সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

উপনিবেশবাদ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

'পুঁজিবাদের জঠরে সাম্রাজ্যবাদের জন্ম।' - কার উক্তি?

এই উক্তি বিখ্যাত রুশ কমিউনিস্ট নেতা ভি আই লেলিনের। বিকল্প প্রশ্ন : 'সাম্রাজ্যবাদ পুঁজিবাদের চরম পর্যায়' - কার উক্তি।

হিলফার্ডিং-এর লেখা বইটির নাম লেখো।

হিলফার্ডিং-এর লেখা বইটির নাম হল - Finance Capital.

'লগ্নি পুঁজি' কাকে বলে?

শিল্প বা বাণিজ্য থেকে অর্জিত অতিরিক্ত পুঁজি বা মুনাফা যখন আরও মুনাফা অর্জনের জন্য আবার কোনো শিল্পে অথবা বাণিজ্যে বিনিয়োগ করা হয় তখন তাকে লগ্নি পুঁজি বলে। এর ফলে পুঁজিবাদের ধারা আরও ব্যাপকতা পায়। উঃ মাঃ - ২০১৭

মার্কেন্টাইল অর্থনীতির মূলকথা কী?

মার্কেন্টাইল অর্থনীতির মূলকথা হল - অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণকে রাষ্ট্রের অধীনে নিয়ে আসতে হবে এবং খাদ্যদ্রব্যের রপ্তানি কমিয়ে শিল্পদ্রব্যের রপ্তানি বৃদ্ধি করা।

মার্কেন্টাইলবাদ বা বনিকবাদ বলতে কী বোঝ?

মার্কেন্টাইলবাদ বা বনিকবাদ এক কথায়,  'মার্কেন্টাইলবাদ'  হল রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বা সুরক্ষিত অর্থনৈতিক নীতি।  ষোড়শ থেকে অষ্টাদশ শতকের মধ্যে ইউরোপে মার্কেন্টাইলবাদ বা বনিকবাদ আত্মপ্রকাশ করে। মূলত রাষ্ট্রকে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক দিক থেকে সমৃদ্ধশালী করে তোলার জন্য এই মতবাদ গড়ে ওঠে । এই মতবাদের মূলকথা হল - বুলিয়ান সঞ্চয়, উপনিবেশ প্ৰতিষ্ঠা, খনিজ উৎপাদন ও শিল্পের উন্নতির দ্বারা বাণিজ্যের ভারসাম্য বজায় রাখা। লর্ড একটনের মতে, মার্কেন্টাইলবাদ এমন এক মতবাদ যা স্বৈরতন্ত্রের পরিপূরক। উঃ মাঃ - ২০১৬ এই বিষয়ে আরও প্রশ্ন ও উত্তর : মার্কেন্টাইল অর্থনীতি (পুঁজি) কী? এর বৈশিষ্ঠ আলোচনা কর। কীভাবে এর অবসান হয়? ২ + ৩ + ৩ = ৮ মার্কেন্টাইল অর্থনীতির প্রভাব ( ফলাফল ) বা গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর । ৪

'বাণিজ্যিক মূলধন' বা 'বাণিজ্যিক পুঁজি' বলতে কী বোঝ?

শিল্পবিপ্লবের আগে পুঁজিপতিরা বাণিজ্যে মূলধন বিনিয়োগ করতেন। বাণিজ্যে নিয়োজিত এই মূলধন 'বাণিজ্যিক মূলধন' বা 'বাণিজ্যিক পুঁজি' নামে পরিচিত। উঃ মাঃ - ২০১৫, ২০১৮

ধনতন্ত্রের বিকাশের পর্যায়গুলি কী কী?

ধনতন্ত্রের বিকাশের পর্যায়গুলি হল - ১) বাণিজ্য পুঁজি ২) শিল্প পুঁজি এবং ৩) মহাজনি পুঁজি

মার্কেন্টাইলবাদ শব্দটি কে সর্বপ্রথম ব্যবহার করেছিলেন?

প্রখ্যাত ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ এডাম স্মিথ তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ Wealth of Nations গ্রন্থে মার্কেন্টাইলবাদ শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন। এই বিষয়ে আরও প্রশ্ন ও উত্তর : মার্কেন্টাইল অর্থনীতি (পুঁজি) কী? এর বৈশিষ্ঠ আলোচনা কর। কীভাবে এর অবসান হয়?  ২ + ৩ + ৩ = ৮ মার্কেন্টাইল অর্থনীতির প্রভাব ( ফলাফল ) বা গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর । ৪

Wealth of Nations গ্রন্থটির রচয়িতা কে?

