সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রাওলাট আইন কী? এই আইনের প্রেক্ষাপট ও শর্তগুলি উল্লেখ কর। এর বিরুদ্ধে ভারতীয়রা কী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল?

অথবা, জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ড কী? এর প্রেক্ষাপট আলোচনা কর। এই ঘটনার কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল? অথবা, রাউলাট সত্যাগ্রহ কী ? এর পটভূমি আলোচনা কর। ব্রিটিশ সরকার কীভাবে এই আন্দোলন দমন করে? ভারতীয়রা কীভাবে এর প্রতিক্রিয়া জানায়? উত্তর : রাওলাট আইন কী ? ভারতীদের ব্রিটিশবিরোধী গণ-আন্দোলন ও বৈপ্লাবিক কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য বিচারপতি স্যার সিডনি রাওলাটের সভাপতিত্বে পাঁচজন সদস্য নিয়ে রাওলাট কমিশন বা সিডনি কমিশন গঠিত হয়। এই কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে ১৯১৯ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় আইন সভা যে দমনমূলক আইন পাশ করে তা-ই 'রাওলাট আইন' নামে পরিচিত। আইনের প্রণয়নের প্রেক্ষাপট  (কারণ) : ১৯১৯ সালে রাওলাট আইনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করলে এই আইন প্রণয়নের কারণ অনুধাবন করা যায়। 'ভারত প্রতিরক্ষা আইনে'র মেয়াদ শেষ :  প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তৈরি হওয়া এই আইনের  মেয়াদ শেষ হলে নতুন আইনের প্রয়োজন হয়। মুসলিমদের ক্ষোভ :  প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্ক পরাজিত হয়। ব্রিটিশ সরকারের মদতে তুরস্ক ব্যবচ্ছেদ হলে ভারতীয় মুসলিমরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।  দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবিদ্বেষ :  দক্ষিণ আফ্রিকা

বিভাজন ও শাসন নীতি কী? ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টির জন্য ব্রিটিশ সরকার এই নীতি কোন প্রেক্ষাপটে কীভাবে কার্যকর করেছিল?

অথবা, কীভাবে 'বিভেদ ও শাসন' নীতি প্রয়োগ করে ব্রিটিশ সরকার ভারতে ঔপনিবেশিক শাসনের বিরোধিতাকে খর্ব করতে চেষ্টা করেছিল? অথবা, ভারতে ' বিভেদ ও শাসন' নীতি প্রয়োগের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে  এর চরিত্র (বৈশিষ্ট্য) ব্যাখ্যা কর। অথবা, 'বিভাজন ও শাসন নীতি' বলতে কী বোঝ? ব্রিটিশরা কী কারণে ভারতে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক বিভেদ বৃদ্ধির চেষ্টা করে? উত্তর : বিভাজন ও শাসন নীতি'   কী  জাতি, ধর্ম, ভাষা ইত্যাদির মাধ্যমে বিভেদ সৃষ্টির মাধ্যমে একটি দেশের জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দুর্বল করে সাম্রাজ্যবাদী শাসক তাদের শাসনকে দীর্ঘস্থায়ী করার কৌশল গ্রহণ করে। প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যে এই নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল। এই নীতি বা কৌশল 'বিভাজন ও শাসন নীতি' নামে পরিচিত। ভারত শাসনে ব্রিটিশ সরকার এই নীতি গ্রহণ করেছিল। বিভাজন ও শাসননীতির প্রেক্ষাপট ভারতে এই নীতি প্রয়োগের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করলে এর চরিত্র (বৈশিষ্ট্য) স্পষ্ট হয়ে ওঠে । ১) মাউন্টস্টুয়ার্ট এলফিনস্টোনের পরামর্শ অনুযায়ী ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনকে দুর্বল করার জন্য ব্রিটিশ সরকার ধর্ম ও জাতি-ভিত্তিক বিভ

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল?

কোন পরিস্থিতিতে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) শুরু হয়? এই মামলায় অভিযুক্ত কয়েকজন শ্রমিক নেতার নাম লেখো। এই মামলার ফলাফল কী হয়েছিল? অথবা, মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল? অথবা, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কমিউনিস্ট পার্টির অবদানের একটি উদাহরণ দাও। এপ্রসঙ্গে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষাপট আলোচনা কর। এই মামলার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। উত্তর : মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা : ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে কমিউনিস্টদের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে ব্রিটিশ সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এইরূপ পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেছিল। মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) হল এরকমই এক দমননীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মামলার প্রেক্ষাপট : ১) শ্রমিক-মালিক বিরোধ । ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে ভারতে শিল্পায়ন শুরু হলে শ্রমিক শ্রেণির উদ্ভব হয়। বিংশ শতকের প্রথম দিকে মালিক শ্রেণির শোষণ ও অত্যাচারে শ্রমিক-মালিক সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। শ্রমিক শ্রেণির অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিস্টরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন জোরদার করে তুলে ব্রিটিশ সরকার চিন্তায় পড়ে যা

মন্টেগু চেমসফোর্ড আইনকে কে কেন 'দাসত্বের পরিকল্পনা' বলে উল্লেখ করেন?

১৯১৯ সালে মন্টেগু চেমসফোর্ড আইন চালু হয়। এই আইনকে শ্রীমতি এনি বেসন্ত 'দাসত্বের পরিকল্পনা' বলে অভিহিত করেন। এই আইনে মুসলিম ও তপসিল ভুক্ত সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক নির্বাচনের কথা বলা হয়। এর হলে 'বিভাজন ও শাসন নীতি'র সম্ভাবনা দেখা দেয়। তাই এই আইনকে বিদ্রুপ করে 'দাসত্বের পরিকল্পনা' বলে অভিহিত করেন।

ভারতের প্রদেশগুলিতে 'দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা' কখন কীভাবে প্রচলিত হয়?

১৯১৯ সালে মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার আইন অনুসারে প্রদেশগুলিতে'দ্বৈতশাসন ব্যাবস্হা চালু হয়। এই আইন অনুসারে প্রদেশের ক্ষমতাকে দুভাগে ভাগ করা হয়- হস্তান্তরিত ও সংরক্ষিত। হস্তান্তরিত বিষয়গুলির দায়িত্ব নির্বাচিত মন্ত্রীসভার ওপর এবং সংরক্ষিত বিষয়গুলির দায়িত্ব গভর্নর ও তাঁর কাউন্সিলের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এইভাবে প্রদেশে 'দ্বৈতশাসন' গড়ে ওঠে।

মন্টেগু-চেমসফোর্ড আইনে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার যে দুটি কক্ষের বিধান দেওয়া হয় তাদের নাম কী?

