উঃ পৌরাণিক কাহিনি ও লোককথার মধ্যে কিছু সুস্পষ্ট পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায় । যেমন – বিষয় পৌরাণিক কাহিনি / রূপকথা লোককথা / লোকগাথা প্রধান চরিত্র এখানে প্রধান চরিত্রগুলি অলৌকিক জগতের । ঈশ্বরই মূল নায়ক-নায়িকা লোককথায় মুখ্য চরিত্র সাধারণভাবে মানুষ হয় । ভিত্তি এই কাহিনিগুলি সাধারণত ধর্মভিত্তিক হয় । এখানে ধর্মীয় বিষয়বস্তুর বিশেষ গুরুত্ব লক্ষ্য করা যায় না । কালপঞ্জী পৌরাণিক কাহিনিগুলির একটি নিজস্ব কালপঞ্জি থাকে । লোককথার গল্পের স্থান-কাল-পাত্রের কোনো সুনির্দিষ্ট উল্লেখ থাকে না । সহায়ক উপাদান পৌরাণিক কাহিনিগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহায়ক উপাদান হিসাবে উপমার ব্যপক ব্যবহার হয় । অন্যদিকে , কাহিনিকে আকর্ষনীয় করে তোলার জন্য রূপকের মাধ্যমে দেবদেবী কিম্বা অপদেবতার সংগে মানব চরিত্রকে যুক্ত করা হয় । বিশ্বজনীনতা জে এফ বিয়ারলেইন দেখিয়েছেন যে , পৌরাণিক কাহিনিগুলিতে একধরণের বিশ্বজনীনতা রয়েছে । যেমন , বিশ্বের প্রায় সব জনগোষ্ঠির পৌরানি...
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তগুলি (বৈশিষ্ঠ্য) উল্লেখ কর। ভারতের আর্থ-সামাজিক ইতিহাসে এই ভূমি-ব্যবস্থার গুরুত্ব আলোচনা কর।
অথবা , চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি ব্যাখ্যা কর । এপ্রসঙ্গে ভারতের কৃষক সমাজের ওপর এই বন্দোবস্ত কীরূপ প্রভাব ফেলেছিল বর্ননা কর । উত্তর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত । চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হল এক ধরণের ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা । ১৭৯৩ সালে লর্ড কর্ণওয়ালিস বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যায় এই ভূমি-ব্যবস্থা চালু করেন । পরবর্তীকালে বারাণসী , উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ও মাদ্রাস প্রেসিডেন্সির কোনো কোনো অঞ্চলে এই ব্যবস্থা চালু করা হয় । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি । কোম্পানির কর্মচারী ও ঐতিহাসিক আলেকজান্ডার ডাও ১৭৭২ সালে প্রথম চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কথা বলেন । এরপর হেনরি পাত্তুলো , ড্যাক্রিস , টমাস ল প্রমুখ এই বন্দোবস্তের সপক্ষে যুক্তি দেখান । ১৭৮৬ সালে কর্ণওয়ালিশ গভর্নর জেনারেল হয়ে ভারতে আসেন । তিন বছর ধরে তিনি বাংলার ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যপক অনুসন্ধান চালান । এরপর ১৭৯০ সালে দেশীয় জমিদারদের সঙ্গে দশ বছরের জন্য একটি বন্দোবস্ত করেন, যা ‘ দশসালা বন্দোবস্ত ’ নামে পরিচিত । সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন , ইংল্যান্ডের কর্তপক্ষ অনুমোদন করলে এই...