প্রখ্যাত ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ এডাম স্মিথ ১৭৭৬ সালে Wealth of Nations গ্রন্থটি রচনা করেন।

কতসালে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র গঠিত হয়?

১৭৭৬ সালে আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের দ্বারা ইংল্যান্ডকে পরাজিত করে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) গঠিত হয়। উঃ মাঃ - ২০১৮।

কোন যুদ্ধের দ্বারা কানাডা ব্রিটিশদের অধীনস্থ হয়?

সপ্তবর্ষব্যাপী যুদ্ধ (১৭৬৫-১৭৬৩) এর জয়লাভের ফলে কানাডা ইংরেজদের অধীনস্থ হয়। বিকল্প প্রশ্ন: কোন যুদ্ধের মাধ্যমে কানাডা ফ্রান্সের অধীনতা থেকে ব্রিটিশ অধীনে চলে আসে।

'ত্রয়োদশ উপনিবেশ' কী?

ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট রাজাদের অদূরদর্শী রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নীতির ফলে ইংল্যান্ডের প্রচুর মানুষ আমেরিকায় চলে যায়। সেখানকার ওলন্দাজ ও ফরাসি শক্তিকে পরাজিত করে ইংরেজরা যে তেরটি উপনিবেশ গড়ে তোলেন তা 'ত্রয়োদশ উপনিবেশ' ( Thirteen Colonies) নামে পরিচিত।

'নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতি' বা Checks and balance পদ্ধতি কী?

উপনিবেশ শাসন করার জন্য স্পেনে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছিল তাদের অন্যতম হল Council of indies. এই সব প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে খুব বেশি শক্তিশালী না হয়ে ওঠে সেইজন্য স্পেনীয় সরকার যে নীতি গ্রহণ করেছিল তা 'নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতি' বা 'Checks and balance's পদ্ধতি গ্রহণ করেছিল।

ইনকা সভ্যতা (১৫৩২) কে ধ্বংস করেন?

স্পেনের নাবিক ফ্রান্সিসকো পিজারো ইনকা সভ্যতা ধ্বংস করেন।

আজটেক সভ্যতা (১৫২১) কে ধংস করেন?

১৫২১ সালে স্পেনের নাবিক হার্মান্দো কোর্টেস আজটেক সভ্যতা ধ্বংস করেন।

'আটল্যান্টিক ক্রীতদাস ব্যবসা' বলতে কী বোঝ?

নতুন বিশ্বে অর্থাৎ আমেরিকায় কৃষিকাজ চালানোর জন্য প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। এই প্ৰয়োজন মেটাতে আফ্রিকা থেকে ক্রীতদাস রপ্তানির ব্যবসা শুরু করে ইউরোপীয়রা। আটল্যান্টিক মহাসাগর অতিক্রম করে চলা এই ব্যবসা 'আটল্যান্টিক ক্রীতদাস ব্যবসা' নামে পরিচিত।

ষোড়শ-সপ্তদশ শতকের ইউরোপের নিরিখে 'নতুন বিশ্ব' বলতে কী বোঝ?

ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকে স্পেন, ইংল্যান্ড, পর্তুগাল, ফ্রান্স ও হল্যান্ড আমেরিকা মহাদেশে যে নতুন উপনিবেশ স্থাপন করেন তা 'নতুন বিশ্ব' নামে পরিচিত।

'নতুন বিশ্ব' বা 'New World' বলতে কীবোঝ?

কলম্বাস আবিষ্কৃত আমেরিকা মহাদেশকে নতুন বিশ্ব বলা হয়। যেহেতু এই মহাদেশের নাম ইউরোপের মানুষ জানতো না তাই তাদের কাছে এই মহাদেশ নতুন বিশ্ব হিসাবে বিবেচিত হয়। এই নামকরণ করেছিলেন ইতালীয় নাবিক আমেরিগো ভেচপুচি। তিনি ১৫০৩ সালে তিনি লরেঞ্জো দ্য মেদিচিকে লেখা চিঠিতে প্রথম এই নাম উল্লেখ করেন।

কে, কার কাছে 'একুশ দফা দাবি' পেশ করে?

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় চিনের জার্মান উপনিবেশ শানটুং দখল করে জাপান। এরপরই জাপান চিনের উপর 'একুশ দফা দাবি' চাপিয়ে দেয়। চিন এই দাবি মেনে নিলে জাপান বিশেষ সুবিধা লাভ করে।

অদৃশ্য সাম্রাজ্যবাদ কী?

