সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

উচ্চমাধ্যমিক লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচন কবে হয়েছিল?

স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচন হয়েছিল ১৯৫১-১৯৫২ সালে। 

বুলগানিন কে ছিলেন?

নিকোলাই বুলগানিন ছিলেন একজন সোভিয়েত রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৫৩ সালের মার্চ থেকে ১৯৫৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সোভিয়েত রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে দেশ পরিচালনা করেছেন। পূর্ব ইউরোপে সামরিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ও তাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ১৯৫২ সালে যে 'সামরিক সংহতি কমিটি' ( MILITARY CO-ORDINATION COMMITEE )  গড়ে ওঠে বুলগানিন ছিলেন তার চেয়ারম্যান। 

'মার্শাল পরিকল্পনা' কী?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধবিধস্ত ইউরোপের অর্থনৈতিক দুরবস্থার সুযোগে সাম্যবাদের প্রসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে ইউরোপের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন ঘটিয়ে ইউরোপে সাম্যবাদের প্রসার ও সোভিয়েত রাশিয়ার অগ্রগতি রোধের চেষ্টা শুরু হয়। এই উদ্দেশ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জর্জ সি মার্শাল ১৯৪৭ সালের ৫ জুন হার্ভাট বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদত্ত এক ভাষণে মার্কিন অর্থ সাহায্যের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। তাঁর এই প্রস্তাবিত পরিকল্পনা 'মার্শাল পরিকল্পনা'  নামে পরিচিত। 

জাতি ও জাতি বৈষম্য ধারণাটি কোন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল?

জাতি ও জাতি বৈষম্য ধারণাটি, উপনিবেশিকতাবাদ, উপনিবেশ, উপনিবেশিক শাসন ও সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলো। 

স্বাধীন ইন্দোনেশিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?

স্বাধীন ইন্দোনেশিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ড. মহম্মদ হাত্তা।

'মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার আইন' কত খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত হয়?

১৯১৯ সালে মন্টেগু চেমসফোর্ড সংস্কার আইন চালু হয়।

মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইনের দুটি শর্ত উল্লেখ কর।

 মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইনের দুটি শর্ত হল  ১) ভারতীয় প্রতিনিধি নিয়োগ। বড়োলাটের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহক পরিষদে এবং প্রতিটি প্রাদেশিক পরিষদে একজন করে ভারতীয় প্রতিনিধি নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। ২) সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি। বাংলা, বোম্বাই, মাদ্রাজ প্রভৃতি প্রদেশের গভর্নরের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য সংখ্যা ২ থেকে ৪ জন করার সিদ্ধান্ত হয়। নমুনা প্রশ্ন - ২০১৪

 মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন কবে পাস হয়?

 মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন ১৯০৯ সালে পাস হয়। উঃ মাঃ ২০১৬

বর্ণবৈষম্য নীতি (Caste Discrimination Custom) কোন দেশে বলবৎ হয়?

বর্ণবৈষম্য নীতি (Caste Discrimination Custom) দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ইত্যাদির মত দেশে বলবৎ হয়?

'সোশ্যাল ডারউইনবাদে'র প্রবক্তা কে?

'সোশ্যাল ডারউইনবাদ' বা 'সামাজিক দারুইনবাদ'র প্রবক্তা হলেন হার্বাড স্পেনসার। উঃ মাঃ - ২০১৭

'শ্বেতাঙ্গদের বোঝা' বা 'সাদা চামড়ার দায়বদ্ধতা' বলতে কী বোঝ?

শ্বেতাঙ্গরা নিজেদের উন্নত সভ্যতা ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক বলে মনে করত। ইংরেজ কবি রুডইয়ার্ড কিপলিং ও ফরাসি লেখক জুলি ফেরি এ ব্যাপারে শ্বেতাঙ্গ জাতিকে পৃথিবীর বিভিন্ন অনুন্নত জাতিকে উন্নত করার দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানান। তাঁদের মতে এই দায়িত্ব নেওয়াটা শ্বেতাঙ্গ জাতির দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে। এটাই ইতিহাসে ' শ্বেতাঙ্গদের বোঝা' বা ' শ্বেতাঙ্গদের দায়বদ্ধতা ' বলে অভিহিত। এদের এই মতবাদ ' হোয়াইট মেনস বার্ডেন (White Man's Burden) তত্ত্ব ' নামে পরিচিত। উঃ মাঃ - ২০১৭

শিল্পবিপ্লব সর্বপ্রথম কোথায় শুরু হয়েছিল?

