সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বক্সার যুদ্ধের পটভূমি আলোচনা কর। পলাশির যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করে এই যুদ্ধের গুরুত্ব নির্ণয় কর।

বক্সার যুদ্ধের পটভূমি আলোচনা কর ১৭৬০ সালের বিপ্লব কী পলাশির যুদ্ধে জয়লাভের ফলে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার  ‘ কিং মেকার ’ -এ পরিণত হয় ।  মিরজাফরকে সিংহাসনে বসিয়ে তারা বাংলায় বিনাশুল্কে বানিজ্যের অবাধ অধিকার ও চব্বিশ পরগণার জমিদারি লাভ করে ।   কিন্তু ক্লাইভের উদ্ধত আচরণ ,  নবাবের প্রতি অসম্মান ,  ক্রমাগত অর্থশোষণ প্রভৃতি কারণে মিরজাফর বিরক্ত হন ।  ইংরেজদের ক্ষমতা ক্ষর্ব করার জন্য তিনি গোপনে ওলন্দাজদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ।  খবর পেয়ে ক্লাইভ বিদারার যুদ্ধে ওলন্দাজদের পরাজিত করন ।  আর ওলন্দাজদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে মিরজাফরকে পদচ্যুত করে তাঁর জামাতা মিরকাশিমকে বাংলার সিংহাসনে বসান ।  এভাবে বিনা রক্তপাতে নবাব পরিবর্তনের ঘটনা  ‘ ১৭৬০ সালের বিপ্লব ’  নামে পরিচিত । ইংরেজ ও মিরকাশিমের বিরোধের কারণ ইংরেজদের সহযোগীতায় ক্ষমতা দখল করলেও মিরকাশিম ইংরেজদের ওপর নির্ভরতা কমানোর উদ্দেশ্যে শিঘ্রই বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন ।  ফলে তাঁর সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধ অনিবার্য হয়ে ওঠে । 1)    আর্থিক শক্তিবৃদ্ধির চেষ্টা ।    এই উদ্দেশ্যে মিরকাশিম ১) রাজস্ব আদায়ের কঠোর নীতি নেন ,  ২) দরবারের

পলাশী ও বক্সারের যুদ্ধের তুলনামূলক আলোচনা করো।

১৭৬০ সালের বিপ্লব কী পলাশির যুদ্ধে জয়লাভের ফলে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার ‘কিং মেকার’-এ পরিণত হয়। মিরজাফরকে সিংহাসনে বসিয়ে তারা বাংলায় বিনাশুল্কে বানিজ্যের অবাধ অধিকার ও চব্বিশ পরগণার জমিদারি লাভ করে। কিন্তু ক্লাইভের উদ্ধত আচরণ, নবাবের প্রতি অসম্মান, ক্রমাগত অর্থশোষণ প্রভৃতি কারণে মিরজাফর বিরক্ত হন। ইংরেজদের ক্ষমতা ক্ষর্ব করার জন্য তিনি গোপনে ওলন্দাজদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খবর পেয়ে ক্লাইভ বিদারার যুদ্ধে ওলন্দাজদের পরাজিত করন। আর ওলন্দাজদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে মিরজাফরকে পদচ্যুত করে তাঁর জামাতা মিরকাশিমকে বাংলার সিংহাসনে বসান। এভাবে বিনা রক্তপাতে নবাব পরিবর্তনের ঘটনা ‘ ১৭৬০ সালের বিপ্লব’ নামে পরিচিত। ইংরেজ ও মিরকাশিমের বিরোধের কারণ ইংরেজদের সহযোগীতায় ক্ষমতা দখল করলেও মিরকাশিম ইংরেজদের ওপর নির্ভরতা কমানোর উদ্দেশ্যে শিঘ্রই বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।ফলে তাঁর সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধ অনিবার্য হয়ে ওঠে। মিরকাশিমের বিভিন্ন আর্থিক, সামরিক, প্রশাসনিক ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহন করায় ইংরেজরা তাঁর বিরুদ্ধে ক্রমশঃ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে দেশীয় বণিকদের বিনাশুল্কে বাণিজ্য করা

ঊনিশ শতকে দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ভারতে কিভাবে বিভিন্ন শিল্পের অগ্রগতি ঘটেছে দেখাও।

