সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ভারত লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সার্ক (SAARC) কী?

সার্ক হল দক্ষিণ এশিয়ার একটি আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা। এর পুরো নাম 'দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা'  ( South Asian Association for Regional Co-operation) । ১৯৭৯ সালে এই সংস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে সর্বপ্রথম উদ্যোগ নেন স্বাধীন বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। অবশেষে ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় মোট ৭টি দেশ নিয়ে এই সংস্থা আত্মপ্রকাশ করে। এর সদস্য রাষ্ট্রগুলি হল ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ।  -----------x---------- অষ্টম অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন বিভাগের আরও প্রশ্ন  ১)  অব-উপনিবেশবাদ কী?   ২)  অব-উপনিবেশিকরণ শব্দটি কে কবে প্রথম ব্যবহার করেন?  ৩)  নয়া-উপনিবেশবাদ কী?  ৪)  তৃতীয় বিশ্ব কী?   ৫)  'তৃতীয় বিশ্ব' কথাটি কবে, কোথায়, কে প্রথম ব্যবহার করেন?  ৬)  কোন দেশকে কেন্দ্র করে আফ্রিকা ঠান্ডা যুদ্ধের আবর্তে জড়িয়ে পড়ে?  ৭)  আলজেরিয়া কবে কার শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে?   ৮)  বেন বেল্লা কে ছিলেন?  ৯)  'ত্রিপোলি কর্মসূচি' কী?  ১০)  HIT AND RUN নীতি কী? ১১)  PIED NOIRS কাদের বলা হয়? ১২)  'কালো অক্টোবর' (BLACK OCTOBR)

নেহেরু-মহলানবিশ মডেল কী?

প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ ছিলেন ইন্ডিয়ান স্টাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট-এর প্রখ্যাত পরিসংখ্যানবিদ। ১৯৫৫ সালে রুশ অর্থনীতির অনুকরণে ভারী শিল্পের প্রসারের জন্য একটি উন্নয়ন মডেল তৈরি করেন। প্রধানমন্ত্রী নেহেরু এই মডেলকে কিছুটা সংশোধন করে দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় প্রয়োগ করেন। এই সংশোধিত উন্নয়ন মডেল ' নেহেরু-মহলানবিশ মডেল ' নামে পরিচিত। -----------x---------- অষ্টম অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন বিভাগের আরও প্রশ্ন  ১)  অব-উপনিবেশবাদ কী?   ২)  অব-উপনিবেশিকরণ শব্দটি কে কবে প্রথম ব্যবহার করেন?  ৩)  নয়া-উপনিবেশবাদ কী?  ৪)  তৃতীয় বিশ্ব কী?   ৫)  'তৃতীয় বিশ্ব' কথাটি কবে, কোথায়, কে প্রথম ব্যবহার করেন?  ৬)  কোন দেশকে কেন্দ্র করে আফ্রিকা ঠান্ডা যুদ্ধের আবর্তে জড়িয়ে পড়ে?  ৭)  আলজেরিয়া কবে কার শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে?   ৮)  বেন বেল্লা কে ছিলেন?  ৯)  'ত্রিপোলি কর্মসূচি' কী?  ১০)  HIT AND RUN নীতি কী? ১১)  PIED NOIRS কাদের বলা হয়? ১২)  'কালো অক্টোবর' (BLACK OCTOBR) কী? ১৩)  'লাল সন্তদের দিন' কী? ১৪)  জেসুইট ম্যাসু কে ছিলেন?   ১৫)  কোন বছরকে কেন 'আফ্রিকার বছর

প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ কে ছিলেন?