শিল্পবিপ্লব সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডে শুরু হয়েছিল? নমুনাপ্রশ্ন - ২০১৪

'হবসন-লেনিন তত্ব' বলতে কী বোঝ?

সাম্রাজ্যবাদের উৎপত্তি ও বিকাশ বিষয়ে হবসন ও লেনিন যে তত্ব উপস্হাপন করেছেন তা হবসন-লেনিন তত্ব নামে পরিচিত। হবসন মতে - ১) পুঁজিপতি শ্রেণি তাদের উদবৃত্ত পুঁজি বিনিয়োগ, সস্তায় কাঁচামাল সংগ্রহ এবং শিল্পপণ্যের বাজার দখলের মাধ্যমে মুনাফা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে উপনিবেশ দখলে সরকারকে বাধ্য করে। ২) সেই সঙ্গে তিনি বলেন, সম্পদের সুষম বন্টনের মাধ্যমে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ালে উদবৃত্ত শিল্পপণ্য দেশের জনগণই কিনতে পারবে। ফলে শিল্পপণ্য বিক্রি করার জন্য উপনিবেশ দখলের দরকার হয়না। লেনিন তাঁর ব্যাখ্যায়, হবসনের মতের সঙ্গে সহমত পোষণ করে বলেন - ১) এই উপনিবেশ দখলের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হল উপনিবেশ দখলের লড়াই, যা প্ৰথম বিশ্বযুদ্ধ ডেকে এনেছে। ২) উপনিবেশ থেকে শোষিত অর্থের দ্বারা পুঁজিপতি শ্রেণী কিছু শ্রমিককে উৎকোচ দিয়ে একটি অনুগত ও অভিজাত শ্রমিক শ্রেনির জন্ম দেয়। এরা বিপ্লবের কথা ভুলে বুর্জোয়াদের সমর্থন করে। হবসন ও লেনিনের এই তত্ত্বই হবসন-লেনিন তত্ত্ব নামে পরিচিত।

সাম্রাজ্যবাদ বিষয়ে জে এ হবসনের মূল বক্তব্য কী ছিল?

প্রখ্যাত ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জে এ হবসন বলেছেন, পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় পুঁজিপতি শ্রেণি বাণিজ্যের মাধ্যমে মূলধনের পাহাড় গড়ে তোলে। এই উদবৃত্ত পুঁজি বিনিয়োগের মাধ্যমে আরও মুনাফা বাড়ানোর নেশায় মেতে ওঠে। এই উদ্দেশ্যে পুঁজিপতিরা সরকারকে উপনিবেশ দখলের জন্য চাপ তৈরি করে এবং সরকারগুলি উপনিবেশ দখলের লড়াইয়ে নেমে পড়ে।

জে এ হবসনের বইটির নাম কী?

জে এ হবসনের লেখার বইয়ের নাম 'Imperialism : A Study'. বিকল্প প্রশ্ন : সাম্রাজ্যবাদ বিষয়ে জে এ হবসনের লেখা গ্রন্থের নাম লেখ। উঃ মাঃ - ২০১৫

হিলফার্ডিং-এর লেখা বইটির নাম লেখো।

হিলফার্ডিং-এর লেখা বইটির নাম হল - Finance Capital.

'লগ্নি পুঁজি' কাকে বলে?