অথবা , ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত ভারতে শিল্পের বিকাশ সংক্ষেপে বর্ননা কর । উত্তর : ভারতে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠার পর ব্রিটিশ সরকার ভারতকে একটি কাঁচামাল রপ্তানিকারক দেশ হিসাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করে । ১৮৫৭ সালে মহাবিদ্রোহের পর পরিস্থিতি পাল্টায় । বিলম্ব হলেও এই সময় ইউরোপীয় ও ভারতীয় উদ্যোগে শুরু হয় নির্দিষ্ট কিছু শিল্পের বিকাশ । ইউরোপীয় শিল্পোদ্যোগ বৈশিষ্ট্য ইউরোপীয় উদ্যোগে ভারতে শিল্প- বিকাশের কয়েকটি বিশেষত্ব লক্ষ্য করা যায় । যেমন – A.   ভারতীয় উদ্যোগের বিরোধিতা । কারণ , ইংল্যান্ড ও ভারতীয় ইংরেজ শিল্পপতিরা মনে করতেন যে , ভারতীয় উদ্যোগে শিল্প গড়ে উঠলে ভারতের বাজার ও কাঁচামাল তাদের হাতছাড়া হবে । B.   ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতি । ভারী বা মূলধন সৃষ্টিকারী শিল্পের পরিবর্তে ইউরোপীয়রা মূলত ভোগ্যপণ্যের সঙ্গে যুক্ত শিল্পে পুঁজি বিনিয়োগ করতেন । শিল্প বিকাশের কারণ ভারেত ব্রিটিশ পুঁজিপতিদের শিল্পোদ্যোগের পিছনে কয়েকটি কারণ ছিল – 1)   উৎপাদন ব্যয় কম । কারণ , সামান্য মজুরিতে প্রচুর শ্রমিক পাওয়া যেত । 2)    সস্তায় কাঁচাম

বৃটিশ আমলে ভারতে ইউরোপীয় পুঁজিপতিদের উদ্যোগে শিল্পের অগ্রগতির কারণ কী ছিলো? ভারতীয় মালিকানায় এদেশে শিল্পোদ্যোগের ক্ষেত্রে কী কী সমস্যা ছিল?

অথবা , ভারতে শিল্পবিকাশে ভারতীয়দের বাধাগুলি কী ছিল ? ব্রিটিশরা এক্ষেত্রে কেন সফল হয়েছিল ? ইউরোপীয় শিল্পোদ্যোগ ঔপনিবেশিক শাসনকালে ভারতে ইউরোপীয়দের উদ্যোগে সর্বপ্রথম শিল্পের বিকাশ শুরু। মহাবিদ্রোহের (১৮৫৭) পর থেকে ভারতে শিল্পায়নের অগ্রগতি শুরু হয়। এই শিল্প বিকাশের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। এগুলি হল – 1)   ভারতীয় উদ্যোগের বিরোধিতা । ইউরোপীয় শিল্পপতিরা ভারতীয় শিল্পোদ্যোগের বিরোধিতা করতেন । কারণ , তারা মনে করতেন ভারতীয় উদ্যোগের ফলে তাদের ভারতীয় বাজার ও কাঁচামাল হাতছাড়া হবে । 2)    ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতি । ভারতে ভারী বা মূলধন সৃষ্টিকারী শিল্প (যেমন – যন্ত্রপাতি , লৌহ-ইস্পাত ইত্যাদি) গড়ে তুলতে চাননি । মূলতঃ ভোগ্যপণ্যের সঙ্গে যুক্ত শিল্পে পুঁজি বিনিয়োগ করতেন । ইউরোপীয় শিল্পবিকাশের কারণ । ভারতে ইউরোপীয় শিল্পপতিদের শিল্পোদ্যোগ গ্রহণের বিভিন্ন কারণ ছিল । সেগুলি হল – 1)   সস্তা কাঁচামাল । ভারত ছিল মূলত কৃষিপ্রধান দেশ । তাই এখানে সস্তায় প্রচুর শিল্পের উপযোগী কাঁচামাল পাওয়া যেত । 2)   সুলভ শ্রমিক । প্রচুর জনসংখ্যার কারণে এখানে সামান্য মজুরিতে প্রচুর শ্রমিক পাওয়া

