সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ইতিহাস বই। দ্বাদশ শ্রেণি। সর্বশেষ প্রশ্ন

হিন্দু মহাসভা কেন গড়ে উঠেছিল?

হিন্দু মহাসভা কেন গড়ে উঠেছিল? হিন্দু মহাসভা কেন গড়ে উঠেছিল? মদনমোহন মালব্য ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে ‘ অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভা ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু জাতীয়তাবাদের প্রসার ঘটানো। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এবং নিম্নলিখিত কারণে হিন্দুত্ববাদী ভারতীয়রা এই সংগঠনের জন্ম দিয়েছিলেন। হিন্দু মহাসভা প্রতিষ্ঠার কারণ : হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষা করা : ১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ভারতীয় রাজনীতিতে মুসলিমদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে। বলা হয়, এই প্রতিষ্ঠানের পরিপ্রেক্ষিতেই এবং হিন্দু সমাজের স্বার্থ রক্ষার তাগিদে এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। সংস্কার ও ঐক্য বিধান করা : হিন্দু সমাজে জাতি ও উপজাতির মধ্যে বৈষম্য ও  বিভাজন ছিল প্রকট। এই বিভাজন দূর করে ঐক্য স্থাপনের উদ্দেশ্য নিয়েই এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। ধর্মনিরপেক্ষ কংগ্রেসের বিরোধিতা করা : কংগ্রেস ছিল সর্বধর্ম সমন্বয়ের নীতিতে বিশ্বাসী। তাই ধর্মের ভিত্তিতে পৃথক দাবি-দাওয়ার তারা বিরোধী ছিল। এই প্রেক্ষাপটে কংগ্রেসের রাজনীতির বিরোধিতায় কিছু হিন্দু নেতা হিন্দু মহাসভা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন অনুভব করেন। ধর্মীয় উত্তেজনা ও প্র...
সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

আলীগড় আন্দোলন কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল?

আলীগড় আন্দোলন কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? আলীগড় আন্দোলন কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? আলীগড় আন্দোলন : সৈয়দ আহমেদ খান ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক। ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি উপলব্ধি করেন যে মুসলিম সমাজ শিক্ষা ক্ষেত্রে ভয়ংকর ভাবে পিছিয়ে আছে। এই পিছিয়ে পড়া আটকানোর জন্য তিনি একাধারে সমাজ ও শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কারের উদ্যোগ নেন। আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই সংস্কার আন্দোলন আলিগড় আন্দোলন নামে পরিচিত। আলীগড় আন্দোলনের উদ্দেশ্য : আলিগড় আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল— সমাজ সংস্কার : মুসলিম সমাজের পিছিয়ে পড়া আটকাতে গেলে সবার আগে প্রয়োজন ছিল সমাজকে সংস্কার করা। বিশেষ করে ইউরোপীয় শিক্ষার প্রতি অনীহার অবসান ঘটানো। এই উদ্দেশ্যে তিনি কোরান ভিত্তিক সমাজকে সংস্কার করার উদ্যোগ নেন। আধুনিক শিক্ষার প্রসার : সমাজ সংস্কার কে এগিয়ে নিয়ে যেতে গেলে আধুনিক শিক্ষা অপরিহার্য। এ কারণে মুসলিম সমাজকে অশিক্ষার অন্ধকার থেকে মুক্ত করতে ইউরোপীয় শিক্ষার প্রসারের উদ্যোগ নেন। আলীগড় মুসলিম কলেজ তারই ফসল।  সরকারি চাকরি সুযোগ : আধুনিক ইউরোপীয় শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে তিনি ব্রিটিশ প্রশাসনিক ...

আর্য সমাজের ‘শুদ্ধি আন্দোলন’ বলতে কী বোঝো?

আর্য সমাজের ‘শুদ্ধি আন্দোলন’ বলতে কী বোঝো। শুদ্ধি আন্দোলনের উদ্দেশ্য কি ছিল? আর্য সমাজের ‘শুদ্ধি আন্দোলন’ বলতে কী বোঝো? উনিশ শতক থেকে ভারতে ধর্মীয় ও সমাজ সংস্কার আন্দোলনের কাজ শুরু হয়। এই পটভূমিতে, ১৮৭৫ সালে বোম্বাইতে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী গড়ে তোলেন আর্য সমাজ । আর্য সমাজের এই সংস্কার আন্দোলন ইতিহাসে  শুদ্ধি আন্দোলন নামে খ্যাত। শুদ্ধি আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল—হিন্দু সমাজকে একত্রিত করা এবং সামাজিক পুনর্জাগরণ ঘটানো।  শুদ্ধি আন্দোলনের উদ্দেশ্য : শুদ্ধি আন্দোলনের উদ্দেশ্যগুলোকে নিম্নলিখিত ভাগে ভাগ করা যায়।  ধর্মান্তরিতদের হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনা : এই কর্মসূচির আওতায় ইসলাম এবং খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত ব্যক্তিদের পুনরায় হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনা।  হিন্দু ধর্মের ঐক্য রক্ষা : আর্য সমাজ বিশ্বাস করত, ধর্মান্তরন হিন্দু সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করছে। তাই শুদ্ধি আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি রক্ষা করা দরকার।  সামাজিক সংস্কার : শুদ্ধি আন্দোলন সমাজের নিম্ন বর্ণের মানুষদের শিক্ষিত করে তুলে সমাজের সম্মানজনক জায়গায় স্থাপন করার সিদ্ধান্ত হয়।  হিন্...

