পৌরাণিক কাহিনির বৈশিষ্ট্য
উঃ পৌরাণিক কাহিনি বা রূপকথার কয়েকটি সার্বজনীন বৈশিষ্ট্য হল –I. এই কাহিনিগুলি উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া। বিয়ারলেইনের মতে, পৌরাণিক কাহিনি হল ‘আমাদের অবচেতন মনের কাহিনিবিশেষ যা সম্ভবত আমাদের জিন-এ লিপিবদ্ধ থাকে।
II. এগুলি প্রাগৈতিহাসিক যুগের। মানব সভ্যতার উন্মেষের আগে অর্থাৎ যে সময়ের ইতিহাসের লিখিত উপাদান পাওয়া যায় না সেই সময়ে এই কাহিনিগুলির জন্ম।
III. কাহিনিগুলির বিষয় হল অলৌকিক বা অতীন্দ্রিয় জগতের। তাই এখানে ঐশ্বরিক জগতের নানা কাল্পনিক ঘটনার কথা পাওয়া যায়। যেমন, বিশ্বসৃষ্টির রহস্য কিম্বা দেবদেবীর অলৌকিক ক্ষমতা ও কর্মকান্ড।
IV. পৌরাণিক কাহিনিগুলি কোনো নির্দিষ্ট মানব সমাজ বা সম্প্রদায়ের পরিচয়ের মূলভিত্তি। এগুলি থেকে ঐ নির্দিষ্ট সমাজ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা করা যায়।
V. এই ধরণের রূপকথাগুলি সমাজের প্রচলিত ধর্ম ও বিধিনিয়োমগুলির স্বীকৃতি দেয়। ফলে মানুষের মধ্যে সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ হয়।
VI. পৌরাণিক কাহিনি বা রূপকথাগুলি হল একধরণের বিশ্বাস যা জীবনকে অর্থবহ করে তোলে।
তবে মনে রাখতে হবে, এই কাহিনিগুলি ইতিহাসের উপাদান হিসাবে স্বীকৃতি পেলেও ইতিহাস হিসাবে মান্যতা দেওয়া যায় না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন