সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

(৭) সপ্তম অধ্যায় লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তেল কূটনীতি বলতে কী বোঝ? এই কূটনীতি কীভাবে উপসাগরীয় সংকট সৃষ্টি করে?

অথবা, তেল কূটনীতি কী? তেল কূটনীতি প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধের জন্য কতখানি দায়ী ছিল? অথবা, উপসাগরীয় সংকট কী? এই সংকটের পটভূমি আলোচনা কর।  অথবা, তেল কূটনীতির প্রকৃতি ও বিশ্বরাজনীতিতে তার প্রভাব আলোচনা কর।  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তেল সম্পদের সংকোচনে র ফলে আমেরিকার পরিবহন ও শিল্পক্ষেত্রে সংকট দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে তেল সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের উপর প্রাধান্য বিস্তারের লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার মার্কিন পদক্ষেপকে 'তেল কূটনীতি' (OIL DIPLOMACY) বলে। তেল কূটনীতির লক্ষ্য : আমেরিকা সহ অন্য ইউরোপীয় দেশগুলির তেল কূটনীতির লক্ষ্য ছিল মূলত তিনটি : ১) তেল-সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে নিরঙ্কুশ নিজের প্রভাব প্রতিষ্ঠা করা। ২) তেল কূটনীতি ও তেল-বাণিজ্য নিজ নিয়ন্ত্রণে রেখে সমগ্র বিশ্বরাজনীতিতে নিজের প্রাধান্য বজায় রাখা। ৩) তেল-বাণিজ্য থেকে প্রাপ্ত মুনাফার দ্বারা নিজের অর্থনীতিকে মজবুত করা। উপসাগরীয় সংকট : প্রকৃতপক্ষে তেল কূটনীতির সূচনা হয় বিশ শতকের শুরুতে মধ্যপ্রাচ্যে বিপুল পরিমাণ তেলের ভান্ডার খুঁজে পাওয়ার পরপরই। প্রথমে ব্রিটেন ও রাশিয়া এবং পরে আমেরিকা

জোট নিরপেক্ষ নীতির প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করো। এর মূল নীতিগুলি উল্লেখ করো। এই নীতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকার মূল্যায়ন করো।

জোটনিরপেক্ষ নীতির পটভূমি ব্যাখ্যা করো। এর মূল নীতিগুলি উল্লেখ করো। এই নীতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকার মূল্যায়ন করো। জোটনিরপেক্ষ নীতির পটভূমি মূলনীতি ও প্রয়োগে ভারতের ভূমিকা জোটনিরপেক্ষ নীতির পটভূমি: ১) বিশ্ব দুটি সামরিক জোটে বিভক্ত হওয়া : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে প্রায় সমগ্র বিশ্ব পরস্পর বিরোধী দুটি রাষ্ট্রজোটে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পুঁজিবাদী জোট এবং অন্যটি সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে সাম্যবাদী জোট।  ২) সদ্য স্বাধীন দেশগুলোর জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা : কিন্তু এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার কয়েকটি দেশ এই দুই জোট থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখে নিজ নিজ জাতীয় স্বার্থ রক্ষা ও নতুন পাওয়া স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত রাখার জন্য চেষ্টা করে। ওই দুই রাষ্ট্রজোটে যুক্ত না হয়ে নিরপেক্ষতার নীতি গ্রহণ করে। এই নীতিকে ‘ জোটনিরপেক্ষ নীতি’ বলে। এই জোটনিরপেক্ষ নীতি গ্রহণের প্রেক্ষাপটে ১৯৫৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর নেতৃত্বে যে আন্দোলনের সূচনা হয় তা ‘ জোটনিরপেক্ষ (নির্জোট) আন্দোলন’  নামে পরিচিতি। জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের মূলনীতি, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য : ক)

জোট নিরপেক্ষ নীতি কী? জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের উদ্দেশ্য কী ছিল?

জোট নিরপেক্ষ নীতি কী? ‘জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন’ বলতে কী? জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের উদ্দেশ্য কী ছিল? —২০১৬ জোটনিরপেক্ষ নীতি, ‘জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন’, জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের উদ্দেশ্য জোট নিরপেক্ষ নীতি কী? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রায় সমগ্র পৃথিবী পরস্পর বিরোধী দুটি সামরিক শক্তিজোটে বিভক্ত হয়ে যায়। একটির নেতৃত্বে ছিল আমেরিকা ও অন্যটির নেতৃত্বে সোভিয়েত রাশিয়া। কিন্তু ভারত স্বাধীনতা লাভের পর এই দুটি জোটের কোনোটিতে যোগ না দিয়ে উভয় গোষ্ঠীর সঙ্গে বন্ধুত্ব বা সমদূরত্ব বজায় রেখে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তার বিদেশনীতি পরিচালনার কথা ঘোষণা করে। প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর নেতৃত্বে ঘোষিত এই নীতি 'জোটনিরপেক্ষ নীতি' নামে পরিচিত। জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের কী? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে প্রায় সমগ্র বিশ্ব পরস্পর বিরোধী দুটি রাষ্ট্রজোটে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পুঁজিবাদী জোট এবং অন্যটি সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে সাম্যবাদী জোট। কিন্তু এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার কয়েকটি দেশ এই দুই জোট থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখে নিজ নিজ জাতীয় স্বার্থ রক্ষা ও নতুন পাওয়া স্বাধীনতাকে সুরক্