১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ ব্যর্থ হয়েছিল কেন?

১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ ব্যর্থ হয়েছিল কেন? ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ ব্যর্থ হয়েছিল কেন? ১৮৫৭ সাল। ভারতের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর। বিনায়ক দামোদর সাভারকর- এর মতে, ‘ভারতের প্রথম স্বাধীনতার যুদ্ধ’ শুরু হয় এই বছর। ইংরেজ ঐতিহাসিকরা যাকে বলেন ‘ সিপাহী বিদ্রোহ ’, ভারতের জাতীয়তাবাদী ঐতিহাসিকদের অনেকে তাকেই বলেন ‘ প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম ’। অন্যদিকে, যাঁরা বিতর্ক এড়াতে চান, তাঁদের কথায় এটা ছিল ‘ ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ ’। মহাবিদ্রোহের ব্যর্থতার কারণ : যাই-ই হোক, বহু শহীদের রক্তে রাঙানো এই মহাবিদ্রোহ শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। এই ব্যর্থতার পিছনে ঐতিহাসিকগণ যে সমস্ত কারণকে চিহ্নিত করেছেন, সেগুলো হল— ১) পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের অভাব : বিদ্রোহীরা জীবন-মরন পণ করে লড়াই করলেও এই লড়াইয়ে তারা পরাজিত হন। তার কারণ, লড়াইয়ের পরিকল্পনা ও লড়াইকারীদের মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয়ের অভাব ছিল। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও পারস্পরিক সমন্বয়ের এই অভাব, তাদের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ। ২) সর্বভারতীয় সমর্থনের অভাব : প্রায় সর্বশ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণ ও সমর্থন থাকলেও সমস্ত মানুষের সমর্থন বিদ্রোহীরা পাননি। বিশেষ করে শ...

১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের প্রকৃতি

 ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের প্রকৃতি আলোচনা করো। (মান - ৪) ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের প্রকৃতি ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের প্রকৃতি বা চরিত্র সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামতগুলো হল —  ১) সিপাহী বিদ্রোহ : অধিকাংশ ইংরেজ ঐতিহাসিক এই বিদ্রোহকে সিপাহী বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জন লরেন্স, চার্লস রেকস, টি আর হোমস্ প্রমূখ। তাঁদের যুক্তি হলো, এই বিদ্রোহের সূচনা, পরিচালনা ও প্রসারে সিপাহীরাই নেতৃত্ব দিয়েছে। এবং বিদ্রোহ শেষে তারাই সবচেয়ে বেশি শাস্তি ভোগ করেছেন। ব্রিটিশ ঐতিহাসিকদের অভিমত : তদানীন্তন ভারত সচিব আর্ল স্ট্যানলি তাঁর প্রতিবেদনে এই বিদ্রোহকে ‘সিপাহী বিদ্রোহ’ বলে উল্লেখ করেছেন। ঐতিহাসিক চার্লস রেকস তাঁর গ্রন্থে ( Notes on the revolt in the North Western province of India ) এই বিদ্রোহকে উচ্চাকাঙ্ক্ষী লোভী সিপাহীদের বেআইনি অভ্যুত্থান বলে মন্তব্য করেছেন। ঐতিহাসিক টি আর হোমসে র মতে, সিপাহীদের এই বিদ্রোহ ছিল আধুনিক সভ্যতার সঙ্গে মধ্যযুগীয় বর্বরতার সংঘাত।  ভারতীয় ঐতিহাসিকদের অভিমত : একইসঙ্গে সমকালীন বিশিষ্ট ভারতীয় ব...

