সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2018 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মার্শাল পরিকল্পনার মূল বক্তব্য লেখো।

মার্শাল পরিকল্পনার মূল বক্তব্য হল : ১) এই পরিকল্পনা কোনো দেশ বা মতাদর্শের বিরুদ্ধে নয়। এই নীতি ক্ষুধা, দারিদ্র, হতাশা, ও বেকারত্বের বিরুদ্ধে।  ২) এর মাধ্যমে ইউরোপের অর্থনৈতিক সংকট দূর করার জন্য অর্থ সাহায্য করা হবে।  ৩) সাহায্য গ্রহণকারী দেশকে মূল মার্কিন পরিকল্পনা অনুযায়ী সাহায্যপ্রাপ্ত অর্থ ব্যয় করতে হবে।  ৪) সাহায্যপ্রাপ্ত দেশগুলির রাজস্ব মার্কিন পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থির করতে হবে। 

মার্শাল পরিকল্পনার উদ্দেশ্য কী ছিল?

মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জর্জ সি মার্শালের ঘোষণা বিশ্লেষণ করলে মার্শাল পরিকল্পনার উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয়ে ওঠে : ১) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধবিধস্ত ইউরোপের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের মাধ্যমে সেখানে সোভিয়েত সাম্যবাদের প্রসার রোধ করা। ২) ইউরোপের সঙ্গে মার্কিন ব্যবসাবাণিজ্যের পথ সুগম করা। ৩) পরিকল্পনা গ্রহণকারী দেশগুলিকে নিয়ে একটি অনুগত রাষ্ট্রজোট গড়ে তোলা।  এককথায় ট্রুম্যান নীতিকে কার্যকর করার উদ্দেশ্যেই 'মার্শাল পরিকল্পনা'  গ্রহণ করা হয়। 

'মার্শাল পরিকল্পনা' কী?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধবিধস্ত ইউরোপের অর্থনৈতিক দুরবস্থার সুযোগে সাম্যবাদের প্রসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে ইউরোপের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন ঘটিয়ে ইউরোপে সাম্যবাদের প্রসার ও সোভিয়েত রাশিয়ার অগ্রগতি রোধের চেষ্টা শুরু হয়। এই উদ্দেশ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জর্জ সি মার্শাল ১৯৪৭ সালের ৫ জুন হার্ভাট বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদত্ত এক ভাষণে মার্কিন অর্থ সাহায্যের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। তাঁর এই প্রস্তাবিত পরিকল্পনা 'মার্শাল পরিকল্পনা'  নামে পরিচিত। 

মার্শাল পরিকল্পনা কবে কেন ঘোষিত হয়?

১৯৪৭ সালের ৫ জুন 'মার্শাল পরিকল্পনা'  ঘোষিত হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল : ১) ট্রুম্যান নীতিকে কার্যকর করার জন্য   ২) যুদ্ধবিধস্ত ইউরোপের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন ঘটিয়ে  ৩) সোভিয়েত সাম্যবাদের গতিরোধ করা। 

ট্রুম্যান নীতিকে কেন 'বেষ্টনী নীতি' বলা হয়?

মার্কিন কূটনীতিবিদ জর্জ এফ কেন্নান আমেরিকান সরকারকে সোভিয়েত সাম্যবাদের প্রসার ও প্রভাবকে সীমাবদ্ধ করার পরামর্শ দেন। কেনানের এই নীতি 'বেষ্টনী নীতি'  নামে পরিচিত। মার্কিন রাষ্ট্রপতি হ্যারি ট্রুম্যান এই নীতিকে কার্যকর করার জন্য  'ট্রুম্যান নীতি' ঘোষণা করেন। তাই ট্রুম্যান নীতিকে 'বেষ্টনী নীতি'  বলা হয়। 

কেন্নান-এর 'বেষ্টনী নীতি' কী?

অথবা, 'সীমায়িতকরণের নীতি' কী? সোভিয়েত সাম্যবাদের গতি রোধ করার জন্য প্রখ্যাত মার্কিন কূটনীতিবিদ জর্জ এফ কেন্নান ১৯৪৭ সালে 'Mr. X' ছদ্মনামে 'Foreign Affairs'  পত্রিকায় 'সোভিয়েত কার্যকলাপের উৎস'  নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। এতে তিনি মার্কিন সরকারকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, আমেরিকান সরকারের উচিত সোভিয়েত প্রভাব যেসকল অঞ্চলে বিদ্যমান, তাকে সেখানেই সীমাবদ্ধ রাখা। কেন্নানের এই নীতি 'বেষ্টনী নীতি' বা 'সীমায়িতকরণের নীতি বা 'কন্টেইনমেন্ট নীতি'  নামে পরিচিত?

ট্রুম্যান নীতির দুটি উদ্দেশ্য লেখো।

এই প্রশ্নের উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো  এবং যে উত্তরটি বের হবে তা থেকে এই উত্তরটি নিজে তৈরী করো। 

ট্রুম্যান নীতি কী?

এই প্রশ্নের উত্তর পেতে  এখানে ক্লিক করো  এবং যে উত্তরটি বের হবে তা থেকে এই উত্তরটি নিজে তৈরী করো। 

ট্রুম্যান কে ছিলেন? কবে তিনি তাঁর নীতি ঘোষণা করেন?

হ্যারি ট্রুম্যান ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি। ১৯৪৭ সালে ১২ মার্চ তিনি তাঁর এই নীতি ঘোষণা করেন।

ফালটন বক্তৃতা কে কবে কী উদ্দেশ্যে করেন?

১৯৪৬ সালের ৫ মার্চ ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চার্চিল আমেরিকার মিসৌরি প্রদেশের  ফালটনের ওয়েস্ট মিনিস্টার কলেজে  এক ফালটন বক্তৃতা  দেন। এই বক্তৃতায় তিনি বলেন, ইউরোপের এক বিস্তীর্ন অঞ্চল ( উত্তরে বাল্টিক সাগর থেকে  দক্ষিণেঅ্যাড্রিয়াটিক সাগর পর্যন্ত ) এখন সোভিয়েত রাশিয়ার লৌহ যবনিকার অন্তরালে আচ্ছাদিত।আমেরিকা এখনই প্রতিরোধের ব্যবস্থা না নিলে সমগ্র ইউরোপ একদিন রাশিয়ার দখলে চলে যাবে। অর্থাৎ ইউরোপে রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিকদের অগ্রগতি রোধ করতে মার্কিন সাহায্য লাভ করাই এই বক্তৃতার উদ্দেশ্য।  এই প্রশ্নের  বিকল্প প্রশ্ন ।

'ফালটন বক্তৃতা' কী?

