সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সমাজ সংস্কার লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পারসি সমাজ সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দুজন ব্যক্তির নাম লেখা।

পারসি সমাজ সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দুজন ব্যক্তির নাম হল দাদাভাই নৌরজি ও বেহরামজি মেরওয়ানজি মালবারি।

'সায়েন্টিফিক সোসাইটি' ও 'ট্রান্সলেশন সোসাইটি' কে কবে কী উদ্দেশ্যে প্ৰতিষ্ঠা করেন?

স্যার সৈয়দ আহম্মদ খাঁ ১৮৬৪ সালে সায়েন্টিফিক সোসাইটি ও ১৮৬১ সালে ট্রান্সলেশন সোসাইটি প্ৰতিষ্ঠা করেন। ভারতীয়দের মধ্যে বিজ্ঞান শিক্ষা এবং চেতনা বিস্তারের উদ্দেশ্যে সায়েন্টিফিক সোসাইটি এবং বৈজ্ঞানিক পাঠ্যক্রম ও শিক্ষাকে ইংরেজি-সহ অন্যান্য ইউরোপীয় ভাষা থেকে হিন্দি এবং উর্দু ভাষায় অনুবাদ করার উদ্দেশ্যে ট্রান্সলেশন সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

কে কোন গ্রন্থে মুসলিমদের অনগ্রসরতার তত্ত্ব তুলে ধরেছিলেন?

উইলিয়াম হান্টার তাঁর ইন্ডিয়ান মুসলিমস (১৮৭১) গ্রন্থে  মুসলিমদের অনগ্রসরতার কথা তুলে ধরেছিলেন।

কাকে কেন তেলেগু সমাজ সংস্কারের জনক বলা হয়?

দক্ষিণ ভারতের সমাজ সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ বীরসালিঙ্গম পানতুলু । অন্ধ্রপ্রদেশে শিক্ষার প্রসার, নারীকল্যাণ ও সমাজসংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য তাঁকে তেলেগু সমাজ সংস্কারের জনক বলা হয়।

কে কত সালে 'বিধবা বিবাহ সমিতি' প্রতিষ্ঠা করেন?

১৮৭১ সালে বীরসালিঙ্গম পানতুলু 'বিধবা বিবাহ সমিতি' প্ৰতিষ্ঠা করেন। তিনি বিধবা বিবাহের উগ্র সমর্থক ছিলেন। বিধবা বিবাহের পক্ষে জনমত গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে তিনি ১৮৭১ সালে এই সং‌গঠন গড়ে তোলেন।

বীরসালিঙ্গম কে ছিলেন?

  দক্ষিণ ভারতের বিদ্যাসাগর ঊনবিংশ শতকে দক্ষিণ ভারতের সমাজসংস্কার আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ হলেন কান্দুকুরি বীরসালিঙ্গম পানতুলু । তিনি ১৮৪৮ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজামুন্দ্রির এক রক্ষণশীল ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মত জাতিভেদ, অস্পৃশ্যতা, পৌত্তলিকতা, বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রভৃতির ঘোর বিরোধী ছিলেন। এছাড়া তিনি বিধবা বিবাহেরও উগ্র সমর্থক ছিলেন। এই সব কারনে মহাদেব গোবিন্দ রানাডে তাঁকে ' দক্ষিণ ভারতের বিদ্যাসাগর' বলে অভিহিত করেছেন। -------##------- বিকল্প প্রশ্ন ঃ কাকে কেন 'দক্ষিণ ভারতের বিদ্যাসাগর' বলা হয়?

কেরালায় কে অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন?

কেরালায় অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন শ্রীনারায়ণ গুরু। ইনি ১৮৫৬ সালে কেরালার নিম্নসম্প্রদায়ভুক্ত এজহারা পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন । বিস্তারিত জানার জন্য এখানে ক্লিক কর ।

ভাইকম সত্যাগ্রহ কী

ভাইমক বর্ণহিন্দুদের একটি মন্দির । দক্ষিণ ভারতের ত্রিবাঙ্কুরে এটি অবস্থিত। এই মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষদের চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। শ্রীনারায়ণ গুরু বর্ণহিন্দুদের এই বর্নবিদ্বেষী প্রথার বিরুদ্ধে এবং মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষের হাঁটার দাবিতে যে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তা ভাইকম সত্যাগ্রহ নামে পরিচিত। আন্দোলনের ব্যাপকতায় মুগধ হয়ে গান্ধিজি একে সমর্থন করেন। শেষ পর্যন্ত এই আন্দোলন জয়যুক্ত হয়।

শ্রীনারায়ণ গুরু বিখ্যাত কেন?