শিল্প বা বাণিজ্য থেকে অর্জিত অতিরিক্ত পুঁজি বা মুনাফা যখন আরও মুনাফা অর্জনের জন্য আবার কোনো শিল্পে অথবা বাণিজ্যে বিনিয়োগ করা হয় তখন তাকে লগ্নি পুঁজি বলে। এর ফলে পুঁজিবাদের ধারা আরও ব্যাপকতা পায়। উঃ মাঃ - ২০১৭

মার্কেন্টাইলবাদ বা বনিকবাদ বলতে কী বোঝ?

মার্কেন্টাইলবাদ বা বনিকবাদ এক কথায়,  'মার্কেন্টাইলবাদ'  হল রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বা সুরক্ষিত অর্থনৈতিক নীতি।  ষোড়শ থেকে অষ্টাদশ শতকের মধ্যে ইউরোপে মার্কেন্টাইলবাদ বা বনিকবাদ আত্মপ্রকাশ করে। মূলত রাষ্ট্রকে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক দিক থেকে সমৃদ্ধশালী করে তোলার জন্য এই মতবাদ গড়ে ওঠে । এই মতবাদের মূলকথা হল - বুলিয়ান সঞ্চয়, উপনিবেশ প্ৰতিষ্ঠা, খনিজ উৎপাদন ও শিল্পের উন্নতির দ্বারা বাণিজ্যের ভারসাম্য বজায় রাখা। লর্ড একটনের মতে, মার্কেন্টাইলবাদ এমন এক মতবাদ যা স্বৈরতন্ত্রের পরিপূরক। উঃ মাঃ - ২০১৬ এই বিষয়ে আরও প্রশ্ন ও উত্তর : মার্কেন্টাইল অর্থনীতি (পুঁজি) কী? এর বৈশিষ্ঠ আলোচনা কর। কীভাবে এর অবসান হয়? ২ + ৩ + ৩ = ৮ মার্কেন্টাইল অর্থনীতির প্রভাব ( ফলাফল ) বা গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর । ৪

'বাণিজ্যিক মূলধন' বা 'বাণিজ্যিক পুঁজি' বলতে কী বোঝ?

শিল্পবিপ্লবের আগে পুঁজিপতিরা বাণিজ্যে মূলধন বিনিয়োগ করতেন। বাণিজ্যে নিয়োজিত এই মূলধন 'বাণিজ্যিক মূলধন' বা 'বাণিজ্যিক পুঁজি' নামে পরিচিত। উঃ মাঃ - ২০১৫, ২০১৮

কতসালে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র গঠিত হয়?

১৭৭৬ সালে আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের দ্বারা ইংল্যান্ডকে পরাজিত করে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) গঠিত হয়। উঃ মাঃ - ২০১৮।


বাংলা বই ★ দ্বাদশ শ্রেণি
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার 👆আদর্শ প্রশ্নোত্তরের একমাত্র পোর্টাল

জনপ্রিয় প্রশ্ন-উত্তরগুলি দেখুন

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তগুলি (বৈশিষ্ঠ্য) উল্লেখ কর। ভারতের আর্থ-সামাজিক ইতিহাসে এই ভূমি-ব্যবস্থার গুরুত্ব আলোচনা কর।

অথবা , চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি ব্যাখ্যা কর । এপ্রসঙ্গে ভারতের কৃষক সমাজের ওপর এই বন্দোবস্ত কীরূপ প্রভাব ফেলেছিল বর্ননা কর । উত্তর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত । চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হল এক ধরণের ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা ।   ১৭৯৩ সালে  লর্ড কর্ণওয়ালিস বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যায় এই ভূমি-ব্যবস্থা চালু করেন । পরবর্তীকালে বারাণসী , উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ও মাদ্রাস প্রেসিডেন্সির কোনো কোনো অঞ্চলে  এই ব্যবস্থা  চালু করা হয় । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি । কোম্পানির কর্মচারী ও ঐতিহাসিক আলেকজান্ডার ডাও ১৭৭২ সালে  প্রথম  চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কথা বলেন । এরপর হেনরি পাত্তুলো , ড্যাক্রিস , টমাস ল প্রমুখ এই বন্দোবস্তের সপক্ষে যুক্তি দেখান । ১৭৮৬ সালে কর্ণওয়ালিশ গভর্নর জেনারেল হয়ে ভারতে আসেন ।  তিন বছর ধরে  তিনি  বাংলার ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যপক অনুসন্ধান চালান ।  এরপর ১৭৯০ সালে দেশীয় জমিদারদের সঙ্গে দশ বছরের জন্য একটি বন্দোবস্ত করেন, যা ‘ দশসালা বন্দোবস্ত ’ নামে পরিচিত । সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন , ইংল্যান্ডের কর্তপক্ষ অনুমোদন করলে এই বন্দোবস্তই ‘ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ’ -এ পরিণত হবে