প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ ছিলেন ইন্ডিয়ান স্টাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট-এর প্রখ্যাত পরিসংখ্যানবিদ। ভারতে প্রযুক্তির উন্নতিতে যেসমস্ত বিজ্ঞানী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন তিনি ছিলেন তাঁদের অন্যতম। দেশে ভারী শিল্প গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর পরিকল্পিত মডেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল যা ' নেহেরু-মহলানবিশ মডেল ' নামে পরিচিত।  -----------x---------- অষ্টম অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন বিভাগের আরও প্রশ্ন  ১)  অব-উপনিবেশবাদ কী?   ২)  অব-উপনিবেশিকরণ শব্দটি কে কবে প্রথম ব্যবহার করেন?  ৩)  নয়া-উপনিবেশবাদ কী?  ৪)  তৃতীয় বিশ্ব কী?   ৫)  'তৃতীয় বিশ্ব' কথাটি কবে, কোথায়, কে প্রথম ব্যবহার করেন?  ৬)  কোন দেশকে কেন্দ্র করে আফ্রিকা ঠান্ডা যুদ্ধের আবর্তে জড়িয়ে পড়ে?  ৭)  আলজেরিয়া কবে কার শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে?   ৮)  বেন বেল্লা কে ছিলেন?  ৯)  'ত্রিপোলি কর্মসূচি' কী?  ১০)  HIT AND RUN নীতি কী? ১১)  PIED NOIRS কাদের বলা হয়? ১২)  'কালো অক্টোবর' (BLACK OCTOBR) কী? ১৩)  'লাল সন্তদের দিন' কী? ১৪)  জেসুইট ম্যাসু কে ছিলেন?   ১৫)  কোন বছরকে কেন '

কবে, কোথায় ভারতের প্রথম পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটানো হয়?

ভারতের প্রথম পরমাণু বিস্ফোরণ ১৯৭৪ সালে ১৮ মে রাজস্থানের পোখরানে ভারতের প্রথম পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটানো হয়? এই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধি।  -----------x---------- অষ্টম অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন বিভাগের আরও প্রশ্ন  ১)  অব-উপনিবেশবাদ কী?   ২)  অব-উপনিবেশিকরণ শব্দটি কে কবে প্রথম ব্যবহার করেন?  ৩)  নয়া-উপনিবেশবাদ কী?  ৪)  তৃতীয় বিশ্ব কী?   ৫)  'তৃতীয় বিশ্ব' কথাটি কবে, কোথায়, কে প্রথম ব্যবহার করেন?  ৬)  কোন দেশকে কেন্দ্র করে আফ্রিকা ঠান্ডা যুদ্ধের আবর্তে জড়িয়ে পড়ে?  ৭)  আলজেরিয়া কবে কার শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে?   ৮)  বেন বেল্লা কে ছিলেন?  ৯)  'ত্রিপোলি কর্মসূচি' কী?  ১০)  HIT AND RUN নীতি কী? ১১)  PIED NOIRS কাদের বলা হয়? ১২)  'কালো অক্টোবর' (BLACK OCTOBR) কী? ১৩)  'লাল সন্তদের দিন' কী? ১৪)  জেসুইট ম্যাসু কে ছিলেন?   ১৫)  কোন বছরকে কেন 'আফ্রিকার বছর' বলা হয়?   ১৬)  দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ও-শেতাঙ্গ রাষ্ট্রপ্রধানের নাম কী?   ১৭)  ইন্দোচিন কবে ও কার কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে?   ১৮)  'কালচার সিস্টেম' বা 'কালটিভেশন সিস্টেম&#

কাকে কেন 'ভারতের মহাকাশ কর্মসূচির জনক' বলা হয়?