অথবা, 'লৌহ যবনিকা' তত্ত্ব কী? ১৯৪৬ সালের ৫ মার্চ ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চার্চিল আমেরিকার মিসৌরি প্রদেশের ফালটনের ওয়েস্ট মিনিস্টার কলেজে এক বক্তৃতা দেন। এই বক্তৃতায় তিনি বলেন, ইউরোপের এক বিস্তীর্ন অঞ্চল ( উত্তরে বাল্টিক সাগর থেকে দক্ষিণে অ্যাড্রিয়াটিক সাগর পর্যন্ত ) এখন সোভিয়েত রাশিয়ার লৌহ যবনিকার অন্তরালে আচ্ছাদিত। আমেরিকা এখনই প্রতিরোধের ব্যবস্থা না নিলে সমগ্র ইউরোপ একদিন রাশিয়ার দখলে চলে যাবে। চার্চিলের এই বক্তৃতা 'ফালটন বক্তৃতা' বা ' লৌহ যবনিকা তত্ত্ব' নামে পরিচিত। উল্লেখ্য, চার্চিলের ফালটন বক্তৃতা ট্রুম্যান নীতি ঘোষণায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রেখেছিল। আর ট্রুম্যান নীতি 'ঠান্ডা লড়াই' কে তরান্বিত করেছিল।  

'দ্বিতীয় রণাঙ্গন' কী?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় (১৯৪১) হিটলার রাশিয়া আক্রমণ করে। এই অবস্থায় রাশিয়া মিত্রশক্তির কাছে জার্মানির বিরুদ্ধে পশ্চিম ইউরোপে আরও একটি রণাঙ্গণ খোলার প্রস্তাব করে। কিন্তু আমেরিকা ও ইংল্যান্ড এই প্রস্তাব কার্যকরী করতে অযথা টালবাহানা করে। কিন্তু  রাশিয়া নিজ শক্তিতে জার্মানির আক্রমণ প্রতিহত করলে মিত্রপক্ষ তড়িঘড়ি করে দ্বিতীয় রণাঙ্গন খোলে। এই রণাঙ্গন বা যুদ্ধক্ষেত্র  'দ্বিতীয় রণাঙ্গন'  নামে পরিচিত। উল্লেখ্য, এতে মিত্রপক্ষের প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে রাশিয়ার মনে সন্দেহ দানা বাধে। এই ঘটনা ঠান্ডা যুদ্ধের পটভূমি রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। 

'ঠান্ডা লড়াই' কথাটি কে প্রথম ব্যবহার করেন?

১৯৪৭ সালের ১৬ এপ্রিল দক্ষিণ ক্যারোলিনা প্রদেশের কলম্বিয়া শহরে এক ভাষণে মার্কিন মুটনীতিবিদ বার্নার্ড বারুচ প্রথম 'ঠান্ডা লড়াই'  কথাটি প্রকাশ্যে ব্যবহার করেন। 

'দ্বিমেরুকরণ' কী?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 'ট্রুম্যান নীতি'  ঘোষণা করে। এর ফলে বিশ্বের প্রধান প্রধান রাষ্ট্রগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমি শক্তিজোট ও সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট - এই দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। অর্থাৎ বিশ্ব দুই শক্তির নেতৃত্বে দুই মেরুতে বিভক্ত হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিকে 'দ্বিমেরুকরণ' বা 'দ্বিপাক্ষিক রাজনীতি'  বলা হয়। 

কখন দ্বিমেরু বিশ্বের উদ্ভব ঘটেছিল?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ (১৯৪৫) হলে, বিশেষ করে ১৯৪৭ সালে আমেরিকা 'ট্রুম্যান নীতি' ঘোষণার পর  দ্বিমেরু বিশ্বের উদ্ভব হয়। 

জাতি ও জাতি বৈষম্য ধারণাটি কোন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল?

জাতি ও জাতি বৈষম্য ধারণাটি, উপনিবেশিকতাবাদ, উপনিবেশ, উপনিবেশিক শাসন ও সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলো। 

স্বাধীন ইন্দোনেশিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?

স্বাধীন ইন্দোনেশিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ড. মহম্মদ হাত্তা।

বার্লিন সংকট বলতে কী বোঝ? এই সংকটের বিবরণ দাও।

অথবা, বার্লিন অবরোধ কী? এই অবরোধের (সংকটের) কারণ বা পটভূমি বর্ননা কর। বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসে বিশেষ করে ঠান্ডা যুদ্ধের ওপর বার্লিন সংকটের প্রভাব আলোচনা কর। বার্লিন সংকট। মিত্রশক্তির জার্মান ভাগাভাগি। বার্লিন সংকট : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪৫ সালে মিত্রপক্ষের কাছে  জার্মানি আত্মসমর্পন করে। ইয়াল্টা সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুসারে জার্মান ভুখন্ড মিত্রশক্তির (আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও রাশিয়ার) মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যায়। জার্মান রাজধানী বার্লিন শহরও তারা ভাগাভাগি করে নেয়। বার্লিন শহরের এই ভাগাভাগি নিয়ে দেখা দেয় এক গভীর সমস্যা। কেননা, বার্লিন শহর ছিল রাশিয়া অধিকৃত অঞ্চলের মাঝখানে অবস্থিত। ফলে অচিরেই পশ্চিমি দেশগুলির বার্লিন শহরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা নিয়ে জটিলতা বা বিরোধ দেখা দেয়।  এই বিরোধই বার্লিন সংকট নামে পরিচিত। বার্লিন অবরোধ : বার্লিন সংকটের সূত্র ধরেই রাশিয়া পশ্চিমি শক্তিগুলিকে বার্লিন ত্যাগ করতে বাধ্য করার উদ্যোগ নেয়। এই উদ্দেশ্যে তারা ১৯৪৮ সালের ২৪ জুলাই বার্লিনে প্রবেশের সড়কপথগুলি অবরোধ শুরু করে। ফলে বার্লিনের ...

মার্শাল প্ল্যান কী? কোন পটভূমিতে এই পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়? এই পরিকল্পনার মূলকথা ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর?