ভারতে বিভিন্ন উদ্যোগে রেলপথের সম্প্রসারণ সম্পর্কে আলোচনা কর।

অথবা , গ্যারান্টি প্রথা কী ? ভারতে রেলপথ স্থাপনে এই প্রথার কী ভূমিকা ছিল ? ভারতের অর্থনীতিতে রেলপথের গুরুত্ব উল্লেখ কর । ভূমিকা ( গ্যারান্টি প্রথা) ভারতে ১৮৩২ সাল থেকে রেলপথ স্থাপনের প্রস্তাব উঠতে থাকে । ১৮৫৩ সালে লর্ড ডালহৌসি সর্বপ্রথম বোম্বাই থেকে থানে পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন করেন । ব্রিটিশ কোম্পানিগুলিকে ভারতে রেলপথ স্থাপনে উৎসাহিত করার জন্য সরকার এই সময় কয়েকটি বিষয়ে গ্যারান্টি বা প্রতিশ্রুতি দেয় । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল , বিনামূল্যে জমিদান ও কোম্পানিকে বিনিয়োগ করা মূলধনের ওপর ৫ শতাংশ সুদ প্রদান । এই প্রতিশ্রুতিই ‘ গ্যারান্টি প্রথা ’ নামে পরিচিত । রেলপথের সম্প্রসারণ : ভারতে রেলপথ সম্প্রসারণে গ্যারান্টি প্রথা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে । তবে সার্বিক সম্প্রসারণে সরকারি উদ্যোগও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে । সমগ্র সম্প্রসারণ প্রক্রিয়াকে চারটি পর্যায়ে ভাগ করে আলোচনা করা যায় । প্রথম পর্যায় গ্যারান্টি প্রথা ও তার শর্ত (বৈশিষ্ট্য) : প্রথমে কয়েকটি ব্রিটিশ কোম্পানিকে রেলপথ নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয় । এই পর্যায়ে তাদের উৎসাহিত করার জন্য সরকার কিছু প্রতিশ্রুতি দে

ভারতে রেলপথ স্থাপনের কারণ ও ফলাফল আলোচনা কর।

অথবা , ‘ গ্যারান্টি প্রথা ’ কী ? রেলপথ স্থাপনের উদ্দেশ্য কী ছিল ? ভারতের অর্থনীতিতে রেলপথের কী প্রভাব পড়েছিল ? গ্যারান্টি প্রথা । ভারতে ১৮৩২ সাল থেকে রেলপথ স্থাপনের প্রস্তাব উঠতে থাকে । ১৮৫৩ সালে লর্ড ডালহৌসি সর্বপ্রথম বোম্বাই থেকে থানে পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন করেন । ব্রিটিশ কোম্পানিগুলিকে ভারতে রেলপথ স্থাপনে উৎসাহিত করার জন্য সরকার এই সময় কয়েকটি বিষয়ে গ্যারান্টি বা প্রতিশ্রুতি দেয় । এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল , বিনামূল্যে জমিদান ও কোম্পানিকে বিনিয়োগ করা মূলধনের ওপর ৫ শতাংশ সুদ প্রদান । এই প্রতিশ্রুতিই ‘ গ্যারান্টি প্রথা ’ নামে পরিচিত । রেলপথ স্থাপনের উদ্দেশ্য / কারণ । ভারতে রেলপথ স্থাপনে ইংরেজদের বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী উদ্দেশ্য কাজ করেছিল । এই উদ্দেশ্যগুলির মধ্যেই রয়েছে রেলপথ গড়ে তোলার অন্তর্নিহিত কারণ । উদ্দেশ্যগুলি হল – ১) অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য – 1)   ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লবের ফলে সৃষ্ট কারখানাগুলিতে ভারতের কাঁচামাল সহজে ও সুলভে বন্দরে নিয়ে যাওয়া । 2)    ইংল্যান্ডের কারখানায় উৎপাদিত পণ্য দ্রুত ভারতের সর্বত্র পৌঁছে দেওয়া । 3)   শিল্পবিপ্লবের ফলে ব্রিটিশ


বাংলা বই ★ দ্বাদশ শ্রেণি
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার 👆আদর্শ প্রশ্নোত্তরের একমাত্র পোর্টাল

জনপ্রিয় প্রশ্ন-উত্তরগুলি দেখুন

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তগুলি (বৈশিষ্ঠ্য) উল্লেখ কর। ভারতের আর্থ-সামাজিক ইতিহাসে এই ভূমি-ব্যবস্থার গুরুত্ব আলোচনা কর।