কবে কেন বান্দুং সম্মেলন হয়?

কবে কেন বান্দুং সম্মেলন হয়?  বান্দুং সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ কেন? ১৯৫৫ সালে ১৮-২৬ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং শহরে এশিয়া ও আফ্রিকার ২৯ টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে বান্দুং সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ঔপনিবেশিক শাসন ও বর্ণবৈষ্যম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা ও ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করার উদ্দেশ্যে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, এই সম্মেলন থেকেই জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।  বিকল্প প্রশ্ন : বান্দুং সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ কেন? এ বিষয়ে আরও প্রশ্ন পড়ো : জোটনিরপেক্ষ নীতির প্রবর্তক কে ছিলেন ? জোটনিরপেক্ষ নীতি কী ? জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের কয়েকজন নেতার নাম লেখো ।  মার্শাল টিটো কে ছিলেন ? বান্দুং সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ কেন ?

মার্শাল টিটো কে ছিলেন?

মার্শাল টিটো কে ছিলেন? মার্শাল টিটো ছিলেন যুগোশ্লাভিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান। তিনি ১৯৪৪ সালে রাজা দ্বিতীয় পিটার কর্তৃক যুগোশ্লাভিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে সমাজতান্ত্রিক যুগোশ্লাভিয়ার রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন। জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ৯৮ টি আন্তর্জাতিক উপাধি অর্জন করেন। এদের মধ্যে 'লিজিয়ন অফ অনার' (LEGION OF HONOUR) , 'অর্ডার অফ দ্য বাথ' (ORDER OF THE BATH), এবং 'অর্ডার অফ লেনিন' (ORDER OF LENIN)।  এ বিষয়ে আরও প্রশ্ন পড়ো : জোটনিরপেক্ষ নীতির প্রবর্তক কে ছিলেন ? জোটনিরপেক্ষ নীতি কী ? জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের কয়েকজন নেতার নাম লেখো ।  মার্শাল টিটো কে ছিলেন ? বান্দুং সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ কেন ?

জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের কয়েকজন নেতার নাম লেখো।

জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের কয়েকজন নেতা  জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের কয়েকজন নেতার নাম হল :  ১) ভারতের জওহরলাল নেহেরু,  ২) যুগোশ্লাভিয়ার মার্শাল টিটো,  ৩) মিশরের গামাল আবদেল নাসের  ৪) ইন্দোনেশিয়ার সুকর্ণ, ৫) ঘানার নক্রুমা প্রমুখ।  এ বিষয়ে আরও প্রশ্ন পড়ো : জোটনিরপেক্ষ নীতির প্রবর্তক কে ছিলেন ? জোটনিরপেক্ষ নীতি কী ? জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের কয়েকজন নেতার নাম লেখো ।  মার্শাল টিটো কে ছিলেন ? বান্দুং সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ কেন ? জোট নিরপেক্ষ নীতির পটভূমি, মূলনীতি ও ভারতের ভূমিকা জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন বলতে কী বোঝো? জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য কী ছিল?

জোটনিরপেক্ষ নীতির প্রবর্তক কে ছিলেন?

জোটনিরপেক্ষ নীতির প্রবর্তক জোটনিরপেক্ষ নীতির প্রবর্তক ছিলেন? ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু।  এ বিষয়ে আরও প্রশ্ন পড়ো : জোটনিরপেক্ষ নীতির প্রবর্তক কে ছিলেন ? জোটনিরপেক্ষ নীতি কী ? জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের কয়েকজন নেতার নাম লেখো ।  মার্শাল টিটো কে ছিলেন ? বান্দুং সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ কেন ? জোট নিরপেক্ষ নীতির পটভূমি, মূলনীতি ও ভারতের ভূমিকা জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন বলতে কী বোঝো? জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য কী ছিল?

জোটনিরপেক্ষ নীতি কী?

