সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ইতিহাস বই। দ্বাদশ শ্রেণি। সর্বশেষ প্রশ্ন

হান্টার কমিশনের সুপারিশ মূল্যায়ন করো

হান্টার কমিশনের সুপারিশ মূল্যায়ন কর হান্টার কমিশনের সুপারিশ মূল্যায়ন করো আধুনিক শিক্ষার প্রসারে হান্টার কমিশনের সুপারিশ মূল্যায়ন কর Evaluate the recommendations of the Hunter Commission on the promotion of modern education হান্টার কমিশন কী: হান্টার কমিশন বা ইন্ডিয়ান এডুকেশন কমিশন হল আধুনিক ভারতের ইতিহাসে প্রথম শিক্ষা কমিশন। ভারত সরকার এই কমিশন গঠন করে ১৮৮২ সালে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগতি পর্যালোচনা করার জন্য। হান্টার কমিশনের সদস্য : স্যার উইলিয়ম উইলসন হান্টারকে সভাপতি করে গঠিত এ কমিশনের অন্যান্য সদস্যগণ ছিলেন আনন্দমোহন বসু, এ.ডব্লিউ ক্রফট্ (Director of Public Instruction, Bengal), ভূদেব মুখোপাধ্যায়, মহারাজা যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর, স্যার সৈয়দ আহমদ খান প্রমুখ। হান্টার কমিশন গঠনের কারণ ( উদ্দেশ্য ) : হান্টার কমিশনের উদ্দেশ্য বিশ্লেষণ করলে এই কমিশন গঠনের কারণ উপলব্ধি করা যায়। এই উদ্দেশ্য গুলি হল : উডের প্রস্তাব পর্যালোচনা :  ১৮৫৪ সালের উড-এর শিক্ষা বিষয়ক প্রস্তাব কার্যকর হওয়ার সময় থেকে ১৮৮২ পর্যন্ত ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার পর্যালোচনা করা নতুন সুপারিশ জমা করা  : পর্যালোচনার পর শ
সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

কবে কেন হান্টার কমিশন গঠিত হয়?

কবে কেন হান্টার কমিশন গঠিত হয়? কবে কেন হান্টার কমিশন গঠিত হয়? হান্টার কমিশন গঠনের কারণ ( উদ্দেশ্য ) কী ? হান্টার কমিশনের গঠন: হান্টার কমিশন বা ইন্ডিয়ান এডুকেশন কমিশন হল আধুনিক ভারতের ইতিহাসে প্রথম শিক্ষা কমিশন। ১৮৮২ সালে ভারত সরকার এই কমিশন গঠন করে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগতি পর্যালোচনা করার জন্য।  হান্টার কমিশন গঠনের কারণ ( উদ্দেশ্য ) : হান্টার কমিশনের উদ্দেশ্য বিশ্লেষণ করলে এই কমিশন গঠনের কারণ উপলব্ধি করা যায়। এই উদ্দেশ্য গুলি হল : উডের প্রস্তাব পর্যালোচনা : ১৮৫৪ সালের উড-এর শিক্ষা বিষয়ক প্রস্তাব কার্যকর হওয়ার সময় থেকে ১৮৮২ পর্যন্ত ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার পর্যালোচনা করা, নতুন সুপারিশ জমা করা : পর্যালোচনার পর শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি অপসারণ এবং আরও অগ্রগতি ঘটানোর জন্য করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ করা। ১৮৮৩ সালের অক্টোবর মাসে কমিশন তার রিপোর্ট পেশ করে। রিপোর্টে প্রাথমিক শিক্ষার উপরে ৩৬টি এবং মাধ্যমিক শিক্ষার উপরে ২৩টি সুপারিশ পেশ করে। ভারত সরকার কমিশনের দেওয়া প্রায় সকল সুপারিশই অনুমোদন করে। ফলে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের পথ সুগম হয়। ----------------xx--------------- বিকল

সার্ক কী? সার্কের উদ্দেশ্য কী ছিল? সার্ক গড়ে ওঠার পটভূমি। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে সার্ক কতটা সফল

সার্ক কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? গড়ে ওঠার পটভূমি আলোচনা করো। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে কতটা সফল হয়েছিল? (২০১৬) What is SAARC? What was its purpose? Discuss the background of its development. How successful was SAARC in meeting its goals and objectives? সার্ক কী? সার্ক (SAARC) হলো দক্ষিণ এশিয়ার একটি আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা। সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ সালের ৮ই ডিসেম্বর। প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় ঢাকায়। এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো হল ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ। পরবর্তী সময়ে অন্তর্ভুক্ত হয় আফগানিস্তান। পর্যবেক্ষক হিসাবে নির্বাচন করা হয়েছে চীন ও জাপানকে। এর সদর দপ্তর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। সার্কের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য কী ছিল? সার্কের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ছিল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আলাপ আলোচনা করা ও এ বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা। সার্ক সনদের প্রথম ধারাতেই তা বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ১) উন্নয়ন : সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে অগ্রগতি ঘটানো। ২) আত্মনির্ভ