অথবা , চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি ব্যাখ্যা কর । এপ্রসঙ্গে ভারতের কৃষক সমাজের ওপর এই বন্দোবস্ত কীরূপ প্রভাব ফেলেছিল বর্ননা কর । উত্তর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত । চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হল এক ধরণের ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা ।   ১৭৯৩ সালে  লর্ড কর্ণওয়ালিস বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যায় এই ভূমি-ব্যবস্থা চালু করেন । পরবর্তীকালে বারাণসী , উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ও মাদ্রাস প্রেসিডেন্সির কোনো কোনো অঞ্চলে  এই ব্যবস্থা  চালু করা হয় । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি । কোম্পানির কর্মচারী ও ঐতিহাসিক আলেকজান্ডার ডাও ১৭৭২ সালে  প্রথম  চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কথা বলেন । এরপর হেনরি পাত্তুলো , ড্যাক্রিস , টমাস ল প্রমুখ এই বন্দোবস্তের সপক্ষে যুক্তি দেখান । ১৭৮৬ সালে কর্ণওয়ালিশ গভর্নর জেনারেল হয়ে ভারতে আসেন ।  তিন বছর ধরে  তিনি  বাংলার ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যপক অনুসন্ধান চালান ।  এরপর ১৭৯০ সালে দেশীয় জমিদারদের সঙ্গে দশ বছরের জন্য একটি বন্দোবস্ত করেন, যা ‘ দশসালা বন্দোবস্ত ’ নামে পরিচিত । সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন , ইংল্যান্ডের কর্তপক্ষ অনুমোদন করলে এই বন্দোবস্তই ‘ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ’ -এ পরিণত হবে

জাদুঘর কাকে বলে? অতীত পুনর্গঠনে জাদুঘরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা , জাদুঘর কী ? জাদুঘরের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলি বর্ননা কর । অথবা , জাদুঘর বলতে কী বোঝ ? আধুনিক ইতিহাস রচনায় জাদুঘরের গুরুত্ব লেখ । উঃ জাদুঘরের সংজ্ঞা বাংলা ‘ জাদুঘর ’ শব্দটির ইংরাজি প্রতিশব্দ হল মিউজিয়াম ( Museum) । ‘ মিউজিয়াম ’ শব্দটির মূল উৎস হল প্রাচীন গ্রীক শব্দ Mouseion ( মউসিয়ান) , যার অর্থ হল গ্রীক পুরাণের শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক মিউসদের মন্দির । এই ধরণের মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে প্রাচীন গ্রিসে পাঠাগার , প্রাচীন শিল্পকলা প্রভৃতির সংগ্রহশালা গড়ে উঠত । ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মিউজিয়াম -এর মতে, জাদুঘর হল একটি অলাভজনক, জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত এবং স্থায়ী সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান যা শিক্ষালাভ, জ্ঞানচর্চা ও আনন্দলাভের উদ্দেশ্যে মানব ঐতিহ্যের স্পর্শযোগ্য ও স্পর্শ-অযোগ্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করে, সংরক্ষণ করে, প্রদর্শন করে এবং সেগুলি নিয়ে গবেষণা করে। উদাহরণ – ব্রিটিশ মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ের নিদর্শন। এখানে পৃথক পৃথক ঘরে পৃথক পৃথক বিষয়ের নিদর্শন প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। জাদুঘরের উদ্দেশ্য , ক

ঠান্ডা লড়াই কী? ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি আলোচনা করো।

ঠান্ডা লড়াই কী : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের (১৯৪৫) পর পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ পরস্পর দুটি রাষ্ট্রজোটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। একটি আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট অন্যটি সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট। এই দুই রাষ্ট্রজোট কোন প্রত্যক্ষ যুদ্ধ না করেও দীর্ঘকাল ধরে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও যুদ্ধের আবহ বা ছায়াযুদ্ধ চালাতে থাকে। এই ছায়াযুদ্ধই ইতিহাসে 'ঠান্ডা লড়াই' নাম পরিচিত। মার্কিন সাংবাদিক ওয়াল্টার লিপম্যান ( Walter Lippmaan ) ১৯৪৭ সালে তাঁর The Cold War গ্রন্থে সর্বপ্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য : 'ঠান্ডা লড়াই কী' এই অংশের জন্য ৩/৪ (তিন বা চার ) নম্বর (মার্কস) থাকলে অথবা বৈশিষ্ঠ্য লিখতে বললে  এখানে ক্লিক কর এবং যে অংশ বের হবে তা এই পয়েন্টের নিচে জুড়ে দাও। ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি : ঠান্ডা লড়াই-এর পিছনে শুধুমাত্র আদর্শগত বা অর্থনৈতিক কারণ বা ভিত্তি কাজ করেছিল এমন নয়। এর পিছনে আরও কিছু বিষয় তথা আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী কার্যকর ছিল। সমগ্র কারণকে এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। সাম্যবাদের বিরোধিতা : রাশিয়ায়

