা লড়াই ও তার বৈশিষ্ট্য : ঠান্ডা লড়াই কী? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের (১৯৪৫) পর পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ পরস্পর দুটি রাষ্ট্রজোটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। একটি আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট অন্যটি সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট। এই দুই রাষ্ট্রজোট কোন প্রত্যক্ষ যুদ্ধ না করেও দীর্ঘকাল ধরে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও যুদ্ধের আবহ বা ছায়াযুদ্ধ চালাতে থাকে। এই ছায়াযুদ্ধই ইতিহাসে  'ঠান্ডা লড়াই'  নাম পরিচিত। মার্কিন সাংবাদিক  ওয়াল্টার লিপম্যান ( Walter Lippmaan ) ১৯৪৭  সালে তাঁর The Cold War গ্রন্থে সর্বপ্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য : ঠান্ডা লড়াইয়ের চরিত্র বিশ্লেষণ করলে এর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য নজরে আসে। এগুলি হল -- ঠান্ডা লড়াই ছিল ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোটের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমেরিকা ও রাশিয়া উভয়েই নিজের জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে আর্থিক, সামরিক ও অন্যান্য সহযোগিতার নীতি গ্রহণ করেছিল।  ঠান্ডা লড়াইয়ের উভয় পক্ষই নিজ নিজ রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রচারে গুরুত্ব দিয়েছিল।  উভয় পক্ষই অস্ত্র তৈরিসহ সার্বিক সামর

কোরীয় সংকটের কারণ ও ফলাফল আলোচনা কর। এক্ষেত্রে ভারতের ভুমিকা কী ছিল?

কোরিয়া সংকট : ১৯১০ সাল থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৪৫) পর্যন্ত কোরিয়া ছিল জাপানের অধীনে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান পরাজিত হলে আমেরিকা ও সোভিয়েত রাশিয়া কোরিয়াকে ভাগাভাগি করে নেয়। উত্তর ভাগ সোভিয়েত রাশিয়া এবং দক্ষিণভাগ আমেরিকার অধিকারে যায়। প্রথমে ভাবা হয়েছিল এই বিভাজন ক্ষণস্থায়ী হবে। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই দুই পক্ষই নিজ নিজ অধিকৃত এলাকায় নিজ নিজ মতাদর্শ অনুযায়ী অনুগত সরকার প্রতিষ্ঠা করলে কোরিয়া ঠাণ্ডা যুদ্ধের আবর্তে জড়িয়ে যায়। তৈরি হয় কোরিয়া সংকট।  কোরিয়া সংকটের কারণ : মস্কো বৈঠকের ব্যর্থতা : ১৯৪৫ সালে মস্কোয় সোভিয়েত রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে ঠিক হয় উভয় পক্ষকে নিয়ে কোরিয়া বিষয়ে একটি যুগ্ম কমিশন গঠিত হবে। এই কমিশন কোরিয়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি অস্থায়ী স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। রুশ-মার্কিন বিরোধ : ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বরে যুগ্ম কমিশনের এক সভায় সোভিয়েত রাশিয়া কোরিয়া থেকে রুশ-মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাব করে। কিন্তু আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবের কারণে তারা তার বিরোধিতা কর

ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য কী ছিল ?

ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য : ঠান্ডা লড়াইয়ের চরিত্র বিশ্লেষণ করলে এর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য নজরে আসে। এগুলি হল -- ঠান্ডা লড়াই ছিল ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোটের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমেরিকা ও রাশিয়া উভয়েই নিজের জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে আর্থিক, সামরিক ও অন্যান্য সহযোগিতার নীতি গ্রহণ করেছিল।  ঠান্ডা লড়াইয়ের উভয় পক্ষই নিজ নিজ রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রচারে গুরুত্ব দিয়েছিল।  উভয় পক্ষই অস্ত্র তৈরিসহ সার্বিক সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে যথেষ্ট মনোযোগ দেয়। আমেরিকা ও রাশিয়া উভয় পক্ষই সামরিক শক্তি যথেষ্ট বাড়ালেও কোন পক্ষই  প্রত্যক্ষ যুদ্ধে জড়ায় নি। কেবল যুদ্ধের আবহ জিইয়ে রেখেছিল।  -------------x---------------- এই বিষয়ে আরও প্রশ্ন : ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য কী ছিল  ? ঠান্ডা লড়াইয়ের তাত্ত্বিক ভিত্তি ব্যাখ্যা কর । (২০১৬) ঠান্ডা লড়াইয়ের প্রভাব আলোচনা কর । ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি আলোচনা করো