শ্রীনারায়ণ গুরু ছিলেন দক্ষিণ ভারতের একজন উল্লেখযোগ্য ধর্ম ও সমাজ সংস্কারক । তিনি কেরালায় অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। এপ্রসঙ্গে ভাইকম সত্যাগ্রহের কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি ছিলেন এই আন্দোলনের নেতা।

'সত্যশোধক সমাজ' এর মুখপাত্র কী?

সত্যশোধক সমাজ' এর মুখপত্রের নাম 'দীনমিত্র'

জ্যোতিরাও ফুলে স্মরণীয় কেন?

১৮৭৩ সালে জ্যোতিরাও ফুলে মহারাষ্ট্রে সত্যশোধক সমাজ প্ৰতিষ্ঠা করেন। তাঁর উদ্দেশ্যে ছিল --- ১) সমাজে ব্রাহ্মণদের আধিপত্য প্রতিরোধ করা ২) বর্ণভেদ প্রথার অবসান ঘটানো ৩) নিম্নবর্ণের মধ্যে শিক্ষার বিস্তার ঘটানো ৪) নিম্নবর্ণের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির চেষ্টা ইত্যাদি। আর এই কারনে তিনি ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন।

'সত্যশোধক সমাজ' কে কবে কী উদ্দেশ্যে প্ৰতিষ্ঠা করেন?

১৮৭৩ সালে জ্যোতিরাও ফুলে মহারাষ্ট্রে সত্যশোধক সমাজ প্ৰতিষ্ঠা করেন। নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যে তিনি এই সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। ১) সমাজে ব্রাহ্মণদের আধিপত্য প্রতিরোধ করা ২) বর্ণভেদ প্রথার অবসান ঘটানো ৩) নিম্নবর্ণের মধ্যে শিক্ষার বিস্তার ঘটানো ৪) নিম্নবর্ণের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির চেষ্টা ইত্যাদি।

শুদ্ধি আন্দোলন কী?

পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবে ঊনবিংশ শতক জুড়ে হিন্দু সমাজে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। এই অবস্থা থেকে হিন্দু সমাজকে বাঁচাতে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী আর্য সমাজ প্ৰতিষ্ঠা করেন। এই সংগঠনের মাধ্যমে অহিন্দু ও ধর্মান্তরিত হিন্দুকে হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনার জন্য যে আন্দোলন শুরু করেন তা শুদ্ধি আন্দোলন নামে পরিচিত।

আর্য সমাজ কে কবে কোথায় কী উদ্দেশ্যে প্ৰতিষ্ঠা করেন?

স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী ১৮৭৫ সালে বোম্বাইয়ে আর্য সমাজ প্ৰতিষ্ঠা করেন। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য ছিল অহিন্দু ও ধর্মান্তরিত হিন্দুকে হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনা। এই উদ্দেশ্যে যে আন্দোলন শুরু করেন তা ' শুদ্ধি আন্দোলন ' নামে পরিচিত।

থিওসফিক্যাল সোসাইটি কে কোথায় প্ৰতিষ্ঠা করেন?

ম্যাদাম ব্লাভাটস্কি ও কর্নেল এইচ এস ওলকট ১৮৭৫ সালে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে থিওসফিক্যাল সোসাইটি স্থাপন করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন ধর্ম ও দার্শনিক মতবাদ এবং বৈজ্ঞানিক আলোচনার তুলনামূলক বিচার করা। ১৮৮৬ সালে ভারতের মাদ্রাজে এর প্রধান কর্মকেন্দ্র স্থাপিত হয়।

প্রার্থনা সমাজ কে প্ৰতিষ্ঠা করেন? কতসালে?