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল বর্ননা কর।

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল পলাশির যুদ্ধ ১৭৫৬ সালে নবাব আলীবর্দি মারা যান । এরপর তাঁর পৌত্র সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার সিংহাসন আরোহন করেন । সিংহাসন আরোহনের কিছুদিনের মধ্যেই ইংরেজদের সাথে তাঁর বিরোধ বাঁধে , যার চূড়ান্ত পরিনতি হল ১৭৫৭ সালের পলাশির যুদ্ধ ।   এই যুদ্ধের পটভূমি বিশ্লেষণ করলেই সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি পরিষ্কার হয়ে ওঠে । সেই সঙ্গে এটাও বোঝা যাবে এই বিরোধে সিরাজেরে ‘ অহমিকাবোধ ’ ও ‘ অর্থলোভ ’ দায়ী ছিল কিনা । পলাশির যুদ্ধের পটভূমি / কারণ সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি হল –   আনুগত্যদানে বিলম্ব। সিরাজ বাংলার সিংহাসনে বসলে প্রথা অনুযায়ী নবাবের প্রতি আনুগত্য জানিয়ে ফরাসি, ওলন্দাজ প্রভৃতি কোম্পানিগুলি উপঢৌকন পাঠালেও ইংরেজরা ইচ্ছা করে উপঢৌকন পাঠাতে দেরি করে। এতে সিরাজ অপমানিত হন।   ষড়যন্ত্রের সংবাদ। সিংহাসনে বসার সময় থেকে ঘষেটি বেগম, সৌকত জঙ্গ ও কয়েকজন রাজকর্মচারি সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র লিপ্ত ছিলেন। খবর আসে যে, এই ষড়যন্ত্রে ইংরেজরা যুক্ত আছে এবং তাঁকে সরিয়ে অনুগত কাউকে সিংহাসনে বসানোর চক্রান্ত করছে।   কৃষ্ণদাসকে আশ্রয়দান। ঘষেটি বেগমের প্রিয়পাত্র ঢা

বাংলার সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা, বাংলার সমাজ ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর। অথবা, ঊনবিংশ শতকে নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান উল্লেখ কর। অথবা, উনিশ শতকের নবজাগরণে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা কি ছিল? এ প্রসঙ্গে নারীজাতির উন্নয়নে তাঁর অবদান ব্যাখ্যা কর।  বিদ্যাসাগর ও সংস্কার আন্দোলন : ঊনবিংশ শতকে ভারতে যে কজন সংস্কারকের জন্ম হয়েছিল তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি ছিলেন বঙ্গীয় নবজাগরণের মূর্ত প্রতীক। তাঁর মধ্যে ইউরোপীয় নবজাগরণের প্রবল যুক্তিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, প্রগাঢ় মানবতাবাদ, এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবাদর্শের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছিল। মাইকেল মধুসূদনের মতে, ' যার মনীষা প্রাচীন ঋষিদের মতো, কর্মদক্ষতা ইংরেজদের মত এবং হৃদয়বত্তা বাঙালি জননীর মত। ' বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টা : বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টাকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যায়। এক . শিক্ষা সংস্কার, দুই . সমাজ সংস্কার। তবে তাঁর এই দুই প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে ছিল নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি। (১) 

চিনের ৪ ঠা মে আন্দোলনের কারণ বিশ্লেষণ কর। এই আন্দোলনের প্রভাব আলোচনা কর। (২০১৬)