'মার্শাল পরিকল্পনা' বলতে কী বোঝো? আমেরিকা কেন এই পরিকল্পনা গ্রহণ করে? এই পরিকল্পনার বিষয়বস্তু কী ছিলো? মার্শাল পরিকল্পনার ফলাফল বর্ননা কর। অথবা, 'মার্শাল পরিকল্পনা' গ্রহণের কারণ ও বিশ্বরাজনীতিতে এর প্রভাব ব্যাখ্যা করো। অথবা, 'মার্শাল পরিকল্পনা'র উদ্দেশ্য কী ছিলো ? এই পরিকল্পনার তাৎপর্য আলোচনা করো। অথবা, 'ইউরোপীয় পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা' কী? এই পরিকল্পনার প্রবক্তা কে? কী উদ্দেশ্যে তিনি এই পরিকল্পনা করেছিলেন? এর ফলাফল ব্যাখ্যা করো এবং 'ঠান্ডা লড়াই' এর পিছনে এর ভূমিকা বিশ্লেষণ করো।  মার্শাল পরিকল্পনা (  'ইউরোপীয় পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা')  : ১৯৪৭  সালে ১২ মার্চ মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রুম্যান নীতি ঘোষণা করেন। এই  নীতিকে কার্যকরী করার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জর্জ সি. মার্শাল ওই বছর ৫ জুন একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।  একই সাথে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউরোপের পুনরুজ্জীবন ঘটিয়ে সাম্যবাদের প্রসার রোধ করার উদ্দেশ্যে তিনি 'ইউরোপীয় পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা' নামে এক কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এই কর্মসূচিই  'মার্শাল পরিকল্পনা' নামে পরিচিত। ...

'ট্রুম্যান নীতি' কী? এই নীতি ঘোষণার পটভূমি ব্যাখ্যা করো। এই নীতির মূল কথা কী ছিল? বিশ্বের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এর গুরুত্ব কী ছিল?

অথবা   ট্রুম্যান কে ছিলেন? ট্রুম্যান নীতির উদ্দেশ্য কী ছিল? এই নীতির বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো। বিশ্ব ইতিহাসে এই নীতির প্রভাব কী ছিল? অথবা ট্রুম্যান নীতি বলতে কী বোঝ? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্ৰ কেন এই নীতি গ্রহণ করেছিল? এই নীতি প্রয়োগের ফলাফল ব্যাখ্যা করো।  অথবা, ট্রুম্যান ডক্ট্রিন কী? কোন ঘটনার প্রেক্ষাপটে হ্যারি ট্রুম্যান এই নীতি ঘোষণা করেছিলেন? এর পরিণতি কী হয়েছিল? ট্রুম্যান নীতি : হ্যারি ট্রুম্যান ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি। ১৯৪৭ সালে ১২ মার্চ তিনি ঘোষণা করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন বিশ্বরাজনীতিতে বিচ্ছিন্নতার নীতি ( মনরো নীতি ) অনুসরণ করে আসছে। কিন্তু সোভিয়েত সাম্যবাদের প্রসার রোধ করার উদ্দেশ্যে সেই নীতি থেকে তারা সরে আসবে। তিনি আরও বলেন, যেসব জাতি সশস্ত্র সংখ্যালঘুদের কিংবা কোনো বিদেশী রাষ্ট্রের আক্রমণের স্বীকার হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের আর্থিক ও সামরিক সাহায্য দেবে। এভাবে  বিচ্ছিন্নতার নীতির পরিবর্তে পররাষ্ট্র ক্ষেত্রে ট্রুম্যান এই যে সামরিক   সক্রিয়তার নীতি নিলেন তা-ই ইতিহাসে 'ট্রুম্...

চিনের ৪ ঠা মে আন্দোলনের কারণ বিশ্লেষণ কর। এই আন্দোলনের প্রভাব আলোচনা কর। (২০১৬)

অথবা, বিংশ শতকে চিনে ৪ ঠা মে-র আন্দোলনের উত্থান ও গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। চিনের সেই সময়কার দুটি উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্রের নাম লেখো। অথবা, চিনের ৪ ঠা মের আন্দোলনের পটভূমি আলোচনা কর। এই আন্দোলনের ফলাফল বা তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।  ৪ ঠা মে-র আন্দোলন : ১৯১৪  সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপান চিনে আগ্রাসন চালায়। যুদ্ধে চীন মিত্রপক্ষে যোগ দিলেও যুদ্ধের পর তারা কোনো সুবিচার পায় নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি আধিপত্যের বিরুদ্ধে চিনা জাতীয়তাবাদী জনগণ চেন-তু-শিউ এর নেতৃত্বে  ১৯১৯ সালে ৪ ঠা মে পিকিং-এর তিয়েন-আন-মেন স্কোয়ার -এ  এক আন্দোলনের ডাক দেয়। এই আন্দোলন চিনের ইতিহাসে ৪ ঠা মে-র আন্দোলন নামে পরিচিত। আন্দোলনের কারণ ( পটভূমি ) : এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করলে এর কারণগুলি অনুধাবন করা যায়। ইউয়ান-সি-কাই এর নৃশংসতা : ১৯১১ সালে বিপ্লবের পর রাষ্ট্রপতি সান-ইয়াত-সেন দেশের গৃহযুদ্ধ এড়াতে ইউয়ান-সি-কাই  - এর অনুকূলে স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রপতি পদ ত্যাগ করেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর  ইউয়ান-সি-কাই  সমস্ত সাংবিধানিক পদ্ধতি বাতিল করে সামরিক একনায়কতন...

