সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মার্শাল পরিকল্পনার মূল বক্তব্য লেখো।

মার্শাল পরিকল্পনার মূল বক্তব্য হল : ১) এই পরিকল্পনা কোনো দেশ বা মতাদর্শের বিরুদ্ধে নয়। এই নীতি ক্ষুধা, দারিদ্র, হতাশা, ও বেকারত্বের বিরুদ্ধে।  ২) এর মাধ্যমে ইউরোপের অর্থনৈতিক সংকট দূর করার জন্য অর্থ সাহায্য করা হবে।  ৩) সাহায্য গ্রহণকারী দেশকে মূল মার্কিন পরিকল্পনা অনুযায়ী সাহায্যপ্রাপ্ত অর্থ ব্যয় করতে হবে।  ৪) সাহায্যপ্রাপ্ত দেশগুলির রাজস্ব মার্কিন পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থির করতে হবে। 

মার্শাল পরিকল্পনার উদ্দেশ্য কী ছিল?

মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জর্জ সি মার্শালের ঘোষণা বিশ্লেষণ করলে মার্শাল পরিকল্পনার উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয়ে ওঠে : ১) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধবিধস্ত ইউরোপের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের মাধ্যমে সেখানে সোভিয়েত সাম্যবাদের প্রসার রোধ করা। ২) ইউরোপের সঙ্গে মার্কিন ব্যবসাবাণিজ্যের পথ সুগম করা। ৩) পরিকল্পনা গ্রহণকারী দেশগুলিকে নিয়ে একটি অনুগত রাষ্ট্রজোট গড়ে তোলা।  এককথায় ট্রুম্যান নীতিকে কার্যকর করার উদ্দেশ্যেই 'মার্শাল পরিকল্পনা'  গ্রহণ করা হয়। 

'মার্শাল পরিকল্পনা' কী?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধবিধস্ত ইউরোপের অর্থনৈতিক দুরবস্থার সুযোগে সাম্যবাদের প্রসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে ইউরোপের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন ঘটিয়ে ইউরোপে সাম্যবাদের প্রসার ও সোভিয়েত রাশিয়ার অগ্রগতি রোধের চেষ্টা শুরু হয়। এই উদ্দেশ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জর্জ সি মার্শাল ১৯৪৭ সালের ৫ জুন হার্ভাট বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদত্ত এক ভাষণে মার্কিন অর্থ সাহায্যের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। তাঁর এই প্রস্তাবিত পরিকল্পনা 'মার্শাল পরিকল্পনা'  নামে পরিচিত। 

মার্শাল পরিকল্পনা কবে কেন ঘোষিত হয়?

১৯৪৭ সালের ৫ জুন 'মার্শাল পরিকল্পনা'  ঘোষিত হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল : ১) ট্রুম্যান নীতিকে কার্যকর করার জন্য   ২) যুদ্ধবিধস্ত ইউরোপের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন ঘটিয়ে  ৩) সোভিয়েত সাম্যবাদের গতিরোধ করা। 

ট্রুম্যান নীতিকে কেন 'বেষ্টনী নীতি' বলা হয়?

মার্কিন কূটনীতিবিদ জর্জ এফ কেন্নান আমেরিকান সরকারকে সোভিয়েত সাম্যবাদের প্রসার ও প্রভাবকে সীমাবদ্ধ করার পরামর্শ দেন। কেনানের এই নীতি 'বেষ্টনী নীতি'  নামে পরিচিত। মার্কিন রাষ্ট্রপতি হ্যারি ট্রুম্যান এই নীতিকে কার্যকর করার জন্য  'ট্রুম্যান নীতি' ঘোষণা করেন। তাই ট্রুম্যান নীতিকে 'বেষ্টনী নীতি'  বলা হয়। 

কেন্নান-এর 'বেষ্টনী নীতি' কী?

অথবা, 'সীমায়িতকরণের নীতি' কী? সোভিয়েত সাম্যবাদের গতি রোধ করার জন্য প্রখ্যাত মার্কিন কূটনীতিবিদ জর্জ এফ কেন্নান ১৯৪৭ সালে 'Mr. X' ছদ্মনামে 'Foreign Affairs'  পত্রিকায় 'সোভিয়েত কার্যকলাপের উৎস'  নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। এতে তিনি মার্কিন সরকারকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, আমেরিকান সরকারের উচিত সোভিয়েত প্রভাব যেসকল অঞ্চলে বিদ্যমান, তাকে সেখানেই সীমাবদ্ধ রাখা। কেন্নানের এই নীতি 'বেষ্টনী নীতি' বা 'সীমায়িতকরণের নীতি বা 'কন্টেইনমেন্ট নীতি'  নামে পরিচিত?