অথবা, বিংশ শতকে চিনে ৪ ঠা মে-র আন্দোলনের উত্থান ও গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। চিনের সেই সময়কার দুটি উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্রের নাম লেখো। অথবা, চিনের ৪ ঠা মের আন্দোলনের পটভূমি আলোচনা কর। এই আন্দোলনের ফলাফল বা তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।  ৪ ঠা মে-র আন্দোলন : ১৯১৪  সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপান চিনে আগ্রাসন চালায়। যুদ্ধে চীন মিত্রপক্ষে যোগ দিলেও যুদ্ধের পর তারা কোনো সুবিচার পায় নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি আধিপত্যের বিরুদ্ধে চিনা জাতীয়তাবাদী জনগণ চেন-তু-শিউ এর নেতৃত্বে  ১৯১৯ সালে ৪ ঠা মে পিকিং-এর তিয়েন-আন-মেন স্কোয়ার -এ  এক আন্দোলনের ডাক দেয়। এই আন্দোলন চিনের ইতিহাসে ৪ ঠা মে-র আন্দোলন নামে পরিচিত। আন্দোলনের কারণ ( পটভূমি ) : এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করলে এর কারণগুলি অনুধাবন করা যায়। ইউয়ান-সি-কাই এর নৃশংসতা : ১৯১১ সালে বিপ্লবের পর রাষ্ট্রপতি সান-ইয়াত-সেন দেশের গৃহযুদ্ধ এড়াতে ইউয়ান-সি-কাই  - এর অনুকূলে স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রপতি পদ ত্যাগ করেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর  ইউয়ান-সি-কাই  সমস্ত সাংবিধানিক পদ্ধতি বাতিল করে সামরিক একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। এর প্রতিবাদ করলে কুয়োমি

তিন আইন কী?

তিন আইন কী? ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলনের ফলে ১৮৭২ সালে ব্রিটিশ সরকার বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রভৃতি সামাজিক কুসংস্কারগুলি নিষিদ্ধ করে এবং বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়। যে আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার এই ঘোষণা জারি করে তাকে ' তিন আইন ' বলে।

'মুক্তদ্বার নীতি' (Open Door Policy) কী?

চিনে ইউরোপীয় দেশগুলির উপনিবেশিক আধিপত্য স্থাপনের ফলে আমেরিকা শঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা ভাবতে শুরু করে এর ফলে চিনে আমেরিকার বাণিজ্যিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই পরিস্থিতিতে ১৮৯৯ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জন হে চিন সম্পর্কে যে নীতি গ্রহণ করেছিলেন তা মুক্তদ্বার নীতি নামে পরিচিত। এই নীতিতে বলা হয়, বিভিন্ন ইউরোপীয় শক্তি দ্বারা অধিকৃত চিনের বিভিন্ন অঞ্চলে আমেরিকার সমান বাণিজ্যিক সুবিধা দিতে হবে।

ভাইকম সত্যাগ্রহ কী

ভাইমক বর্ণহিন্দুদের একটি মন্দির । দক্ষিণ ভারতের ত্রিবাঙ্কুরে এটি অবস্থিত। এই মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষদের চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। শ্রীনারায়ণ গুরু বর্ণহিন্দুদের এই বর্নবিদ্বেষী প্রথার বিরুদ্ধে এবং মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষের হাঁটার দাবিতে যে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তা ভাইকম সত্যাগ্রহ নামে পরিচিত। আন্দোলনের ব্যাপকতায় মুগধ হয়ে গান্ধিজি একে সমর্থন করেন। শেষ পর্যন্ত এই আন্দোলন জয়যুক্ত হয়।

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল?

কোন পরিস্থিতিতে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) শুরু হয়? এই মামলায় অভিযুক্ত কয়েকজন শ্রমিক নেতার নাম লেখো। এই মামলার ফলাফল কী হয়েছিল? অথবা, মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল? অথবা, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কমিউনিস্ট পার্টির অবদানের একটি উদাহরণ দাও। এপ্রসঙ্গে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষাপট আলোচনা কর। এই মামলার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। উত্তর : মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা : ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে কমিউনিস্টদের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে ব্রিটিশ সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এইরূপ পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেছিল। মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) হল এরকমই এক দমননীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মামলার প্রেক্ষাপট : ১) শ্রমিক-মালিক বিরোধ । ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে ভারতে শিল্পায়ন শুরু হলে শ্রমিক শ্রেণির উদ্ভব হয়। বিংশ শতকের প্রথম দিকে মালিক শ্রেণির শোষণ ও অত্যাচারে শ্রমিক-মালিক সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। শ্রমিক শ্রেণির অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিস্টরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন জোরদার করে তুলে ব্রিটিশ সরকার চিন্তায় পড়ে যা