মহাকাশ গবেষণার অগ্রগতি ঘটানোর উদ্দেশ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নের সহযোগিতায় ১৯৬০ এর দশকের শুরুতে 'ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা' (ইসরো) গড়ে তোলা হয়। এই কাজে অসামান্য অবদান রাখেন পদার্থবিদ ড. বিক্রম সারাভাই। তাঁর এই অবদানের জন্য তাঁকে 'ভারতের মহাকাশ কর্মসূচির জনক'  বলা হয়।  -----------x---------- অষ্টম অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন বিভাগের আরও প্রশ্ন  ১)  অব-উপনিবেশবাদ কী?   ২)  অব-উপনিবেশিকরণ শব্দটি কে কবে প্রথম ব্যবহার করেন?  ৩)  নয়া-উপনিবেশবাদ কী?  ৪)  তৃতীয় বিশ্ব কী?   ৫)  'তৃতীয় বিশ্ব' কথাটি কবে, কোথায়, কে প্রথম ব্যবহার করেন?  ৬)  কোন দেশকে কেন্দ্র করে আফ্রিকা ঠান্ডা যুদ্ধের আবর্তে জড়িয়ে পড়ে?  ৭)  আলজেরিয়া কবে কার শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে?   ৮)  বেন বেল্লা কে ছিলেন?  ৯)  'ত্রিপোলি কর্মসূচি' কী?  ১০)  HIT AND RUN নীতি কী? ১১)  PIED NOIRS কাদের বলা হয়? ১২)  'কালো অক্টোবর' (BLACK OCTOBR) কী? ১৩)  'লাল সন্তদের দিন' কী? ১৪)  জেসুইট ম্যাসু কে ছিলেন?   ১৫)  কোন বছরকে কেন 'আফ্রিকার বছর' বলা হয়?   ১৬)  দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ও-শেতাঙ্গ রাষ্ট্রপ্রধ

ISRO কী? এটি কার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?

ISRO র পুরো নাম  ISRO র পুরো নাম হল 'ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন'। স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এবং বিক্রম সারাভাই-এর যৌথ উদ্যোগে ১৯৬২ সালে গড়ে তোলা হয়েছিল। এটি বর্তমানের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটাতে অবস্থিত। এর উদ্দেশ্য ভারতে মহাকাশ গবেষণায় অগ্রগতি ঘটানো।  -----------x---------- অষ্টম অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন বিভাগের আরও প্রশ্ন  ১)  অব-উপনিবেশবাদ কী?   ২)  অব-উপনিবেশিকরণ শব্দটি কে কবে প্রথম ব্যবহার করেন?  ৩)  নয়া-উপনিবেশবাদ কী?  ৪)  তৃতীয় বিশ্ব কী?   ৫)  'তৃতীয় বিশ্ব' কথাটি কবে, কোথায়, কে প্রথম ব্যবহার করেন?  ৬)  কোন দেশকে কেন্দ্র করে আফ্রিকা ঠান্ডা যুদ্ধের আবর্তে জড়িয়ে পড়ে?  ৭)  আলজেরিয়া কবে কার শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে?   ৮)  বেন বেল্লা কে ছিলেন?  ৯)  'ত্রিপোলি কর্মসূচি' কী?  ১০)  HIT AND RUN নীতি কী? ১১)  PIED NOIRS কাদের বলা হয়? ১২)  'কালো অক্টোবর' (BLACK OCTOBR) কী? ১৩)  'লাল সন্তদের দিন' কী? ১৪)  জেসুইট ম্যাসু কে ছিলেন?   ১৫)  কোন বছরকে কেন 'আফ্রিকার বছর' বলা হয়?   ১৬)  দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ও-শে

কবে, কার উদ্যোগে এবং ভারতের কোথায় প্রথম IIT প্রতিষ্ঠিত হয়?

১৯৫১ সালে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর উদ্যোগে খড়্গপুরে সর্বপ্রথম IIT বা Indian Institute of Technology গড়ে তোলেন। এর উদ্যেশ্য ছিল শিল্পের অগ্রগতি ঘটানোর জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রযুক্তিবিদদের সংখ্যা বাড়ানো। 

কে কী উদ্দেশ্যে CSIR প্রতিষ্ঠা করেন?

জওহরলাল নেহেরু বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে CSIR প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ছিল - বৈজ্ঞানিক অগ্রগতিকে আর্থিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা।

হোমি জাহাঙ্গীর ভাবা কে ছিলেন?