ট্রুম্যান নীতির দুটি উদ্দেশ্য লেখো।

এই প্রশ্নের উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো  এবং যে উত্তরটি বের হবে তা থেকে এই উত্তরটি নিজে তৈরী করো। 

ট্রুম্যান নীতি কী?

এই প্রশ্নের উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো  এবং যে উত্তরটি বের হবে তা থেকে এই উত্তরটি নিজে তৈরী করো। 

ট্রুম্যান কে ছিলেন? কবে তিনি তাঁর নীতি ঘোষণা করেন?

হ্যারি ট্রুম্যান ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি। ১৯৪৭ সালে ১২ মার্চ তিনি তাঁর এই নীতি ঘোষণা করেন।

ফালটন বক্তৃতা কে কবে কী উদ্দেশ্যে করেন?

১৯৪৬ সালের ৫ মার্চ ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চার্চিল আমেরিকার মিসৌরি প্রদেশের  ফালটনের ওয়েস্ট মিনিস্টার কলেজে  এক ফালটন বক্তৃতা  দেন। এই বক্তৃতায় তিনি বলেন, ইউরোপের এক বিস্তীর্ন অঞ্চল ( উত্তরে বাল্টিক সাগর থেকে  দক্ষিণেঅ্যাড্রিয়াটিক সাগর পর্যন্ত ) এখন সোভিয়েত রাশিয়ার লৌহ যবনিকার অন্তরালে আচ্ছাদিত।আমেরিকা এখনই প্রতিরোধের ব্যবস্থা না নিলে সমগ্র ইউরোপ একদিন রাশিয়ার দখলে চলে যাবে। অর্থাৎ ইউরোপে রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিকদের অগ্রগতি রোধ করতে মার্কিন সাহায্য লাভ করাই এই বক্তৃতার উদ্দেশ্য।  এই প্রশ্নের  বিকল্প প্রশ্ন ।

'ফালটন বক্তৃতা' কী?

অথবা, 'লৌহ যবনিকা' তত্ত্ব কী? ১৯৪৬ সালের ৫ মার্চ ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চার্চিল আমেরিকার মিসৌরি প্রদেশের ফালটনের ওয়েস্ট মিনিস্টার কলেজে এক বক্তৃতা দেন। এই বক্তৃতায় তিনি বলেন, ইউরোপের এক বিস্তীর্ন অঞ্চল ( উত্তরে বাল্টিক সাগর থেকে দক্ষিণে অ্যাড্রিয়াটিক সাগর পর্যন্ত ) এখন সোভিয়েত রাশিয়ার লৌহ যবনিকার অন্তরালে আচ্ছাদিত। আমেরিকা এখনই প্রতিরোধের ব্যবস্থা না নিলে সমগ্র ইউরোপ একদিন রাশিয়ার দখলে চলে যাবে। চার্চিলের এই বক্তৃতা 'ফালটন বক্তৃতা' বা ' লৌহ যবনিকা তত্ত্ব' নামে পরিচিত। উল্লেখ্য, চার্চিলের ফালটন বক্তৃতা ট্রুম্যান নীতি ঘোষণায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রেখেছিল। আর ট্রুম্যান নীতি 'ঠান্ডা লড়াই' কে তরান্বিত করেছিল।  

'দ্বিতীয় রণাঙ্গন' কী?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় (১৯৪১) হিটলার রাশিয়া আক্রমণ করে। এই অবস্থায় রাশিয়া মিত্রশক্তির কাছে জার্মানির বিরুদ্ধে পশ্চিম ইউরোপে আরও একটি রণাঙ্গণ খোলার প্রস্তাব করে। কিন্তু আমেরিকা ও ইংল্যান্ড এই প্রস্তাব কার্যকরী করতে অযথা টালবাহানা করে। কিন্তু  রাশিয়া নিজ শক্তিতে জার্মানির আক্রমণ প্রতিহত করলে মিত্রপক্ষ তড়িঘড়ি করে দ্বিতীয় রণাঙ্গন খোলে। এই রণাঙ্গন বা যুদ্ধক্ষেত্র  'দ্বিতীয় রণাঙ্গন'  নামে পরিচিত। উল্লেখ্য, এতে মিত্রপক্ষের প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে রাশিয়ার মনে সন্দেহ দানা বাধে। এই ঘটনা ঠান্ডা যুদ্ধের পটভূমি রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। 

'ঠান্ডা লড়াই' কথাটি কে প্রথম ব্যবহার করেন?