মন্টেগু-চেমসফোর্ড আইনে প্রস্তাবিত দুটি কক্ষের নাম হল - ১) উচ্চককক্ষের নাম রাষ্ট্রীয় পরিষদ। ২) নিম্নকক্ষের নাম কেন্দ্রীয় আইনসভা।

'মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার আইন' কত খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত হয়?

১৯১৯ সালে মন্টেগু চেমসফোর্ড সংস্কার আইন চালু হয়।

চেমস ফোর্ড কে ছিলেন?

১৯১৯ সালে ভারতের বড়লাট ছিলেন চেমস ফোর্ড। তার আমলে যে সংস্কার আইন চালু হয় তা ভারতে প্রথম দ্বায়িত্বশীল সরকার গঠনের কথা বলা হয়।

কোন ভারত শাসন আইনে প্রথম দায়িত্বশীল সরকার গঠনের কথা বলা হয়?

১৯১৯ সালে ভারত শাসন আইন তথা মন্টেগু চেমসফোর্ড সংস্কার আইনে ভারতে প্রথম দ্বায়িত্বশীল সরকার গঠনের কথা বলা হয়।

মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইনে কী বিষয়ে সংরক্ষণ করা হয়?

 মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইনে মুসলিম ও তপসিল ভুক্ত সম্প্রদায়ের জন্য নির্বাচন ক্ষেত্র সংরক্ষণ করা হয়।

মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইনের দুটি শর্ত উল্লেখ কর।

 মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইনের দুটি শর্ত হল  ১) ভারতীয় প্রতিনিধি নিয়োগ। বড়োলাটের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহক পরিষদে এবং প্রতিটি প্রাদেশিক পরিষদে একজন করে ভারতীয় প্রতিনিধি নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। ২) সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি। বাংলা, বোম্বাই, মাদ্রাজ প্রভৃতি প্রদেশের গভর্নরের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য সংখ্যা ২ থেকে ৪ জন করার সিদ্ধান্ত হয়। নমুনা প্রশ্ন - ২০১৪

কোন আইন 'কাউন্সিল আইন' নামে পরিচিত?

১৯০৯ সালের ভারত শাসন আইন অর্থাৎ মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন 'কাউন্সিল আইন' নামে পরিচিত।

 মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন কবে পাস হয়?

 মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন ১৯০৯ সালে পাস হয়। উঃ মাঃ ২০১৬

কে, কোন আইনকে 'একটি ধাপ্পাবাজি' বলে উল্লেখ করেছেন?

ঐতিহাসিক বিপানচন্দ্র ১৮৯২ সালের ভারত শাসন আইনকে 'একটি ধাপ্পাবাজি' বলে উল্লেখ করেছেন।

১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের মূল্যায়ন কর।

১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের পটভূমি, শর্তাবলী (বৈশিষ্ট্য) ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। অথবা, ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর। এই আইনের ত্রুটি-বিচ্যুতি কী ছিল? এই আইন ভারতীয়দের কেন সন্তুষ্ট করতে পারেনি? অথবা, ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের মূল্যায়ন কর। উত্তর : ভারত শাসন আইন - ১৯৩৫ ১৯১৯ সালের মন্টেগু-চেমসফোর্ড আইন প্রণয়নের পর তার ত্রুটি-বিচ্যুতির বিরুদ্ধে গান্ধিজির নেতৃত্বে ব্যপক গণ আন্দোলন গড়ে ওঠে। এই পর্বে আইন অমান্য আন্দোলন ব্রিটিশ সরকারকে অতঙ্কিত করে তোলে।  এই পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্রিটিশ সরকার যে নতুন আইন পাস করেন তা-ই ভারত শাসন আইন - ১৯৩৫ নামে পরিচিত। পটভূমি / কারণ : ১৯৩৫ সালের নতুন ভারত শাসন আইন প্রণয়নের প্রেক্ষাপট আলোচনা করলে এর কারণ অনুধাবন করা যায়। ১) গণ আন্দোলন । ১৯১৯ সালের মন্ট-ফোর্ড সংস্কার আইন ভারতীয়দের আশা-আকাঙ্খা পূরণে ব্যর্থ হলে গান্ধীজির নেতৃত্বে ব্যাপক গণ আন্দোলন শুরু হয়। ২) বিপ্লবী কার্যকলাপ । এই সময় ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বিপ্লবী কার্যকলাপ যথেষ্ট বৃদ্ধি পায়। ফলে সরকার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ৩) জাতীয়তাবাদের প্রভাব । ভারতে ক্রমবর্ধমান জাতী

পাবলো পিকাসো কে ছিলেন?

পাবলো পিকাসো ছিলেন স্পেনের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী। তিনি আফ্রিকার চিত্রশিল্পের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাঁর বিখ্যাত চিত্রগুলি অঙ্কন করেন

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম অ-শেতাঙ্গ রাষ্ট্রপ্রধানের নাম লেখো।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম অ-শেতাঙ্গ রাষ্ট্রপ্রধানের নাম নেলসন ম্যান্ডেলা।

বর্ণবৈষম্য নীতি (Caste Discrimination Custom) কোন দেশে বলবৎ হয়?

বর্ণবৈষম্য নীতি (Caste Discrimination Custom) দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ইত্যাদির মত দেশে বলবৎ হয়?

'সংকীর্ণ জাতিয়তাবাদ' (Narrow Jaws) কী?

ইউরোপের ঔপনিবেশিক পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলির মুষ্টিমেয় পুঁজিপতি নিজেদের লক্ষ্য ও স্বার্থকে জাতীয় স্বার্থের সমার্থক বলে প্রচার করে। এরূপ জাতীয়তাদ 'সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ' নামে পরিচিত।

'সোশ্যাল ডারউইনবাদে'র প্রবক্তা কে?

'সোশ্যাল ডারউইনবাদ' বা 'সামাজিক দারুইনবাদ'র প্রবক্তা হলেন হার্বাড স্পেনসার। উঃ মাঃ - ২০১৭

যোগ্যতমের উদবর্তন বলতে কী বোঝায়? অথবা, যোগ্যতম জাতির শ্রেষ্ঠত্ব রক্ষার তত্ত্ব কী?

