জোট নিরপেক্ষ নীতি কী? ‘জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন’ বলতে কী? জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের উদ্দেশ্য কী ছিল? —২০১৬
জোটনিরপেক্ষ নীতি, ‘জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন’, জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের উদ্দেশ্য |
জোট নিরপেক্ষ নীতি কী?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রায় সমগ্র পৃথিবী পরস্পর বিরোধী দুটি সামরিক শক্তিজোটে বিভক্ত হয়ে যায়। একটির নেতৃত্বে ছিল আমেরিকা ও অন্যটির নেতৃত্বে সোভিয়েত রাশিয়া। কিন্তু ভারত স্বাধীনতা লাভের পর এই দুটি জোটের কোনোটিতে যোগ না দিয়ে উভয় গোষ্ঠীর সঙ্গে বন্ধুত্ব বা সমদূরত্ব বজায় রেখে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তার বিদেশনীতি পরিচালনার কথা ঘোষণা করে। প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর নেতৃত্বে ঘোষিত এই নীতি 'জোটনিরপেক্ষ নীতি' নামে পরিচিত।
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের কী?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে প্রায় সমগ্র বিশ্ব পরস্পর বিরোধী দুটি রাষ্ট্রজোটে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পুঁজিবাদী জোট এবং অন্যটি সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে সাম্যবাদী জোট। কিন্তু এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার কয়েকটি দেশ এই দুই জোট থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখে নিজ নিজ জাতীয় স্বার্থ রক্ষা ও নতুন পাওয়া স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত রাখার জন্য চেষ্টা করে। ওই দুই রাষ্ট্রজোটে যুক্ত না হয়ে নিরপেক্ষতার নীতি গ্রহণ করে। এই নীতিকে ‘জোট নিরপেক্ষ নীতি’ বলে।
ভারতের এই জোটনিরপেক্ষ নীতির ওপর ভিত্তি করে সদ্যস্বাধীন ও উন্নয়নশীল দেশগুলো ১৯৫৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর নেতৃত্বে যে আন্দোলন গড়ে তোলেন তা ‘জোট নিরপেক্ষ (নির্জোট) আন্দোলন’ নামে পরিচিতি।
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য :
জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের মূলনীতি কার্যকর করাই ছিল এই আন্দোলনের প্রধান উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য।
১) বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শান্তিপূর্ণ পররাষ্ট্র নীতি গ্রহণ করা,
২) উপনিবেশ ও বর্ণবৈষম্যের বিরোধিতা করা,
৩) প্রত্যেকটি সদস্য রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক পশ্চাৎপদতার অবসান ঘটানো,
৪) আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সামরিক শক্তি ও জঙ্গিবাদীতার পরিবর্তে পারস্পরিক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা,
৫) কোন রাষ্ট্রের প্রতি ভীতি প্রদর্শন, বল প্রয়োগ বা আক্রমণ না করা,
৬) পারস্পরিক প্রতিযোগিতার পরিবর্তে সহযোগিতা ও সার্থরক্ষার ব্যবস্থা করা,
৭) মানবতা, মূল্যবোধ ও ন্যায়নীতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে আন্তর্জাতিকতাবোধ ও বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি করা,
৮) সকল দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে স্বীকৃতি দেওয়া,
৯) ছোট বা বড় — সমস্ত জাতির সমান অধিকারের স্বীকৃতি জানানো।
১০) মৌলিক অধিকার ও সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সনদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।
full answer nei keno sir??
উত্তরমুছুনAnswer dao plz ei question tar
উত্তরমুছুনAnswer dao plz ei question tar
উত্তরমুছুনAnswar ta dao
উত্তরমুছুনHi
উত্তরমুছুনজোট নিরপেক্ষনীতি
উত্তরমুছুনNice
উত্তরমুছুনans ta ki sir pawa jabena ??
উত্তরমুছুন