সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

গ্যারান্টি প্রথা কী?

গ্যারান্টি প্রথা) ভারতে ১৮৩২ সাল থেকে রেলপথ স্থাপনের প্রস্তাব উঠতে থাকে। ১৮৫৩ সালে লর্ড ডালহৌসি সর্বপ্রথম বোম্বাই থেকে থানে পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন করেন। ব্রিটিশ কোম্পানিগুলিকে ভারতে রেলপথ স্থাপনে উৎসাহিত করার জন্য সরকার এই সময় কয়েকটি বিষয়ে গ্যারান্টি বা প্রতিশ্রুতি দেয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, বিনামূল্যে জমিদান ও কোম্পানিকে বিনিয়োগ করা মূলধনের ওপর ৫ শতাংশ সুদ প্রদান। এই প্রতিশ্রুতিই ‘গ্যারান্টি প্রথা’ নামে পরিচিত। ------------x---------- ১)  ভারতে রেলপথ স্থাপনের কারণ ও ফলাফল আলোচনা কর। ২)  ভারতে বিভিন্ন উদ্যোগে রেলপথের সম্প্রসারণ সম্পর্কে আলোচনা কর। ৩)  গ্যারান্টি প্রথা কী?

জাদুঘর কাকে বলে ?

জাদুঘরের সংজ্ঞা বাংলা ‘ জাদুঘর ’ শব্দটির ইংরাজি প্রতিশব্দ হল মিউজিয়াম ( Museum) । ‘ মিউজিয়াম ’ শব্দটির মূল উৎস হল প্রাচীন গ্রীক শব্দ Mouseion ( মউসিয়ান) , যার অর্থ হল গ্রীক পুরাণের শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক মিউসদের মন্দির । এই ধরণের মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে প্রাচীন গ্রিসে পাঠাগার , প্রাচীন শিল্পকলা প্রভৃতির সংগ্রহশালা গড়ে উঠত । ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মিউজিয়াম -এর মতে, জাদুঘর হল একটি অলাভজনক, জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত এবং স্থায়ী সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান যা শিক্ষালাভ, জ্ঞানচর্চা ও আনন্দলাভের উদ্দেশ্যে মানব ঐতিহ্যের স্পর্শযোগ্য ও স্পর্শ-অযোগ্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করে, সংরক্ষণ করে, প্রদর্শন করে এবং সেগুলি নিয়ে গবেষণা করে। উদাহরণ – ব্রিটিশ মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ের নিদর্শন। এখানে পৃথক পৃথক ঘরে পৃথক পৃথক বিষয়ের নিদর্শন প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে।

আধুনিক ইতিহাস লিখন পদ্ধতি কী ?

সর্বপ্রথম যথার্থ ইতিহাস লেখার সূত্রপাত করেন প্রাচীন গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস (ইতিহাসের জনক) । এরপর থুকিডিডিস (বৈজ্ঞানিক ইতিহাসের জনক) , ইবন খালদুন (আধুনিক ইতিহাস চর্চার জনক) ইতিহাস রচনায় যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেন । ঊনবিংশ শতকে আধুনিক ইতিহাস চর্চার চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে । এই শতকে ভন র‍্যাঙ্কে আধুনিক ইতিহাস চর্চার বিজ্ঞানসম্মত পথ দেখান । এই পথ অনুসরণ করে বিশ শতকে ব্রদেল , ই.এইচ.কার , ফিশার , লাদুরি , মার্কব্লক প্রমুখ ইতিহাসবিদ যথার্থ ইতিহাসের যে লিখন পদ্ধতি গড়ে তুলেছেন তা আধুনিক ইতিহাস লিখন পদ্ধতি (নীতি) নামে পরিচিত ।

পেশাদারি ইতিহাস কী?