ঠান্ডা লড়াই কী? ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি আলোচনা করো।

ঠান্ডা লড়াই কী : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের (১৯৪৫) পর পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ পরস্পর দুটি রাষ্ট্রজোটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। একটি আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট অন্যটি সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট। এই দুই রাষ্ট্রজোট কোন প্রত্যক্ষ যুদ্ধ না করেও দীর্ঘকাল ধরে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও যুদ্ধের আবহ বা ছায়াযুদ্ধ চালাতে থাকে। এই ছায়াযুদ্ধই ইতিহাসে 'ঠান্ডা লড়াই' নাম পরিচিত। মার্কিন সাংবাদিক ওয়াল্টার লিপম্যান ( Walter Lippmaan ) ১৯৪৭ সালে তাঁর The Cold War গ্রন্থে সর্বপ্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য : 'ঠান্ডা লড়াই কী' এই অংশের জন্য ৩/৪ (তিন বা চার ) নম্বর (মার্কস) থাকলে অথবা বৈশিষ্ঠ্য লিখতে বললে  এখানে ক্লিক কর এবং যে অংশ বের হবে তা এই পয়েন্টের নিচে জুড়ে দাও। ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি : ঠান্ডা লড়াই-এর পিছনে শুধুমাত্র আদর্শগত বা অর্থনৈতিক কারণ বা ভিত্তি কাজ করেছিল এমন নয়। এর পিছনে আরও কিছু বিষয় তথা আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী কার্যকর ছিল। সমগ্র কারণকে এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। সাম্যবাদের বিরোধিতা : রাশিয়ায়


বাংলা বই ★ দ্বাদশ শ্রেণি
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার 👆আদর্শ প্রশ্নোত্তরের একমাত্র পোর্টাল

জনপ্রিয় প্রশ্ন-উত্তরগুলি দেখুন

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তগুলি (বৈশিষ্ঠ্য) উল্লেখ কর। ভারতের আর্থ-সামাজিক ইতিহাসে এই ভূমি-ব্যবস্থার গুরুত্ব আলোচনা কর।

অথবা , চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি ব্যাখ্যা কর । এপ্রসঙ্গে ভারতের কৃষক সমাজের ওপর এই বন্দোবস্ত কীরূপ প্রভাব ফেলেছিল বর্ননা কর । উত্তর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত । চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হল এক ধরণের ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা ।   ১৭৯৩ সালে  লর্ড কর্ণওয়ালিস বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যায় এই ভূমি-ব্যবস্থা চালু করেন । পরবর্তীকালে বারাণসী , উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ও মাদ্রাস প্রেসিডেন্সির কোনো কোনো অঞ্চলে  এই ব্যবস্থা  চালু করা হয় । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি । কোম্পানির কর্মচারী ও ঐতিহাসিক আলেকজান্ডার ডাও ১৭৭২ সালে  প্রথম  চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কথা বলেন । এরপর হেনরি পাত্তুলো , ড্যাক্রিস , টমাস ল প্রমুখ এই বন্দোবস্তের সপক্ষে যুক্তি দেখান । ১৭৮৬ সালে কর্ণওয়ালিশ গভর্নর জেনারেল হয়ে ভারতে আসেন ।  তিন বছর ধরে  তিনি  বাংলার ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যপক অনুসন্ধান চালান ।  এরপর ১৭৯০ সালে দেশীয় জমিদারদের সঙ্গে দশ বছরের জন্য একটি বন্দোবস্ত করেন, যা ‘ দশসালা বন্দোবস্ত ’ নামে পরিচিত । সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন , ইংল্যান্ডের কর্তপক্ষ অনুমোদন করলে এই বন্দোবস্তই ‘ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ’ -এ পরিণত হবে