১৯৪৭ সালের ১৬ এপ্রিল দক্ষিণ ক্যারোলিনা প্রদেশের কলম্বিয়া শহরে এক ভাষণে মার্কিন মুটনীতিবিদ বার্নার্ড বারুচ প্রথম 'ঠান্ডা লড়াই'  কথাটি প্রকাশ্যে ব্যবহার করেন। 

'দ্বিমেরুকরণ' কী?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 'ট্রুম্যান নীতি'  ঘোষণা করে। এর ফলে বিশ্বের প্রধান প্রধান রাষ্ট্রগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমি শক্তিজোট ও সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট - এই দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। অর্থাৎ বিশ্ব দুই শক্তির নেতৃত্বে দুই মেরুতে বিভক্ত হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিকে 'দ্বিমেরুকরণ' বা 'দ্বিপাক্ষিক রাজনীতি'  বলা হয়। 

কখন দ্বিমেরু বিশ্বের উদ্ভব ঘটেছিল?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ (১৯৪৫) হলে, বিশেষ করে ১৯৪৭ সালে আমেরিকা 'ট্রুম্যান নীতি' ঘোষণার পর  দ্বিমেরু বিশ্বের উদ্ভব হয়। 

জাতি ও জাতি বৈষম্য ধারণাটি কোন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল?

জাতি ও জাতি বৈষম্য ধারণাটি, উপনিবেশিকতাবাদ, উপনিবেশ, উপনিবেশিক শাসন ও সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলো। 

স্বাধীন ইন্দোনেশিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?

স্বাধীন ইন্দোনেশিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ড. মহম্মদ হাত্তা।

বার্লিন সংকট বলতে কী বোঝ? এই সংকটের বিবরণ দাও।

অথবা, বার্লিন অবরোধ কী? এই অবরোধের (সংকটের) কারণ বা পটভূমি বর্ননা কর। বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসে বিশেষ করে ঠান্ডা যুদ্ধের ওপর বার্লিন সংকটের প্রভাব আলোচনা কর। বার্লিন সংকট। মিত্রশক্তির জার্মান ভাগাভাগি। বার্লিন সংকট : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪৫ সালে মিত্রপক্ষের কাছে  জার্মানি আত্মসমর্পন করে। ইয়াল্টা সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুসারে জার্মান ভুখন্ড মিত্রশক্তির (আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও রাশিয়ার) মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যায়। জার্মান রাজধানী বার্লিন শহরও তারা ভাগাভাগি করে নেয়। বার্লিন শহরের এই ভাগাভাগি নিয়ে দেখা দেয় এক গভীর সমস্যা। কেননা, বার্লিন শহর ছিল রাশিয়া অধিকৃত অঞ্চলের মাঝখানে অবস্থিত। ফলে অচিরেই পশ্চিমি দেশগুলির বার্লিন শহরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা নিয়ে জটিলতা বা বিরোধ দেখা দেয়।  এই বিরোধই বার্লিন সংকট নামে পরিচিত। বার্লিন অবরোধ : বার্লিন সংকটের সূত্র ধরেই রাশিয়া পশ্চিমি শক্তিগুলিকে বার্লিন ত্যাগ করতে বাধ্য করার উদ্যোগ নেয়। এই উদ্দেশ্যে তারা ১৯৪৮ সালের ২৪ জুলাই বার্লিনে প্রবেশের সড়কপথগুলি অবরোধ শুরু করে। ফলে বার্লিনের প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ অনাহার ও চিকিৎসা হীনতার মুখোম

মার্শাল প্ল্যান কী? কোন পটভূমিতে এই পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়? এই পরিকল্পনার মূলকথা ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর?