চিনে আমেরিকা ' মুক্তদ্বার নীতি' প্রয়োগের মাধ্যমে যে বাণিজ্যিক সুবিধা আদায় করেছিল তা ' অদৃশ্য সাম্রাজ্যবাদ ' নামে পরিচিত। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু এই নামকরণ করেছিলেন।


বাংলা বই ★ দ্বাদশ শ্রেণি
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার 👆আদর্শ প্রশ্নোত্তরের একমাত্র পোর্টাল

জনপ্রিয় প্রশ্ন-উত্তরগুলি দেখুন

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তগুলি (বৈশিষ্ঠ্য) উল্লেখ কর। ভারতের আর্থ-সামাজিক ইতিহাসে এই ভূমি-ব্যবস্থার গুরুত্ব আলোচনা কর।

অথবা , চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি ব্যাখ্যা কর । এপ্রসঙ্গে ভারতের কৃষক সমাজের ওপর এই বন্দোবস্ত কীরূপ প্রভাব ফেলেছিল বর্ননা কর । উত্তর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত । চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হল এক ধরণের ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা ।   ১৭৯৩ সালে  লর্ড কর্ণওয়ালিস বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যায় এই ভূমি-ব্যবস্থা চালু করেন । পরবর্তীকালে বারাণসী , উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ও মাদ্রাস প্রেসিডেন্সির কোনো কোনো অঞ্চলে  এই ব্যবস্থা  চালু করা হয় । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি । কোম্পানির কর্মচারী ও ঐতিহাসিক আলেকজান্ডার ডাও ১৭৭২ সালে  প্রথম  চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কথা বলেন । এরপর হেনরি পাত্তুলো , ড্যাক্রিস , টমাস ল প্রমুখ এই বন্দোবস্তের সপক্ষে যুক্তি দেখান । ১৭৮৬ সালে কর্ণওয়ালিশ গভর্নর জেনারেল হয়ে ভারতে আসেন ।  তিন বছর ধরে  তিনি  বাংলার ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যপক অনুসন্ধান চালান ।  এরপর ১৭৯০ সালে দেশীয় জমিদারদের সঙ্গে দশ বছরের জন্য একটি বন্দোবস্ত করেন, যা ‘ দশসালা বন্দোবস্ত ’ নামে পরিচিত । সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন , ইংল্যান্ডের কর্তপক্ষ অনুমোদন করলে এই বন্দোবস্তই ‘ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ’ -এ পরিণত হবে

জাদুঘর কাকে বলে? অতীত পুনর্গঠনে জাদুঘরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা , জাদুঘর কী ? জাদুঘরের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলি বর্ননা কর । অথবা , জাদুঘর বলতে কী বোঝ ? আধুনিক ইতিহাস রচনায় জাদুঘরের গুরুত্ব লেখ । উঃ জাদুঘরের সংজ্ঞা বাংলা ‘ জাদুঘর ’ শব্দটির ইংরাজি প্রতিশব্দ হল মিউজিয়াম ( Museum) । ‘ মিউজিয়াম ’ শব্দটির মূল উৎস হল প্রাচীন গ্রীক শব্দ Mouseion ( মউসিয়ান) , যার অর্থ হল গ্রীক পুরাণের শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক মিউসদের মন্দির । এই ধরণের মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে প্রাচীন গ্রিসে পাঠাগার , প্রাচীন শিল্পকলা প্রভৃতির সংগ্রহশালা গড়ে উঠত । ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মিউজিয়াম -এর মতে, জাদুঘর হল একটি অলাভজনক, জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত এবং স্থায়ী সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান যা শিক্ষালাভ, জ্ঞানচর্চা ও আনন্দলাভের উদ্দেশ্যে মানব ঐতিহ্যের স্পর্শযোগ্য ও স্পর্শ-অযোগ্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করে, সংরক্ষণ করে, প্রদর্শন করে এবং সেগুলি নিয়ে গবেষণা করে। উদাহরণ – ব্রিটিশ মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ের নিদর্শন। এখানে পৃথক পৃথক ঘরে পৃথক পৃথক বিষয়ের নিদর্শন প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। জাদুঘরের উদ্দেশ্য , ক

ঠান্ডা লড়াই কী? ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি আলোচনা করো।