জোটনিরপেক্ষ নীতি কী? জোটনিরপেক্ষ নীতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ব দুটি সামরিক শক্তিজোটে বিভক্ত হয়ে যায়। একটির নেতৃত্বে ছিল আমেরিকা ও অন্যটির নেতৃত্বে সোভিয়েত রাশিয়া। কিন্তু ভারত স্বাধীনতা লাভের এই দুটি জোটের কোনোটিতে যোগ না দিয়ে উভয় গোষ্ঠীর সঙ্গে বন্ধুত্ব বা সমদূরত্ব বজায় রেখে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তার বিদেশনীতি পরিচালনার কথা ঘোষণা করে। প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর নেতৃত্বে ঘোষিত এই নীতি ' জোটনিরপেক্ষ নীতি'  নামে পরিচিত।  এ বিষয়ে আরও প্রশ্ন পড়ো : জোটনিরপেক্ষ নীতির প্রবর্তক কে ছিলেন ? জোটনিরপেক্ষ নীতি কী ? জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের কয়েকজন নেতার নাম লেখো ।  মার্শাল টিটো কে ছিলেন ? বান্দুং সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ কেন ? জোট নিরপেক্ষ নীতির পটভূমি, মূলনীতি ও ভারতের ভূমিকা জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন বলতে কী বোঝো? জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য কী ছিল?

ট্রুম্যান নীতি কী?

এই প্রশ্নের উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো  এবং যে উত্তরটি বের হবে তা থেকে এই উত্তরটি নিজে তৈরী করো। 

বার্লিন সংকট বলতে কী বোঝ? এই সংকটের বিবরণ দাও।

অথবা, বার্লিন অবরোধ কী? এই অবরোধের (সংকটের) কারণ বা পটভূমি বর্ননা কর। বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসে বিশেষ করে ঠান্ডা যুদ্ধের ওপর বার্লিন সংকটের প্রভাব আলোচনা কর। বার্লিন সংকট। মিত্রশক্তির জার্মান ভাগাভাগি। বার্লিন সংকট : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪৫ সালে মিত্রপক্ষের কাছে  জার্মানি আত্মসমর্পন করে। ইয়াল্টা সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুসারে জার্মান ভুখন্ড মিত্রশক্তির (আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও রাশিয়ার) মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যায়। জার্মান রাজধানী বার্লিন শহরও তারা ভাগাভাগি করে নেয়। বার্লিন শহরের এই ভাগাভাগি নিয়ে দেখা দেয় এক গভীর সমস্যা। কেননা, বার্লিন শহর ছিল রাশিয়া অধিকৃত অঞ্চলের মাঝখানে অবস্থিত। ফলে অচিরেই পশ্চিমি দেশগুলির বার্লিন শহরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা নিয়ে জটিলতা বা বিরোধ দেখা দেয়।  এই বিরোধই বার্লিন সংকট নামে পরিচিত। বার্লিন অবরোধ : বার্লিন সংকটের সূত্র ধরেই রাশিয়া পশ্চিমি শক্তিগুলিকে বার্লিন ত্যাগ করতে বাধ্য করার উদ্যোগ নেয়। এই উদ্দেশ্যে তারা ১৯৪৮ সালের ২৪ জুলাই বার্লিনে প্রবেশের সড়কপথগুলি অবরোধ শুরু করে। ফলে বার্লিনের প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ অনাহার ও চিকিৎসা হীনতার মুখোম

মার্শাল প্ল্যান কী? কোন পটভূমিতে এই পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়? এই পরিকল্পনার মূলকথা ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর?

'মার্শাল পরিকল্পনা' বলতে কী বোঝো? আমেরিকা কেন এই পরিকল্পনা গ্রহণ করে? এই পরিকল্পনার বিষয়বস্তু কী ছিলো? মার্শাল পরিকল্পনার ফলাফল বর্ননা কর। অথবা, 'মার্শাল পরিকল্পনা' গ্রহণের কারণ ও বিশ্বরাজনীতিতে এর প্রভাব ব্যাখ্যা করো। অথবা, 'মার্শাল পরিকল্পনা'র উদ্দেশ্য কী ছিলো ? এই পরিকল্পনার তাৎপর্য আলোচনা করো। অথবা, 'ইউরোপীয় পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা' কী? এই পরিকল্পনার প্রবক্তা কে? কী উদ্দেশ্যে তিনি এই পরিকল্পনা করেছিলেন? এর ফলাফল ব্যাখ্যা করো এবং 'ঠান্ডা লড়াই' এর পিছনে এর ভূমিকা বিশ্লেষণ করো।  মার্শাল পরিকল্পনা (  'ইউরোপীয় পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা')  : ১৯৪৭  সালে ১২ মার্চ মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রুম্যান নীতি ঘোষণা করেন। এই  নীতিকে কার্যকরী করার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জর্জ সি. মার্শাল ওই বছর ৫ জুন একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।  একই সাথে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউরোপের পুনরুজ্জীবন ঘটিয়ে সাম্যবাদের প্রসার রোধ করার উদ্দেশ্যে তিনি 'ইউরোপীয় পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা' নামে এক কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এই কর্মসূচিই  'মার্শাল পরিকল্পনা' নামে পরিচিত।

'ট্রুম্যান নীতি' কী? এই নীতি ঘোষণার পটভূমি ব্যাখ্যা করো। এই নীতির মূল কথা কী ছিল? বিশ্বের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এর গুরুত্ব কী ছিল?