জাদুঘরের বিকাশ ও প্রকারভেদ আলোচনা করো

জাদুঘরের বিকাশ ও প্রকারভেদ আলোচনা করো সুদূর অতীত কালে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জাদুঘর প্রতিষ্ঠার প্রচলন ছিল বলে জানা যায়। যুগের অগ্রগতির সাথে সাথে অতীতকালের জাদুঘর গুলির বিবর্তন ও বিকাশ ঘটতে থাকে। বিকাশের বিভিন্ন ধারায় সেই প্রাচীন জাদুঘর গুলি আজ আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত জাদুঘরের পরিণত হয়েছে। জাদুঘরের বিকাশ প্রাচীন জাদুঘর : প্রাচীন জাদুঘর গুলোকে প্রধানত দু'ভাগে ভাগ করা যায়। ১) পঞ্চদশ শতকের পূর্বের জাদুঘর। ২) পঞ্চদশ থেকে সপ্তদশ শতকের মধ্যবর্তী সময়ের জাদুঘর। ১) পঞ্চদশ শতকের পূর্বের জাদুঘর : প্রাচীনকাল থেকে পঞ্চদশ শতকের ইতালীয় নবজাগরণের শুরু পর্যন্ত সময়কালে যে সমস্ত জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেগুলোতে সর্বসাধারণের প্রবেশ অধিকার ছিলনা । এই সময়কার উল্লেখযোগ্য জাদুঘর গুলির মধ্যে মেসোপটেমিয়ার এননিগালডি - নান্না-র জাদুঘর বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে। এটা পৃথিবীর প্রাচীনতম জাদুঘর। এছাড়া এথেন্সের প্লেটোর জাদুঘর , এবং আলেকজান্দ্রিয়ার জাদুঘরও এই সময়ের উল্লেখযোগ্য দুটি জাদুঘর। ২) পঞ্চদশ থেকে সপ্তদশ শতকের মধ্যবর্তী সময়ের জাদুঘর : এই সময় থেকে জাদুঘর গুলিতে সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকারের সুযোগ দেয়া

ক্যন্টন বাণিজ্যের শর্তাবলি। ক্যন্টন বাণিজ্যের শর্তারোপের পরিণতি বা ফলাফল

ক্যন্টন বাণিজ্যের শর্তাবলি উল্লেখ কর। এই শর্তারোপের পরিণতি কী হয়েছিল? কোন কোন শর্তে বিদেশী বণিকরা ক্যান্টন বন্দরে বাণিজ্য করার অধিকার পেত? এই শর্ত আরোপের ফলাফল কী হয়েছিল? What are the terms of Canton trade. Consequences of the terms of the Canton trade ক্যান্টন বাণিজ্য : সালে চিনা আদালত একমাত্র ক্যান্টন বন্দরকেই বিদেশি বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত বলে ঘোষণা করে। এভাবে ক্যান্টন বন্দরকে কেন্দ্র করে চিনে বিদেশীদের এক-বন্দরকেন্দ্রিক যে বাণিজ্য প্রথার সূচনা হয় তা-ই ‘ক্যান্টন বাণিজ্য’ নামে পরিচিত। ক্যন্টন বাণিজ্যের শর্তাবলি : বিদেশিদের চিনের ক্যান্টন বাণিজ্যে অংশ নিতে গেলে নিম্নলিখিত শর্ত মেনে চলতে হতো। ১) বনিক সংঘের নিয়ন্ত্রনাধীন বাণিজ্য : ক্যান্টন বাণিজ্য পরিচালিত হতো ‘কো-হং’ নামে একটি ঘনিষ্ঠ বণিকসংঘ দ্বারা। এই বণিক সংঘ ছিল মূলত ব্যক্তি মালিকানাধীন। এদের মাধ্যমেই বিদেশী বণিকদের বাণিজ্য করতে হতো। ২) প্রত্যক্ষ বাণিজ্য করা যাবে না : বিদেশি বণিকরা চীনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে প্রত্যক্ষভাবে বাণিজ্য পণ্য কিনতে পারত না। সরকার অনুমোদিত ‘কো-হং’ বণিক সংঘের মাধ্যমেই তাদের লেনদেন চালাতে হতো। ৩) বিদেশীদের

ক্যান্টন বাণিজ্য কী? ক্যান্টন বাণিজ্যের বৈশিষ্ট্য। ক্যান্টন বাণিজ্যের অবসানের কারণ