জাদুঘর কাকে বলে? অতীত পুনর্গঠনে জাদুঘরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা , জাদুঘর কী ? জাদুঘরের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলি বর্ননা কর । অথবা , জাদুঘর বলতে কী বোঝ ? আধুনিক ইতিহাস রচনায় জাদুঘরের গুরুত্ব লেখ । উঃ জাদুঘরের সংজ্ঞা বাংলা ‘ জাদুঘর ’ শব্দটির ইংরাজি প্রতিশব্দ হল মিউজিয়াম ( Museum) । ‘ মিউজিয়াম ’ শব্দটির মূল উৎস হল প্রাচীন গ্রীক শব্দ Mouseion ( মউসিয়ান) , যার অর্থ হল গ্রীক পুরাণের শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক মিউসদের মন্দির । এই ধরণের মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে প্রাচীন গ্রিসে পাঠাগার , প্রাচীন শিল্পকলা প্রভৃতির সংগ্রহশালা গড়ে উঠত । ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মিউজিয়াম -এর মতে, জাদুঘর হল একটি অলাভজনক, জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত এবং স্থায়ী সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান যা শিক্ষালাভ, জ্ঞানচর্চা ও আনন্দলাভের উদ্দেশ্যে মানব ঐতিহ্যের স্পর্শযোগ্য ও স্পর্শ-অযোগ্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করে, সংরক্ষণ করে, প্রদর্শন করে এবং সেগুলি নিয়ে গবেষণা করে। উদাহরণ – ব্রিটিশ মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ের নিদর্শন। এখানে পৃথক পৃথক ঘরে পৃথক পৃথক বিষয়ের নিদর্শন প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। জাদুঘরের উদ্দেশ্য , ক

ঠান্ডা লড়াই কী? ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি আলোচনা করো।

ঠান্ডা লড়াই কী : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের (১৯৪৫) পর পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ পরস্পর দুটি রাষ্ট্রজোটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। একটি আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট অন্যটি সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট। এই দুই রাষ্ট্রজোট কোন প্রত্যক্ষ যুদ্ধ না করেও দীর্ঘকাল ধরে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও যুদ্ধের আবহ বা ছায়াযুদ্ধ চালাতে থাকে। এই ছায়াযুদ্ধই ইতিহাসে 'ঠান্ডা লড়াই' নাম পরিচিত। মার্কিন সাংবাদিক ওয়াল্টার লিপম্যান ( Walter Lippmaan ) ১৯৪৭ সালে তাঁর The Cold War গ্রন্থে সর্বপ্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য : 'ঠান্ডা লড়াই কী' এই অংশের জন্য ৩/৪ (তিন বা চার ) নম্বর (মার্কস) থাকলে অথবা বৈশিষ্ঠ্য লিখতে বললে  এখানে ক্লিক কর এবং যে অংশ বের হবে তা এই পয়েন্টের নিচে জুড়ে দাও। ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি : ঠান্ডা লড়াই-এর পিছনে শুধুমাত্র আদর্শগত বা অর্থনৈতিক কারণ বা ভিত্তি কাজ করেছিল এমন নয়। এর পিছনে আরও কিছু বিষয় তথা আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী কার্যকর ছিল। সমগ্র কারণকে এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। সাম্যবাদের বিরোধিতা : রাশিয়ায়