হোমি জাহাঙ্গীর ভাবা হোমি জাহাঙ্গির ভাবা ছিলেন ভারতের একজন প্রখ্যাত পরমাণুবিজ্ঞানী। ১৯৪৮ সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু তাঁর সভাপতিত্বে একটি পরমাণু শক্তি কমিশন গঠন করেন। তাঁর নেতৃত্বে এই কমিশন নিরন্তর গবেষণার ভিত্তিতে ভারতে বিশ্বমানের পরমাণু প্রযুক্তি কৌশল তৈরি করে। আর এই কারণে তাঁকে ' ভারতে পরমাণু কর্মসূচির জনক' বলা হয়। ----------x---------- বিকল্প প্রশ্ন : ১) কাকে কেন ভারতের পরমাণু কর্মসূচির জনক' বলা হয়? ২) ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রথম সভাপতি কে?

'গম বিপ্লব' (Wheat Revolution) কী?

১৯৬০ এর দশকে প্রখ্যাত কৃষিবিজ্ঞানী ড. এম এস স্বামীনাথনের উদ্যোগে ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশের সবুজ বিপ্লবের পরিকল্পনা করা হয়। এই পরিকল্পনা অনুসারে উচ্চফলনশীল গমের বীজ, সার ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। ফলে এই সময় গমের উৎপাদন বহুগুণ বেড়ে যায়। এই ঘটনা 'গম বিপ্লব' নামে পরিচিত।

সবুজ বিপ্লব (Green Revolution) বলতে কী বোঝায়?

সবুজ বিপ্লব পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মাধ্যমে সার, উন্নত প্রযুক্তি ও উচ্চফলনশীল বীজ ব্যবহার, ইত্যাদির ফলে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ভারতে শস্য-উৎপাদন-ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তন 'সবুজ বিপ্লব' বা 'Green Revolution' নামে পরিচিত।

'পরিকল্পনা ছুটির যুগ' বা 'Plan Holiday' কী?

১৯৬৬ সালে চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও যুদ্ধ ও খরাজনিত খাদ্য সংকট ও ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতির কারণে ভারত সরকার পরিকল্পনা রূপায়ণ স্থগিত করে রাখে। তাই ১৯৬৬-১৯৬৯ সাল পর্যন্ত সময়কালকে 'পরিকল্পনা ছুটির যুগ' বা ' পরিকল্পনা বিরতিকাল '। অর্থাৎ এই সময়কালে ভারতের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কোনো লক্ষ্যকে সামনে রেখে পরিচালিত হয়নি।

'ভারতের অর্থনীতির অগ্রদূত' কাকে বলে হয়?

'ভারতীয় অর্থনীতির অগ্রদূত' বলা হয় বিশিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার  মোক্ষগুনডম বিশ্বেশ্বরাইয়াকে।

তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার ফলাফল কী হয়েছিল?

তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার দ্বারা সমাজের কয়েকটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এগুলি হল - ১) ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদের আমলে সমাজে যে আর্থিক স্থবিরতার জন্ম হয়েছিল তা সম্পূর্ণ কেটে গিয়েছিল। ২) বৈচিত্র্যময় শিল্পসমৃদ্ধি সমাজে আশীর্বাদস্বরূপ হয়ে উঠেছিল। ৩) জাতীয় আয় শতকরা ৬২.৩ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছিল।

দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় গড়ে ওঠা তিনটি লৌহ-ইস্পাত কারখানার নাম লেখো।

দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় গড়ে ওঠা তিনটি লৌহ-ইস্পাত কারখানার নাম হল - ১) জার্মানি র সহযোগিতায় উড়িষ্যার 'রাউরকেল্লায় ইস্পাত কারখানা (১৯৫৩)।  ২) ব্রিটেনে র সহযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা (১৯৫৬) ।  ৩) সোভিয়েত ইউনিয়নে র সহযোগিতায় মধ্যপ্রদেশের 'ভিলাই ইস্পাত কারখানা (১৯৫৭)। 

দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার রূপরেখা (MODEL) কে নির্মাণ করেন?

দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার রূপরেখা (MODEL) নির্মাণ করেন প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ। 

ভারতের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মেয়াদ কত ছিল?

ভারতের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মেয়াদ ছিল ১৯৫১ সাল থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত। 

ভারতে কে, কবে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন?

১৯৫১ সালে জওহরলাল নেহেরু ভারতে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। 

জাতীয় উন্নয়ন পর্ষদ (NATIONAL DEVELOPMENT COUNSIL) কবে গঠিত হয়? এর কাজ কী?

যোজনা কমিশনের সদস্য ও সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরদের নিয়ে ১৯৫২ সালে গঠিত হয় 'জাতীয় উন্নয়ন পর্ষদ'। রাজ্যগুলির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তাদের মতপার্থক্য দূর করে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সমন্বয়সাধনের কাজ করা এই পর্ষদের মূল কাজ । এছাড়াও পরিকল্পনা কমিশনের কাজের মূল্যায়ন ও আর্থসামাজিক সমস্যার সমাধান করাও এর অন্যতম কাজ।  

স্বাধীন ভারতে কবে, কার নেতৃত্বে, কেন জাতীয় পরিকল্পনা কমিশন গঠিত হয়েছিল?

স্বাধীন ভারতে ১৯৫০ সালের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু র নেতৃত্বে ভারতের আর্থিক উন্নয়নের লক্ষ্যে 'জাতীয় পরিকল্পনা কমিশন'  গঠিত হয়েছিল। এর মূল লক্ষ ছিল - জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার ও উৎপাদন বৃদ্ধি করা। 


বাংলা বই ★ দ্বাদশ শ্রেণি
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার 👆আদর্শ প্রশ্নোত্তরের একমাত্র পোর্টাল

জনপ্রিয় প্রশ্ন-উত্তরগুলি দেখুন

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তগুলি (বৈশিষ্ঠ্য) উল্লেখ কর। ভারতের আর্থ-সামাজিক ইতিহাসে এই ভূমি-ব্যবস্থার গুরুত্ব আলোচনা কর।

অথবা , চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি ব্যাখ্যা কর । এপ্রসঙ্গে ভারতের কৃষক সমাজের ওপর এই বন্দোবস্ত কীরূপ প্রভাব ফেলেছিল বর্ননা কর । উত্তর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত । চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হল এক ধরণের ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা ।   ১৭৯৩ সালে  লর্ড কর্ণওয়ালিস বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যায় এই ভূমি-ব্যবস্থা চালু করেন । পরবর্তীকালে বারাণসী , উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ও মাদ্রাস প্রেসিডেন্সির কোনো কোনো অঞ্চলে  এই ব্যবস্থা  চালু করা হয় । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি । কোম্পানির কর্মচারী ও ঐতিহাসিক আলেকজান্ডার ডাও ১৭৭২ সালে  প্রথম  চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কথা বলেন । এরপর হেনরি পাত্তুলো , ড্যাক্রিস , টমাস ল প্রমুখ এই বন্দোবস্তের সপক্ষে যুক্তি দেখান । ১৭৮৬ সালে কর্ণওয়ালিশ গভর্নর জেনারেল হয়ে ভারতে আসেন ।  তিন বছর ধরে  তিনি  বাংলার ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যপক অনুসন্ধান চালান ।  এরপর ১৭৯০ সালে দেশীয় জমিদারদের সঙ্গে দশ বছরের জন্য একটি বন্দোবস্ত করেন, যা ‘ দশসালা বন্দোবস্ত ’ নামে পরিচিত । সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন , ইংল্যান্ডের কর্তপক্ষ অনুমোদন করলে এই বন্দোবস্তই ‘ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ’ -এ পরিণত হবে