পেশাদারি ইতিহাস হল ইতিহাসের সেই শাখা যা ঘটনার সত্যতা ও বাস্তবতা বজায় রেখে, পক্ষপাতহীন ভাবে, সুসংবদ্ধ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে রচনা করা হয়।                      I.         এই ইতিহাস প্রাথমিক উপাদানের উপর নির্ভর করে যথেষ্ট যাচাই ও বিশ্লেষণ করে লেখা হয়। তাই এর গ্রহণযোগ্যতা বেশি ।                    II.         মানুষের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ও ধর্মীয়জীবনসহ মানব সভ্যতার সমগ্র বিষয়ই পেশাদারি ইতিহাসের আলোচনার বিষয় হয়ে থাকে।

ইতিহাস কী

সমাজবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হল ইতিহাস। ঐতিহাসিক ই. এইছ. কার-এর মতে, ইতিহাস থেকে যে সমস্ত সাধারণ সূত্র গড়ে ওঠে সেগুলি মানুষের খুব কাজে লাগে। তাই বলা হয়, ইতিহাস হল মানব সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ।

মৌখিক ঐতিহ্য কী?

মৌখিক ঐতিহ্য হল এমন এক সংস্কৃতিক ধারণা যা এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে লোকমুখে প্রচলিত হয় । জান ভ্যানসিনা বলেছেন , মৌখিক ঐতিহ্য হল এক ধরণের মৌখিক বার্তা যা কথা , গান প্রভৃতির মাধ্যমে মুখে মুখে পূর্ববর্তী প্রজন্ম অতিক্রম করে পরবর্তী প্রজন্মে পৌঁছায় । Oral History Association – এর মতে , “অতীতের ঘটনা সম্পর্কে মানুষের কন্ঠস্বর , স্মৃতিকথা , বিভিন্ন সম্প্রদায় ও অংশগ্রহণকারীদের বক্তব্য সংগ্রহ , সংরক্ষণ , বিশ্লেষণ ও চর্চা করাকেই মৌখিক ইতিহাস বা মৌখিক ঐতিহ্য বলে” । উদাহরণ – ১) প্রচীন গ্রিসের ইতিহাস , ২) নীলকরদের অত্যাচারের ইতিহাস , ৩) ক্ষুদিরামের ফাঁসি , উদবাস্তু ইতিহাস ইত্যাদি ।

স্মৃতিকথা বলতে কী বোঝ?

উঃ স্মৃতি বলতে মনে রাখা বিষয়কে বোঝায়, যার মধ্য দিয়ে নিকট অতীতকে স্মরণ করা যায়। কোনো কোনো ব্যক্তি তাঁর জীবনের ফেলে আসা সময়ের কোনো ঘটনার স্মৃতিচারণ বা প্রকাশ করে অতীতকে স্মরণ করে। এই অতীত স্মরণকেই বলা হয় স্মৃতিকথা। অন্যভাবে বলা যায় , স্মৃতিকথা হল এক ধরণের সাহিত্য , যেখানে লেখক তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া বা প্রত্যক্ষ করা বিভিন্ন ঘটনার বিবরণ স্মৃতি থেকে তুলে ধরেন । উদাহরণ – জ্যোতি বসুর লেখা “যতদূর মনে পড়ে” । ইংরেজ শাসন ও স্বাধীন ভারতের ইতিহাস জানতে সাহায্য করে ।

লোককথা কী? বা লোকগাথা বলতে কি বোঝ?

উঃ কার্ল টমলিনসন ও ক্যারল লিঞ্চ-ব্রাউনের মতে, মানুষের জীবন ও কল্পনার সংমশ্রণে যেসব গল্পগাথা গড়ে উঠেছে তা-ই হল লোককথা বা লোকগাথা। এই লোককথাগুলিতে এমন সব জগতের কথা থাকে যেখানে প্রাকৃতিক আইন কার্যকর হয় না। প্রকৃতপক্ষে যুগ যুগ ধরে লোকমুখে প্রচারিত এই সকল কাহিনি সাধারণ মানুষকে আনন্দিত, বিস্মিত, ভীত, আবার কখনও কখনও নব প্রেরণায় উদবুদ্ধও করে। উদাহরণ – ১) সাত ভাই চম্পা, ২) আলীবাবা ও চল্লিশ চোর, ইত্যাদি।

আরব জাতীয়তাবাদের আধুনিক সালাদিন নামে কে কেন পরিচিত?