যোগ্যতমের উদবর্তন তত্ত্ব ব্রিটিশ জীববিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন 'যোগ্যতমের উদবর্তন' তত্ত্বের প্রবক্তা। এই তত্ত্বে তিনি বলেছেন, সমগ্র প্রাণিকুলের মধ্যে প্রতিকুল প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করে শুধু যোগ্যতম প্রাণীরাই বিবর্তনের মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে। সমগ্র প্রাণী জগৎ সম্পর্কে ডারউনের এই তত্ত্বই ‘যোগ্যতমের উদবর্তন’ তত্ত্ব নামে পরিচিত। ইউরোপের সাম্রাজ্যবাদী জাতিগুলি এই তত্ত্বকে বিকৃতভাবে প্রয়োগ করে মনুষ্য জাতির ভবিষ্যৎ নির্ণয় করেছেন। তাদের মতে, পৃথিবীতে জনসংখ্যার বৃদ্ধির ফলে জীবনধারণের উপকরণে ঘাটতি দেখা দিলে বিভিন্ন জাতির মধ্যে সংঘাত অনিবার্য। সেক্ষেত্রে সবচেয়ে যোগ্য বা শক্তিশালী জাতিই জয়ী হয়ে পৃথিবীতে টিকে থাকবে। চার্লস ডারউইনের ‘যোগ্যতমের উদবর্তন তত্ত্বে’র এই  বিকৃত প্রয়োগ ও তার ব্যাখ্যাই  ‘যোগ্যতম জাতির শ্রেষ্ঠত্ব রক্ষা’ তত্ত্ব নামে পরিচিত ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলি এই তত্ত্বের মাধ্যমে তাদের সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বৈধতা প্রমাণের চেষ্টা করে।

'হোয়াইট মেনস বার্ডেন (White Man's Burden) তত্ত্ব' কী?

শ্বেতাঙ্গরা নিজেদের উন্নত সভ্যতা ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক বলে মনে করত। ইংরেজ কবি রুডইয়ার্ড কিপলিং ও ফরাসি লেখক জুলি ফেরি এ ব্যাপারে শ্বেতাঙ্গ জাতিকে পৃথিবীর বিভিন্ন অনুন্নত জাতিকে উন্নত করার দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানান। তাঁদের মতে এই দায়িত্ব নেওয়াটা শ্বেতাঙ্গ জাতির দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে। এটাই ইতিহাসে ' শ্বেতাঙ্গদের বোঝা' বা ' শ্বেতাঙ্গদের দায়বদ্ধতা ' বলে অভিহিত। এদের এই মতবাদ ' হোয়াইট মেনস বার্ডেন (White Man's Burden) তত্ত্ব ' নামে পরিচিত।

'শ্বেতাঙ্গদের বোঝা' বা 'সাদা চামড়ার দায়বদ্ধতা' বলতে কী বোঝ?

শ্বেতাঙ্গরা নিজেদের উন্নত সভ্যতা ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক বলে মনে করত। ইংরেজ কবি রুডইয়ার্ড কিপলিং ও ফরাসি লেখক জুলি ফেরি এ ব্যাপারে শ্বেতাঙ্গ জাতিকে পৃথিবীর বিভিন্ন অনুন্নত জাতিকে উন্নত করার দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানান। তাঁদের মতে এই দায়িত্ব নেওয়াটা শ্বেতাঙ্গ জাতির দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে। এটাই ইতিহাসে ' শ্বেতাঙ্গদের বোঝা' বা ' শ্বেতাঙ্গদের দায়বদ্ধতা ' বলে অভিহিত। এদের এই মতবাদ ' হোয়াইট মেনস বার্ডেন (White Man's Burden) তত্ত্ব ' নামে পরিচিত। উঃ মাঃ - ২০১৭

রুডইয়ার্ড কিপলিং কে ছিলাম?

রুডইয়ার্ড কিপলিং ছিলেন প্রখ্যাত ইংরেজ কবি। তাঁর বিখ্যাত কবিতার নাম White man's burden. এই কবিতায় তিনি সাদা চামড়ার মানুষকে অনুন্নত জাতিকে উন্নত করার দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেন।

শিল্পবিপ্লব সর্বপ্রথম কোথায় শুরু হয়েছিল?

শিল্পবিপ্লব সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডে শুরু হয়েছিল? নমুনাপ্রশ্ন - ২০১৪

 মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইনের মূল্যায়ন কর।

১৯০৯ সালে মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইনের শর্ত ও গুরুত্ব আলোচনা কর। অথবা, ১৯০৯ সালের শাসনতান্ত্রিক সংস্কার আইনের একটি বিশ্লেষনমূলক আলোচনা কর। অথবা, মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন কী? এর প্রেক্ষাপট (পটভূমি) ও বৈশিষ্ট্য বর্ননা কর। অথবা, কত সালে কেন মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন চালু হয়? এই আইনের মূল্যায়ন কর। অথবা, ১৯০৯ সালের শাসনতান্ত্রিক সংস্কার আইনের শর্ত, ত্রুটি ও গুরুত্ব আলোচনা কর। উত্তর। মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন : ভারতের জাতীয়তাবাদী নেতৃত্বকে খুশি করে জাতীয় আন্দোলনকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে ১৯০৯ সালে ভারত সচিব জন মর্লে ও বড়োলাট লর্ড মিন্টো একটি শাসনতান্ত্রিক সংস্কারের পরিকল্পনা করেন। এই শাসনসংস্কার মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন বা ১৯০৯ সালের কাউন্সিল আইন নামে পরিচিত। পটভূমি বা কারণ : এই আইন প্রবর্তনের পিছনে নিম্নলিখিত কারণগুলি সক্রিয় ছিল – ১) জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিবাদ । ১৮৫৮, ১৮৬১, ১৮৯২ সালের ভারত শাসন আইন ছিল একধরণের ‘ধাপ্পাবাজি’ (বিপান চন্দ্র)। তাই জাতীয় কংগ্রেস আইন পরিষদে নির্বাচিত ভারতীয় সদস্য বাড়ানো ও তাদের হাতে বেশি ক্ষমতা দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার হয়। ২) বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী

'হবসন-লেনিন তত্ব' বলতে কী বোঝ?