ঠান্ডা লড়াই কী : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের (১৯৪৫) পর পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ পরস্পর দুটি রাষ্ট্রজোটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। একটি আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট অন্যটি সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট। এই দুই রাষ্ট্রজোট কোন প্রত্যক্ষ যুদ্ধ না করেও দীর্ঘকাল ধরে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও যুদ্ধের আবহ বা ছায়াযুদ্ধ চালাতে থাকে। এই ছায়াযুদ্ধই ইতিহাসে 'ঠান্ডা লড়াই' নাম পরিচিত। মার্কিন সাংবাদিক ওয়াল্টার লিপম্যান ( Walter Lippmaan ) ১৯৪৭ সালে তাঁর The Cold War গ্রন্থে সর্বপ্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য : 'ঠান্ডা লড়াই কী' এই অংশের জন্য ৩/৪ (তিন বা চার ) নম্বর (মার্কস) থাকলে অথবা বৈশিষ্ঠ্য লিখতে বললে  এখানে ক্লিক কর এবং যে অংশ বের হবে তা এই পয়েন্টের নিচে জুড়ে দাও। ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি : ঠান্ডা লড়াই-এর পিছনে শুধুমাত্র আদর্শগত বা অর্থনৈতিক কারণ বা ভিত্তি কাজ করেছিল এমন নয়। এর পিছনে আরও কিছু বিষয় তথা আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী কার্যকর ছিল। সমগ্র কারণকে এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। সাম্যবাদের বিরোধিতা : রাশিয়ায়

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল বর্ননা কর।

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল পলাশির যুদ্ধ ১৭৫৬ সালে নবাব আলীবর্দি মারা যান । এরপর তাঁর পৌত্র সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার সিংহাসন আরোহন করেন । সিংহাসন আরোহনের কিছুদিনের মধ্যেই ইংরেজদের সাথে তাঁর বিরোধ বাঁধে , যার চূড়ান্ত পরিনতি হল ১৭৫৭ সালের পলাশির যুদ্ধ ।   এই যুদ্ধের পটভূমি বিশ্লেষণ করলেই সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি পরিষ্কার হয়ে ওঠে । সেই সঙ্গে এটাও বোঝা যাবে এই বিরোধে সিরাজেরে ‘ অহমিকাবোধ ’ ও ‘ অর্থলোভ ’ দায়ী ছিল কিনা । পলাশির যুদ্ধের পটভূমি / কারণ সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি হল –   আনুগত্যদানে বিলম্ব। সিরাজ বাংলার সিংহাসনে বসলে প্রথা অনুযায়ী নবাবের প্রতি আনুগত্য জানিয়ে ফরাসি, ওলন্দাজ প্রভৃতি কোম্পানিগুলি উপঢৌকন পাঠালেও ইংরেজরা ইচ্ছা করে উপঢৌকন পাঠাতে দেরি করে। এতে সিরাজ অপমানিত হন।   ষড়যন্ত্রের সংবাদ। সিংহাসনে বসার সময় থেকে ঘষেটি বেগম, সৌকত জঙ্গ ও কয়েকজন রাজকর্মচারি সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র লিপ্ত ছিলেন। খবর আসে যে, এই ষড়যন্ত্রে ইংরেজরা যুক্ত আছে এবং তাঁকে সরিয়ে অনুগত কাউকে সিংহাসনে বসানোর চক্রান্ত করছে।   কৃষ্ণদাসকে আশ্রয়দান। ঘষেটি বেগমের প্রিয়পাত্র ঢা

বাংলার সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা, বাংলার সমাজ ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর। অথবা, ঊনবিংশ শতকে নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান উল্লেখ কর। অথবা, উনিশ শতকের নবজাগরণে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা কি ছিল? এ প্রসঙ্গে নারীজাতির উন্নয়নে তাঁর অবদান ব্যাখ্যা কর।  বিদ্যাসাগর ও সংস্কার আন্দোলন : ঊনবিংশ শতকে ভারতে যে কজন সংস্কারকের জন্ম হয়েছিল তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি ছিলেন বঙ্গীয় নবজাগরণের মূর্ত প্রতীক। তাঁর মধ্যে ইউরোপীয় নবজাগরণের প্রবল যুক্তিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, প্রগাঢ় মানবতাবাদ, এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবাদর্শের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছিল। মাইকেল মধুসূদনের মতে, ' যার মনীষা প্রাচীন ঋষিদের মতো, কর্মদক্ষতা ইংরেজদের মত এবং হৃদয়বত্তা বাঙালি জননীর মত। ' বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টা : বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টাকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যায়। এক . শিক্ষা সংস্কার, দুই . সমাজ সংস্কার। তবে তাঁর এই দুই প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে ছিল নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি। (১) 

চিনের ৪ ঠা মে আন্দোলনের কারণ বিশ্লেষণ কর। এই আন্দোলনের প্রভাব আলোচনা কর। (২০১৬)