অথবা   ট্রুম্যান কে ছিলেন? ট্রুম্যান নীতির উদ্দেশ্য কী ছিল? এই নীতির বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো। বিশ্ব ইতিহাসে এই নীতির প্রভাব কী ছিল? অথবা ট্রুম্যান নীতি বলতে কী বোঝ? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্ৰ কেন এই নীতি গ্রহণ করেছিল? এই নীতি প্রয়োগের ফলাফল ব্যাখ্যা করো।  অথবা, ট্রুম্যান ডক্ট্রিন কী? কোন ঘটনার প্রেক্ষাপটে হ্যারি ট্রুম্যান এই নীতি ঘোষণা করেছিলেন? এর পরিণতি কী হয়েছিল? ট্রুম্যান নীতি : হ্যারি ট্রুম্যান ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি। ১৯৪৭ সালে ১২ মার্চ তিনি ঘোষণা করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন বিশ্বরাজনীতিতে বিচ্ছিন্নতার নীতি ( মনরো নীতি ) অনুসরণ করে আসছে। কিন্তু সোভিয়েত সাম্যবাদের প্রসার রোধ করার উদ্দেশ্যে সেই নীতি থেকে তারা সরে আসবে। তিনি আরও বলেন, যেসব জাতি সশস্ত্র সংখ্যালঘুদের কিংবা কোনো বিদেশী রাষ্ট্রের আক্রমণের স্বীকার হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের আর্থিক ও সামরিক সাহায্য দেবে। এভাবে  বিচ্ছিন্নতার নীতির পরিবর্তে পররাষ্ট্র ক্ষেত্রে ট্রুম্যান এই যে সামরিক   সক্রিয়তার নীতি নিলেন তা-ই ইতিহাসে 'ট্রুম্যান নীতি' (  ট্রুম্যান ডক্ট্রিন )  নামে পরিচিত। ট্

ঠান্ডা লড়াইয়ের প্রভাব আলোচনা কর।

ঠান্ডা লড়াইয়ের প্রভাব আলোচনা কর। সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতি ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের ওপর ঠান্ডা লড়াইয়ের কী প্রভাব পড়েছিল? ঠান্ডা যুদ্ধের প্রভাব : ঠান্ডা লড়াই সারা বিশ্বে বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল। বিশেষ করে দেশগুলির রাজনীতি ও অর্থনীতিতে এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হয়েছিল। সামরিক জোট গঠন : ঠান্ডা লড়াইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি সামরিক জোট গড়ে ওঠে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল NATO, SEATO, ANZUS, CENTO, COMECON  ইত্যাদি।  অস্ত্র প্রতিযোগিতা : ঠান্ডা লড়াইকে সামনে রেখে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন 'ন্যাটো' জোট এবং সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে 'ওয়ারশ' চুক্তিবদ্ধ শিবির পরস্পরের বিরুদ্ধে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় শুরু করে। উভয় পক্ষই পরমাণু অস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। আন্তর্জাতিক বিরোধ : মার্কিন ও সোভিয়েত জোটের মধ্যে শুরু হওয়া ঠান্ডা লড়াইয়ের সূত্রধরে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে কয়েকটি গুরুতর সংকট তৈরি হয়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কোরিয়া সংকট (১৯৫০), ভিয়েতনাম সংকট (১৯৫৬-৭

ঠান্ডা লড়াই -এর বৈশিষ্ঠ্য লেখো। ঠান্ডা লড়াইয়ের তাত্ত্বিক ভিত্তি ব্যাখ্যা কর। (২০১৬)

ঠান্ডা লড়াই ও তার বৈশিষ্ট্য : ঠান্ডা লড়াই কী? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের (১৯৪৫) পর পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ পরস্পর দুটি রাষ্ট্রজোটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। একটি আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট অন্যটি সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট। এই দুই রাষ্ট্রজোট কোন প্রত্যক্ষ যুদ্ধ না করেও দীর্ঘকাল ধরে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও যুদ্ধের আবহ বা ছায়াযুদ্ধ চালাতে থাকে। এই ছায়াযুদ্ধই ইতিহাসে  'ঠান্ডা লড়াই'  নাম পরিচিত। মার্কিন সাংবাদিক  ওয়াল্টার লিপম্যান ( Walter Lippmaan ) ১৯৪৭  সালে তাঁর The Cold War গ্রন্থে সর্বপ্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য : ঠান্ডা লড়াইয়ের চরিত্র বিশ্লেষণ করলে এর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য নজরে আসে। এগুলি হল -- ঠান্ডা লড়াই ছিল ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোটের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমেরিকা ও রাশিয়া উভয়েই নিজের জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে আর্থিক, সামরিক ও অন্যান্য সহযোগিতার নীতি গ্রহণ করেছিল।  ঠান্ডা লড়াইয়ের উভয় পক্ষই নিজ নিজ রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রচারে গুরুত্ব দিয়েছিল।  উভয় পক্ষই অস্ত্র তৈরিসহ সার্বিক সামর