সাম্রাজ্যবাদের উৎপত্তি ও বিকাশ বিষয়ে হবসন ও লেনিন যে তত্ব উপস্হাপন করেছেন তা হবসন-লেনিন তত্ব নামে পরিচিত। হবসন মতে - ১) পুঁজিপতি শ্রেণি তাদের উদবৃত্ত পুঁজি বিনিয়োগ, সস্তায় কাঁচামাল সংগ্রহ এবং শিল্পপণ্যের বাজার দখলের মাধ্যমে মুনাফা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে উপনিবেশ দখলে সরকারকে বাধ্য করে। ২) সেই সঙ্গে তিনি বলেন, সম্পদের সুষম বন্টনের মাধ্যমে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ালে উদবৃত্ত শিল্পপণ্য দেশের জনগণই কিনতে পারবে। ফলে শিল্পপণ্য বিক্রি করার জন্য উপনিবেশ দখলের দরকার হয়না। লেনিন তাঁর ব্যাখ্যায়, হবসনের মতের সঙ্গে সহমত পোষণ করে বলেন - ১) এই উপনিবেশ দখলের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হল উপনিবেশ দখলের লড়াই, যা প্ৰথম বিশ্বযুদ্ধ ডেকে এনেছে। ২) উপনিবেশ থেকে শোষিত অর্থের দ্বারা পুঁজিপতি শ্রেণী কিছু শ্রমিককে উৎকোচ দিয়ে একটি অনুগত ও অভিজাত শ্রমিক শ্রেনির জন্ম দেয়। এরা বিপ্লবের কথা ভুলে বুর্জোয়াদের সমর্থন করে। হবসন ও লেনিনের এই তত্ত্বই হবসন-লেনিন তত্ত্ব নামে পরিচিত।

সাম্রাজ্যবাদ সম্পর্কে লেনিনের মূল বক্তব্য কী

লেনিনের মতে, পুঁজিবাদের জঠরে সাম্রাজ্যবাদের জন্ম।পুঁজিবাদী শ্রেণীর স্বার্থেই পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি পরিচালিত হয়। তাঁর মতে পুঁজিপতি শ্রেণি অধিক মুনফালাভের আশায় অতিরিক্ত উৎপাদন করে। এই উদবৃত্ত পণ্য বেচার বাজার ও কাঁচামালের যোগান অব্যাহত রাখার তাগিদে তারা দেশের সরকারকে উপনিবেশ দখলের জন্য চাপ দেয়। এভাবে উপনিবেশ দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

লেনিন রচিত দুটি গ্রন্থের নাম লেখো।

লেনিনের লেখা দুটি গ্রন্থের নাম হল - ১) Imperialism : The Highest Stage of Capitalism. ২) The Development of Capitalism in Russia.

আমেরিকার নাম আমেরিকা কেন

আমেরিগো ভেসপুচি আমেরিকায় পাড়ি জমানো দ্বিতীয় ইউরোপীয় অভিযাত্রী। তিনিই প্রথম বুঝতে পারেন, এটা ভারত তো নয়ই, বরং সম্পূর্ণ নতুন এক মহাদেশ। আর তাই তাঁর নামেই নতুন মহাদেশের নাম হয় আমেরিকা।

সাম্রাজ্যবাদ বিষয়ে জে এ হবসনের মূল বক্তব্য কী ছিল?

প্রখ্যাত ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জে এ হবসন বলেছেন, পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় পুঁজিপতি শ্রেণি বাণিজ্যের মাধ্যমে মূলধনের পাহাড় গড়ে তোলে। এই উদবৃত্ত পুঁজি বিনিয়োগের মাধ্যমে আরও মুনাফা বাড়ানোর নেশায় মেতে ওঠে। এই উদ্দেশ্যে পুঁজিপতিরা সরকারকে উপনিবেশ দখলের জন্য চাপ তৈরি করে এবং সরকারগুলি উপনিবেশ দখলের লড়াইয়ে নেমে পড়ে।

সাম্রাজ্যবাদ বিষয়ে জে এ হবসনের লেখা গ্রন্থের নাম লেখ।

উত্তর জানতে এখানে ক্লিক কর ।

জে এ হবসনের বইটির নাম কী?

জে এ হবসনের লেখার বইয়ের নাম 'Imperialism : A Study'. বিকল্প প্রশ্ন : সাম্রাজ্যবাদ বিষয়ে জে এ হবসনের লেখা গ্রন্থের নাম লেখ। উঃ মাঃ - ২০১৫

কার্ল মার্কসের 'উদবৃত্ত তত্ত্ব' কী?

মার্কসের মতে, শ্রমিক তার শ্রম দিয়ে যতটুকু মূল্য সৃষ্টি করে, তা বাজারে বিক্রি করার ফলে মালিক শ্রেণীর হাতে যে অর্থ আসে এবং মালিক শ্রমিককে যতটুকু মজুরি দেয় তার পার্থক্যই হল উদবৃত্ত মূল্য। কার্ল মার্কস বর্ণিত এই তত্ত্বই 'উদবৃত্ত তত্ব' নামে পরিচিত।

'সাম্রাজ্যবাদ পুঁজিবাদের চরম পর্যায়' - কার উক্তি।

'সাম্রাজ্যবাদ পুঁজিবাদের চরম পর্যায়' - কার উক্তি।

'পুঁজিবাদের জঠরে সাম্রাজ্যবাদের জন্ম।' - কার উক্তি?

এই উক্তি বিখ্যাত রুশ কমিউনিস্ট নেতা ভি আই লেলিনের। বিকল্প প্রশ্ন : 'সাম্রাজ্যবাদ পুঁজিবাদের চরম পর্যায়' - কার উক্তি।

হিলফার্ডিং-এর লেখা বইটির নাম লেখো।

হিলফার্ডিং-এর লেখা বইটির নাম হল - Finance Capital.

'লগ্নি পুঁজি' কাকে বলে?

শিল্প বা বাণিজ্য থেকে অর্জিত অতিরিক্ত পুঁজি বা মুনাফা যখন আরও মুনাফা অর্জনের জন্য আবার কোনো শিল্পে অথবা বাণিজ্যে বিনিয়োগ করা হয় তখন তাকে লগ্নি পুঁজি বলে। এর ফলে পুঁজিবাদের ধারা আরও ব্যাপকতা পায়। উঃ মাঃ - ২০১৭

মার্কেন্টাইল অর্থনীতির মূলকথা কী?

মার্কেন্টাইল অর্থনীতির মূলকথা হল - অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণকে রাষ্ট্রের অধীনে নিয়ে আসতে হবে এবং খাদ্যদ্রব্যের রপ্তানি কমিয়ে শিল্পদ্রব্যের রপ্তানি বৃদ্ধি করা।

মার্কেন্টাইলবাদ বা বনিকবাদ বলতে কী বোঝ?

মার্কেন্টাইলবাদ বা বনিকবাদ এক কথায়,  'মার্কেন্টাইলবাদ'  হল রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বা সুরক্ষিত অর্থনৈতিক নীতি।  ষোড়শ থেকে অষ্টাদশ শতকের মধ্যে ইউরোপে মার্কেন্টাইলবাদ বা বনিকবাদ আত্মপ্রকাশ করে। মূলত রাষ্ট্রকে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক দিক থেকে সমৃদ্ধশালী করে তোলার জন্য এই মতবাদ গড়ে ওঠে । এই মতবাদের মূলকথা হল - বুলিয়ান সঞ্চয়, উপনিবেশ প্ৰতিষ্ঠা, খনিজ উৎপাদন ও শিল্পের উন্নতির দ্বারা বাণিজ্যের ভারসাম্য বজায় রাখা। লর্ড একটনের মতে, মার্কেন্টাইলবাদ এমন এক মতবাদ যা স্বৈরতন্ত্রের পরিপূরক। উঃ মাঃ - ২০১৬ এই বিষয়ে আরও প্রশ্ন ও উত্তর : মার্কেন্টাইল অর্থনীতি (পুঁজি) কী? এর বৈশিষ্ঠ আলোচনা কর। কীভাবে এর অবসান হয়? ২ + ৩ + ৩ = ৮ মার্কেন্টাইল অর্থনীতির প্রভাব ( ফলাফল ) বা গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর । ৪

'বাণিজ্যিক মূলধন' বা 'বাণিজ্যিক পুঁজি' বলতে কী বোঝ?