মহারাষ্ট্রের প্রখ্যাত সমাজ সংস্কারক আত্মারাম পাণ্ডুরঙ্গ ১৮৬৭ সালে মহারাষ্ট্রে 'প্রার্থনা সমাজ' প্ৰতিষ্ঠা করেন। সনাতন হিন্দুধর্মের বহু আচার-আচরণের পরিবর্তে একেশ্বরবাদ প্রচার করাই ছিল প্রার্থনা সমাজের মূল উদ্দেশ্য । উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে কেসবচন্দ্র সেনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়।

স্বামী বিবেকানন্দের দুটি গ্রন্থের নাম লেখো।

স্বামী বিবেকানন্দের দুটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের নাম হল --- ১) বর্তমান ভারত। ২) জ্ঞানযোগ। এই গ্রন্থগুলোর মাধ্যমে তিনি দেশবাসীকে গভীর জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ করেছেন। 📖 এছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হল ----👇👇 ৩) রাজযোগ ৪) পরিব্রাজক ইত্যাদি।

মানুষ গড়ার আদর্শে কে বিশ্বাসী ছিলেন? তিনি কিভাবে তাঁর এই আদর্শ প্রচার করেছিলেন?

শ্রীরামকৃষ্ণের সুযোগ্য উত্তরসূরি স্বামী বিবেকানন্দ মানুষ গড়ার আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। ১৮৯৩ সালে শিকাগো বিশ্বধর্ম সম্মেলনে তিনি এই আদর্শের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তাঁর ধর্ম হল ' মানুষ তৈরির ধর্ম '। ১৮৯৭ সালে এই মানুষ তৈরির উদ্দেশ্যেই তিনি তৈরি করেছিলেন ' রামকৃষ্ণ মিশন '।

বিধবা বিবাহ আইন কত সালে পাস হয়? এই আইন পাশে কার অবদান স্মরণীয় হয়ে আছে?

হিন্দু 'বিধবা বিবাহ আইন' পাস হয় ১৮৫৬ সালে ২৬ শে জুলাই। এই আইন পাস করতে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। এই আন্দোলনে তাঁকে সহযোগিতা করেছিলেন --- ১) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ২) অক্ষয়কুমার দত্ত ৩) রাজনারায়ণ বসু ৪) দক্ষিনারঞ্জন মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।

'মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন' কে কবে প্ৰতিষ্ঠা করেন?

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮৭২ সালে কলকাতায় মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন প্ৰতিষ্ঠা করেন। এর বর্তমান নাম ' বিদ্যাসাগর কলেজ '। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অন্য স্কুল দেখো


বাংলা বই ★ দ্বাদশ শ্রেণি
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার 👆আদর্শ প্রশ্নোত্তরের একমাত্র পোর্টাল

জনপ্রিয় প্রশ্ন-উত্তরগুলি দেখুন

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তগুলি (বৈশিষ্ঠ্য) উল্লেখ কর। ভারতের আর্থ-সামাজিক ইতিহাসে এই ভূমি-ব্যবস্থার গুরুত্ব আলোচনা কর।

অথবা , চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি ব্যাখ্যা কর । এপ্রসঙ্গে ভারতের কৃষক সমাজের ওপর এই বন্দোবস্ত কীরূপ প্রভাব ফেলেছিল বর্ননা কর । উত্তর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত । চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হল এক ধরণের ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা ।   ১৭৯৩ সালে  লর্ড কর্ণওয়ালিস বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যায় এই ভূমি-ব্যবস্থা চালু করেন । পরবর্তীকালে বারাণসী , উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ও মাদ্রাস প্রেসিডেন্সির কোনো কোনো অঞ্চলে  এই ব্যবস্থা  চালু করা হয় । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি । কোম্পানির কর্মচারী ও ঐতিহাসিক আলেকজান্ডার ডাও ১৭৭২ সালে  প্রথম  চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কথা বলেন । এরপর হেনরি পাত্তুলো , ড্যাক্রিস , টমাস ল প্রমুখ এই বন্দোবস্তের সপক্ষে যুক্তি দেখান । ১৭৮৬ সালে কর্ণওয়ালিশ গভর্নর জেনারেল হয়ে ভারতে আসেন ।  তিন বছর ধরে  তিনি  বাংলার ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যপক অনুসন্ধান চালান ।  এরপর ১৭৯০ সালে দেশীয় জমিদারদের সঙ্গে দশ বছরের জন্য একটি বন্দোবস্ত করেন, যা ‘ দশসালা বন্দোবস্ত ’ নামে পরিচিত । সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন , ইংল্যান্ডের কর্তপক্ষ অনুমোদন করলে এই বন্দোবস্তই ‘ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ’ -এ পরিণত হবে