মধ্যপ্রাচ্যে আরব জাতীয়তাবাদের বিরোধী ইসরাইলের উত্থান নাসের মেনে নিতে পারেন নি। ১৯৫৬ সালে অক্টোবরে ইসরাইলের মিশর আক্রমণ করলে তাঁর উদ্যোগে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের নির্দেশে ইসরাইল ব্রিটেন ও ফ্রান্স মিশর থেকে সৈন্য অপসারণে বাধ্য হয়। অন্যদিকে, মিশর ও সিরিয়া দুটি দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ১৯৫৮ সালে সংযুক্ত আরব প্রজাতন্ত্র (UAR) গঠিত হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে মিশরের রাষ্ট্রপতি গামাল আব্দেল নাসেরে র মর্যাদা ও ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং তিনি আরব জাতীয়তাবাদের আধুনিক সালাদিন নামে পরিচিতি লাভ করেন।

'দিয়েন বিয়েন ফু'-র ঘটনা কী?

হো-চি-মিন প্রতিষ্ঠিত ভিয়েতমিনদের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে ফরাসি সেনাপতি নেভারে এক পরিকল্পনা গ্রহণ করেন যা 'নেভারে প্ল্যান' নামে খ্যাত। এই পরিকল্পনা অনুসারে তিনি দিয়েন বিয়েন ফু নামক স্থানে একটি অস্ত্রভাণ্ডার ও দুর্ভেদ্য ঘাঁটি তৈরি করেন। ভিয়েতমিন সেনাপতি জেনারেল নগুয়েন গিয়াপ আক্রমণ চালিয়ে এই ঘাঁটি ছিন্নভিন্ন করে দেন। ৫৭ দিন অবরুদ্ধ থাকার পর ফরাসিরা গিয়াপের কাছে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয় (৭ মে, ১৯৫৪)। এই ঘটনা 'দিয়েন বিয়েন ফু'-র ঘটনা'  নামে পরিচিত। 

কবে 'দিয়েন বিয়েন ফু'-র যুদ্ধ সংঘটিত হয়?

১৯৫৪ সালের মার্চ মাসে ভিয়েতনামে কবে 'দিয়েন বিয়েন ফু'-র যুদ্ধ সংঘটিত হয়। 

কবে ভিয়েতনাম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র স্থাপিত হয়?

১৯৪৫ সালে ভিয়েতনাম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র স্থাপিত হয়। 

কোরিয়া সম্পর্কে জাতিপুঞ্জের অস্থায়ী কমিশন-এর সভাপতি কে ছিলেন?

কোরিয়া সম্পর্কে জাতিপুঞ্জের অস্থায়ী কমিশন-এর সভাপতি ছিলেন ভারতীয় কূটনীতিবিদ কে পি এস মেনন। 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোরিয়াকে কত ডিগ্রি অক্ষাংশ বরাবর ভাগ করা হয়?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোরিয়াকে ৩৮ ডিগ্রি অক্ষাংশ বরাবর ভাগ করা হয়। 

দাঁতাত কী?

দাঁতাত ফরাসি শব্দ। এর অর্থ উত্তেজনা প্রশমন ও বন্ধুত্বের পুনঃপ্রতিষ্ঠা। ঠান্ডাযুদ্ধের আবহে আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে মতাদর্শগত লড়াই এবং পারস্পরিক অবিশ্বাস ও সন্দেহ গভীর সংকটের জন্ম দেয়। ১৯৬০ সালের পর ধীরে ধীরে তার অবসান ঘটতে থাকে এবং এক পারস্পরিক সহাবস্থান নীতি গৃহীত হয়। এই ঘটনাকে বলা হয় দাঁতাত বা বিবাদবসান। 

কিউবা ক্ষেপণাস্ত্র সংকট বলতে কী বোঝো?