তাইপিং বিদ্রোহ সম্পর্কে একটি টীকা লেখো।

অথবা, তাইপিং বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল আলোচনা কর। তাইপিং বিদ্রোহ : চিনে মাঞ্চু রাজবংশের অপশাসনের বিরুদ্ধে যে সমস্ত বিদ্রোহ সংগঠিত হয় তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল তাইপিং বিদ্রোহ। তাইপিং কথার অর্থ হল স্বর্গীয় শান্তি বা মহান শান্তি। খ্রিষ্টীয় প্রোটেস্ট্যান্ট চিন্তাধারার প্রভাবে এক ধরণের সমাজতান্ত্রিক সমাজ কাঠামো তৈরী করাই তাইপিং বিদ্রোহীদের মূল উদ্দেশ্য। তাইপিং বিদ্রোহের কারণ : তবে এই বিদ্রোহের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ লক্ষ্য করা যায়। দেশবাসীর দুর্দশা : উনিশ শতকের মাঝামাঝি চিনের সাধারণ মানুষ চরম দুর্দশার শিকার হন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, মুদ্রাসংকট, বেকারত্ব প্রভৃতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। সরকারের অপদার্থতা : চিনের দুর্বল ও অপদার্থ মাঞ্চু সরকারের সময়ে দেশে ব্যাপক অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। ফলে এই সরকারের প্রতি জনগনের আস্থা নষ্ট হয়ে যায়। নানকিংএর অপমানজনক সন্ধি : প্রথম অহিফেন যুদ্ধে পরাজিত হয়ে মাঞ্চু সরকার বিদেশী শক্তির সাথে  নানকিংএর অপমানজনক সন্ধি  করতে বাধ্য হয়। এই ঘটনা জনগনের জনগনের মধ্যে মাঞ্চু সরকারের প্রতি অসন্তুষ্ট করে তো...

চিনে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবে কীভাবে বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়ের উদ্ভব হয়। এই ঘটনার কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল?

অথবা, চিনে কিভাবে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটে? চিনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাক্ষেত্রে এর কী প্রভাব পড়ে? অথবা, চিনে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের কারণ ( পটভূমি ) ব্যাখ্যা কর। এর প্রভাব আলোচনা কর।  চিন ও পাশ্চাত্য শিক্ষা : ঊনবিংশ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত চিন ( বৌদ্ধধর্মের প্রভাব ছাড়া ) বড় ধরণের কোনো বৈদেশিক সভ্যতা-সংস্কৃতির দ্বারা প্রভাবিত হয় নি। ফলে চিনের সমাজ, শিক্ষা, সংস্কৃতি --- সবকিছুই অন্তর্মুখী ও পশ্চাৎপদ হয়ে পড়ে। ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে চিনে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটতে শুরু করে। পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের ( বুদ্ধিজীবীদের উদ্ভবের )  কারণ  : যে সমস্ত কারনে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ও আধুনিক বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়ের উদ্ভব হয় তা নিন্মরূপ : জাপানের কাছে পরাজয়ে :  ১৮৯৪-৯৫ সালের যুদ্ধে ছোট্ট রাষ্ট্র জাপানের কাছে পরাজয়ের ফলে তারা বুঝতে পারে পাশ্চাত্য জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা ছাড়া চিনের অগ্রগতি সম্ভব নয়। ফলে চিনের বহু স্বাধীনচেতা বুদ্ধিজীবী পাশ্চাত্য শিক্ষাকে স্বাগত জানায়। আর এরই সূত্র ধরে চিনে ধীরে ধীরে বুদ্ধিজীবী সম...

বাংলার সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা, বাংলার সমাজ ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর। অথবা, ঊনবিংশ শতকে নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান উল্লেখ কর। অথবা, উনিশ শতকের নবজাগরণে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা কি ছিল? এ প্রসঙ্গে নারীজাতির উন্নয়নে তাঁর অবদান ব্যাখ্যা কর।  বিদ্যাসাগর ও সংস্কার আন্দোলন : ঊনবিংশ শতকে ভারতে যে কজন সংস্কারকের জন্ম হয়েছিল তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি ছিলেন বঙ্গীয় নবজাগরণের মূর্ত প্রতীক। তাঁর মধ্যে ইউরোপীয় নবজাগরণের প্রবল যুক্তিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, প্রগাঢ় মানবতাবাদ, এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবাদর্শের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছিল। মাইকেল মধুসূদনের মতে, ' যাঁর মনীষা প্রাচীন ঋষিদের মতো, কর্মদক্ষতা ইংরেজদের মত এবং হৃদয়বত্তা বাঙালি জননীর মত। ' বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টা : বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টাকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যায়। এক . শিক্ষা সংস্কার, দুই . সমাজ সংস্কার। তবে তাঁর এই দুই প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে ছিল নারীশিক্ষা ও ...

ডিরোজিও কে ছিলেন? ইয়ংবেঙ্গল কী? ইয়ংবেঙ্গল আন্দোলন বলতে কী বোঝ? এই আন্দোলনের মূল্যায়ন কর।

অথবা, নব্যবঙ্গ কাদের বলা হয়? এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য কী ছিল? এই আন্দোলনের সাফল্য ও ব্যর্থতার মূল্যায়ন কর। অথবা, ডিরোজিওর কয়েকজন অনুগামীর নাম লেখো। এরা ইতিহাসে কী নামে পরিচিত? তাঁদের কর্মসূচি বর্ননা কর। এ প্রসঙ্গে তাঁদের সীমাবদ্ধতা উল্লেখ কর। ডিরোজিও ও ইয়ংবেঙ্গল : ঔপনিবেশিক শাসনকালে বাংলার সামাজিক ও সংস্কৃতিক আন্দোলনে যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন তাঁদের অন্যতম ছিলেন হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও । তিনি ছিলেন হিন্দু কলেজের শিক্ষক। ঊনবিংশ শতকের প্রথমার্ধে হিন্দু কলেজের ছাত্রদের ( তাঁর অনুগামীদের ) নিয়ে তিনি যে সংগঠন গড়ে তোলেন বাংলার ইতিহাসে তা ( তাঁর অনুগামীরা )  'ইয়ংবেঙ্গল' বা 'নব্যবঙ্গ' নামে পরিচিত। নব্যবঙ্গ আন্দোলন : পাশ্চাত্য শিক্ষার সংস্পর্শে এসে এবং মিল, বেন্থাম, টম পেইন, রুশো, ভলতেয়ার প্রমুখ দার্শনিকদের রচনা পাঠের ফলে ডিরোজিওর অনুগামীদের মনে যুক্তিবাদ, বিজ্ঞানমনষ্কতা, মানবতাবাদ, জাতীয়তাবাদ  ইত্যাদি চেতনার জন্ম হয়। ডিরোজিওর নেতৃত্বে এই তরুণরা প্রচলিত হিন্দু ধর্ম ও সামাজিক কুসংস্কারগুলির বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু...

উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিষয়ে হবসন ও লেনিনের তত্ত্ব আলোচনা কর। ৪ + ৪ = ৮

অথবা, নয়া সাম্রাজ্যবাদ কী? হবসন-লেনিন থিসিস  বলতে কী  বোঝ ? এ বিষয়ে হবসন ও লেনিনের মতামত ব্যাখ্যা কর। ২[১+১] + ৩ + ৩ = ৮ অথবা, ঔপনিবেশিকতাবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিষয়ে হবসন-লেনিনের তত্ত্বের বৈশিষ্ট বিশ্লেষণ কর। এই তত্ত্বের গুরুত্ব লেখো। ৩ +৩ + ২ = ৮ হবসন-লেনিন থিসিস : আধুনিক বিশ্বে সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলি কোনো দেশের ভুখন্ড দখল না করেও সুকৌশলে সে দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হয়েছে। ঔপনিবেশিকতাবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ প্রসারের এই আধুনিক কৌশল 'নয়া সাম্রাজ্যবাদ'  বা 'নয়া   ঔপনিবেশিকতাবাদ' নামে পরিচিত। নয়া সাম্রাজ্যবাদ ও নয়া ঔপনিবেশিকতাবাদের প্রসারকে বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। উদারনৈতিক ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জে. এ. হবসন ও ভি. আই. লেনিন সাম্রাজ্যবাদ ও ঔপনিবেশিকতাবাদের অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এ বিষয়ে তাঁদের এই অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা ' হবসন-লেনিন থিসিস'  বা 'হবসন-লেনিন তত্ত্ব'  নামে পরিচিত। এই তত্ত্বের মূলকথা হল -- বাড়তি মূলধনের চাপই সাম্রাজ্যবাদ বা উপনিবেশ দখলের মূল কারণ। এই বাড়তি মূলধন বা সম্পদের চাপ সম্পদ...

মার্কেন্টাইল অর্থনীতির প্রভাব ( ফলাফল ) বা গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। ৪

  মার্কেন্টাইল অর্থনীতির  গুরুত্ব বা প্রভাব ( ফলাফল ) : ষোড়শ, সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতকে ইউরোপে মার্কেন্টাইলবাদ যথেষ্ট গুরুত্ব লাভ করেছিল। ইউরোপের ইতিহাসে তাই এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। কৃষি উৎপাদন ব্যাহত : মার্কেন্টাইল মতবাদ অনুসরণকারীদের মতে, দেশের বাইরে খাদ্যশস্য রপ্তানি করলে দেশে খাদ্যসংকট দেখা দেবে। এই কারণে রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়। ফলে কৃষরা ফসলের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হয়। কৃষকরাও পরিবারের প্রয়োজনের বেশি খাদ্যশস্য উৎপাদন করত না। এই পরিস্থিতে কৃষির উন্নতি ও উৎপাদন বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। সাম্রাজ্যের প্রসার ঘটায় :  মূলত এই মতবাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ইউরোপের রাষ্ট্রগুলি এই সময়ের মধ্যে তাদের ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের প্রসার ঘটায়। 'War for trade' শুরু হয় :  জাতীয় অর্থনীতির অবনমন রোধ করার জন্য সরকারি হস্তক্ষেপ করার নীতি নেওয়া হয়। এই উদ্দেশ্যে বহু নিষেধাজ্ঞা জারি, আমদানি শুল্ক চাপানো, বিভিন্ন শিল্পোদ্যোগকে ভর্তুকি দেওয়া, একচেটিয়া বাণিজ্য ইত্যাদি বৃদ্ধি পায়। ফলে বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে 'War for trade' শুরু হয়। পারস্পরিক যুদ্ধে জড়...

উপনিবেশবাদের রাজনৈতিক ভিত্তি সম্পর্কে আলোচনা কর। সাম্রাজ্যবাদের তাৎপর্য বা পরিণতি কী হয়েছিল? ৪ + ৪ = ৮

উপনিবেশিকতাবাদ : ল্যাতিন শব্দ  ‘ ইম্পোরিয়াম ’  থেকে  ‘ ইম্পেরিয়ালিজম ’  বা  ‘ সাম্রাজ্যবাদ ’  কথাটির উৎপত্তি হয়েছে ।   এর অর্থ  ‘ সামরিক কর্তৃত্ব ’ ।  আর  ‘ সাম্রাজ্যবাদ ’  বলতে বোঝায় কোনো একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র কর্তৃক অপেক্ষাকৃত দুর্বল রাষ্ট্র বা জাতির ওপর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার তত্ত্বকে । বর্তমানে যে-কোনো দেশ কর্তৃক বিদেশ নীতি হিসাবে যে আগ্রাসনমূলক বিস্তার নীতি গ্রহণ করা হয় তাকে সাম্রাজ্যবাদ বলা হয় ।  চার্লস বেয়ার্ডের মতে ,  ‘ কোনো একটি রাষ্ট্র কর্তৃক অন্য রাষ্ট্রের ভূখন্ড দখল করে তার ওপর দখলদারী রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠাই হল সামাজ্যবাদ ’ ।  লেনিন বলেছেন ,  সাম্রাজ্যবাদ হল পুঁজিবাদের চূড়ান্ত পর্যায় ’ । অন্যদিকে ,  কোন দেশ সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতাকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে অন্য কোনো দেশে বসতি গড়ে তোলে ও শাসন শুরু করে তখন তা  উপনিবেশবাদ  হিসাবে বিবেচিত হয় । সাম্রাজ্যবাদ ও ঔপনিবেশিকতাবাদের সম্পর্ক : সুতরাং দেখা যাচ্ছে ,  সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদ প্রায় সমার্থক । ...

মার্কেন্টাইল অর্থনীতি (পুঁজি) কী? এর বৈশিষ্ঠ আলোচনা কর। কীভাবে এর অবসান হয়? ২ + ৩ + ৩ = ৮