জাদুঘর কাকে বলে? অতীত পুনর্গঠনে জাদুঘরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা , জাদুঘর কী ? জাদুঘরের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলি বর্ননা কর । অথবা , জাদুঘর বলতে কী বোঝ ? আধুনিক ইতিহাস রচনায় জাদুঘরের গুরুত্ব লেখ । উঃ জাদুঘরের সংজ্ঞা বাংলা ‘ জাদুঘর ’ শব্দটির ইংরাজি প্রতিশব্দ হল মিউজিয়াম ( Museum) । ‘ মিউজিয়াম ’ শব্দটির মূল উৎস হল প্রাচীন গ্রীক শব্দ Mouseion ( মউসিয়ান) , যার অর্থ হল গ্রীক পুরাণের শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক মিউসদের মন্দির । এই ধরণের মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে প্রাচীন গ্রিসে পাঠাগার , প্রাচীন শিল্পকলা প্রভৃতির সংগ্রহশালা গড়ে উঠত । ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মিউজিয়াম -এর মতে, জাদুঘর হল একটি অলাভজনক, জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত এবং স্থায়ী সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান যা শিক্ষালাভ, জ্ঞানচর্চা ও আনন্দলাভের উদ্দেশ্যে মানব ঐতিহ্যের স্পর্শযোগ্য ও স্পর্শ-অযোগ্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করে, সংরক্ষণ করে, প্রদর্শন করে এবং সেগুলি নিয়ে গবেষণা করে। উদাহরণ – ব্রিটিশ মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ের নিদর্শন। এখানে পৃথক পৃথক ঘরে পৃথক পৃথক বিষয়ের নিদর্শন প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। জাদুঘরের উদ্দেশ্য , ক

ঠান্ডা লড়াই কী? ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি আলোচনা করো।

ঠান্ডা লড়াই কী : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের (১৯৪৫) পর পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ পরস্পর দুটি রাষ্ট্রজোটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। একটি আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট অন্যটি সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট। এই দুই রাষ্ট্রজোট কোন প্রত্যক্ষ যুদ্ধ না করেও দীর্ঘকাল ধরে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও যুদ্ধের আবহ বা ছায়াযুদ্ধ চালাতে থাকে। এই ছায়াযুদ্ধই ইতিহাসে 'ঠান্ডা লড়াই' নাম পরিচিত। মার্কিন সাংবাদিক ওয়াল্টার লিপম্যান ( Walter Lippmaan ) ১৯৪৭ সালে তাঁর The Cold War গ্রন্থে সর্বপ্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য : 'ঠান্ডা লড়াই কী' এই অংশের জন্য ৩/৪ (তিন বা চার ) নম্বর (মার্কস) থাকলে অথবা বৈশিষ্ঠ্য লিখতে বললে  এখানে ক্লিক কর এবং যে অংশ বের হবে তা এই পয়েন্টের নিচে জুড়ে দাও। ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি : ঠান্ডা লড়াই-এর পিছনে শুধুমাত্র আদর্শগত বা অর্থনৈতিক কারণ বা ভিত্তি কাজ করেছিল এমন নয়। এর পিছনে আরও কিছু বিষয় তথা আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী কার্যকর ছিল। সমগ্র কারণকে এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। সাম্যবাদের বিরোধিতা : রাশিয়ায়