শিল্পবিপ্লবের আগে পুঁজিপতিরা বাণিজ্যে মূলধন বিনিয়োগ করতেন। বাণিজ্যে নিয়োজিত এই মূলধন 'বাণিজ্যিক মূলধন' বা 'বাণিজ্যিক পুঁজি' নামে পরিচিত। উঃ মাঃ - ২০১৫, ২০১৮

ধনতন্ত্রের বিকাশের পর্যায়গুলি কী কী?

ধনতন্ত্রের বিকাশের পর্যায়গুলি হল - ১) বাণিজ্য পুঁজি ২) শিল্প পুঁজি এবং ৩) মহাজনি পুঁজি

মার্কেন্টাইলবাদ শব্দটি কে সর্বপ্রথম ব্যবহার করেছিলেন?

প্রখ্যাত ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ এডাম স্মিথ তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ Wealth of Nations গ্রন্থে মার্কেন্টাইলবাদ শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন। এই বিষয়ে আরও প্রশ্ন ও উত্তর : মার্কেন্টাইল অর্থনীতি (পুঁজি) কী? এর বৈশিষ্ঠ আলোচনা কর। কীভাবে এর অবসান হয়?  ২ + ৩ + ৩ = ৮ মার্কেন্টাইল অর্থনীতির প্রভাব ( ফলাফল ) বা গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর । ৪

Wealth of Nations গ্রন্থটির রচয়িতা কে?

প্রখ্যাত ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ এডাম স্মিথ ১৭৭৬ সালে Wealth of Nations গ্রন্থটি রচনা করেন।

কতসালে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র গঠিত হয়?

১৭৭৬ সালে আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের দ্বারা ইংল্যান্ডকে পরাজিত করে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) গঠিত হয়। উঃ মাঃ - ২০১৮।

কোন যুদ্ধের দ্বারা কানাডা ব্রিটিশদের অধীনস্থ হয়?

সপ্তবর্ষব্যাপী যুদ্ধ (১৭৬৫-১৭৬৩) এর জয়লাভের ফলে কানাডা ইংরেজদের অধীনস্থ হয়। বিকল্প প্রশ্ন: কোন যুদ্ধের মাধ্যমে কানাডা ফ্রান্সের অধীনতা থেকে ব্রিটিশ অধীনে চলে আসে।

'ত্রয়োদশ উপনিবেশ' কী?

ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট রাজাদের অদূরদর্শী রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নীতির ফলে ইংল্যান্ডের প্রচুর মানুষ আমেরিকায় চলে যায়। সেখানকার ওলন্দাজ ও ফরাসি শক্তিকে পরাজিত করে ইংরেজরা যে তেরটি উপনিবেশ গড়ে তোলেন তা 'ত্রয়োদশ উপনিবেশ' ( Thirteen Colonies) নামে পরিচিত।

'নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতি' বা Checks and balance পদ্ধতি কী?

উপনিবেশ শাসন করার জন্য স্পেনে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছিল তাদের অন্যতম হল Council of indies. এই সব প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে খুব বেশি শক্তিশালী না হয়ে ওঠে সেইজন্য স্পেনীয় সরকার যে নীতি গ্রহণ করেছিল তা 'নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নীতি' বা 'Checks and balance's পদ্ধতি গ্রহণ করেছিল।

ইনকা সভ্যতা (১৫৩২) কে ধ্বংস করেন?

স্পেনের নাবিক ফ্রান্সিসকো পিজারো ইনকা সভ্যতা ধ্বংস করেন।

আজটেক সভ্যতা (১৫২১) কে ধংস করেন?

১৫২১ সালে স্পেনের নাবিক হার্মান্দো কোর্টেস আজটেক সভ্যতা ধ্বংস করেন।

'আটল্যান্টিক ক্রীতদাস ব্যবসা' বলতে কী বোঝ?

নতুন বিশ্বে অর্থাৎ আমেরিকায় কৃষিকাজ চালানোর জন্য প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। এই প্ৰয়োজন মেটাতে আফ্রিকা থেকে ক্রীতদাস রপ্তানির ব্যবসা শুরু করে ইউরোপীয়রা। আটল্যান্টিক মহাসাগর অতিক্রম করে চলা এই ব্যবসা 'আটল্যান্টিক ক্রীতদাস ব্যবসা' নামে পরিচিত।

ষোড়শ-সপ্তদশ শতকের ইউরোপের নিরিখে 'নতুন বিশ্ব' বলতে কী বোঝ?

ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকে স্পেন, ইংল্যান্ড, পর্তুগাল, ফ্রান্স ও হল্যান্ড আমেরিকা মহাদেশে যে নতুন উপনিবেশ স্থাপন করেন তা 'নতুন বিশ্ব' নামে পরিচিত।

'নতুন বিশ্ব' বা 'New World' বলতে কীবোঝ?

কলম্বাস আবিষ্কৃত আমেরিকা মহাদেশকে নতুন বিশ্ব বলা হয়। যেহেতু এই মহাদেশের নাম ইউরোপের মানুষ জানতো না তাই তাদের কাছে এই মহাদেশ নতুন বিশ্ব হিসাবে বিবেচিত হয়। এই নামকরণ করেছিলেন ইতালীয় নাবিক আমেরিগো ভেচপুচি। তিনি ১৫০৩ সালে তিনি লরেঞ্জো দ্য মেদিচিকে লেখা চিঠিতে প্রথম এই নাম উল্লেখ করেন।

কে, কার কাছে 'একুশ দফা দাবি' পেশ করে?

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় চিনের জার্মান উপনিবেশ শানটুং দখল করে জাপান। এরপরই জাপান চিনের উপর 'একুশ দফা দাবি' চাপিয়ে দেয়। চিন এই দাবি মেনে নিলে জাপান বিশেষ সুবিধা লাভ করে।

অদৃশ্য সাম্রাজ্যবাদ কী?