কোরীয় সংকটের কারণ ও ফলাফল আলোচনা কর। এক্ষেত্রে ভারতের ভুমিকা কী ছিল?

কোরিয়া সংকট : ১৯১০ সাল থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৪৫) পর্যন্ত কোরিয়া ছিল জাপানের অধীনে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান পরাজিত হলে আমেরিকা ও সোভিয়েত রাশিয়া কোরিয়াকে ভাগাভাগি করে নেয়। উত্তর ভাগ সোভিয়েত রাশিয়া এবং দক্ষিণভাগ আমেরিকার অধিকারে যায়। প্রথমে ভাবা হয়েছিল এই বিভাজন ক্ষণস্থায়ী হবে। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই দুই পক্ষই নিজ নিজ অধিকৃত এলাকায় নিজ নিজ মতাদর্শ অনুযায়ী অনুগত সরকার প্রতিষ্ঠা করলে কোরিয়া ঠাণ্ডা যুদ্ধের আবর্তে জড়িয়ে যায়। তৈরি হয় কোরিয়া সংকট।  কোরিয়া সংকটের কারণ : মস্কো বৈঠকের ব্যর্থতা : ১৯৪৫ সালে মস্কোয় সোভিয়েত রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে ঠিক হয় উভয় পক্ষকে নিয়ে কোরিয়া বিষয়ে একটি যুগ্ম কমিশন গঠিত হবে। এই কমিশন কোরিয়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি অস্থায়ী স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। রুশ-মার্কিন বিরোধ : ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বরে যুগ্ম কমিশনের এক সভায় সোভিয়েত রাশিয়া কোরিয়া থেকে রুশ-মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাব করে। কিন্তু আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবের কারণে তারা তার বিরোধিতা কর

ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য কী ছিল ?

ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য : ঠান্ডা লড়াইয়ের চরিত্র বিশ্লেষণ করলে এর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য নজরে আসে। এগুলি হল -- ঠান্ডা লড়াই ছিল ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোটের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমেরিকা ও রাশিয়া উভয়েই নিজের জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে আর্থিক, সামরিক ও অন্যান্য সহযোগিতার নীতি গ্রহণ করেছিল।  ঠান্ডা লড়াইয়ের উভয় পক্ষই নিজ নিজ রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রচারে গুরুত্ব দিয়েছিল।  উভয় পক্ষই অস্ত্র তৈরিসহ সার্বিক সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে যথেষ্ট মনোযোগ দেয়। আমেরিকা ও রাশিয়া উভয় পক্ষই সামরিক শক্তি যথেষ্ট বাড়ালেও কোন পক্ষই  প্রত্যক্ষ যুদ্ধে জড়ায় নি। কেবল যুদ্ধের আবহ জিইয়ে রেখেছিল।  -------------x---------------- এই বিষয়ে আরও প্রশ্ন : ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য কী ছিল  ? ঠান্ডা লড়াইয়ের তাত্ত্বিক ভিত্তি ব্যাখ্যা কর । (২০১৬) ঠান্ডা লড়াইয়ের প্রভাব আলোচনা কর । ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি আলোচনা করো

ঠান্ডা লড়াই কী? ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি আলোচনা করো।

ঠান্ডা লড়াই কী : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের (১৯৪৫) পর পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ পরস্পর দুটি রাষ্ট্রজোটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। একটি আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট অন্যটি সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট। এই দুই রাষ্ট্রজোট কোন প্রত্যক্ষ যুদ্ধ না করেও দীর্ঘকাল ধরে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও যুদ্ধের আবহ বা ছায়াযুদ্ধ চালাতে থাকে। এই ছায়াযুদ্ধই ইতিহাসে 'ঠান্ডা লড়াই' নাম পরিচিত। মার্কিন সাংবাদিক ওয়াল্টার লিপম্যান ( Walter Lippmaan ) ১৯৪৭ সালে তাঁর The Cold War গ্রন্থে সর্বপ্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য : 'ঠান্ডা লড়াই কী' এই অংশের জন্য ৩/৪ (তিন বা চার ) নম্বর (মার্কস) থাকলে অথবা বৈশিষ্ঠ্য লিখতে বললে  এখানে ক্লিক কর এবং যে অংশ বের হবে তা এই পয়েন্টের নিচে জুড়ে দাও। ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি : ঠান্ডা লড়াই-এর পিছনে শুধুমাত্র আদর্শগত বা অর্থনৈতিক কারণ বা ভিত্তি কাজ করেছিল এমন নয়। এর পিছনে আরও কিছু বিষয় তথা আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী কার্যকর ছিল। সমগ্র কারণকে এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। সাম্যবাদের বিরোধিতা : রাশিয়ায়