অথবা, মার্কেন্টাইল মূলধন কী? এই মতবাদের মূল কথা কী? এই মতবাদের ত্রুটিগুলি দেখাও।  মার্কেন্টাইল অর্থনীতি (পুঁজি / মূলধন ) : অথবা, মার্কেন্টাইলবাদ কী? এর প্রকৃতি বিশ্লেষণ কর। এই মতবাদের নেতিবাচক দিকগুলি আলোচনা কর। মার্কেন্টাইলবাদ ( মার্কেন্টাইল মূলধন / পুঁজি ) : মার্কেন্টাইলবাদ হল একটি 'সংরক্ষণবাদী' অর্থনৈতিক মতবাদ। ইউরোপীয় নবজাগরণ ও ভৌগোলিক আবিষ্কারের সূত্র ধরে ইউরোপীয়রা নতুন ভুখন্ড আবিষ্কার এবং সেখানে নিজেদের উপনিবেশ গড়ে তোলে। এই সময় এই মতবাদ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। লর্ড অ্যাক্টনের মতে, মার্কেন্টাইলবাদ ছিল জ্ঞানদীপ্তির যুগের স্বৈরতন্ত্রের পরিপূরক অর্থনৈতিক মতবাদ। এই মতবাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ইউরোপের রাষ্ট্রগুলি ষোড়শ থেকে অষ্টাদশ শতকের মধ্যে তাদের ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের প্রসার ঘটায়। এই মতবাদের মূলকথা হল : রাষ্ট্রের অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ থাকবে রাষ্ট্রের হাতে। রাষ্ট্রের স্বার্থ ও বণিকের স্বার্থ অভিন্ন। দেশের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ গিল্ডের পরিবর্তে জাতীয় সরকারের হাতে থাকবে। সুতরাং রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতিই মার্কেন্টাইল অর্থনীতি । রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক ...

নতুন বিশ্ব কী? এখানে ঔপনিবেশিক শক্তির অভিযানের কারণ ও ফলাফল বর্ণনা কর। ৩ + ৫ = ৮

অথবা, নতুন বিশ্ব বলতে কোন কোন অঞ্চলকে বোঝানো হয়? এখানে ইউরোপীয়দের উপনিবেশ স্থাপনের উদ্দেশ্য কী ছিল? নতুন বিশ্ব ও ইউরোপে এর প্রভাব কেমন পড়েছিল? অথবা, কীভাবে নতুন বিশ্ব আবিষ্কার হয়? নতুন বিশ্বের নামকরণ হয় কীভাবে? ইউরোপীয়রা কেন উপনিবেশ স্থাপনে আগ্রহ দেখিয়েছিল? এর পরিণতি কী  হয়েছিল? নতুন বিশ্ব : পঞ্চদশ শতক পর্যন্ত পৃথিবীর মানচিত্র সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট ধারণা ছিল না। ইউরোপীয় নবজাগরণের সূত্র ধরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যার অভূতপূর্ব অগ্রগতি ইউরোপীয়দের মধ্যে পৃথিবী সম্পর্কে আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়। এই সময় জলপথে প্রাচ্যের দেশগুলিতে পৌঁছানোর তাগিদে তারা সামুদ্রিক অভিযান শুরু করে। পৃথিবী গোলাকার, বিজ্ঞানের এই আবিষ্কারকে কাজে লাগিয়ে তারা পশ্চিম দিকে যাত্রা করে। উদ্দেশ্য  প্রাচ্যের দেশগুলিতে পৌঁছানো। এমনই উদ্দেশ্য নিয়ে ইতালীয় নাবিক কলম্বাস স্পেন সরকারের (রাণী ইসাবেলার) সহযোগিতায় ভারতে আসার জন্য অভিযান শুরু করেন। ১৪৯২ সালের ১২ ই অক্টোবর কলম্বাস আমেরিকায় পৌঁছান। মজার কথা হল তিনি ভেবেছিলেন, যে তিনি ভারতে পৌঁছেছেন। কিন্তু ১৪৯৭ সালে আমেরিগো ভেসপুচি নামে আরও এক ই...

সাম্রাজ্যবাদ কী ? সাম্রাজ্যবাদ প্রসারের কারণ ও ফলাফল আলোচনা কর।

অথবা , ১) ঔপনিবেশিকতাবাদ কী ? ঔপনিবেশিকতাবাদ প্রসারের কারণ কী ? এর প্রভাব আলোচনা কর । অথবা , ২) সাম্রাজ্যবাদের উদ্যেশ্য কী ছিল ? উপনিবেশগুলির ওপর ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব আলোচনা কর । অথবা , ৩) ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদ বলতে কী বোঝ ? ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদ প্রসারের কারণ ও ফলাফল আলোচনা কর । অথবা , ৪) উপনিবেশবাদের রাজনৈতিক ভিত্তি সম্পর্কে আলোচনা কর । সাম্রাজ্যবাদের তাৎপর্য বা পরিণতি কী হয়েছিল ?   সাম্রাজ্যবাদ ও ঔপনিবেশিকতাবাদ : ল্যাতিন শব্দ ‘ ইম্পোরিয়াম ’ থেকে ‘ ইম্পেরিয়ালিজম ’ বা ‘ সাম্রাজ্যবাদ ’ কথাটির উৎপত্তি হয়েছে । এর অর্থ ‘ সামরিক কর্তৃত্ব ’ । আর ‘ সাম্রাজ্যবাদ ’ বলতে বোঝায় কোনো একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র কর্তৃক অপেক্ষাকৃত দুর্বল রাষ্ট্র বা জাতির ওপর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার তত্ত্বকে । বর্তমানে যে-কোনো দেশ কর্তৃক বিদেশ নীতি হিসাবে যে আগ্রাসনমূলক বিস্তার নীতি গ্রহণ করা হয় তাকে সাম্রাজ্যবাদ বলা হয় । চার্লস বেয়ার্ডের মতে , ‘ কোনো একটি রাষ্ট্র কর্তৃক অন্য রাষ্ট্রের ভূখন্ড দখল করে তার ওপর দখলদারী রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠাই হল...
OUR OTHER BOOKS (ICSE & CBSE)
OUR BOOKS fOR WBBSE & WBCHSE


বাংলা বই ★ দ্বাদশ শ্রেণি
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার 👆আদর্শ প্রশ্নোত্তরের একমাত্র পোর্টাল

জনপ্রিয় প্রশ্ন-উত্তরগুলি দেখুন

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তগুলি (বৈশিষ্ঠ্য) উল্লেখ কর। ভারতের আর্থ-সামাজিক ইতিহাসে এই ভূমি-ব্যবস্থার গুরুত্ব আলোচনা কর।