জাদুঘর কাকে বলে? অতীত পুনর্গঠনে জাদুঘরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা , জাদুঘর কী ? জাদুঘরের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলি বর্ননা কর । অথবা , জাদুঘর বলতে কী বোঝ ? আধুনিক ইতিহাস রচনায় জাদুঘরের গুরুত্ব লেখ । উঃ জাদুঘরের সংজ্ঞা বাংলা ‘ জাদুঘর ’ শব্দটির ইংরাজি প্রতিশব্দ হল মিউজিয়াম ( Museum) । ‘ মিউজিয়াম ’ শব্দটির মূল উৎস হল প্রাচীন গ্রীক শব্দ Mouseion ( মউসিয়ান) , যার অর্থ হল গ্রীক পুরাণের শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক মিউসদের মন্দির । এই ধরণের মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে প্রাচীন গ্রিসে পাঠাগার , প্রাচীন শিল্পকলা প্রভৃতির সংগ্রহশালা গড়ে উঠত । ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মিউজিয়াম -এর মতে, জাদুঘর হল একটি অলাভজনক, জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত এবং স্থায়ী সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান যা শিক্ষালাভ, জ্ঞানচর্চা ও আনন্দলাভের উদ্দেশ্যে মানব ঐতিহ্যের স্পর্শযোগ্য ও স্পর্শ-অযোগ্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করে, সংরক্ষণ করে, প্রদর্শন করে এবং সেগুলি নিয়ে গবেষণা করে। উদাহরণ – ব্রিটিশ মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ের নিদর্শন। এখানে পৃথক পৃথক ঘরে পৃথক পৃথক বিষয়ের নিদর্শন প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। জাদুঘরের উদ্দেশ্য , ক

ঠান্ডা লড়াই কী? ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি আলোচনা করো।

ঠান্ডা লড়াই কী : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের (১৯৪৫) পর পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ পরস্পর দুটি রাষ্ট্রজোটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। একটি আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট অন্যটি সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট। এই দুই রাষ্ট্রজোট কোন প্রত্যক্ষ যুদ্ধ না করেও দীর্ঘকাল ধরে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও যুদ্ধের আবহ বা ছায়াযুদ্ধ চালাতে থাকে। এই ছায়াযুদ্ধই ইতিহাসে 'ঠান্ডা লড়াই' নাম পরিচিত। মার্কিন সাংবাদিক ওয়াল্টার লিপম্যান ( Walter Lippmaan ) ১৯৪৭ সালে তাঁর The Cold War গ্রন্থে সর্বপ্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য : 'ঠান্ডা লড়াই কী' এই অংশের জন্য ৩/৪ (তিন বা চার ) নম্বর (মার্কস) থাকলে অথবা বৈশিষ্ঠ্য লিখতে বললে  এখানে ক্লিক কর এবং যে অংশ বের হবে তা এই পয়েন্টের নিচে জুড়ে দাও। ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি : ঠান্ডা লড়াই-এর পিছনে শুধুমাত্র আদর্শগত বা অর্থনৈতিক কারণ বা ভিত্তি কাজ করেছিল এমন নয়। এর পিছনে আরও কিছু বিষয় তথা আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী কার্যকর ছিল। সমগ্র কারণকে এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। সাম্যবাদের বিরোধিতা : রাশিয়ায়