 ক্যান্টন বাণিজ্য কী? ক্যান্টন বাণিজ্যের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর। ক্যান্টন বাণিজ্যের অবসানের কারণ কী ছিল? অথবা, ক্যান্টন বাণিজ্যের বৈশিষ্ট্য ও ফলাফল আলোচনা কর। What is Canton Trade? Characteristics of Canton Trade. Caused the end of the Canton trade ক্যান্টন বাণিজ্য কী? চিনের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত ক্যান্টন বন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র। ১৭৫৭ সাল থেকে ১৮৪২ সাল পর্যন্ত এই বন্দরই ছিল বিদেশি বণিকদের কাছে একমাত্র উন্মুক্ত বন্দর। কারণ, ১৭৫৯ সালে চিনা আদালত একমাত্র ক্যান্টন বন্দরকেই বিদেশি বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত বলে ঘোষণা করে। এভাবে ক্যান্টন বন্দরকে কেন্দ্র করে চিনে বিদেশীদের এক-বন্দরকেন্দ্রিক যে বাণিজ্য প্রথার সূচনা হয় তা-ই ‘ক্যান্টন বাণিজ্য’ নামে পরিচিত। এই ‘ক্যান্টন বাণিজ্য’ ‘ক্যান্টন বাণিজ্য প্রথা’ নামেও পরিচিত। ক্যান্টন বাণিজ্যের বৈশিষ্ট্য : ক্যান্টন বাণিজ্যের প্রধান প্রধান শর্ত, যা বিদেশি বণিকদের মেনে চলতে হতো, তা বিশ্লেষণ করলেই ক্যান্টন বাণিজ্যের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য নজরে পড়বে। ১) ব্যক্তিগত মালিকানা ভিত্তিক বাণিজ্য : ক্যান্টন বাণিজ্য পরিচালিত হতো ‘কো-হং’ নামে একটি ঘনি

অসম চুক্তি কী? চিনের উপর আরোপিত অসম চুক্তির বৈশিষ্ট্য। এপ্রসঙ্গে সঙ্গে শিমোনোশেকির চুক্তি ও বক্সার প্রোটোকলের শর্ত।

অসম চুক্তি বা বৈষম্যমূলক চুক্তি কী? চিনের উপর আরোপিত অসম চুক্তির বৈশিষ্ট্য লেখো। এপ্রসঙ্গে শিমোনোশেকির চুক্তি ও বক্সার প্রোটোকলের  শর্ত বর্ণনা কর। What-is-an-unequal-contract-or-a-discriminatory-contract-Characteristics-of-Unequal-Treaties-Imposed-on-China-In-this-context-the-terms-of-Shimonosekis-contract-and-Boxer-Protocol-are-discussed অসম চুক্তি কী? উনিশ ও বিশ শতকের শুরুতে চিনে কিং বা চিং বংশের শাসকদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জাপান প্রভৃতি বহিরাগত সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো চিনকে বিভিন্ন যুদ্ধে পরাজিত করে। প্রায় প্রত্যেকটি যুদ্ধের শেষে এই সমস্ত সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো চিনের উপর বিভিন্ন শোষণমূলক সন্ধি বা চুক্তি চাপিয়ে দেয়। এই চুক্তিগুলো চিনের ইতিহাসে সাধারণভাবে ‘ অসম চুক্তি ’ বা ‘ বৈষম্যক চুক্তি’ নামে পরিচিত। অসম চুক্তির বৈশিষ্ট্য : চিনের উপর আরোপিত এই সমস্ত অসম চুক্তিগুলোর কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। ১) একতরফা চুক্তি : এই সমস্ত অসম চুক্তিগুলো চিনের সরকারের সঙ্গে পশ্চিমী শক্তিগুলোর পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে

উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের মধ্যে পার্থক্য

 উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় কর উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের পার্থক্য : উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ শব্দ দুটির মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। কারণ, উভয় শব্দই পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক। একটিকে বাদ দিয়ে আরেকটিকে কল্পনা করা যায় না। তা সত্ত্বেও এই শব্দ দুটির মধ্যে যে আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে তা বিশ্লেষণ করলে উভয়ের মধ্যে কিছু পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায়। ১) উৎসগত পার্থক্য : ‘উপনিবেশবাদ’ কথাটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ ‘কলোনি’ থেকে, যার অর্থ হল উপনিবেশ। অন্যদিকে ‘সাম্রাজ্যবাদ’ কথাটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ ‘ইম্পোরিয়াম’ থেকে, যার অর্থ সর্বময় কর্তৃত্ব। ২) সংজ্ঞাগত পার্থক্য : দেশের সীমান্তের বাইরে অথবা সীমান্ত থেকে বিচ্ছিন্ন কোন ভূখণ্ডে বসতি স্থাপন এবং তাকে শোষণের জন্য দখল করার রাজনৈতিক মতবাদ হল উপনিবেশবাদ। অন্যদিকে, যখন কোন জনগোষ্ঠী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্য কোন জনগোষ্ঠীর উপর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ কায়েম করে তখন তাকে বলে সাম্রাজ্যবাদ। এ সাম্রাজ্যবাদের সূচনা হয় উপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। ৩) শব্দ দু