বাংলা বই ★ দ্বাদশ শ্রেণি
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার 👆আদর্শ প্রশ্নোত্তরের একমাত্র পোর্টাল

জনপ্রিয় প্রশ্ন-উত্তরগুলি দেখুন

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তগুলি (বৈশিষ্ঠ্য) উল্লেখ কর। ভারতের আর্থ-সামাজিক ইতিহাসে এই ভূমি-ব্যবস্থার গুরুত্ব আলোচনা কর।

অথবা , চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি ব্যাখ্যা কর । এপ্রসঙ্গে ভারতের কৃষক সমাজের ওপর এই বন্দোবস্ত কীরূপ প্রভাব ফেলেছিল বর্ননা কর । উত্তর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত । চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হল এক ধরণের ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা ।   ১৭৯৩ সালে  লর্ড কর্ণওয়ালিস বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যায় এই ভূমি-ব্যবস্থা চালু করেন । পরবর্তীকালে বারাণসী , উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ও মাদ্রাস প্রেসিডেন্সির কোনো কোনো অঞ্চলে  এই ব্যবস্থা  চালু করা হয় । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি । কোম্পানির কর্মচারী ও ঐতিহাসিক আলেকজান্ডার ডাও ১৭৭২ সালে  প্রথম  চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কথা বলেন । এরপর হেনরি পাত্তুলো , ড্যাক্রিস , টমাস ল প্রমুখ এই বন্দোবস্তের সপক্ষে যুক্তি দেখান । ১৭৮৬ সালে কর্ণওয়ালিশ গভর্নর জেনারেল হয়ে ভারতে আসেন ।  তিন বছর ধরে  তিনি  বাংলার ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যপক অনুসন্ধান চালান ।  এরপর ১৭৯০ সালে দেশীয় জমিদারদের সঙ্গে দশ বছরের জন্য একটি বন্দোবস্ত করেন, যা ‘ দশসালা বন্দোবস্ত ’ নামে পরিচিত । সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন , ইংল্যান্ডের কর্তপক্ষ অনুমোদন করলে এই বন্দোবস্তই ‘ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ’ -এ পরিণত হবে

জাদুঘর কাকে বলে? অতীত পুনর্গঠনে জাদুঘরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা , জাদুঘর কী ? জাদুঘরের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলি বর্ননা কর । অথবা , জাদুঘর বলতে কী বোঝ ? আধুনিক ইতিহাস রচনায় জাদুঘরের গুরুত্ব লেখ । উঃ জাদুঘরের সংজ্ঞা বাংলা ‘ জাদুঘর ’ শব্দটির ইংরাজি প্রতিশব্দ হল মিউজিয়াম ( Museum) । ‘ মিউজিয়াম ’ শব্দটির মূল উৎস হল প্রাচীন গ্রীক শব্দ Mouseion ( মউসিয়ান) , যার অর্থ হল গ্রীক পুরাণের শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক মিউসদের মন্দির । এই ধরণের মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে প্রাচীন গ্রিসে পাঠাগার , প্রাচীন শিল্পকলা প্রভৃতির সংগ্রহশালা গড়ে উঠত । ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মিউজিয়াম -এর মতে, জাদুঘর হল একটি অলাভজনক, জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত এবং স্থায়ী সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান যা শিক্ষালাভ, জ্ঞানচর্চা ও আনন্দলাভের উদ্দেশ্যে মানব ঐতিহ্যের স্পর্শযোগ্য ও স্পর্শ-অযোগ্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করে, সংরক্ষণ করে, প্রদর্শন করে এবং সেগুলি নিয়ে গবেষণা করে। উদাহরণ – ব্রিটিশ মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ের নিদর্শন। এখানে পৃথক পৃথক ঘরে পৃথক পৃথক বিষয়ের নিদর্শন প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। জাদুঘরের উদ্দেশ্য , ক

ঠান্ডা লড়াই কী? ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি আলোচনা করো।