'মার্শাল পরিকল্পনা' বলতে কী বোঝো? আমেরিকা কেন এই পরিকল্পনা গ্রহণ করে? এই পরিকল্পনার বিষয়বস্তু কী ছিলো? মার্শাল পরিকল্পনার ফলাফল বর্ননা কর। অথবা, 'মার্শাল পরিকল্পনা' গ্রহণের কারণ ও বিশ্বরাজনীতিতে এর প্রভাব ব্যাখ্যা করো। অথবা, 'মার্শাল পরিকল্পনা'র উদ্দেশ্য কী ছিলো ? এই পরিকল্পনার তাৎপর্য আলোচনা করো। অথবা, 'ইউরোপীয় পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা' কী? এই পরিকল্পনার প্রবক্তা কে? কী উদ্দেশ্যে তিনি এই পরিকল্পনা করেছিলেন? এর ফলাফল ব্যাখ্যা করো এবং 'ঠান্ডা লড়াই' এর পিছনে এর ভূমিকা বিশ্লেষণ করো।  মার্শাল পরিকল্পনা (  'ইউরোপীয় পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা')  : ১৯৪৭  সালে ১২ মার্চ মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রুম্যান নীতি ঘোষণা করেন। এই  নীতিকে কার্যকরী করার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জর্জ সি. মার্শাল ওই বছর ৫ জুন একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।  একই সাথে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউরোপের পুনরুজ্জীবন ঘটিয়ে সাম্যবাদের প্রসার রোধ করার উদ্দেশ্যে তিনি 'ইউরোপীয় পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা' নামে এক কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এই কর্মসূচিই  'মার্শাল পরিকল্পনা' নামে পরিচিত।

'ট্রুম্যান নীতি' কী? এই নীতি ঘোষণার পটভূমি ব্যাখ্যা করো। এই নীতির মূল কথা কী ছিল? বিশ্বের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এর গুরুত্ব কী ছিল?

অথবা   ট্রুম্যান কে ছিলেন? ট্রুম্যান নীতির উদ্দেশ্য কী ছিল? এই নীতির বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো। বিশ্ব ইতিহাসে এই নীতির প্রভাব কী ছিল? অথবা ট্রুম্যান নীতি বলতে কী বোঝ? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্ৰ কেন এই নীতি গ্রহণ করেছিল? এই নীতি প্রয়োগের ফলাফল ব্যাখ্যা করো।  অথবা, ট্রুম্যান ডক্ট্রিন কী? কোন ঘটনার প্রেক্ষাপটে হ্যারি ট্রুম্যান এই নীতি ঘোষণা করেছিলেন? এর পরিণতি কী হয়েছিল? ট্রুম্যান নীতি : হ্যারি ট্রুম্যান ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি। ১৯৪৭ সালে ১২ মার্চ তিনি ঘোষণা করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন বিশ্বরাজনীতিতে বিচ্ছিন্নতার নীতি ( মনরো নীতি ) অনুসরণ করে আসছে। কিন্তু সোভিয়েত সাম্যবাদের প্রসার রোধ করার উদ্দেশ্যে সেই নীতি থেকে তারা সরে আসবে। তিনি আরও বলেন, যেসব জাতি সশস্ত্র সংখ্যালঘুদের কিংবা কোনো বিদেশী রাষ্ট্রের আক্রমণের স্বীকার হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের আর্থিক ও সামরিক সাহায্য দেবে। এভাবে  বিচ্ছিন্নতার নীতির পরিবর্তে পররাষ্ট্র ক্ষেত্রে ট্রুম্যান এই যে সামরিক   সক্রিয়তার নীতি নিলেন তা-ই ইতিহাসে 'ট্রুম্যান নীতি' (  ট্রুম্যান ডক্ট্রিন )  নামে পরিচিত। ট্


বাংলা বই ★ দ্বাদশ শ্রেণি
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার 👆আদর্শ প্রশ্নোত্তরের একমাত্র পোর্টাল

জনপ্রিয় প্রশ্ন-উত্তরগুলি দেখুন

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তগুলি (বৈশিষ্ঠ্য) উল্লেখ কর। ভারতের আর্থ-সামাজিক ইতিহাসে এই ভূমি-ব্যবস্থার গুরুত্ব আলোচনা কর।