চিনে আমেরিকা ' মুক্তদ্বার নীতি' প্রয়োগের মাধ্যমে যে বাণিজ্যিক সুবিধা আদায় করেছিল তা ' অদৃশ্য সাম্রাজ্যবাদ ' নামে পরিচিত। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু এই নামকরণ করেছিলেন।

'মুক্তদ্বার নীতি' (Open Door Policy) প্রবক্তা কে?

১৮৯৯ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জন হে চিন সম্পর্কে মুক্তদ্বার নীতি গ্রহণ করেছিলেন।

'মুক্তদ্বার নীতি' (Open Door Policy) কী?

চিনে ইউরোপীয় দেশগুলির উপনিবেশিক আধিপত্য স্থাপনের ফলে আমেরিকা শঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা ভাবতে শুরু করে এর ফলে চিনে আমেরিকার বাণিজ্যিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই পরিস্থিতিতে ১৮৯৯ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জন হে চিন সম্পর্কে যে নীতি গ্রহণ করেছিলেন তা মুক্তদ্বার নীতি নামে পরিচিত। এই নীতিতে বলা হয়, বিভিন্ন ইউরোপীয় শক্তি দ্বারা অধিকৃত চিনের বিভিন্ন অঞ্চলে আমেরিকার সমান বাণিজ্যিক সুবিধা দিতে হবে।

চিনে কীভাবে বিদেশিদের অবাধ অনুপ্রবেশ শুরু হয়?

নানকিং (১৮৪২ সালে) ও তিয়েনসিনের সন্ধি (১৮৫৮ সালে) স্বাক্ষরের ফলে চিনে বিদেশিদের অনুপ্রবেশ শুরু হয়।

'অতিরাষ্ট্রিক অধিকার'(Excessive State Right) বলতে কী বোঝায়?

চিনে অবস্থিত ব্রিটিশ নাগরিকদের অপরাধমূলক কাজকর্মের বিচারের দায়িত্ব ইংরেজদের বিচারলয়ে নিষ্পত্তির অনুমতি দেওয়া হয়। এই অধিকার বলে ব্রিটিশ নাগরিকরা চিনে বসবাস করলেও চিন সম্রাটের অধীনতা থেকে মুক্ত থাকেন। এই বিশেষ সুবিধা 'অতিরাষ্ট্রিক অধিকার' নামে পরিচিত

নানকিং-এর সন্ধির ফল কি হয়েছিল?

এই সন্ধির ফলে ক্যান্টন বন্দরসহ অন্যান্য পাঁচটি বন্দর ইংরেজরা ব্যবহারের অধিকার পেয়েছিল। নানকিং-এর সন্ধি কবে ও কাদের মধ্যে হয়?

নানকিং-এর সন্ধি কবে ও কাদের মধ্যে হয়?

১৮৪২ সালে ইংরেজদের সঙ্গে চিনের নানকিং-এর সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়। এই সন্ধির ফলে ক্যান্টন বন্দরসহ অন্যান্য পাঁচটি বন্দর ইংরেজরা ব্যবহারের অধিকার পেয়েছিল। নানকিং-এর সন্ধির ফল কি হয়েছিল?

প্রথম অহিফেন যুদ্ধ কবে কাদের মধ্যে হয়?

প্ৰথম অহিফেন যুদ্ধ ১৮৩৯-৪২ সালের মধ্যে হয়েছিল? চিনের মাঞ্চু শাসকদের সঙ্গে ইংরেজ বনিকদের এই যুদ্ধ হয়েছিল। এই যুদ্ধে ইংরেজরা জয়লাভ করে।

চিনে কোন বছর আফিম আমদানি বন্ধ হয়?

১৮৩৯ সালে চিনে লিন সেসু র নেতৃত্বে আফিম আমদানি বন্ধ হয়।

বৈদেশিক বাণিজ্য চিনের কোন বন্দর দুটিতে সীমাবদ্ধ ছিল

বৈদেশিক বাণিজ্যি চিনের কণ্টন ও ম্যাকাও বন্দর দুটিতে সীমাবদ্ধ ছিল?

কোন ইউরোপীয় দেশ চিনের সঙ্গে প্রথম বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল?

ষোড়শ শতকে পর্তুগিজরা প্রথম চিনের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল।

কানাগাওয়ার সন্ধি কবে ও কাদের মধ্যে হয়?

১৮৫৪ সালে কানাগাওয়ার সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়। জাপানের ও আমেরিকার মধ্যে এই সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়। সন্ধির শর্ত অনুসারে জাপান শিমোগো ও হাকোডাটা বন্দর দুটি আমেরিকার বাণিজ্যের জন্য খুলে যায়।

কোন মার্কিন সর্বপ্রথম জাপানে পদার্পণ করেন?

১৮৫৪ সালে মার্কিন নৌবাহিনীর জনক কমোডর পেরি সর্বপ্রথম জাপানের ইয়োডো বন্দরে পদার্পণ করেন।

'দুরপ্রাচ্য' বলতে কী বোঝ?

চিন ও জাপানকে দুরপ্রাচ্য বলা হয়। নিজের দেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে উচ্চ ধারণার বশবর্তী হয়ে চিন ও জাপান বহির্বিশ্বের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলতো। কারণ, তারা মনে করতো বহির্বিশ্বের কাছ থেকে শেখার কিছু নেই। এই জন্যই ইউরোপীয় দেশগুলির কাছে এই দুটি দেশকে 'দুরপ্রাচ্য' নামেপরিচি।

ফিলিপিনস দ্বীপপুঞ্জে কাদের উপনিবেশ ছিল?

ফিলিপিনস দ্বীপপুঞ্জে প্রথমে স্পেন এবং পরে আমেরিকার ঔপনিবেশিক শাসন স্থাপিত হয়েছিল।

কোন অঞ্চল 'মশলা দ্বীপপুঞ্জ' নামে পরিচিত?

ইন্দোনেশিয়ার মালাক্কা দ্বীপপুঞ্জ 'মশলা দ্বীপপুঞ্জ' নামে পরিচিত।

ইন্দোচিনের কাদের উপনিবেশ ছিল?

ইন্দোচিনে ফরাসি উপনিবেশ ছিল।

ইন্দোচিনের বর্তমান নাম কী?

ইন্দোচিনের বর্তমান নাম ভিয়েতনাম।

কবে কোন সন্ধির দ্বারা সিংহল ইংল্যান্ডের দখলে আসে?