কিউবা ক্ষেপণাস্ত্র সংকট বলতে কী বোঝো? কিউবার সাম্যবাদী সরকারকে উৎখাত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিকল্পনা করলে কিউবা সোভিয়েত রাশিয়ার সাহায্য প্রার্থনা করে। ফলে রাশিয়া কিউবায় আণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায় এবং আণবিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকেন্দ্র স্থাপন করে। অন্যদিকে আমেরিকা কিউবার বিরুদ্ধে নৌ-অবরোধ গড়ে তোলে। ফলে সমগ্র ল্যাটিন আমেরিকায় যুদ্ধের পরিমন্ডল তৈরি হয়। এই পরিস্থিতি 'কিউবা (ক্ষেপণাস্ত্র ) সংকট' নামে পরিচিত। এই ঘটনা ঠান্ডাযুদ্ধের পরিস্থিতিকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তোলে।  

ফিদেল কাস্ত্রো কে ছিলেন?

কিউবার জাতীয়তাবাদী নেতা ও কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম সম্পাদক ছিলেন ফিদেল কাস্ত্রো। ১৯৫৯ সালে মার্কিন মদতপুষ্ট কিউবার একনায়কতন্ত্রী বাতিস্তা সরকারকে পদচ্যুত করে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে তিনি দেশের রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন এবং দেশে সাম্যবাদী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। 

সুয়েজ সংকটের আশু কারণ কী ছিল?

সুয়েজ সংকটের আশু কারণ হল - ১৯৫৬ সালে ২৬ জুলাই মিশরের রাষ্ট্রপ্রধান গামাল আবদেল নাসের কতৃক সুয়েজ খাল ও সুয়েজ ক্যানাল কোম্পানির জাতীয়করণের ঘোষণা। 

নাসের কে ছিলেন?

নাসের ছিলেন মিশরের রাষ্ট্রপ্রধান। তিনি ১৯৫৪ সালে জেনারেল নেগুইবকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিশরের ক্ষমতা দখল করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি মিশরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। নীলনদের ওপর আসওয়ান বাঁধ নির্মাণ করে মিশরের কৃষি ও শিল্পের বিকাশ ঘটানো তাঁর উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব। সুয়েজ খালের জাতীয়করণ করার ঘোষণা তাঁকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি এনে দেয় এবং সুয়েজ সংকট সৃষ্টি হয়।

বুলগানিন কে ছিলেন?

নিকোলাই বুলগানিন ছিলেন একজন সোভিয়েত রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৫৩ সালের মার্চ থেকে ১৯৫৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সোভিয়েত রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে দেশ পরিচালনা করেছেন। পূর্ব ইউরোপে সামরিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ও তাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ১৯৫২ সালে যে 'সামরিক সংহতি কমিটি' ( MILITARY CO-ORDINATION COMMITEE )  গড়ে ওঠে বুলগানিন ছিলেন তার চেয়ারম্যান। 


বাংলা বই ★ দ্বাদশ শ্রেণি
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার 👆আদর্শ প্রশ্নোত্তরের একমাত্র পোর্টাল

জনপ্রিয় প্রশ্ন-উত্তরগুলি দেখুন

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তগুলি (বৈশিষ্ঠ্য) উল্লেখ কর। ভারতের আর্থ-সামাজিক ইতিহাসে এই ভূমি-ব্যবস্থার গুরুত্ব আলোচনা কর।

অথবা , চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি ব্যাখ্যা কর । এপ্রসঙ্গে ভারতের কৃষক সমাজের ওপর এই বন্দোবস্ত কীরূপ প্রভাব ফেলেছিল বর্ননা কর । উত্তর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত । চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হল এক ধরণের ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা ।   ১৭৯৩ সালে  লর্ড কর্ণওয়ালিস বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যায় এই ভূমি-ব্যবস্থা চালু করেন । পরবর্তীকালে বারাণসী , উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ও মাদ্রাস প্রেসিডেন্সির কোনো কোনো অঞ্চলে  এই ব্যবস্থা  চালু করা হয় । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি । কোম্পানির কর্মচারী ও ঐতিহাসিক আলেকজান্ডার ডাও ১৭৭২ সালে  প্রথম  চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কথা বলেন । এরপর হেনরি পাত্তুলো , ড্যাক্রিস , টমাস ল প্রমুখ এই বন্দোবস্তের সপক্ষে যুক্তি দেখান । ১৭৮৬ সালে কর্ণওয়ালিশ গভর্নর জেনারেল হয়ে ভারতে আসেন ।  তিন বছর ধরে  তিনি  বাংলার ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যপক অনুসন্ধান চালান ।  এরপর ১৭৯০ সালে দেশীয় জমিদারদের সঙ্গে দশ বছরের জন্য একটি বন্দোবস্ত করেন, যা ‘ দশসালা বন্দোবস্ত ’ নামে পরিচিত । সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন , ইংল্যান্ডের কর্তপক্ষ অনুমোদন করলে এই বন্দোবস্তই ‘ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ’ -এ পরিণত হবে