অথবা , চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি ব্যাখ্যা কর । এপ্রসঙ্গে ভারতের কৃষক সমাজের ওপর এই বন্দোবস্ত কীরূপ প্রভাব ফেলেছিল বর্ননা কর । উত্তর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত । চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হল এক ধরণের ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা ।   ১৭৯৩ সালে  লর্ড কর্ণওয়ালিস বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যায় এই ভূমি-ব্যবস্থা চালু করেন । পরবর্তীকালে বারাণসী , উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ও মাদ্রাস প্রেসিডেন্সির কোনো কোনো অঞ্চলে  এই ব্যবস্থা  চালু করা হয় । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি । কোম্পানির কর্মচারী ও ঐতিহাসিক আলেকজান্ডার ডাও ১৭৭২ সালে  প্রথম  চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কথা বলেন । এরপর হেনরি পাত্তুলো , ড্যাক্রিস , টমাস ল প্রমুখ এই বন্দোবস্তের সপক্ষে যুক্তি দেখান । ১৭৮৬ সালে কর্ণওয়ালিশ গভর্নর জেনারেল হয়ে ভারতে আসেন ।  তিন বছর ধরে  তিনি  বাংলার ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যপক অনুসন্ধান চালান ।  এরপর ১৭৯০ সালে দেশীয় জমিদারদের সঙ্গে দশ বছরের জন্য একটি বন্দোবস্ত করেন, যা ‘ দশসালা বন্দোবস্ত ’ নামে পরিচিত । সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন , ইংল্যান্ডের কর্তপক্ষ অনুমোদন করলে এই বন্দোবস্তই ‘ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ’ -এ পরিণত হবে

জাদুঘর কাকে বলে? অতীত পুনর্গঠনে জাদুঘরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা , জাদুঘর কী ? জাদুঘরের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলি বর্ননা কর । অথবা , জাদুঘর বলতে কী বোঝ ? আধুনিক ইতিহাস রচনায় জাদুঘরের গুরুত্ব লেখ । উঃ জাদুঘরের সংজ্ঞা বাংলা ‘ জাদুঘর ’ শব্দটির ইংরাজি প্রতিশব্দ হল মিউজিয়াম ( Museum) । ‘ মিউজিয়াম ’ শব্দটির মূল উৎস হল প্রাচীন গ্রীক শব্দ Mouseion ( মউসিয়ান) , যার অর্থ হল গ্রীক পুরাণের শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক মিউসদের মন্দির । এই ধরণের মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে প্রাচীন গ্রিসে পাঠাগার , প্রাচীন শিল্পকলা প্রভৃতির সংগ্রহশালা গড়ে উঠত । ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মিউজিয়াম -এর মতে, জাদুঘর হল একটি অলাভজনক, জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত এবং স্থায়ী সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান যা শিক্ষালাভ, জ্ঞানচর্চা ও আনন্দলাভের উদ্দেশ্যে মানব ঐতিহ্যের স্পর্শযোগ্য ও স্পর্শ-অযোগ্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করে, সংরক্ষণ করে, প্রদর্শন করে এবং সেগুলি নিয়ে গবেষণা করে। উদাহরণ – ব্রিটিশ মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ের নিদর্শন। এখানে পৃথক পৃথক ঘরে পৃথক পৃথক বিষয়ের নিদর্শন প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। জাদুঘরের উদ্দেশ্য , ক

ঠান্ডা লড়াই কী? ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি আলোচনা করো।

ঠান্ডা লড়াই কী : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের (১৯৪৫) পর পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ পরস্পর দুটি রাষ্ট্রজোটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। একটি আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট অন্যটি সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট। এই দুই রাষ্ট্রজোট কোন প্রত্যক্ষ যুদ্ধ না করেও দীর্ঘকাল ধরে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও যুদ্ধের আবহ বা ছায়াযুদ্ধ চালাতে থাকে। এই ছায়াযুদ্ধই ইতিহাসে 'ঠান্ডা লড়াই' নাম পরিচিত। মার্কিন সাংবাদিক ওয়াল্টার লিপম্যান ( Walter Lippmaan ) ১৯৪৭ সালে তাঁর The Cold War গ্রন্থে সর্বপ্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য : 'ঠান্ডা লড়াই কী' এই অংশের জন্য ৩/৪ (তিন বা চার ) নম্বর (মার্কস) থাকলে অথবা বৈশিষ্ঠ্য লিখতে বললে  এখানে ক্লিক কর এবং যে অংশ বের হবে তা এই পয়েন্টের নিচে জুড়ে দাও। ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি : ঠান্ডা লড়াই-এর পিছনে শুধুমাত্র আদর্শগত বা অর্থনৈতিক কারণ বা ভিত্তি কাজ করেছিল এমন নয়। এর পিছনে আরও কিছু বিষয় তথা আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী কার্যকর ছিল। সমগ্র কারণকে এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। সাম্যবাদের বিরোধিতা : রাশিয়ায়