কিংবদন্তি কী? কিংবদন্তির গুরুত্ব।

 কিংবদন্তি কী? কিংবদন্তির গুরুত্ব বর্ণনা করো। What is legend? Importance of Legend. কিংবদন্তি কী : কিংবদন্তি হল এক ধরণের কাহিনি যা মৌখিক ইতিহাস বা জনশ্রুতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে গ্রহণ করা হয়। কিংবদন্তির কাহিনীগুলিতে যে সমস্ত চরিত্র ও তার কার্যকলাপের বিবরণ থাকে তা অতীতে বর্তমান ছিল বলে লোকসমাজ বিশ্বাস করে এবং সেই বিশ্বাস বংশপরম্পরায় পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে যায়। অধিকাংশ ঐতিহাসিক মনে করেন, পৌরাণিক কাহিনি সৃষ্টি হওয়ার অনেক অনেক বছর পর মানব সমাজে যখন ইতিহাসবোধ জন্ম নিতে শুরু করে, তখনই কিংবদন্তিগুলি সৃষ্টি হতে থাকে। উদাহণস্বরূপ রামচন্দ্র, হারকিউলিস, গোপাল ভাঁড়ের কাহিনী, উল্লেখ করা যায়। কিংবদন্তির গুরুত্ব : মৌখিক ইতিহাসের উপাদান হিসেবে কিংবদন্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১) ঐতিহাসিক তথ্যের উৎস। ককিংবদন্তিতে বর্ণিত বিভিন্ন ঘটনার বিবরণ অনেক সময় ঐতিহাসিক তথ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে। যেমন, ১৯৬৮ সালে অধুনা বাংলাদেশের সীতাকোট ঢিবিতে খনন কার্য চালিয়ে বৌদ্ধ বিহারের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। ২) মনোরঞ্জনের উৎস। কিংবদন্তীর কাহিনীগুলিতে কখনও কখনও বীরত্বের কাহিনী আবার কখনো হাস্যরসে ভরা ঘটনা

কিংবদন্তির বৈশিষ্ট্য। কিংবদন্তি ও লোককথার পার্থক্য।

কিংবদন্তির বৈশিষ্ট্য। কিংবদন্তি ও লোককথার পার্থক্য।  Features of the legend. Difference Between Legend and Folktale কিংবদন্তির বৈশিষ্ট্য। প্রাচীন কিংবদন্তিগুলোর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ১) কিংবদন্তের উদ্ভব : অধিকাংশ ঐতিহাসিক মনে করেন, পৌরাণিক কাহিনী সৃষ্টির বহু যুগ পর মানব সমাজে যখন ইতিহাসবোধ জন্ম নিতে শুরু করে তখনই কিংবদন্তি গুলির পথ চলা শুরু হয়। ২) কিংবদন্তির উদ্দেশ্য : কোন ঘটনাকে প্রচার করা এবং জনমানসে তাকে স্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্য নিয়েই কিংবদন্তি বা বিরগাথা গুলি সৃষ্টি করা হয়। ৩) বিষয়বস্তুর বিভিন্নতা : কিংবদন্তির বিষয়বস্তু বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন, ইতিহাস নির্ভর কাহিনি, প্রেম বিরহের কাহিনি, ভূত-প্রেত এর কাহিনি কিম্বা সন্ন্যাসী ফকির পীর দরবেশদের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন কাহিনি। ৪) লোকসংস্কৃতির অংশ : প্রজন্মের পর প্রজন্ম লোকমুখে প্রচলিত হওয়ার কারণে কিংবদন্তিগুলির মধ্যে লোকসংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য ( লোকবিশ্বাস ও সংস্কার) যুক্ত হয়েছে। তাই কিংবদন্তিগুলো লোকসমাজের দর্পণে পরিণত হয়। ৫) চরিত্রের বাস্তবতা : কিংবদন্তির চরিত্রগুলোর ঐতিহাসিক সত্যতা সব সময় না থাকলেও জনমানসে এই ব

গ্যারান্টি প্রথা কী?

গ্যারান্টি প্রথা) ভারতে ১৮৩২ সাল থেকে রেলপথ স্থাপনের প্রস্তাব উঠতে থাকে। ১৮৫৩ সালে লর্ড ডালহৌসি সর্বপ্রথম বোম্বাই থেকে থানে পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন করেন। ব্রিটিশ কোম্পানিগুলিকে ভারতে রেলপথ স্থাপনে উৎসাহিত করার জন্য সরকার এই সময় কয়েকটি বিষয়ে গ্যারান্টি বা প্রতিশ্রুতি দেয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, বিনামূল্যে জমিদান ও কোম্পানিকে বিনিয়োগ করা মূলধনের ওপর ৫ শতাংশ সুদ প্রদান। এই প্রতিশ্রুতিই ‘গ্যারান্টি প্রথা’ নামে পরিচিত। ------------x---------- ১)  ভারতে রেলপথ স্থাপনের কারণ ও ফলাফল আলোচনা কর। ২)  ভারতে বিভিন্ন উদ্যোগে রেলপথের সম্প্রসারণ সম্পর্কে আলোচনা কর। ৩)  গ্যারান্টি প্রথা কী?