জাদুঘর কাকে বলে? অতীত পুনর্গঠনে জাদুঘরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা , জাদুঘর কী ? জাদুঘরের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলি বর্ননা কর । অথবা , জাদুঘর বলতে কী বোঝ ? আধুনিক ইতিহাস রচনায় জাদুঘরের গুরুত্ব লেখ । উঃ জাদুঘরের সংজ্ঞা বাংলা ‘ জাদুঘর ’ শব্দটির ইংরাজি প্রতিশব্দ হল মিউজিয়াম ( Museum) । ‘ মিউজিয়াম ’ শব্দটির মূল উৎস হল প্রাচীন গ্রীক শব্দ Mouseion ( মউসিয়ান) , যার অর্থ হল গ্রীক পুরাণের শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক মিউসদের মন্দির । এই ধরণের মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে প্রাচীন গ্রিসে পাঠাগার , প্রাচীন শিল্পকলা প্রভৃতির সংগ্রহশালা গড়ে উঠত । ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মিউজিয়াম -এর মতে, জাদুঘর হল একটি অলাভজনক, জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত এবং স্থায়ী সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান যা শিক্ষালাভ, জ্ঞানচর্চা ও আনন্দলাভের উদ্দেশ্যে মানব ঐতিহ্যের স্পর্শযোগ্য ও স্পর্শ-অযোগ্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করে, সংরক্ষণ করে, প্রদর্শন করে এবং সেগুলি নিয়ে গবেষণা করে। উদাহরণ – ব্রিটিশ মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ের নিদর্শন। এখানে পৃথক পৃথক ঘরে পৃথক পৃথক বিষয়ের নিদর্শন প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। জাদুঘরের উদ্দেশ্য , ক

ঠান্ডা লড়াই কী? ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি আলোচনা করো।

ঠান্ডা লড়াই কী : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের (১৯৪৫) পর পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ পরস্পর দুটি রাষ্ট্রজোটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। একটি আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট অন্যটি সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট। এই দুই রাষ্ট্রজোট কোন প্রত্যক্ষ যুদ্ধ না করেও দীর্ঘকাল ধরে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও যুদ্ধের আবহ বা ছায়াযুদ্ধ চালাতে থাকে। এই ছায়াযুদ্ধই ইতিহাসে 'ঠান্ডা লড়াই' নাম পরিচিত। মার্কিন সাংবাদিক ওয়াল্টার লিপম্যান ( Walter Lippmaan ) ১৯৪৭ সালে তাঁর The Cold War গ্রন্থে সর্বপ্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য : 'ঠান্ডা লড়াই কী' এই অংশের জন্য ৩/৪ (তিন বা চার ) নম্বর (মার্কস) থাকলে অথবা বৈশিষ্ঠ্য লিখতে বললে  এখানে ক্লিক কর এবং যে অংশ বের হবে তা এই পয়েন্টের নিচে জুড়ে দাও। ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি : ঠান্ডা লড়াই-এর পিছনে শুধুমাত্র আদর্শগত বা অর্থনৈতিক কারণ বা ভিত্তি কাজ করেছিল এমন নয়। এর পিছনে আরও কিছু বিষয় তথা আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী কার্যকর ছিল। সমগ্র কারণকে এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। সাম্যবাদের বিরোধিতা : রাশিয়ায়