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল বর্ননা কর।

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল পলাশির যুদ্ধ ১৭৫৬ সালে নবাব আলীবর্দি মারা যান । এরপর তাঁর পৌত্র সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার সিংহাসন আরোহন করেন । সিংহাসন আরোহনের কিছুদিনের মধ্যেই ইংরেজদের সাথে তাঁর বিরোধ বাঁধে , যার চূড়ান্ত পরিনতি হল ১৭৫৭ সালের পলাশির যুদ্ধ ।   এই যুদ্ধের পটভূমি বিশ্লেষণ করলেই সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি পরিষ্কার হয়ে ওঠে । সেই সঙ্গে এটাও বোঝা যাবে এই বিরোধে সিরাজেরে ‘ অহমিকাবোধ ’ ও ‘ অর্থলোভ ’ দায়ী ছিল কিনা । পলাশির যুদ্ধের পটভূমি / কারণ সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি হল –   আনুগত্যদানে বিলম্ব। সিরাজ বাংলার সিংহাসনে বসলে প্রথা অনুযায়ী নবাবের প্রতি আনুগত্য জানিয়ে ফরাসি, ওলন্দাজ প্রভৃতি কোম্পানিগুলি উপঢৌকন পাঠালেও ইংরেজরা ইচ্ছা করে উপঢৌকন পাঠাতে দেরি করে। এতে সিরাজ অপমানিত হন।   ষড়যন্ত্রের সংবাদ। সিংহাসনে বসার সময় থেকে ঘষেটি বেগম, সৌকত জঙ্গ ও কয়েকজন রাজকর্মচারি সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র লিপ্ত ছিলেন। খবর আসে যে, এই ষড়যন্ত্রে ইংরেজরা যুক্ত আছে এবং তাঁকে সরিয়ে অনুগত কাউকে সিংহাসনে বসানোর চক্রান্ত করছে।   কৃষ্ণদাসকে আশ্রয়দান। ঘষেটি বেগমের প্রিয়পাত্র ঢা

বাংলার সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা, বাংলার সমাজ ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর। অথবা, ঊনবিংশ শতকে নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান উল্লেখ কর। অথবা, উনিশ শতকের নবজাগরণে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা কি ছিল? এ প্রসঙ্গে নারীজাতির উন্নয়নে তাঁর অবদান ব্যাখ্যা কর।  বিদ্যাসাগর ও সংস্কার আন্দোলন : ঊনবিংশ শতকে ভারতে যে কজন সংস্কারকের জন্ম হয়েছিল তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি ছিলেন বঙ্গীয় নবজাগরণের মূর্ত প্রতীক। তাঁর মধ্যে ইউরোপীয় নবজাগরণের প্রবল যুক্তিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, প্রগাঢ় মানবতাবাদ, এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবাদর্শের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছিল। মাইকেল মধুসূদনের মতে, ' যার মনীষা প্রাচীন ঋষিদের মতো, কর্মদক্ষতা ইংরেজদের মত এবং হৃদয়বত্তা বাঙালি জননীর মত। ' বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টা : বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টাকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যায়। এক . শিক্ষা সংস্কার, দুই . সমাজ সংস্কার। তবে তাঁর এই দুই প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে ছিল নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি। (১) 

চিনের ৪ ঠা মে আন্দোলনের কারণ বিশ্লেষণ কর। এই আন্দোলনের প্রভাব আলোচনা কর। (২০১৬)

অথবা, বিংশ শতকে চিনে ৪ ঠা মে-র আন্দোলনের উত্থান ও গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। চিনের সেই সময়কার দুটি উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্রের নাম লেখো। অথবা, চিনের ৪ ঠা মের আন্দোলনের পটভূমি আলোচনা কর। এই আন্দোলনের ফলাফল বা তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।  ৪ ঠা মে-র আন্দোলন : ১৯১৪  সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপান চিনে আগ্রাসন চালায়। যুদ্ধে চীন মিত্রপক্ষে যোগ দিলেও যুদ্ধের পর তারা কোনো সুবিচার পায় নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি আধিপত্যের বিরুদ্ধে চিনা জাতীয়তাবাদী জনগণ চেন-তু-শিউ এর নেতৃত্বে  ১৯১৯ সালে ৪ ঠা মে পিকিং-এর তিয়েন-আন-মেন স্কোয়ার -এ  এক আন্দোলনের ডাক দেয়। এই আন্দোলন চিনের ইতিহাসে ৪ ঠা মে-র আন্দোলন নামে পরিচিত। আন্দোলনের কারণ ( পটভূমি ) : এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করলে এর কারণগুলি অনুধাবন করা যায়। ইউয়ান-সি-কাই এর নৃশংসতা : ১৯১১ সালে বিপ্লবের পর রাষ্ট্রপতি সান-ইয়াত-সেন দেশের গৃহযুদ্ধ এড়াতে ইউয়ান-সি-কাই  - এর অনুকূলে স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রপতি পদ ত্যাগ করেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর  ইউয়ান-সি-কাই  সমস্ত সাংবিধানিক পদ্ধতি বাতিল করে সামরিক একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। এর প্রতিবাদ করলে কুয়োমি