বক্সার যুদ্ধের পটভূমি আলোচনা কর। পলাশির যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করে এই যুদ্ধের গুরুত্ব নির্ণয় কর।

বক্সার যুদ্ধের পটভূমি আলোচনা কর ১৭৬০ সালের বিপ্লব কী পলাশির যুদ্ধে জয়লাভের ফলে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার  ‘ কিং মেকার ’ -এ পরিণত হয় ।  মিরজাফরকে সিংহাসনে বসিয়ে তারা বাংলায় বিনাশুল্কে বানিজ্যের অবাধ অধিকার ও চব্বিশ পরগণার জমিদারি লাভ করে ।   কিন্তু ক্লাইভের উদ্ধত আচরণ ,  নবাবের প্রতি অসম্মান ,  ক্রমাগত অর্থশোষণ প্রভৃতি কারণে মিরজাফর বিরক্ত হন ।  ইংরেজদের ক্ষমতা ক্ষর্ব করার জন্য তিনি গোপনে ওলন্দাজদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ।  খবর পেয়ে ক্লাইভ বিদারার যুদ্ধে ওলন্দাজদের পরাজিত করন ।  আর ওলন্দাজদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে মিরজাফরকে পদচ্যুত করে তাঁর জামাতা মিরকাশিমকে বাংলার সিংহাসনে বসান ।  এভাবে বিনা রক্তপাতে নবাব পরিবর্তনের ঘটনা  ‘ ১৭৬০ সালের বিপ্লব ’  নামে পরিচিত । ইংরেজ ও মিরকাশিমের বিরোধের কারণ ইংরেজদের সহযোগীতায় ক্ষমতা দখল করলেও মিরকাশিম ইংরেজদের ওপর নির্ভরতা কমানোর উদ্দেশ্যে শিঘ্রই বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন ।  ফলে তাঁর সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধ অনিবার্য হয়ে ওঠে । 1)    আর্থিক শক্তিবৃদ্ধির চেষ্টা ।    এই উদ্দেশ্যে মিরকাশিম ১) রাজস্ব আদায়ের কঠোর নীতি নেন ,  ২) দরবারের

পলাশী ও বক্সারের যুদ্ধের তুলনামূলক আলোচনা করো।

১৭৬০ সালের বিপ্লব কী পলাশির যুদ্ধে জয়লাভের ফলে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার ‘কিং মেকার’-এ পরিণত হয়। মিরজাফরকে সিংহাসনে বসিয়ে তারা বাংলায় বিনাশুল্কে বানিজ্যের অবাধ অধিকার ও চব্বিশ পরগণার জমিদারি লাভ করে। কিন্তু ক্লাইভের উদ্ধত আচরণ, নবাবের প্রতি অসম্মান, ক্রমাগত অর্থশোষণ প্রভৃতি কারণে মিরজাফর বিরক্ত হন। ইংরেজদের ক্ষমতা ক্ষর্ব করার জন্য তিনি গোপনে ওলন্দাজদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খবর পেয়ে ক্লাইভ বিদারার যুদ্ধে ওলন্দাজদের পরাজিত করন। আর ওলন্দাজদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে মিরজাফরকে পদচ্যুত করে তাঁর জামাতা মিরকাশিমকে বাংলার সিংহাসনে বসান। এভাবে বিনা রক্তপাতে নবাব পরিবর্তনের ঘটনা ‘ ১৭৬০ সালের বিপ্লব’ নামে পরিচিত। ইংরেজ ও মিরকাশিমের বিরোধের কারণ ইংরেজদের সহযোগীতায় ক্ষমতা দখল করলেও মিরকাশিম ইংরেজদের ওপর নির্ভরতা কমানোর উদ্দেশ্যে শিঘ্রই বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।ফলে তাঁর সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধ অনিবার্য হয়ে ওঠে। মিরকাশিমের বিভিন্ন আর্থিক, সামরিক, প্রশাসনিক ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহন করায় ইংরেজরা তাঁর বিরুদ্ধে ক্রমশঃ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে দেশীয় বণিকদের বিনাশুল্কে বাণিজ্য করা

ঊনিশ শতকে দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ভারতে কিভাবে বিভিন্ন শিল্পের অগ্রগতি ঘটেছে দেখাও।