অথবা , চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি ব্যাখ্যা কর । এপ্রসঙ্গে ভারতের কৃষক সমাজের ওপর এই বন্দোবস্ত কীরূপ প্রভাব ফেলেছিল বর্ননা কর । উত্তর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত । চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হল এক ধরণের ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা ।   ১৭৯৩ সালে  লর্ড কর্ণওয়ালিস বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যায় এই ভূমি-ব্যবস্থা চালু করেন । পরবর্তীকালে বারাণসী , উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ও মাদ্রাস প্রেসিডেন্সির কোনো কোনো অঞ্চলে  এই ব্যবস্থা  চালু করা হয় । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি । কোম্পানির কর্মচারী ও ঐতিহাসিক আলেকজান্ডার ডাও ১৭৭২ সালে  প্রথম  চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কথা বলেন । এরপর হেনরি পাত্তুলো , ড্যাক্রিস , টমাস ল প্রমুখ এই বন্দোবস্তের সপক্ষে যুক্তি দেখান । ১৭৮৬ সালে কর্ণওয়ালিশ গভর্নর জেনারেল হয়ে ভারতে আসেন ।  তিন বছর ধরে  তিনি  বাংলার ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যপক অনুসন্ধান চালান ।  এরপর ১৭৯০ সালে দেশীয় জমিদারদের সঙ্গে দশ বছরের জন্য একটি বন্দোবস্ত করেন, যা ‘ দশসালা বন্দোবস্ত ’ নামে পরিচিত । সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন , ইংল্যান্ডের কর্তপক্ষ অনুমোদন করলে এই...

জাদুঘর কাকে বলে? অতীত পুনর্গঠনে জাদুঘরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা , জাদুঘর কী ? জাদুঘরের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলি বর্ননা কর । অথবা , জাদুঘর বলতে কী বোঝ ? আধুনিক ইতিহাস রচনায় জাদুঘরের গুরুত্ব লেখ । উঃ জাদুঘরের সংজ্ঞা বাংলা ‘ জাদুঘর ’ শব্দটির ইংরাজি প্রতিশব্দ হল মিউজিয়াম ( Museum) । ‘ মিউজিয়াম ’ শব্দটির মূল উৎস হল প্রাচীন গ্রীক শব্দ Mouseion ( মউসিয়ান) , যার অর্থ হল গ্রীক পুরাণের শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক মিউসদের মন্দির । এই ধরণের মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে প্রাচীন গ্রিসে পাঠাগার , প্রাচীন শিল্পকলা প্রভৃতির সংগ্রহশালা গড়ে উঠত । ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মিউজিয়াম -এর মতে, জাদুঘর হল একটি অলাভজনক, জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত এবং স্থায়ী সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান যা শিক্ষালাভ, জ্ঞানচর্চা ও আনন্দলাভের উদ্দেশ্যে মানব ঐতিহ্যের স্পর্শযোগ্য ও স্পর্শ-অযোগ্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করে, সংরক্ষণ করে, প্রদর্শন করে এবং সেগুলি নিয়ে গবেষণা করে। উদাহরণ – ব্রিটিশ মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ের নিদর্শন। এখানে পৃথক পৃথক ঘরে পৃথক পৃথক বিষয়ের নিদর্শন প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। জাদুঘরের উদ্দেশ্য , ক...

ঠান্ডা লড়াই কী? ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি আলোচনা করো।

ঠান্ডা লড়াই কী : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের (১৯৪৫) পর পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ পরস্পর দুটি রাষ্ট্রজোটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। একটি আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট অন্যটি সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট। এই দুই রাষ্ট্রজোট কোন প্রত্যক্ষ যুদ্ধ না করেও দীর্ঘকাল ধরে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও যুদ্ধের আবহ বা ছায়াযুদ্ধ চালাতে থাকে। এই ছায়াযুদ্ধই ইতিহাসে 'ঠান্ডা লড়াই' নাম পরিচিত। মার্কিন সাংবাদিক ওয়াল্টার লিপম্যান ( Walter Lippmaan ) ১৯৪৭ সালে তাঁর The Cold War গ্রন্থে সর্বপ্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য : 'ঠান্ডা লড়াই কী' এই অংশের জন্য ৩/৪ (তিন বা চার ) নম্বর (মার্কস) থাকলে অথবা বৈশিষ্ঠ্য লিখতে বললে  এখানে ক্লিক কর এবং যে অংশ বের হবে তা এই পয়েন্টের নিচে জুড়ে দাও। ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি : ঠান্ডা লড়াই-এর পিছনে শুধুমাত্র আদর্শগত বা অর্থনৈতিক কারণ বা ভিত্তি কাজ করেছিল এমন নয়। এর পিছনে আরও কিছু বিষয় তথা আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী কার্যকর ছিল। সমগ্র কারণকে এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। সাম্যবাদের বিরোধিতা : রাশিয়...

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল বর্ননা কর।

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল পলাশির যুদ্ধ ১৭৫৬ সালে নবাব আলীবর্দি মারা যান । এরপর তাঁর পৌত্র সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার সিংহাসন আরোহন করেন । সিংহাসন আরোহনের কিছুদিনের মধ্যেই ইংরেজদের সাথে তাঁর বিরোধ বাঁধে , যার চূড়ান্ত পরিনতি হল ১৭৫৭ সালের পলাশির যুদ্ধ ।   এই যুদ্ধের পটভূমি বিশ্লেষণ করলেই সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি পরিষ্কার হয়ে ওঠে । সেই সঙ্গে এটাও বোঝা যাবে এই বিরোধে সিরাজেরে ‘ অহমিকাবোধ ’ ও ‘ অর্থলোভ ’ দায়ী ছিল কিনা । পলাশির যুদ্ধের পটভূমি / কারণ সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি হল –   আনুগত্যদানে বিলম্ব। সিরাজ বাংলার সিংহাসনে বসলে প্রথা অনুযায়ী নবাবের প্রতি আনুগত্য জানিয়ে ফরাসি, ওলন্দাজ প্রভৃতি কোম্পানিগুলি উপঢৌকন পাঠালেও ইংরেজরা ইচ্ছা করে উপঢৌকন পাঠাতে দেরি করে। এতে সিরাজ অপমানিত হন।   ষড়যন্ত্রের সংবাদ। সিংহাসনে বসার সময় থেকে ঘষেটি বেগম, সৌকত জঙ্গ ও কয়েকজন রাজকর্মচারি সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র লিপ্ত ছিলেন। খবর আসে যে, এই ষড়যন্ত্রে ইংরেজরা যুক্ত আছে এবং তাঁকে সরিয়ে অনুগত কাউকে সিংহাসনে বসানোর চক্রান্ত করছে।   কৃষ্ণদাসকে আশ্রয়দান। ঘষেটি ব...