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল বর্ননা কর।

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল পলাশির যুদ্ধ ১৭৫৬ সালে নবাব আলীবর্দি মারা যান । এরপর তাঁর পৌত্র সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার সিংহাসন আরোহন করেন । সিংহাসন আরোহনের কিছুদিনের মধ্যেই ইংরেজদের সাথে তাঁর বিরোধ বাঁধে , যার চূড়ান্ত পরিনতি হল ১৭৫৭ সালের পলাশির যুদ্ধ ।   এই যুদ্ধের পটভূমি বিশ্লেষণ করলেই সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি পরিষ্কার হয়ে ওঠে । সেই সঙ্গে এটাও বোঝা যাবে এই বিরোধে সিরাজেরে ‘ অহমিকাবোধ ’ ও ‘ অর্থলোভ ’ দায়ী ছিল কিনা । পলাশির যুদ্ধের পটভূমি / কারণ সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি হল –   আনুগত্যদানে বিলম্ব। সিরাজ বাংলার সিংহাসনে বসলে প্রথা অনুযায়ী নবাবের প্রতি আনুগত্য জানিয়ে ফরাসি, ওলন্দাজ প্রভৃতি কোম্পানিগুলি উপঢৌকন পাঠালেও ইংরেজরা ইচ্ছা করে উপঢৌকন পাঠাতে দেরি করে। এতে সিরাজ অপমানিত হন।   ষড়যন্ত্রের সংবাদ। সিংহাসনে বসার সময় থেকে ঘষেটি বেগম, সৌকত জঙ্গ ও কয়েকজন রাজকর্মচারি সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র লিপ্ত ছিলেন। খবর আসে যে, এই ষড়যন্ত্রে ইংরেজরা যুক্ত আছে এবং তাঁকে সরিয়ে অনুগত কাউকে সিংহাসনে বসানোর চক্রান্ত করছে।   কৃষ্ণদাসকে আশ্রয়দান। ঘষেটি বেগমের প্রিয়পাত্র ঢা

বাংলার সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা, বাংলার সমাজ ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর। অথবা, ঊনবিংশ শতকে নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান উল্লেখ কর। অথবা, উনিশ শতকের নবজাগরণে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা কি ছিল? এ প্রসঙ্গে নারীজাতির উন্নয়নে তাঁর অবদান ব্যাখ্যা কর।  বিদ্যাসাগর ও সংস্কার আন্দোলন : ঊনবিংশ শতকে ভারতে যে কজন সংস্কারকের জন্ম হয়েছিল তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি ছিলেন বঙ্গীয় নবজাগরণের মূর্ত প্রতীক। তাঁর মধ্যে ইউরোপীয় নবজাগরণের প্রবল যুক্তিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, প্রগাঢ় মানবতাবাদ, এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবাদর্শের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছিল। মাইকেল মধুসূদনের মতে, ' যার মনীষা প্রাচীন ঋষিদের মতো, কর্মদক্ষতা ইংরেজদের মত এবং হৃদয়বত্তা বাঙালি জননীর মত। ' বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টা : বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টাকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যায়। এক . শিক্ষা সংস্কার, দুই . সমাজ সংস্কার। তবে তাঁর এই দুই প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে ছিল নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি। (১) 

চিনের ৪ ঠা মে আন্দোলনের কারণ বিশ্লেষণ কর। এই আন্দোলনের প্রভাব আলোচনা কর। (২০১৬)