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল বর্ননা কর।

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল পলাশির যুদ্ধ ১৭৫৬ সালে নবাব আলীবর্দি মারা যান । এরপর তাঁর পৌত্র সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার সিংহাসন আরোহন করেন । সিংহাসন আরোহনের কিছুদিনের মধ্যেই ইংরেজদের সাথে তাঁর বিরোধ বাঁধে , যার চূড়ান্ত পরিনতি হল ১৭৫৭ সালের পলাশির যুদ্ধ ।   এই যুদ্ধের পটভূমি বিশ্লেষণ করলেই সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি পরিষ্কার হয়ে ওঠে । সেই সঙ্গে এটাও বোঝা যাবে এই বিরোধে সিরাজেরে ‘ অহমিকাবোধ ’ ও ‘ অর্থলোভ ’ দায়ী ছিল কিনা । পলাশির যুদ্ধের পটভূমি / কারণ সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি হল –   আনুগত্যদানে বিলম্ব। সিরাজ বাংলার সিংহাসনে বসলে প্রথা অনুযায়ী নবাবের প্রতি আনুগত্য জানিয়ে ফরাসি, ওলন্দাজ প্রভৃতি কোম্পানিগুলি উপঢৌকন পাঠালেও ইংরেজরা ইচ্ছা করে উপঢৌকন পাঠাতে দেরি করে। এতে সিরাজ অপমানিত হন।   ষড়যন্ত্রের সংবাদ। সিংহাসনে বসার সময় থেকে ঘষেটি বেগম, সৌকত জঙ্গ ও কয়েকজন রাজকর্মচারি সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র লিপ্ত ছিলেন। খবর আসে যে, এই ষড়যন্ত্রে ইংরেজরা যুক্ত আছে এবং তাঁকে সরিয়ে অনুগত কাউকে সিংহাসনে বসানোর চক্রান্ত করছে।   কৃষ্ণদাসকে আশ্রয়দান। ঘষেটি বেগমের প্রিয়পাত্র ঢা

বাংলার সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা, বাংলার সমাজ ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর। অথবা, ঊনবিংশ শতকে নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান উল্লেখ কর। অথবা, উনিশ শতকের নবজাগরণে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা কি ছিল? এ প্রসঙ্গে নারীজাতির উন্নয়নে তাঁর অবদান ব্যাখ্যা কর।  বিদ্যাসাগর ও সংস্কার আন্দোলন : ঊনবিংশ শতকে ভারতে যে কজন সংস্কারকের জন্ম হয়েছিল তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি ছিলেন বঙ্গীয় নবজাগরণের মূর্ত প্রতীক। তাঁর মধ্যে ইউরোপীয় নবজাগরণের প্রবল যুক্তিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, প্রগাঢ় মানবতাবাদ, এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবাদর্শের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছিল। মাইকেল মধুসূদনের মতে, ' যার মনীষা প্রাচীন ঋষিদের মতো, কর্মদক্ষতা ইংরেজদের মত এবং হৃদয়বত্তা বাঙালি জননীর মত। ' বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টা : বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টাকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যায়। এক . শিক্ষা সংস্কার, দুই . সমাজ সংস্কার। তবে তাঁর এই দুই প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে ছিল নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি। (১) 

চিনের ৪ ঠা মে আন্দোলনের কারণ বিশ্লেষণ কর। এই আন্দোলনের প্রভাব আলোচনা কর। (২০১৬)