বাংলার সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা, বাংলার সমাজ ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর। অথবা, ঊনবিংশ শতকে নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান উল্লেখ কর। অথবা, উনিশ শতকের নবজাগরণে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা কি ছিল? এ প্রসঙ্গে নারীজাতির উন্নয়নে তাঁর অবদান ব্যাখ্যা কর।  বিদ্যাসাগর ও সংস্কার আন্দোলন : ঊনবিংশ শতকে ভারতে যে কজন সংস্কারকের জন্ম হয়েছিল তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি ছিলেন বঙ্গীয় নবজাগরণের মূর্ত প্রতীক। তাঁর মধ্যে ইউরোপীয় নবজাগরণের প্রবল যুক্তিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, প্রগাঢ় মানবতাবাদ, এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবাদর্শের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছিল। মাইকেল মধুসূদনের মতে, ' যাঁর মনীষা প্রাচীন ঋষিদের মতো, কর্মদক্ষতা ইংরেজদের মত এবং হৃদয়বত্তা বাঙালি জননীর মত। ' বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টা : বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টাকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যায়। এক . শিক্ষা সংস্কার, দুই . সমাজ সংস্কার। তবে তাঁর এই দুই প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে ছিল নারীশিক্ষা ও ...

তিন আইন কী?

তিন আইন কী? ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলনের ফলে ১৮৭২ সালে ব্রিটিশ সরকার বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রভৃতি সামাজিক কুসংস্কারগুলি নিষিদ্ধ করে এবং বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়। যে আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার এই ঘোষণা জারি করে তাকে ' তিন আইন ' বলে।

চিনের ৪ ঠা মে আন্দোলনের কারণ বিশ্লেষণ কর। এই আন্দোলনের প্রভাব আলোচনা কর। (২০১৬)

অথবা, বিংশ শতকে চিনে ৪ ঠা মে-র আন্দোলনের উত্থান ও গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। চিনের সেই সময়কার দুটি উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্রের নাম লেখো। অথবা, চিনের ৪ ঠা মের আন্দোলনের পটভূমি আলোচনা কর। এই আন্দোলনের ফলাফল বা তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।  ৪ ঠা মে-র আন্দোলন : ১৯১৪  সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপান চিনে আগ্রাসন চালায়। যুদ্ধে চীন মিত্রপক্ষে যোগ দিলেও যুদ্ধের পর তারা কোনো সুবিচার পায় নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি আধিপত্যের বিরুদ্ধে চিনা জাতীয়তাবাদী জনগণ চেন-তু-শিউ এর নেতৃত্বে  ১৯১৯ সালে ৪ ঠা মে পিকিং-এর তিয়েন-আন-মেন স্কোয়ার -এ  এক আন্দোলনের ডাক দেয়। এই আন্দোলন চিনের ইতিহাসে ৪ ঠা মে-র আন্দোলন নামে পরিচিত। আন্দোলনের কারণ ( পটভূমি ) : এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করলে এর কারণগুলি অনুধাবন করা যায়। ইউয়ান-সি-কাই এর নৃশংসতা : ১৯১১ সালে বিপ্লবের পর রাষ্ট্রপতি সান-ইয়াত-সেন দেশের গৃহযুদ্ধ এড়াতে ইউয়ান-সি-কাই  - এর অনুকূলে স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রপতি পদ ত্যাগ করেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর  ইউয়ান-সি-কাই  সমস্ত সাংবিধানিক পদ্ধতি বাতিল করে সামরিক একনায়কতন...

'মুক্তদ্বার নীতি' (Open Door Policy) কী?

চিনে ইউরোপীয় দেশগুলির উপনিবেশিক আধিপত্য স্থাপনের ফলে আমেরিকা শঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা ভাবতে শুরু করে এর ফলে চিনে আমেরিকার বাণিজ্যিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই পরিস্থি...

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল?

কোন পরিস্থিতিতে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) শুরু হয়? এই মামলায় অভিযুক্ত কয়েকজন শ্রমিক নেতার নাম লেখো। এই মামলার ফলাফল কী হয়েছিল? অথবা, মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল? অথবা, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কমিউনিস্ট পার্টির অবদানের একটি উদাহরণ দাও। এপ্রসঙ্গে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষাপট আলোচনা কর। এই মামলার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। উত্তর : মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা : ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে কমিউনিস্টদের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে ব্রিটিশ সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এইরূপ পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেছিল। মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) হল এরকমই এক দমননীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মামলার প্রেক্ষাপট : ১) শ্রমিক-মালিক বিরোধ । ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে ভারতে শিল্পায়ন শুরু হলে শ্রমিক শ্রেণির উদ্ভব হয়। বিংশ শতকের প্রথম দিকে মালিক শ্রেণির শোষণ ও অত্যাচারে শ্রমিক-মালিক সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। শ্রমিক শ্রেণির অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিস্টরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন জোরদার করে তুলে ব্রিটিশ সরকার চিন্তায় পড়ে যা...

সার্ক (SAARC) কী?

সার্ক হল দক্ষিণ এশিয়ার একটি আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা। এর পুরো নাম 'দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা'  ( South Asian Association for Regional Co-operation) । ১৯৭৯ সালে এই সংস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে সর্বপ্রথম উদ্যোগ নেন স্বাধীন বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। অবশেষে ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় মোট ৭টি দেশ নিয়ে এই সংস্থা আত্মপ্রকাশ করে। এর সদস্য রাষ্ট্রগুলি হল ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ।  -----------x---------- অষ্টম অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন বিভাগের আরও প্রশ্ন  ১)  অব-উপনিবেশবাদ কী?   ২)  অব-উপনিবেশিকরণ শব্দটি কে কবে প্রথম ব্যবহার করেন?  ৩)  নয়া-উপনিবেশবাদ কী?  ৪)  তৃতীয় বিশ্ব কী?   ৫)  'তৃতীয় বিশ্ব' কথাটি কবে, কোথায়, কে প্রথম ব্যবহার করেন?  ৬)  কোন দেশকে কেন্দ্র করে আফ্রিকা ঠান্ডা যুদ্ধের আবর্তে জড়িয়ে পড়ে?  ৭)  আলজেরিয়া কবে কার শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে?   ৮)  বেন বেল্লা কে ছিলেন?  ৯)  'ত্রিপোলি কর্মসূচি' কী?  ১০)  HIT AND R...