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল বর্ননা কর।

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল পলাশির যুদ্ধ ১৭৫৬ সালে নবাব আলীবর্দি মারা যান । এরপর তাঁর পৌত্র সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার সিংহাসন আরোহন করেন । সিংহাসন আরোহনের কিছুদিনের মধ্যেই ইংরেজদের সাথে তাঁর বিরোধ বাঁধে , যার চূড়ান্ত পরিনতি হল ১৭৫৭ সালের পলাশির যুদ্ধ ।   এই যুদ্ধের পটভূমি বিশ্লেষণ করলেই সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি পরিষ্কার হয়ে ওঠে । সেই সঙ্গে এটাও বোঝা যাবে এই বিরোধে সিরাজেরে ‘ অহমিকাবোধ ’ ও ‘ অর্থলোভ ’ দায়ী ছিল কিনা । পলাশির যুদ্ধের পটভূমি / কারণ সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি হল –   আনুগত্যদানে বিলম্ব। সিরাজ বাংলার সিংহাসনে বসলে প্রথা অনুযায়ী নবাবের প্রতি আনুগত্য জানিয়ে ফরাসি, ওলন্দাজ প্রভৃতি কোম্পানিগুলি উপঢৌকন পাঠালেও ইংরেজরা ইচ্ছা করে উপঢৌকন পাঠাতে দেরি করে। এতে সিরাজ অপমানিত হন।   ষড়যন্ত্রের সংবাদ। সিংহাসনে বসার সময় থেকে ঘষেটি বেগম, সৌকত জঙ্গ ও কয়েকজন রাজকর্মচারি সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র লিপ্ত ছিলেন। খবর আসে যে, এই ষড়যন্ত্রে ইংরেজরা যুক্ত আছে এবং তাঁকে সরিয়ে অনুগত কাউকে সিংহাসনে বসানোর চক্রান্ত করছে।   কৃষ্ণদাসকে আশ্রয়দান। ঘষেটি বেগমের প্রিয়পাত্র ঢা

বাংলার সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা, বাংলার সমাজ ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর। অথবা, ঊনবিংশ শতকে নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান উল্লেখ কর। অথবা, উনিশ শতকের নবজাগরণে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা কি ছিল? এ প্রসঙ্গে নারীজাতির উন্নয়নে তাঁর অবদান ব্যাখ্যা কর।  বিদ্যাসাগর ও সংস্কার আন্দোলন : ঊনবিংশ শতকে ভারতে যে কজন সংস্কারকের জন্ম হয়েছিল তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি ছিলেন বঙ্গীয় নবজাগরণের মূর্ত প্রতীক। তাঁর মধ্যে ইউরোপীয় নবজাগরণের প্রবল যুক্তিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, প্রগাঢ় মানবতাবাদ, এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবাদর্শের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছিল। মাইকেল মধুসূদনের মতে, ' যার মনীষা প্রাচীন ঋষিদের মতো, কর্মদক্ষতা ইংরেজদের মত এবং হৃদয়বত্তা বাঙালি জননীর মত। ' বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টা : বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টাকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যায়। এক . শিক্ষা সংস্কার, দুই . সমাজ সংস্কার। তবে তাঁর এই দুই প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে ছিল নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি। (১) 

চিনের ৪ ঠা মে আন্দোলনের কারণ বিশ্লেষণ কর। এই আন্দোলনের প্রভাব আলোচনা কর। (২০১৬)