অথবা , ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত ভারতে শিল্পের বিকাশ সংক্ষেপে বর্ননা কর । উত্তর : ভারতে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠার পর ব্রিটিশ সরকার ভারতকে একটি কাঁচামাল রপ্তানিকারক দেশ হিসাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করে । ১৮৫৭ সালে মহাবিদ্রোহের পর পরিস্থিতি পাল্টায় । বিলম্ব হলেও এই সময় ইউরোপীয় ও ভারতীয় উদ্যোগে শুরু হয় নির্দিষ্ট কিছু শিল্পের বিকাশ । ইউরোপীয় শিল্পোদ্যোগ বৈশিষ্ট্য ইউরোপীয় উদ্যোগে ভারতে শিল্প- বিকাশের কয়েকটি বিশেষত্ব লক্ষ্য করা যায় । যেমন – A.   ভারতীয় উদ্যোগের বিরোধিতা । কারণ , ইংল্যান্ড ও ভারতীয় ইংরেজ শিল্পপতিরা মনে করতেন যে , ভারতীয় উদ্যোগে শিল্প গড়ে উঠলে ভারতের বাজার ও কাঁচামাল তাদের হাতছাড়া হবে । B.   ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতি । ভারী বা মূলধন সৃষ্টিকারী শিল্পের পরিবর্তে ইউরোপীয়রা মূলত ভোগ্যপণ্যের সঙ্গে যুক্ত শিল্পে পুঁজি বিনিয়োগ করতেন । শিল্প বিকাশের কারণ ভারেত ব্রিটিশ পুঁজিপতিদের শিল্পোদ্যোগের পিছনে কয়েকটি কারণ ছিল – 1)   উৎপাদন ব্যয় কম । কারণ , সামান্য মজুরিতে প্রচুর শ্রমিক পাওয়া যেত । 2)    সস্তায় কাঁচাম


বাংলা বই ★ দ্বাদশ শ্রেণি
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার 👆আদর্শ প্রশ্নোত্তরের একমাত্র পোর্টাল

জনপ্রিয় প্রশ্ন-উত্তরগুলি দেখুন

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তগুলি (বৈশিষ্ঠ্য) উল্লেখ কর। ভারতের আর্থ-সামাজিক ইতিহাসে এই ভূমি-ব্যবস্থার গুরুত্ব আলোচনা কর।

অথবা , চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি ব্যাখ্যা কর । এপ্রসঙ্গে ভারতের কৃষক সমাজের ওপর এই বন্দোবস্ত কীরূপ প্রভাব ফেলেছিল বর্ননা কর । উত্তর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত । চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হল এক ধরণের ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা ।   ১৭৯৩ সালে  লর্ড কর্ণওয়ালিস বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যায় এই ভূমি-ব্যবস্থা চালু করেন । পরবর্তীকালে বারাণসী , উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ও মাদ্রাস প্রেসিডেন্সির কোনো কোনো অঞ্চলে  এই ব্যবস্থা  চালু করা হয় । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি । কোম্পানির কর্মচারী ও ঐতিহাসিক আলেকজান্ডার ডাও ১৭৭২ সালে  প্রথম  চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কথা বলেন । এরপর হেনরি পাত্তুলো , ড্যাক্রিস , টমাস ল প্রমুখ এই বন্দোবস্তের সপক্ষে যুক্তি দেখান । ১৭৮৬ সালে কর্ণওয়ালিশ গভর্নর জেনারেল হয়ে ভারতে আসেন ।  তিন বছর ধরে  তিনি  বাংলার ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যপক অনুসন্ধান চালান ।  এরপর ১৭৯০ সালে দেশীয় জমিদারদের সঙ্গে দশ বছরের জন্য একটি বন্দোবস্ত করেন, যা ‘ দশসালা বন্দোবস্ত ’ নামে পরিচিত । সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন , ইংল্যান্ডের কর্তপক্ষ অনুমোদন করলে এই বন্দোবস্তই ‘ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ’ -এ পরিণত হবে

জাদুঘর কাকে বলে? অতীত পুনর্গঠনে জাদুঘরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা , জাদুঘর কী ? জাদুঘরের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলি বর্ননা কর । অথবা , জাদুঘর বলতে কী বোঝ ? আধুনিক ইতিহাস রচনায় জাদুঘরের গুরুত্ব লেখ । উঃ জাদুঘরের সংজ্ঞা বাংলা ‘ জাদুঘর ’ শব্দটির ইংরাজি প্রতিশব্দ হল মিউজিয়াম ( Museum) । ‘ মিউজিয়াম ’ শব্দটির মূল উৎস হল প্রাচীন গ্রীক শব্দ Mouseion ( মউসিয়ান) , যার অর্থ হল গ্রীক পুরাণের শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক মিউসদের মন্দির । এই ধরণের মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে প্রাচীন গ্রিসে পাঠাগার , প্রাচীন শিল্পকলা প্রভৃতির সংগ্রহশালা গড়ে উঠত । ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মিউজিয়াম -এর মতে, জাদুঘর হল একটি অলাভজনক, জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত এবং স্থায়ী সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান যা শিক্ষালাভ, জ্ঞানচর্চা ও আনন্দলাভের উদ্দেশ্যে মানব ঐতিহ্যের স্পর্শযোগ্য ও স্পর্শ-অযোগ্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করে, সংরক্ষণ করে, প্রদর্শন করে এবং সেগুলি নিয়ে গবেষণা করে। উদাহরণ – ব্রিটিশ মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ের নিদর্শন। এখানে পৃথক পৃথক ঘরে পৃথক পৃথক বিষয়ের নিদর্শন প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। জাদুঘরের উদ্দেশ্য , ক