তিন আইন কী?

তিন আইন কী? ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলনের ফলে ১৮৭২ সালে ব্রিটিশ সরকার বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রভৃতি সামাজিক কুসংস্কারগুলি নিষিদ্ধ করে এবং বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়। যে আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার এই ঘোষণা জারি করে তাকে ' তিন আইন ' বলে।

'মুক্তদ্বার নীতি' (Open Door Policy) কী?

চিনে ইউরোপীয় দেশগুলির উপনিবেশিক আধিপত্য স্থাপনের ফলে আমেরিকা শঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা ভাবতে শুরু করে এর ফলে চিনে আমেরিকার বাণিজ্যিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই পরিস্থিতিতে ১৮৯৯ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জন হে চিন সম্পর্কে যে নীতি গ্রহণ করেছিলেন তা মুক্তদ্বার নীতি নামে পরিচিত। এই নীতিতে বলা হয়, বিভিন্ন ইউরোপীয় শক্তি দ্বারা অধিকৃত চিনের বিভিন্ন অঞ্চলে আমেরিকার সমান বাণিজ্যিক সুবিধা দিতে হবে।

ভাইকম সত্যাগ্রহ কী

ভাইমক বর্ণহিন্দুদের একটি মন্দির । দক্ষিণ ভারতের ত্রিবাঙ্কুরে এটি অবস্থিত। এই মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষদের চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। শ্রীনারায়ণ গুরু বর্ণহিন্দুদের এই বর্নবিদ্বেষী প্রথার বিরুদ্ধে এবং মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষের হাঁটার দাবিতে যে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তা ভাইকম সত্যাগ্রহ নামে পরিচিত। আন্দোলনের ব্যাপকতায় মুগধ হয়ে গান্ধিজি একে সমর্থন করেন। শেষ পর্যন্ত এই আন্দোলন জয়যুক্ত হয়।

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল?

কোন পরিস্থিতিতে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) শুরু হয়? এই মামলায় অভিযুক্ত কয়েকজন শ্রমিক নেতার নাম লেখো। এই মামলার ফলাফল কী হয়েছিল? অথবা, মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল? অথবা, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কমিউনিস্ট পার্টির অবদানের একটি উদাহরণ দাও। এপ্রসঙ্গে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষাপট আলোচনা কর। এই মামলার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। উত্তর : মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা : ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে কমিউনিস্টদের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে ব্রিটিশ সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এইরূপ পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেছিল। মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) হল এরকমই এক দমননীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মামলার প্রেক্ষাপট : ১) শ্রমিক-মালিক বিরোধ । ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে ভারতে শিল্পায়ন শুরু হলে শ্রমিক শ্রেণির উদ্ভব হয়। বিংশ শতকের প্রথম দিকে মালিক শ্রেণির শোষণ ও অত্যাচারে শ্রমিক-মালিক সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। শ্রমিক শ্রেণির অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিস্টরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন জোরদার করে তুলে ব্রিটিশ সরকার চিন্তায় পড়ে যা