ঠান্ডা লড়াই কী : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের (১৯৪৫) পর পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ পরস্পর দুটি রাষ্ট্রজোটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। একটি আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট অন্যটি সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট। এই দুই রাষ্ট্রজোট কোন প্রত্যক্ষ যুদ্ধ না করেও দীর্ঘকাল ধরে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও যুদ্ধের আবহ বা ছায়াযুদ্ধ চালাতে থাকে। এই ছায়াযুদ্ধই ইতিহাসে 'ঠান্ডা লড়াই' নাম পরিচিত। মার্কিন সাংবাদিক ওয়াল্টার লিপম্যান ( Walter Lippmaan ) ১৯৪৭ সালে তাঁর The Cold War গ্রন্থে সর্বপ্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য : 'ঠান্ডা লড়াই কী' এই অংশের জন্য ৩/৪ (তিন বা চার ) নম্বর (মার্কস) থাকলে অথবা বৈশিষ্ঠ্য লিখতে বললে  এখানে ক্লিক কর এবং যে অংশ বের হবে তা এই পয়েন্টের নিচে জুড়ে দাও। ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি : ঠান্ডা লড়াই-এর পিছনে শুধুমাত্র আদর্শগত বা অর্থনৈতিক কারণ বা ভিত্তি কাজ করেছিল এমন নয়। এর পিছনে আরও কিছু বিষয় তথা আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী কার্যকর ছিল। সমগ্র কারণকে এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। সাম্যবাদের বিরোধিতা : রাশিয়ায়

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল বর্ননা কর।

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল পলাশির যুদ্ধ ১৭৫৬ সালে নবাব আলীবর্দি মারা যান । এরপর তাঁর পৌত্র সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার সিংহাসন আরোহন করেন । সিংহাসন আরোহনের কিছুদিনের মধ্যেই ইংরেজদের সাথে তাঁর বিরোধ বাঁধে , যার চূড়ান্ত পরিনতি হল ১৭৫৭ সালের পলাশির যুদ্ধ ।   এই যুদ্ধের পটভূমি বিশ্লেষণ করলেই সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি পরিষ্কার হয়ে ওঠে । সেই সঙ্গে এটাও বোঝা যাবে এই বিরোধে সিরাজেরে ‘ অহমিকাবোধ ’ ও ‘ অর্থলোভ ’ দায়ী ছিল কিনা । পলাশির যুদ্ধের পটভূমি / কারণ সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি হল –   আনুগত্যদানে বিলম্ব। সিরাজ বাংলার সিংহাসনে বসলে প্রথা অনুযায়ী নবাবের প্রতি আনুগত্য জানিয়ে ফরাসি, ওলন্দাজ প্রভৃতি কোম্পানিগুলি উপঢৌকন পাঠালেও ইংরেজরা ইচ্ছা করে উপঢৌকন পাঠাতে দেরি করে। এতে সিরাজ অপমানিত হন।   ষড়যন্ত্রের সংবাদ। সিংহাসনে বসার সময় থেকে ঘষেটি বেগম, সৌকত জঙ্গ ও কয়েকজন রাজকর্মচারি সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র লিপ্ত ছিলেন। খবর আসে যে, এই ষড়যন্ত্রে ইংরেজরা যুক্ত আছে এবং তাঁকে সরিয়ে অনুগত কাউকে সিংহাসনে বসানোর চক্রান্ত করছে।   কৃষ্ণদাসকে আশ্রয়দান। ঘষেটি বেগমের প্রিয়পাত্র ঢা

বাংলার সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা, বাংলার সমাজ ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর। অথবা, ঊনবিংশ শতকে নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান উল্লেখ কর। অথবা, উনিশ শতকের নবজাগরণে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা কি ছিল? এ প্রসঙ্গে নারীজাতির উন্নয়নে তাঁর অবদান ব্যাখ্যা কর।  বিদ্যাসাগর ও সংস্কার আন্দোলন : ঊনবিংশ শতকে ভারতে যে কজন সংস্কারকের জন্ম হয়েছিল তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি ছিলেন বঙ্গীয় নবজাগরণের মূর্ত প্রতীক। তাঁর মধ্যে ইউরোপীয় নবজাগরণের প্রবল যুক্তিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, প্রগাঢ় মানবতাবাদ, এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবাদর্শের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছিল। মাইকেল মধুসূদনের মতে, ' যার মনীষা প্রাচীন ঋষিদের মতো, কর্মদক্ষতা ইংরেজদের মত এবং হৃদয়বত্তা বাঙালি জননীর মত। ' বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টা : বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টাকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যায়। এক . শিক্ষা সংস্কার, দুই . সমাজ সংস্কার। তবে তাঁর এই দুই প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে ছিল নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি। (১) 

চিনের ৪ ঠা মে আন্দোলনের কারণ বিশ্লেষণ কর। এই আন্দোলনের প্রভাব আলোচনা কর। (২০১৬)