অথবা, বিংশ শতকে চিনে ৪ ঠা মে-র আন্দোলনের উত্থান ও গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। চিনের সেই সময়কার দুটি উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্রের নাম লেখো। অথবা, চিনের ৪ ঠা মের আন্দোলনের পটভূমি আলোচনা কর। এই আন্দোলনের ফলাফল বা তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।  ৪ ঠা মে-র আন্দোলন : ১৯১৪  সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপান চিনে আগ্রাসন চালায়। যুদ্ধে চীন মিত্রপক্ষে যোগ দিলেও যুদ্ধের পর তারা কোনো সুবিচার পায় নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি আধিপত্যের বিরুদ্ধে চিনা জাতীয়তাবাদী জনগণ চেন-তু-শিউ এর নেতৃত্বে  ১৯১৯ সালে ৪ ঠা মে পিকিং-এর তিয়েন-আন-মেন স্কোয়ার -এ  এক আন্দোলনের ডাক দেয়। এই আন্দোলন চিনের ইতিহাসে ৪ ঠা মে-র আন্দোলন নামে পরিচিত। আন্দোলনের কারণ ( পটভূমি ) : এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করলে এর কারণগুলি অনুধাবন করা যায়। ইউয়ান-সি-কাই এর নৃশংসতা : ১৯১১ সালে বিপ্লবের পর রাষ্ট্রপতি সান-ইয়াত-সেন দেশের গৃহযুদ্ধ এড়াতে ইউয়ান-সি-কাই  - এর অনুকূলে স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রপতি পদ ত্যাগ করেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর  ইউয়ান-সি-কাই  সমস্ত সাংবিধানিক পদ্ধতি বাতিল করে সামরিক একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। এর প্রতিবাদ করলে কুয়োমি

তিন আইন কী?

তিন আইন কী? ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলনের ফলে ১৮৭২ সালে ব্রিটিশ সরকার বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রভৃতি সামাজিক কুসংস্কারগুলি নিষিদ্ধ করে এবং বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়। যে আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার এই ঘোষণা জারি করে তাকে ' তিন আইন ' বলে।

'মুক্তদ্বার নীতি' (Open Door Policy) কী?

চিনে ইউরোপীয় দেশগুলির উপনিবেশিক আধিপত্য স্থাপনের ফলে আমেরিকা শঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা ভাবতে শুরু করে এর ফলে চিনে আমেরিকার বাণিজ্যিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই পরিস্থিতিতে ১৮৯৯ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জন হে চিন সম্পর্কে যে নীতি গ্রহণ করেছিলেন তা মুক্তদ্বার নীতি নামে পরিচিত। এই নীতিতে বলা হয়, বিভিন্ন ইউরোপীয় শক্তি দ্বারা অধিকৃত চিনের বিভিন্ন অঞ্চলে আমেরিকার সমান বাণিজ্যিক সুবিধা দিতে হবে।

ভাইকম সত্যাগ্রহ কী

ভাইমক বর্ণহিন্দুদের একটি মন্দির । দক্ষিণ ভারতের ত্রিবাঙ্কুরে এটি অবস্থিত। এই মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষদের চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। শ্রীনারায়ণ গুরু বর্ণহিন্দুদের এই বর্নবিদ্বেষী প্রথার বিরুদ্ধে এবং মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষের হাঁটার দাবিতে যে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তা ভাইকম সত্যাগ্রহ নামে পরিচিত। আন্দোলনের ব্যাপকতায় মুগধ হয়ে গান্ধিজি একে সমর্থন করেন। শেষ পর্যন্ত এই আন্দোলন জয়যুক্ত হয়।

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল?

কোন পরিস্থিতিতে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) শুরু হয়? এই মামলায় অভিযুক্ত কয়েকজন শ্রমিক নেতার নাম লেখো। এই মামলার ফলাফল কী হয়েছিল? অথবা, মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল? অথবা, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কমিউনিস্ট পার্টির অবদানের একটি উদাহরণ দাও। এপ্রসঙ্গে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষাপট আলোচনা কর। এই মামলার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। উত্তর : মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা : ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে কমিউনিস্টদের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে ব্রিটিশ সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এইরূপ পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেছিল। মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) হল এরকমই এক দমননীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মামলার প্রেক্ষাপট : ১) শ্রমিক-মালিক বিরোধ । ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে ভারতে শিল্পায়ন শুরু হলে শ্রমিক শ্রেণির উদ্ভব হয়। বিংশ শতকের প্রথম দিকে মালিক শ্রেণির শোষণ ও অত্যাচারে শ্রমিক-মালিক সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। শ্রমিক শ্রেণির অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিস্টরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন জোরদার করে তুলে ব্রিটিশ সরকার চিন্তায় পড়ে যা