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল বর্ননা কর।

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল পলাশির যুদ্ধ ১৭৫৬ সালে নবাব আলীবর্দি মারা যান । এরপর তাঁর পৌত্র সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার সিংহাসন আরোহন করেন । সিংহাসন আরোহনের কিছুদিনের মধ্যেই ইংরেজদের সাথে তাঁর বিরোধ বাঁধে , যার চূড়ান্ত পরিনতি হল ১৭৫৭ সালের পলাশির যুদ্ধ ।   এই যুদ্ধের পটভূমি বিশ্লেষণ করলেই সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি পরিষ্কার হয়ে ওঠে । সেই সঙ্গে এটাও বোঝা যাবে এই বিরোধে সিরাজেরে ‘ অহমিকাবোধ ’ ও ‘ অর্থলোভ ’ দায়ী ছিল কিনা । পলাশির যুদ্ধের পটভূমি / কারণ সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি হল –   আনুগত্যদানে বিলম্ব। সিরাজ বাংলার সিংহাসনে বসলে প্রথা অনুযায়ী নবাবের প্রতি আনুগত্য জানিয়ে ফরাসি, ওলন্দাজ প্রভৃতি কোম্পানিগুলি উপঢৌকন পাঠালেও ইংরেজরা ইচ্ছা করে উপঢৌকন পাঠাতে দেরি করে। এতে সিরাজ অপমানিত হন।   ষড়যন্ত্রের সংবাদ। সিংহাসনে বসার সময় থেকে ঘষেটি বেগম, সৌকত জঙ্গ ও কয়েকজন রাজকর্মচারি সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র লিপ্ত ছিলেন। খবর আসে যে, এই ষড়যন্ত্রে ইংরেজরা যুক্ত আছে এবং তাঁকে সরিয়ে অনুগত কাউকে সিংহাসনে বসানোর চক্রান্ত করছে।   কৃষ্ণদাসকে আশ্রয়দান। ঘষেটি বেগমের প্রিয়পাত্র ঢা

বাংলার সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা, বাংলার সমাজ ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর। অথবা, ঊনবিংশ শতকে নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান উল্লেখ কর। অথবা, উনিশ শতকের নবজাগরণে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা কি ছিল? এ প্রসঙ্গে নারীজাতির উন্নয়নে তাঁর অবদান ব্যাখ্যা কর।  বিদ্যাসাগর ও সংস্কার আন্দোলন : ঊনবিংশ শতকে ভারতে যে কজন সংস্কারকের জন্ম হয়েছিল তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি ছিলেন বঙ্গীয় নবজাগরণের মূর্ত প্রতীক। তাঁর মধ্যে ইউরোপীয় নবজাগরণের প্রবল যুক্তিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, প্রগাঢ় মানবতাবাদ, এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবাদর্শের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছিল। মাইকেল মধুসূদনের মতে, ' যার মনীষা প্রাচীন ঋষিদের মতো, কর্মদক্ষতা ইংরেজদের মত এবং হৃদয়বত্তা বাঙালি জননীর মত। ' বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টা : বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টাকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যায়। এক . শিক্ষা সংস্কার, দুই . সমাজ সংস্কার। তবে তাঁর এই দুই প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে ছিল নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি। (১) 

চিনের ৪ ঠা মে আন্দোলনের কারণ বিশ্লেষণ কর। এই আন্দোলনের প্রভাব আলোচনা কর। (২০১৬)