অথবা, বিংশ শতকে চিনে ৪ ঠা মে-র আন্দোলনের উত্থান ও গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। চিনের সেই সময়কার দুটি উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্রের নাম লেখো। অথবা, চিনের ৪ ঠা মের আন্দোলনের পটভূমি আলোচনা কর। এই আন্দোলনের ফলাফল বা তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।  ৪ ঠা মে-র আন্দোলন : ১৯১৪  সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপান চিনে আগ্রাসন চালায়। যুদ্ধে চীন মিত্রপক্ষে যোগ দিলেও যুদ্ধের পর তারা কোনো সুবিচার পায় নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি আধিপত্যের বিরুদ্ধে চিনা জাতীয়তাবাদী জনগণ চেন-তু-শিউ এর নেতৃত্বে  ১৯১৯ সালে ৪ ঠা মে পিকিং-এর তিয়েন-আন-মেন স্কোয়ার -এ  এক আন্দোলনের ডাক দেয়। এই আন্দোলন চিনের ইতিহাসে ৪ ঠা মে-র আন্দোলন নামে পরিচিত। আন্দোলনের কারণ ( পটভূমি ) : এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করলে এর কারণগুলি অনুধাবন করা যায়। ইউয়ান-সি-কাই এর নৃশংসতা : ১৯১১ সালে বিপ্লবের পর রাষ্ট্রপতি সান-ইয়াত-সেন দেশের গৃহযুদ্ধ এড়াতে ইউয়ান-সি-কাই  - এর অনুকূলে স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রপতি পদ ত্যাগ করেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর  ইউয়ান-সি-কাই  সমস্ত সাংবিধানিক পদ্ধতি বাতিল করে সামরিক একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। এর প্রতিবাদ করলে কুয়োমি

তিন আইন কী?

তিন আইন কী? ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলনের ফলে ১৮৭২ সালে ব্রিটিশ সরকার বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রভৃতি সামাজিক কুসংস্কারগুলি নিষিদ্ধ করে এবং বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়। যে আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার এই ঘোষণা জারি করে তাকে ' তিন আইন ' বলে।

'মুক্তদ্বার নীতি' (Open Door Policy) কী?

চিনে ইউরোপীয় দেশগুলির উপনিবেশিক আধিপত্য স্থাপনের ফলে আমেরিকা শঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা ভাবতে শুরু করে এর ফলে চিনে আমেরিকার বাণিজ্যিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই পরিস্থিতিতে ১৮৯৯ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জন হে চিন সম্পর্কে যে নীতি গ্রহণ করেছিলেন তা মুক্তদ্বার নীতি নামে পরিচিত। এই নীতিতে বলা হয়, বিভিন্ন ইউরোপীয় শক্তি দ্বারা অধিকৃত চিনের বিভিন্ন অঞ্চলে আমেরিকার সমান বাণিজ্যিক সুবিধা দিতে হবে।

ভাইকম সত্যাগ্রহ কী

ভাইমক বর্ণহিন্দুদের একটি মন্দির । দক্ষিণ ভারতের ত্রিবাঙ্কুরে এটি অবস্থিত। এই মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষদের চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। শ্রীনারায়ণ গুরু বর্ণহিন্দুদের এই বর্নবিদ্বেষী প্রথার বিরুদ্ধে এবং মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষের হাঁটার দাবিতে যে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তা ভাইকম সত্যাগ্রহ নামে পরিচিত। আন্দোলনের ব্যাপকতায় মুগধ হয়ে গান্ধিজি একে সমর্থন করেন। শেষ পর্যন্ত এই আন্দোলন জয়যুক্ত হয়।

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল?

কোন পরিস্থিতিতে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) শুরু হয়? এই মামলায় অভিযুক্ত কয়েকজন শ্রমিক নেতার নাম লেখো। এই মামলার ফলাফল কী হয়েছিল? অথবা, মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল? অথবা, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কমিউনিস্ট পার্টির অবদানের একটি উদাহরণ দাও। এপ্রসঙ্গে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষাপট আলোচনা কর। এই মামলার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। উত্তর : মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা : ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে কমিউনিস্টদের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে ব্রিটিশ সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এইরূপ পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেছিল। মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) হল এরকমই এক দমননীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মামলার প্রেক্ষাপট : ১) শ্রমিক-মালিক বিরোধ । ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে ভারতে শিল্পায়ন শুরু হলে শ্রমিক শ্রেণির উদ্ভব হয়। বিংশ শতকের প্রথম দিকে মালিক শ্রেণির শোষণ ও অত্যাচারে শ্রমিক-মালিক সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। শ্রমিক শ্রেণির অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিস্টরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন জোরদার করে তুলে ব্রিটিশ সরকার চিন্তায় পড়ে যা