অথবা, বিংশ শতকে চিনে ৪ ঠা মে-র আন্দোলনের উত্থান ও গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। চিনের সেই সময়কার দুটি উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্রের নাম লেখো। অথবা, চিনের ৪ ঠা মের আন্দোলনের পটভূমি আলোচনা কর। এই আন্দোলনের ফলাফল বা তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।  ৪ ঠা মে-র আন্দোলন : ১৯১৪  সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপান চিনে আগ্রাসন চালায়। যুদ্ধে চীন মিত্রপক্ষে যোগ দিলেও যুদ্ধের পর তারা কোনো সুবিচার পায় নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি আধিপত্যের বিরুদ্ধে চিনা জাতীয়তাবাদী জনগণ চেন-তু-শিউ এর নেতৃত্বে  ১৯১৯ সালে ৪ ঠা মে পিকিং-এর তিয়েন-আন-মেন স্কোয়ার -এ  এক আন্দোলনের ডাক দেয়। এই আন্দোলন চিনের ইতিহাসে ৪ ঠা মে-র আন্দোলন নামে পরিচিত। আন্দোলনের কারণ ( পটভূমি ) : এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করলে এর কারণগুলি অনুধাবন করা যায়। ইউয়ান-সি-কাই এর নৃশংসতা : ১৯১১ সালে বিপ্লবের পর রাষ্ট্রপতি সান-ইয়াত-সেন দেশের গৃহযুদ্ধ এড়াতে ইউয়ান-সি-কাই  - এর অনুকূলে স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রপতি পদ ত্যাগ করেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর  ইউয়ান-সি-কাই  সমস্ত সাংবিধানিক পদ্ধতি বাতিল করে সামরিক একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। এর প্রতিবাদ করলে কুয়োমি

তিন আইন কী?

তিন আইন কী? ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলনের ফলে ১৮৭২ সালে ব্রিটিশ সরকার বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রভৃতি সামাজিক কুসংস্কারগুলি নিষিদ্ধ করে এবং বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়। যে আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার এই ঘোষণা জারি করে তাকে ' তিন আইন ' বলে।

'মুক্তদ্বার নীতি' (Open Door Policy) কী?

চিনে ইউরোপীয় দেশগুলির উপনিবেশিক আধিপত্য স্থাপনের ফলে আমেরিকা শঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা ভাবতে শুরু করে এর ফলে চিনে আমেরিকার বাণিজ্যিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই পরিস্থিতিতে ১৮৯৯ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জন হে চিন সম্পর্কে যে নীতি গ্রহণ করেছিলেন তা মুক্তদ্বার নীতি নামে পরিচিত। এই নীতিতে বলা হয়, বিভিন্ন ইউরোপীয় শক্তি দ্বারা অধিকৃত চিনের বিভিন্ন অঞ্চলে আমেরিকার সমান বাণিজ্যিক সুবিধা দিতে হবে।

ভাইকম সত্যাগ্রহ কী

ভাইমক বর্ণহিন্দুদের একটি মন্দির । দক্ষিণ ভারতের ত্রিবাঙ্কুরে এটি অবস্থিত। এই মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষদের চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। শ্রীনারায়ণ গুরু বর্ণহিন্দুদের এই বর্নবিদ্বেষী প্রথার বিরুদ্ধে এবং মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষের হাঁটার দাবিতে যে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তা ভাইকম সত্যাগ্রহ নামে পরিচিত। আন্দোলনের ব্যাপকতায় মুগধ হয়ে গান্ধিজি একে সমর্থন করেন। শেষ পর্যন্ত এই আন্দোলন জয়যুক্ত হয়।

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল?

কোন পরিস্থিতিতে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) শুরু হয়? এই মামলায় অভিযুক্ত কয়েকজন শ্রমিক নেতার নাম লেখো। এই মামলার ফলাফল কী হয়েছিল? অথবা, মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল? অথবা, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কমিউনিস্ট পার্টির অবদানের একটি উদাহরণ দাও। এপ্রসঙ্গে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষাপট আলোচনা কর। এই মামলার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। উত্তর : মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা : ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে কমিউনিস্টদের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে ব্রিটিশ সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এইরূপ পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেছিল। মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) হল এরকমই এক দমননীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মামলার প্রেক্ষাপট : ১) শ্রমিক-মালিক বিরোধ । ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে ভারতে শিল্পায়ন শুরু হলে শ্রমিক শ্রেণির উদ্ভব হয়। বিংশ শতকের প্রথম দিকে মালিক শ্রেণির শোষণ ও অত্যাচারে শ্রমিক-মালিক সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। শ্রমিক শ্রেণির অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিস্টরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন জোরদার করে তুলে ব্রিটিশ সরকার চিন্তায় পড়ে যা