জাদুঘর কাকে বলে? অতীত পুনর্গঠনে জাদুঘরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা , জাদুঘর কী ? জাদুঘরের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলি বর্ননা কর । অথবা , জাদুঘর বলতে কী বোঝ ? আধুনিক ইতিহাস রচনায় জাদুঘরের গুরুত্ব লেখ । উঃ জাদুঘরের সংজ্ঞা বাংলা ‘ জাদুঘর ’ শব্দটির ইংরাজি প্রতিশব্দ হল মিউজিয়াম ( Museum) । ‘ মিউজিয়াম ’ শব্দটির মূল উৎস হল প্রাচীন গ্রীক শব্দ Mouseion ( মউসিয়ান) , যার অর্থ হল গ্রীক পুরাণের শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক মিউসদের মন্দির । এই ধরণের মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে প্রাচীন গ্রিসে পাঠাগার , প্রাচীন শিল্পকলা প্রভৃতির সংগ্রহশালা গড়ে উঠত । ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মিউজিয়াম -এর মতে, জাদুঘর হল একটি অলাভজনক, জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত এবং স্থায়ী সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান যা শিক্ষালাভ, জ্ঞানচর্চা ও আনন্দলাভের উদ্দেশ্যে মানব ঐতিহ্যের স্পর্শযোগ্য ও স্পর্শ-অযোগ্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করে, সংরক্ষণ করে, প্রদর্শন করে এবং সেগুলি নিয়ে গবেষণা করে। উদাহরণ – ব্রিটিশ মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ের নিদর্শন। এখানে পৃথক পৃথক ঘরে পৃথক পৃথক বিষয়ের নিদর্শন প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। জাদুঘরের উদ্দেশ্য , ক

ঠান্ডা লড়াই কী? ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি আলোচনা করো।

ঠান্ডা লড়াই কী : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের (১৯৪৫) পর পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ পরস্পর দুটি রাষ্ট্রজোটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। একটি আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট অন্যটি সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট। এই দুই রাষ্ট্রজোট কোন প্রত্যক্ষ যুদ্ধ না করেও দীর্ঘকাল ধরে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও যুদ্ধের আবহ বা ছায়াযুদ্ধ চালাতে থাকে। এই ছায়াযুদ্ধই ইতিহাসে 'ঠান্ডা লড়াই' নাম পরিচিত। মার্কিন সাংবাদিক ওয়াল্টার লিপম্যান ( Walter Lippmaan ) ১৯৪৭ সালে তাঁর The Cold War গ্রন্থে সর্বপ্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য : 'ঠান্ডা লড়াই কী' এই অংশের জন্য ৩/৪ (তিন বা চার ) নম্বর (মার্কস) থাকলে অথবা বৈশিষ্ঠ্য লিখতে বললে  এখানে ক্লিক কর এবং যে অংশ বের হবে তা এই পয়েন্টের নিচে জুড়ে দাও। ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি : ঠান্ডা লড়াই-এর পিছনে শুধুমাত্র আদর্শগত বা অর্থনৈতিক কারণ বা ভিত্তি কাজ করেছিল এমন নয়। এর পিছনে আরও কিছু বিষয় তথা আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী কার্যকর ছিল। সমগ্র কারণকে এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। সাম্যবাদের বিরোধিতা : রাশিয়ায়