ঠান্ডা লড়াই কী? ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি আলোচনা করো।

ঠান্ডা লড়াই কী : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের (১৯৪৫) পর পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ পরস্পর দুটি রাষ্ট্রজোটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। একটি আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট অন্যটি সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট। এই দুই রাষ্ট্রজোট কোন প্রত্যক্ষ যুদ্ধ না করেও দীর্ঘকাল ধরে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও যুদ্ধের আবহ বা ছায়াযুদ্ধ চালাতে থাকে। এই ছায়াযুদ্ধই ইতিহাসে 'ঠান্ডা লড়াই' নাম পরিচিত। মার্কিন সাংবাদিক ওয়াল্টার লিপম্যান ( Walter Lippmaan ) ১৯৪৭ সালে তাঁর The Cold War গ্রন্থে সর্বপ্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য : 'ঠান্ডা লড়াই কী' এই অংশের জন্য ৩/৪ (তিন বা চার ) নম্বর (মার্কস) থাকলে অথবা বৈশিষ্ঠ্য লিখতে বললে  এখানে ক্লিক কর এবং যে অংশ বের হবে তা এই পয়েন্টের নিচে জুড়ে দাও। ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি : ঠান্ডা লড়াই-এর পিছনে শুধুমাত্র আদর্শগত বা অর্থনৈতিক কারণ বা ভিত্তি কাজ করেছিল এমন নয়। এর পিছনে আরও কিছু বিষয় তথা আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী কার্যকর ছিল। সমগ্র কারণকে এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। সাম্যবাদের বিরোধিতা : রাশিয়ায়

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল বর্ননা কর।

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল পলাশির যুদ্ধ ১৭৫৬ সালে নবাব আলীবর্দি মারা যান । এরপর তাঁর পৌত্র সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার সিংহাসন আরোহন করেন । সিংহাসন আরোহনের কিছুদিনের মধ্যেই ইংরেজদের সাথে তাঁর বিরোধ বাঁধে , যার চূড়ান্ত পরিনতি হল ১৭৫৭ সালের পলাশির যুদ্ধ ।   এই যুদ্ধের পটভূমি বিশ্লেষণ করলেই সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি পরিষ্কার হয়ে ওঠে । সেই সঙ্গে এটাও বোঝা যাবে এই বিরোধে সিরাজেরে ‘ অহমিকাবোধ ’ ও ‘ অর্থলোভ ’ দায়ী ছিল কিনা । পলাশির যুদ্ধের পটভূমি / কারণ সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি হল –   আনুগত্যদানে বিলম্ব। সিরাজ বাংলার সিংহাসনে বসলে প্রথা অনুযায়ী নবাবের প্রতি আনুগত্য জানিয়ে ফরাসি, ওলন্দাজ প্রভৃতি কোম্পানিগুলি উপঢৌকন পাঠালেও ইংরেজরা ইচ্ছা করে উপঢৌকন পাঠাতে দেরি করে। এতে সিরাজ অপমানিত হন।   ষড়যন্ত্রের সংবাদ। সিংহাসনে বসার সময় থেকে ঘষেটি বেগম, সৌকত জঙ্গ ও কয়েকজন রাজকর্মচারি সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র লিপ্ত ছিলেন। খবর আসে যে, এই ষড়যন্ত্রে ইংরেজরা যুক্ত আছে এবং তাঁকে সরিয়ে অনুগত কাউকে সিংহাসনে বসানোর চক্রান্ত করছে।   কৃষ্ণদাসকে আশ্রয়দান। ঘষেটি বেগমের প্রিয়পাত্র ঢা

বাংলার সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা, বাংলার সমাজ ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর। অথবা, ঊনবিংশ শতকে নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান উল্লেখ কর। অথবা, উনিশ শতকের নবজাগরণে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা কি ছিল? এ প্রসঙ্গে নারীজাতির উন্নয়নে তাঁর অবদান ব্যাখ্যা কর।  বিদ্যাসাগর ও সংস্কার আন্দোলন : ঊনবিংশ শতকে ভারতে যে কজন সংস্কারকের জন্ম হয়েছিল তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি ছিলেন বঙ্গীয় নবজাগরণের মূর্ত প্রতীক। তাঁর মধ্যে ইউরোপীয় নবজাগরণের প্রবল যুক্তিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, প্রগাঢ় মানবতাবাদ, এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবাদর্শের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছিল। মাইকেল মধুসূদনের মতে, ' যাঁর মনীষা প্রাচীন ঋষিদের মতো, কর্মদক্ষতা ইংরেজদের মত এবং হৃদয়বত্তা বাঙালি জননীর মত। ' বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টা : বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টাকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যায়। এক . শিক্ষা সংস্কার, দুই . সমাজ সংস্কার। তবে তাঁর এই দুই প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে ছিল নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি। (১)