১৮০২ সালে অ্যমিয়েন্সের সন্ধি র দ্বারা সিংহল ইংল্যান্ডের দখলে আসে।


বাংলা বই ★ দ্বাদশ শ্রেণি
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার 👆আদর্শ প্রশ্নোত্তরের একমাত্র পোর্টাল

জনপ্রিয় প্রশ্ন-উত্তরগুলি দেখুন

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তগুলি (বৈশিষ্ঠ্য) উল্লেখ কর। ভারতের আর্থ-সামাজিক ইতিহাসে এই ভূমি-ব্যবস্থার গুরুত্ব আলোচনা কর।

অথবা , চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি ব্যাখ্যা কর । এপ্রসঙ্গে ভারতের কৃষক সমাজের ওপর এই বন্দোবস্ত কীরূপ প্রভাব ফেলেছিল বর্ননা কর । উত্তর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত । চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হল এক ধরণের ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা ।   ১৭৯৩ সালে  লর্ড কর্ণওয়ালিস বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যায় এই ভূমি-ব্যবস্থা চালু করেন । পরবর্তীকালে বারাণসী , উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ও মাদ্রাস প্রেসিডেন্সির কোনো কোনো অঞ্চলে  এই ব্যবস্থা  চালু করা হয় । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি । কোম্পানির কর্মচারী ও ঐতিহাসিক আলেকজান্ডার ডাও ১৭৭২ সালে  প্রথম  চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কথা বলেন । এরপর হেনরি পাত্তুলো , ড্যাক্রিস , টমাস ল প্রমুখ এই বন্দোবস্তের সপক্ষে যুক্তি দেখান । ১৭৮৬ সালে কর্ণওয়ালিশ গভর্নর জেনারেল হয়ে ভারতে আসেন ।  তিন বছর ধরে  তিনি  বাংলার ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যপক অনুসন্ধান চালান ।  এরপর ১৭৯০ সালে দেশীয় জমিদারদের সঙ্গে দশ বছরের জন্য একটি বন্দোবস্ত করেন, যা ‘ দশসালা বন্দোবস্ত ’ নামে পরিচিত । সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন , ইংল্যান্ডের কর্তপক্ষ অনুমোদন করলে এই বন্দোবস্তই ‘ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ’ -এ পরিণত হবে

জাদুঘর কাকে বলে? অতীত পুনর্গঠনে জাদুঘরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা , জাদুঘর কী ? জাদুঘরের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলি বর্ননা কর । অথবা , জাদুঘর বলতে কী বোঝ ? আধুনিক ইতিহাস রচনায় জাদুঘরের গুরুত্ব লেখ । উঃ জাদুঘরের সংজ্ঞা বাংলা ‘ জাদুঘর ’ শব্দটির ইংরাজি প্রতিশব্দ হল মিউজিয়াম ( Museum) । ‘ মিউজিয়াম ’ শব্দটির মূল উৎস হল প্রাচীন গ্রীক শব্দ Mouseion ( মউসিয়ান) , যার অর্থ হল গ্রীক পুরাণের শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক মিউসদের মন্দির । এই ধরণের মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে প্রাচীন গ্রিসে পাঠাগার , প্রাচীন শিল্পকলা প্রভৃতির সংগ্রহশালা গড়ে উঠত । ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মিউজিয়াম -এর মতে, জাদুঘর হল একটি অলাভজনক, জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত এবং স্থায়ী সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান যা শিক্ষালাভ, জ্ঞানচর্চা ও আনন্দলাভের উদ্দেশ্যে মানব ঐতিহ্যের স্পর্শযোগ্য ও স্পর্শ-অযোগ্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করে, সংরক্ষণ করে, প্রদর্শন করে এবং সেগুলি নিয়ে গবেষণা করে। উদাহরণ – ব্রিটিশ মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ের নিদর্শন। এখানে পৃথক পৃথক ঘরে পৃথক পৃথক বিষয়ের নিদর্শন প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। জাদুঘরের উদ্দেশ্য , ক

ঠান্ডা লড়াই কী? ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি আলোচনা করো।

ঠান্ডা লড়াই কী : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের (১৯৪৫) পর পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ পরস্পর দুটি রাষ্ট্রজোটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। একটি আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট অন্যটি সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট। এই দুই রাষ্ট্রজোট কোন প্রত্যক্ষ যুদ্ধ না করেও দীর্ঘকাল ধরে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও যুদ্ধের আবহ বা ছায়াযুদ্ধ চালাতে থাকে। এই ছায়াযুদ্ধই ইতিহাসে 'ঠান্ডা লড়াই' নাম পরিচিত। মার্কিন সাংবাদিক ওয়াল্টার লিপম্যান ( Walter Lippmaan ) ১৯৪৭ সালে তাঁর The Cold War গ্রন্থে সর্বপ্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য : 'ঠান্ডা লড়াই কী' এই অংশের জন্য ৩/৪ (তিন বা চার ) নম্বর (মার্কস) থাকলে অথবা বৈশিষ্ঠ্য লিখতে বললে  এখানে ক্লিক কর এবং যে অংশ বের হবে তা এই পয়েন্টের নিচে জুড়ে দাও। ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি : ঠান্ডা লড়াই-এর পিছনে শুধুমাত্র আদর্শগত বা অর্থনৈতিক কারণ বা ভিত্তি কাজ করেছিল এমন নয়। এর পিছনে আরও কিছু বিষয় তথা আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী কার্যকর ছিল। সমগ্র কারণকে এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। সাম্যবাদের বিরোধিতা : রাশিয়ায়

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল বর্ননা কর।

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল পলাশির যুদ্ধ ১৭৫৬ সালে নবাব আলীবর্দি মারা যান । এরপর তাঁর পৌত্র সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার সিংহাসন আরোহন করেন । সিংহাসন আরোহনের কিছুদিনের মধ্যেই ইংরেজদের সাথে তাঁর বিরোধ বাঁধে , যার চূড়ান্ত পরিনতি হল ১৭৫৭ সালের পলাশির যুদ্ধ ।   এই যুদ্ধের পটভূমি বিশ্লেষণ করলেই সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি পরিষ্কার হয়ে ওঠে । সেই সঙ্গে এটাও বোঝা যাবে এই বিরোধে সিরাজেরে ‘ অহমিকাবোধ ’ ও ‘ অর্থলোভ ’ দায়ী ছিল কিনা । পলাশির যুদ্ধের পটভূমি / কারণ সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি হল –   আনুগত্যদানে বিলম্ব। সিরাজ বাংলার সিংহাসনে বসলে প্রথা অনুযায়ী নবাবের প্রতি আনুগত্য জানিয়ে ফরাসি, ওলন্দাজ প্রভৃতি কোম্পানিগুলি উপঢৌকন পাঠালেও ইংরেজরা ইচ্ছা করে উপঢৌকন পাঠাতে দেরি করে। এতে সিরাজ অপমানিত হন।   ষড়যন্ত্রের সংবাদ। সিংহাসনে বসার সময় থেকে ঘষেটি বেগম, সৌকত জঙ্গ ও কয়েকজন রাজকর্মচারি সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র লিপ্ত ছিলেন। খবর আসে যে, এই ষড়যন্ত্রে ইংরেজরা যুক্ত আছে এবং তাঁকে সরিয়ে অনুগত কাউকে সিংহাসনে বসানোর চক্রান্ত করছে।   কৃষ্ণদাসকে আশ্রয়দান। ঘষেটি বেগমের প্রিয়পাত্র ঢা