অথবা, বিংশ শতকে চিনে ৪ ঠা মে-র আন্দোলনের উত্থান ও গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। চিনের সেই সময়কার দুটি উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্রের নাম লেখো। অথবা, চিনের ৪ ঠা মের আন্দোলনের পটভূমি আলোচনা কর। এই আন্দোলনের ফলাফল বা তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।  ৪ ঠা মে-র আন্দোলন : ১৯১৪  সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপান চিনে আগ্রাসন চালায়। যুদ্ধে চীন মিত্রপক্ষে যোগ দিলেও যুদ্ধের পর তারা কোনো সুবিচার পায় নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি আধিপত্যের বিরুদ্ধে চিনা জাতীয়তাবাদী জনগণ চেন-তু-শিউ এর নেতৃত্বে  ১৯১৯ সালে ৪ ঠা মে পিকিং-এর তিয়েন-আন-মেন স্কোয়ার -এ  এক আন্দোলনের ডাক দেয়। এই আন্দোলন চিনের ইতিহাসে ৪ ঠা মে-র আন্দোলন নামে পরিচিত। আন্দোলনের কারণ ( পটভূমি ) : এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করলে এর কারণগুলি অনুধাবন করা যায়। ইউয়ান-সি-কাই এর নৃশংসতা : ১৯১১ সালে বিপ্লবের পর রাষ্ট্রপতি সান-ইয়াত-সেন দেশের গৃহযুদ্ধ এড়াতে ইউয়ান-সি-কাই  - এর অনুকূলে স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রপতি পদ ত্যাগ করেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর  ইউয়ান-সি-কাই  সমস্ত সাংবিধানিক পদ্ধতি বাতিল করে সামরিক একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। এর প্রতিবাদ করলে কুয়োমি

তিন আইন কী?

তিন আইন কী? ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলনের ফলে ১৮৭২ সালে ব্রিটিশ সরকার বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রভৃতি সামাজিক কুসংস্কারগুলি নিষিদ্ধ করে এবং বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়। যে আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার এই ঘোষণা জারি করে তাকে ' তিন আইন ' বলে।

'মুক্তদ্বার নীতি' (Open Door Policy) কী?

চিনে ইউরোপীয় দেশগুলির উপনিবেশিক আধিপত্য স্থাপনের ফলে আমেরিকা শঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা ভাবতে শুরু করে এর ফলে চিনে আমেরিকার বাণিজ্যিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই পরিস্থিতিতে ১৮৯৯ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জন হে চিন সম্পর্কে যে নীতি গ্রহণ করেছিলেন তা মুক্তদ্বার নীতি নামে পরিচিত। এই নীতিতে বলা হয়, বিভিন্ন ইউরোপীয় শক্তি দ্বারা অধিকৃত চিনের বিভিন্ন অঞ্চলে আমেরিকার সমান বাণিজ্যিক সুবিধা দিতে হবে।

ভাইকম সত্যাগ্রহ কী

ভাইমক বর্ণহিন্দুদের একটি মন্দির । দক্ষিণ ভারতের ত্রিবাঙ্কুরে এটি অবস্থিত। এই মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষদের চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। শ্রীনারায়ণ গুরু বর্ণহিন্দুদের এই বর্নবিদ্বেষী প্রথার বিরুদ্ধে এবং মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষের হাঁটার দাবিতে যে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তা ভাইকম সত্যাগ্রহ নামে পরিচিত। আন্দোলনের ব্যাপকতায় মুগধ হয়ে গান্ধিজি একে সমর্থন করেন। শেষ পর্যন্ত এই আন্দোলন জয়যুক্ত হয়।

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল?

কোন পরিস্থিতিতে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) শুরু হয়? এই মামলায় অভিযুক্ত কয়েকজন শ্রমিক নেতার নাম লেখো। এই মামলার ফলাফল কী হয়েছিল? অথবা, মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল? অথবা, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কমিউনিস্ট পার্টির অবদানের একটি উদাহরণ দাও। এপ্রসঙ্গে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষাপট আলোচনা কর। এই মামলার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। উত্তর : মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা : ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে কমিউনিস্টদের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে ব্রিটিশ সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এইরূপ পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেছিল। মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) হল এরকমই এক দমননীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মামলার প্রেক্ষাপট : ১) শ্রমিক-মালিক বিরোধ । ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে ভারতে শিল্পায়ন শুরু হলে শ্রমিক শ্রেণির উদ্ভব হয়। বিংশ শতকের প্রথম দিকে মালিক শ্রেণির শোষণ ও অত্যাচারে শ্রমিক-মালিক সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। শ্রমিক শ্রেণির অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিস্টরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন জোরদার করে তুলে ব্রিটিশ সরকার চিন্তায় পড়ে যা