চিনের ৪ ঠা মে আন্দোলনের কারণ বিশ্লেষণ কর। এই আন্দোলনের প্রভাব আলোচনা কর। (২০১৬)

অথবা, বিংশ শতকে চিনে ৪ ঠা মে-র আন্দোলনের উত্থান ও গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। চিনের সেই সময়কার দুটি উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্রের নাম লেখো। অথবা, চিনের ৪ ঠা মের আন্দোলনের পটভূমি আলোচনা কর। এই আন্দোলনের ফলাফল বা তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।  ৪ ঠা মে-র আন্দোলন : ১৯১৪  সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপান চিনে আগ্রাসন চালায়। যুদ্ধে চীন মিত্রপক্ষে যোগ দিলেও যুদ্ধের পর তারা কোনো সুবিচার পায় নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি আধিপত্যের বিরুদ্ধে চিনা জাতীয়তাবাদী জনগণ চেন-তু-শিউ এর নেতৃত্বে  ১৯১৯ সালে ৪ ঠা মে পিকিং-এর তিয়েন-আন-মেন স্কোয়ার -এ  এক আন্দোলনের ডাক দেয়। এই আন্দোলন চিনের ইতিহাসে ৪ ঠা মে-র আন্দোলন নামে পরিচিত। আন্দোলনের কারণ ( পটভূমি ) : এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করলে এর কারণগুলি অনুধাবন করা যায়। ইউয়ান-সি-কাই এর নৃশংসতা : ১৯১১ সালে বিপ্লবের পর রাষ্ট্রপতি সান-ইয়াত-সেন দেশের গৃহযুদ্ধ এড়াতে ইউয়ান-সি-কাই  - এর অনুকূলে স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রপতি পদ ত্যাগ করেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর  ইউয়ান-সি-কাই  সমস্ত সাংবিধানিক পদ্ধতি বাতিল করে সামরিক একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। এর প্রতিবাদ করলে কুয়োমি

তিন আইন কী?

তিন আইন কী? ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলনের ফলে ১৮৭২ সালে ব্রিটিশ সরকার বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রভৃতি সামাজিক কুসংস্কারগুলি নিষিদ্ধ করে এবং বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়। যে আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার এই ঘোষণা জারি করে তাকে ' তিন আইন ' বলে।

'মুক্তদ্বার নীতি' (Open Door Policy) কী?

চিনে ইউরোপীয় দেশগুলির উপনিবেশিক আধিপত্য স্থাপনের ফলে আমেরিকা শঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা ভাবতে শুরু করে এর ফলে চিনে আমেরিকার বাণিজ্যিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই পরিস্থিতিতে ১৮৯৯ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জন হে চিন সম্পর্কে যে নীতি গ্রহণ করেছিলেন তা মুক্তদ্বার নীতি নামে পরিচিত। এই নীতিতে বলা হয়, বিভিন্ন ইউরোপীয় শক্তি দ্বারা অধিকৃত চিনের বিভিন্ন অঞ্চলে আমেরিকার সমান বাণিজ্যিক সুবিধা দিতে হবে।

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল?

কোন পরিস্থিতিতে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) শুরু হয়? এই মামলায় অভিযুক্ত কয়েকজন শ্রমিক নেতার নাম লেখো। এই মামলার ফলাফল কী হয়েছিল? অথবা, মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল? অথবা, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কমিউনিস্ট পার্টির অবদানের একটি উদাহরণ দাও। এপ্রসঙ্গে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষাপট আলোচনা কর। এই মামলার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। উত্তর : মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা : ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে কমিউনিস্টদের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে ব্রিটিশ সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এইরূপ পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেছিল। মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) হল এরকমই এক দমননীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মামলার প্রেক্ষাপট : ১) শ্রমিক-মালিক বিরোধ । ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে ভারতে শিল্পায়ন শুরু হলে শ্রমিক শ্রেণির উদ্ভব হয়। বিংশ শতকের প্রথম দিকে মালিক শ্রেণির শোষণ ও অত্যাচারে শ্রমিক-মালিক সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। শ্রমিক শ্রেণির অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিস্টরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন জোরদার করে তুলে ব্রিটিশ সরকার চিন্তায় পড়ে যা

ভাইকম সত্যাগ্রহ কী

ভাইমক বর্ণহিন্দুদের একটি মন্দির । দক্ষিণ ভারতের ত্রিবাঙ্কুরে এটি অবস্থিত। এই মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষদের চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। শ্রীনারায়ণ গুরু বর্ণহিন্দুদের এই বর্নবিদ্বেষী প্রথার বিরুদ্ধে এবং মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষের হাঁটার দাবিতে যে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তা ভাইকম সত্যাগ্রহ নামে পরিচিত। আন্দোলনের ব্যাপকতায় মুগধ হয়ে গান্ধিজি একে সমর্থন করেন। শেষ পর্যন্ত এই আন্দোলন জয়যুক্ত হয়।