বাংলার সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা, বাংলার সমাজ ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর। অথবা, ঊনবিংশ শতকে নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান উল্লেখ কর। অথবা, উনিশ শতকের নবজাগরণে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা কি ছিল? এ প্রসঙ্গে নারীজাতির উন্নয়নে তাঁর অবদান ব্যাখ্যা কর।  বিদ্যাসাগর ও সংস্কার আন্দোলন : ঊনবিংশ শতকে ভারতে যে কজন সংস্কারকের জন্ম হয়েছিল তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি ছিলেন বঙ্গীয় নবজাগরণের মূর্ত প্রতীক। তাঁর মধ্যে ইউরোপীয় নবজাগরণের প্রবল যুক্তিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, প্রগাঢ় মানবতাবাদ, এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবাদর্শের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছিল। মাইকেল মধুসূদনের মতে, ' যার মনীষা প্রাচীন ঋষিদের মতো, কর্মদক্ষতা ইংরেজদের মত এবং হৃদয়বত্তা বাঙালি জননীর মত। ' বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টা : বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টাকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যায়। এক . শিক্ষা সংস্কার, দুই . সমাজ সংস্কার। তবে তাঁর এই দুই প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে ছিল নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি। (১) 

চিনের ৪ ঠা মে আন্দোলনের কারণ বিশ্লেষণ কর। এই আন্দোলনের প্রভাব আলোচনা কর। (২০১৬)

অথবা, বিংশ শতকে চিনে ৪ ঠা মে-র আন্দোলনের উত্থান ও গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। চিনের সেই সময়কার দুটি উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্রের নাম লেখো। অথবা, চিনের ৪ ঠা মের আন্দোলনের পটভূমি আলোচনা কর। এই আন্দোলনের ফলাফল বা তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।  ৪ ঠা মে-র আন্দোলন : ১৯১৪  সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপান চিনে আগ্রাসন চালায়। যুদ্ধে চীন মিত্রপক্ষে যোগ দিলেও যুদ্ধের পর তারা কোনো সুবিচার পায় নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি আধিপত্যের বিরুদ্ধে চিনা জাতীয়তাবাদী জনগণ চেন-তু-শিউ এর নেতৃত্বে  ১৯১৯ সালে ৪ ঠা মে পিকিং-এর তিয়েন-আন-মেন স্কোয়ার -এ  এক আন্দোলনের ডাক দেয়। এই আন্দোলন চিনের ইতিহাসে ৪ ঠা মে-র আন্দোলন নামে পরিচিত। আন্দোলনের কারণ ( পটভূমি ) : এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করলে এর কারণগুলি অনুধাবন করা যায়। ইউয়ান-সি-কাই এর নৃশংসতা : ১৯১১ সালে বিপ্লবের পর রাষ্ট্রপতি সান-ইয়াত-সেন দেশের গৃহযুদ্ধ এড়াতে ইউয়ান-সি-কাই  - এর অনুকূলে স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রপতি পদ ত্যাগ করেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর  ইউয়ান-সি-কাই  সমস্ত সাংবিধানিক পদ্ধতি বাতিল করে সামরিক একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। এর প্রতিবাদ করলে কুয়োমি

তিন আইন কী?

তিন আইন কী? ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলনের ফলে ১৮৭২ সালে ব্রিটিশ সরকার বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রভৃতি সামাজিক কুসংস্কারগুলি নিষিদ্ধ করে এবং বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়। যে আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার এই ঘোষণা জারি করে তাকে ' তিন আইন ' বলে।

'মুক্তদ্বার নীতি' (Open Door Policy) কী?

চিনে ইউরোপীয় দেশগুলির উপনিবেশিক আধিপত্য স্থাপনের ফলে আমেরিকা শঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা ভাবতে শুরু করে এর ফলে চিনে আমেরিকার বাণিজ্যিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই পরিস্থিতিতে ১৮৯৯ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জন হে চিন সম্পর্কে যে নীতি গ্রহণ করেছিলেন তা মুক্তদ্বার নীতি নামে পরিচিত। এই নীতিতে বলা হয়, বিভিন্ন ইউরোপীয় শক্তি দ্বারা অধিকৃত চিনের বিভিন্ন অঞ্চলে আমেরিকার সমান বাণিজ্যিক সুবিধা দিতে হবে।

ভাইকম সত্যাগ্রহ কী

ভাইমক বর্ণহিন্দুদের একটি মন্দির । দক্ষিণ ভারতের ত্রিবাঙ্কুরে এটি অবস্থিত। এই মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষদের চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। শ্রীনারায়ণ গুরু বর্ণহিন্দুদের এই বর্নবিদ্বেষী প্রথার বিরুদ্ধে এবং মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষের হাঁটার দাবিতে যে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তা ভাইকম সত্যাগ্রহ নামে পরিচিত। আন্দোলনের ব্যাপকতায় মুগধ হয়ে গান্ধিজি একে সমর্থন করেন। শেষ পর্যন্ত এই আন্দোলন জয়যুক্ত হয়।

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল?

কোন পরিস্থিতিতে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) শুরু হয়? এই মামলায় অভিযুক্ত কয়েকজন শ্রমিক নেতার নাম লেখো। এই মামলার ফলাফল কী হয়েছিল? অথবা, মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল? অথবা, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কমিউনিস্ট পার্টির অবদানের একটি উদাহরণ দাও। এপ্রসঙ্গে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষাপট আলোচনা কর। এই মামলার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। উত্তর : মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা : ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে কমিউনিস্টদের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে ব্রিটিশ সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এইরূপ পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেছিল। মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) হল এরকমই এক দমননীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মামলার প্রেক্ষাপট : ১) শ্রমিক-মালিক বিরোধ । ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে ভারতে শিল্পায়ন শুরু হলে শ্রমিক শ্রেণির উদ্ভব হয়। বিংশ শতকের প্রথম দিকে মালিক শ্রেণির শোষণ ও অত্যাচারে শ্রমিক-মালিক সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। শ্রমিক শ্রেণির অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিস্টরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন জোরদার করে তুলে ব্রিটিশ সরকার চিন্তায় পড়ে যা