অথবা, বিংশ শতকে চিনে ৪ ঠা মে-র আন্দোলনের উত্থান ও গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। চিনের সেই সময়কার দুটি উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্রের নাম লেখো। অথবা, চিনের ৪ ঠা মের আন্দোলনের পটভূমি আলোচনা কর। এই আন্দোলনের ফলাফল বা তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।  ৪ ঠা মে-র আন্দোলন : ১৯১৪  সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপান চিনে আগ্রাসন চালায়। যুদ্ধে চীন মিত্রপক্ষে যোগ দিলেও যুদ্ধের পর তারা কোনো সুবিচার পায় নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি আধিপত্যের বিরুদ্ধে চিনা জাতীয়তাবাদী জনগণ চেন-তু-শিউ এর নেতৃত্বে  ১৯১৯ সালে ৪ ঠা মে পিকিং-এর তিয়েন-আন-মেন স্কোয়ার -এ  এক আন্দোলনের ডাক দেয়। এই আন্দোলন চিনের ইতিহাসে ৪ ঠা মে-র আন্দোলন নামে পরিচিত। আন্দোলনের কারণ ( পটভূমি ) : এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করলে এর কারণগুলি অনুধাবন করা যায়। ইউয়ান-সি-কাই এর নৃশংসতা : ১৯১১ সালে বিপ্লবের পর রাষ্ট্রপতি সান-ইয়াত-সেন দেশের গৃহযুদ্ধ এড়াতে ইউয়ান-সি-কাই  - এর অনুকূলে স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রপতি পদ ত্যাগ করেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর  ইউয়ান-সি-কাই  সমস্ত সাংবিধানিক পদ্ধতি বাতিল করে সামরিক একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। এর প্রতিবাদ করলে কুয়োমি

তিন আইন কী?

তিন আইন কী? ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলনের ফলে ১৮৭২ সালে ব্রিটিশ সরকার বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রভৃতি সামাজিক কুসংস্কারগুলি নিষিদ্ধ করে এবং বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়। যে আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার এই ঘোষণা জারি করে তাকে ' তিন আইন ' বলে।

'মুক্তদ্বার নীতি' (Open Door Policy) কী?

চিনে ইউরোপীয় দেশগুলির উপনিবেশিক আধিপত্য স্থাপনের ফলে আমেরিকা শঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা ভাবতে শুরু করে এর ফলে চিনে আমেরিকার বাণিজ্যিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই পরিস্থিতিতে ১৮৯৯ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জন হে চিন সম্পর্কে যে নীতি গ্রহণ করেছিলেন তা মুক্তদ্বার নীতি নামে পরিচিত। এই নীতিতে বলা হয়, বিভিন্ন ইউরোপীয় শক্তি দ্বারা অধিকৃত চিনের বিভিন্ন অঞ্চলে আমেরিকার সমান বাণিজ্যিক সুবিধা দিতে হবে।

ভাইকম সত্যাগ্রহ কী

ভাইমক বর্ণহিন্দুদের একটি মন্দির । দক্ষিণ ভারতের ত্রিবাঙ্কুরে এটি অবস্থিত। এই মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষদের চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। শ্রীনারায়ণ গুরু বর্ণহিন্দুদের এই বর্নবিদ্বেষী প্রথার বিরুদ্ধে এবং মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষের হাঁটার দাবিতে যে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তা ভাইকম সত্যাগ্রহ নামে পরিচিত। আন্দোলনের ব্যাপকতায় মুগধ হয়ে গান্ধিজি একে সমর্থন করেন। শেষ পর্যন্ত এই আন্দোলন জয়যুক্ত হয়।

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল?

কোন পরিস্থিতিতে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) শুরু হয়? এই মামলায় অভিযুক্ত কয়েকজন শ্রমিক নেতার নাম লেখো। এই মামলার ফলাফল কী হয়েছিল? অথবা, মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল? অথবা, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কমিউনিস্ট পার্টির অবদানের একটি উদাহরণ দাও। এপ্রসঙ্গে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষাপট আলোচনা কর। এই মামলার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। উত্তর : মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা : ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে কমিউনিস্টদের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে ব্রিটিশ সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এইরূপ পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেছিল। মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) হল এরকমই এক দমননীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মামলার প্রেক্ষাপট : ১) শ্রমিক-মালিক বিরোধ । ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে ভারতে শিল্পায়ন শুরু হলে শ্রমিক শ্রেণির উদ্ভব হয়। বিংশ শতকের প্রথম দিকে মালিক শ্রেণির শোষণ ও অত্যাচারে শ্রমিক-মালিক সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। শ্রমিক শ্রেণির অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিস্টরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন জোরদার করে তুলে ব্রিটিশ সরকার চিন্তায় পড়ে যা