অথবা, বিংশ শতকে চিনে ৪ ঠা মে-র আন্দোলনের উত্থান ও গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। চিনের সেই সময়কার দুটি উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্রের নাম লেখো। অথবা, চিনের ৪ ঠা মের আন্দোলনের পটভূমি আলোচনা কর। এই আন্দোলনের ফলাফল বা তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।  ৪ ঠা মে-র আন্দোলন : ১৯১৪  সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপান চিনে আগ্রাসন চালায়। যুদ্ধে চীন মিত্রপক্ষে যোগ দিলেও যুদ্ধের পর তারা কোনো সুবিচার পায় নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি আধিপত্যের বিরুদ্ধে চিনা জাতীয়তাবাদী জনগণ চেন-তু-শিউ এর নেতৃত্বে  ১৯১৯ সালে ৪ ঠা মে পিকিং-এর তিয়েন-আন-মেন স্কোয়ার -এ  এক আন্দোলনের ডাক দেয়। এই আন্দোলন চিনের ইতিহাসে ৪ ঠা মে-র আন্দোলন নামে পরিচিত। আন্দোলনের কারণ ( পটভূমি ) : এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করলে এর কারণগুলি অনুধাবন করা যায়। ইউয়ান-সি-কাই এর নৃশংসতা : ১৯১১ সালে বিপ্লবের পর রাষ্ট্রপতি সান-ইয়াত-সেন দেশের গৃহযুদ্ধ এড়াতে ইউয়ান-সি-কাই  - এর অনুকূলে স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রপতি পদ ত্যাগ করেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর  ইউয়ান-সি-কাই  সমস্ত সাংবিধানিক পদ্ধতি বাতিল করে সামরিক একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। এর প্রতিবাদ করলে কুয়োমি

তিন আইন কী?

তিন আইন কী? ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলনের ফলে ১৮৭২ সালে ব্রিটিশ সরকার বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রভৃতি সামাজিক কুসংস্কারগুলি নিষিদ্ধ করে এবং বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়। যে আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার এই ঘোষণা জারি করে তাকে ' তিন আইন ' বলে।

'মুক্তদ্বার নীতি' (Open Door Policy) কী?

চিনে ইউরোপীয় দেশগুলির উপনিবেশিক আধিপত্য স্থাপনের ফলে আমেরিকা শঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা ভাবতে শুরু করে এর ফলে চিনে আমেরিকার বাণিজ্যিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই পরিস্থিতিতে ১৮৯৯ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জন হে চিন সম্পর্কে যে নীতি গ্রহণ করেছিলেন তা মুক্তদ্বার নীতি নামে পরিচিত। এই নীতিতে বলা হয়, বিভিন্ন ইউরোপীয় শক্তি দ্বারা অধিকৃত চিনের বিভিন্ন অঞ্চলে আমেরিকার সমান বাণিজ্যিক সুবিধা দিতে হবে।

ভাইকম সত্যাগ্রহ কী

ভাইমক বর্ণহিন্দুদের একটি মন্দির । দক্ষিণ ভারতের ত্রিবাঙ্কুরে এটি অবস্থিত। এই মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষদের চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। শ্রীনারায়ণ গুরু বর্ণহিন্দুদের এই বর্নবিদ্বেষী প্রথার বিরুদ্ধে এবং মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষের হাঁটার দাবিতে যে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তা ভাইকম সত্যাগ্রহ নামে পরিচিত। আন্দোলনের ব্যাপকতায় মুগধ হয়ে গান্ধিজি একে সমর্থন করেন। শেষ পর্যন্ত এই আন্দোলন জয়যুক্ত হয়।

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল?

কোন পরিস্থিতিতে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) শুরু হয়? এই মামলায় অভিযুক্ত কয়েকজন শ্রমিক নেতার নাম লেখো। এই মামলার ফলাফল কী হয়েছিল? অথবা, মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল? অথবা, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কমিউনিস্ট পার্টির অবদানের একটি উদাহরণ দাও। এপ্রসঙ্গে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষাপট আলোচনা কর। এই মামলার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। উত্তর : মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা : ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে কমিউনিস্টদের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে ব্রিটিশ সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এইরূপ পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেছিল। মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) হল এরকমই এক দমননীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মামলার প্রেক্ষাপট : ১) শ্রমিক-মালিক বিরোধ । ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে ভারতে শিল্পায়ন শুরু হলে শ্রমিক শ্রেণির উদ্ভব হয়। বিংশ শতকের প্রথম দিকে মালিক শ্রেণির শোষণ ও অত্যাচারে শ্রমিক-মালিক সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। শ্রমিক শ্রেণির অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিস্টরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন জোরদার করে তুলে ব্রিটিশ সরকার চিন্তায় পড়ে যা