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল বর্ননা কর।

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল পলাশির যুদ্ধ ১৭৫৬ সালে নবাব আলীবর্দি মারা যান । এরপর তাঁর পৌত্র সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার সিংহাসন আরোহন করেন । সিংহাসন আরোহনের কিছুদিনের মধ্যেই ইংরেজদের সাথে তাঁর বিরোধ বাঁধে , যার চূড়ান্ত পরিনতি হল ১৭৫৭ সালের পলাশির যুদ্ধ ।   এই যুদ্ধের পটভূমি বিশ্লেষণ করলেই সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি পরিষ্কার হয়ে ওঠে । সেই সঙ্গে এটাও বোঝা যাবে এই বিরোধে সিরাজেরে ‘ অহমিকাবোধ ’ ও ‘ অর্থলোভ ’ দায়ী ছিল কিনা । পলাশির যুদ্ধের পটভূমি / কারণ সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি হল –   আনুগত্যদানে বিলম্ব। সিরাজ বাংলার সিংহাসনে বসলে প্রথা অনুযায়ী নবাবের প্রতি আনুগত্য জানিয়ে ফরাসি, ওলন্দাজ প্রভৃতি কোম্পানিগুলি উপঢৌকন পাঠালেও ইংরেজরা ইচ্ছা করে উপঢৌকন পাঠাতে দেরি করে। এতে সিরাজ অপমানিত হন।   ষড়যন্ত্রের সংবাদ। সিংহাসনে বসার সময় থেকে ঘষেটি বেগম, সৌকত জঙ্গ ও কয়েকজন রাজকর্মচারি সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র লিপ্ত ছিলেন। খবর আসে যে, এই ষড়যন্ত্রে ইংরেজরা যুক্ত আছে এবং তাঁকে সরিয়ে অনুগত কাউকে সিংহাসনে বসানোর চক্রান্ত করছে।   কৃষ্ণদাসকে আশ্রয়দান। ঘষেটি বেগমের প্রিয়পাত্র ঢা

বাংলার সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা, বাংলার সমাজ ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর। অথবা, ঊনবিংশ শতকে নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান উল্লেখ কর। অথবা, উনিশ শতকের নবজাগরণে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা কি ছিল? এ প্রসঙ্গে নারীজাতির উন্নয়নে তাঁর অবদান ব্যাখ্যা কর।  বিদ্যাসাগর ও সংস্কার আন্দোলন : ঊনবিংশ শতকে ভারতে যে কজন সংস্কারকের জন্ম হয়েছিল তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি ছিলেন বঙ্গীয় নবজাগরণের মূর্ত প্রতীক। তাঁর মধ্যে ইউরোপীয় নবজাগরণের প্রবল যুক্তিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, প্রগাঢ় মানবতাবাদ, এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবাদর্শের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছিল। মাইকেল মধুসূদনের মতে, ' যার মনীষা প্রাচীন ঋষিদের মতো, কর্মদক্ষতা ইংরেজদের মত এবং হৃদয়বত্তা বাঙালি জননীর মত। ' বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টা : বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টাকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যায়। এক . শিক্ষা সংস্কার, দুই . সমাজ সংস্কার। তবে তাঁর এই দুই প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে ছিল নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি। (১) 

চিনের ৪ ঠা মে আন্দোলনের কারণ বিশ্লেষণ কর। এই আন্দোলনের প্রভাব আলোচনা কর। (২০১৬)

অথবা, বিংশ শতকে চিনে ৪ ঠা মে-র আন্দোলনের উত্থান ও গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। চিনের সেই সময়কার দুটি উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্রের নাম লেখো। অথবা, চিনের ৪ ঠা মের আন্দোলনের পটভূমি আলোচনা কর। এই আন্দোলনের ফলাফল বা তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।  ৪ ঠা মে-র আন্দোলন : ১৯১৪  সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপান চিনে আগ্রাসন চালায়। যুদ্ধে চীন মিত্রপক্ষে যোগ দিলেও যুদ্ধের পর তারা কোনো সুবিচার পায় নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি আধিপত্যের বিরুদ্ধে চিনা জাতীয়তাবাদী জনগণ চেন-তু-শিউ এর নেতৃত্বে  ১৯১৯ সালে ৪ ঠা মে পিকিং-এর তিয়েন-আন-মেন স্কোয়ার -এ  এক আন্দোলনের ডাক দেয়। এই আন্দোলন চিনের ইতিহাসে ৪ ঠা মে-র আন্দোলন নামে পরিচিত। আন্দোলনের কারণ ( পটভূমি ) : এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করলে এর কারণগুলি অনুধাবন করা যায়। ইউয়ান-সি-কাই এর নৃশংসতা : ১৯১১ সালে বিপ্লবের পর রাষ্ট্রপতি সান-ইয়াত-সেন দেশের গৃহযুদ্ধ এড়াতে ইউয়ান-সি-কাই  - এর অনুকূলে স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রপতি পদ ত্যাগ করেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর  ইউয়ান-সি-কাই  সমস্ত সাংবিধানিক পদ্ধতি বাতিল করে সামরিক একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। এর প্রতিবাদ করলে কুয়োমি

তিন আইন কী?

তিন আইন কী? ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলনের ফলে ১৮৭২ সালে ব্রিটিশ সরকার বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রভৃতি সামাজিক কুসংস্কারগুলি নিষিদ্ধ করে এবং বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়। যে আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার এই ঘোষণা জারি করে তাকে ' তিন আইন ' বলে।

'মুক্তদ্বার নীতি' (Open Door Policy) কী?

চিনে ইউরোপীয় দেশগুলির উপনিবেশিক আধিপত্য স্থাপনের ফলে আমেরিকা শঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা ভাবতে শুরু করে এর ফলে চিনে আমেরিকার বাণিজ্যিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই পরিস্থিতিতে ১৮৯৯ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জন হে চিন সম্পর্কে যে নীতি গ্রহণ করেছিলেন তা মুক্তদ্বার নীতি নামে পরিচিত। এই নীতিতে বলা হয়, বিভিন্ন ইউরোপীয় শক্তি দ্বারা অধিকৃত চিনের বিভিন্ন অঞ্চলে আমেরিকার সমান বাণিজ্যিক সুবিধা দিতে হবে।

ভাইকম সত্যাগ্রহ কী

ভাইমক বর্ণহিন্দুদের একটি মন্দির । দক্ষিণ ভারতের ত্রিবাঙ্কুরে এটি অবস্থিত। এই মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষদের চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। শ্রীনারায়ণ গুরু বর্ণহিন্দুদের এই বর্নবিদ্বেষী প্রথার বিরুদ্ধে এবং মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষের হাঁটার দাবিতে যে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তা ভাইকম সত্যাগ্রহ নামে পরিচিত। আন্দোলনের ব্যাপকতায় মুগধ হয়ে গান্ধিজি একে সমর্থন করেন। শেষ পর্যন্ত এই আন্দোলন জয়যুক্ত হয়।

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল?

কোন পরিস্থিতিতে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) শুরু হয়? এই মামলায় অভিযুক্ত কয়েকজন শ্রমিক নেতার নাম লেখো। এই মামলার ফলাফল কী হয়েছিল? অথবা, মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল? অথবা, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কমিউনিস্ট পার্টির অবদানের একটি উদাহরণ দাও। এপ্রসঙ্গে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষাপট আলোচনা কর। এই মামলার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। উত্তর : মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা : ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে কমিউনিস্টদের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে ব্রিটিশ সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এইরূপ পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেছিল। মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) হল এরকমই এক দমননীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মামলার প্রেক্ষাপট : ১) শ্রমিক-মালিক বিরোধ । ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে ভারতে শিল্পায়ন শুরু হলে শ্রমিক শ্রেণির উদ্ভব হয়। বিংশ শতকের প্রথম দিকে মালিক শ্রেণির শোষণ ও অত্যাচারে শ্রমিক-মালিক সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। শ্রমিক শ্রেণির অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিস্টরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন জোরদার করে তুলে ব্রিটিশ সরকার চিন্তায় পড়ে যা