মহাবিদ্রোহের অর্থনৈতিক কারণ সংক্ষেপে লেখো।

১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের অর্থনৈতিক কারণ সংক্ষেপে লেখো। মহাবিদ্রোহের অর্থনৈতিক কারণ ঔপনিবেশিক শাসনে র মূল লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক শোষণ। পলাশীর যুদ্ধের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে এই শোষণ তারা নির্মমভাবে চালিয়েছে। ফলে সমাজের নানা স্তরের মানুষ আর্থিক দিক থেকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ে। মহাবিদ্রোহের অর্থনৈতিক কারণ : অধ্যাপক শশীভূষণ চৌধুরী মতে, ভারতের সাধারণ মানুষ জমি ও সম্পত্তির অধিকার হারিয়ে ১৮৫৭ সালে মহাবিদ্রোহের যোগদান করেছিল। ১) সম্পদ লুণ্ঠন :  ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৫৭ সালে ‘পলাশীর লুণ্ঠন’ দিয়ে শুরু করে ভারতের সম্পদ লুণ্ঠনের আগ্রাসী প্রক্রিয়া। এরপর প্রায় একশো বছর ধরে তারা দেশের সম্পদ নানা কৌশলে লুট করে এবং ইংল্যান্ডে পাচার করে। ২) কুটির শিল্পের ধ্বংস সাধন :  অষ্টাদশ শতকে ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লব ঘটে। এই শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সংগ্রহ এবং শিল্পকণ্য বিক্রি করার জন্য ভারতীয়দের ঘাড়ে বৈষম্য মূলক শুল্কনীতি চাপায়। ফলে, ভারতীয় পণ্যের দাম বাড়ে এবং ইংল্যান্ডের পণ্যের দাম কমে যায়। পরিনাম ভারতীয় কুটির শিল্প প্রায় ধ্বংস হয়ে য...

স্বত্ববিলোপ নীতি ও তার শর্ত

স্বত্ববিলোপ নীতি কী ও তার শর্তগুলো কী ছিল? স্বত্ববিলোপ নীতি ও তার শর্ত Expiration Policy and its Conditions ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে তাদের সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য যে সমস্ত অনৈতিক  সাম্রাজ্যবাদী ও সম্প্রসারণবাদী নীতি অবলম্বন করেছিল, তাদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য নীতি হল ‘ স্বত্ববিলোপ নীতি’ । ১৮৩৪ সালে লর্ড বেন্টিং -এর আমলে কোম্পানির ‘ ডাইরেক্টর সভা’ ( লন্ডনের   বোর্ড অফ ডাইরেক্টর ) দত্তপুত্র গ্রহণের অধিকার নিয়ন্ত্রণের কথা ঘোষণা করে এবং এ বিষয়ে আইন প্রণয়ন করে। কিন্তু তখন তা কার্যকর করা হয়নি। মনে রাখতে হবে, ১) ডালহৌসিই  (১৮৪৮-১৮৫৬) প্রথম কঠোরভাবে এই নীতি কার্যকর করে। ২) কিন্তু তিনি কখনই এই নীতির প্রবর্তক ছিলেন না । স্বত্ববিলোপ নীতির মূল কথা : এই নীতির মূল কথা হল, ভারতের দেশীয় রাজ্যগুলির রাজাদের কোন পুত্র সন্তান না থাকলে সেই রাজ্যগুলি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হবে।  স্বত্ববিলোপ নীতির শর্ত ও তার ব্যাখ্যা : ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই নীতি কার্যকর করার জন্য লড ডালহৌসি দেশীয় রাজ্যগুলিকে তিনভাগে বিভক্ত করেন। কোম্পানির দ্বারা সৃষ্ট দেশীয় রাজ্য...

মহাবিদ্রোহের সামাজিক কারণ

মহাবিদ্রোহের সামাজিক কারণ কী ছিল? মহাবিদ্রোহের সামাজিক কারণ Social causes of the Great Revolt ১৭৫৭ সালের পর থেকে ১৮৫৭ সালের মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং তার কর্মচারীরা প্রায় ১০০ বছর ধরে ভারতীয়দের উপর যে সামাজিক বৈষম্য এবং শোষণ ও উৎপীড়ন চালিয়েছিল তা মহাবিদ্রোহের সামাজিক প্রেক্ষাপট তৈরি করে দেয়।  মহাবিদ্রোহের সামাজিক কারণ : প্রাচীনকাল থেকেই ভারতে প্রবেশ করেছে পৃথিবীর নানা অঞ্চল থেকে আসা নানা জাতির মানুষ। ক্রমান্বয়ে তারা মিশে গেছে ভারতের জনজীবনে। কিন্তু একমাত্র ব্যতিক্রম ব্রিটিশ জাতি। ১) বিজাতীয় আচরণ : ইংরেজরা ভারতীয় জনসমাজের সঙ্গে মিশে তো যায়নি, উল্টে ভারতীয়দের সঙ্গে বিজাতীয় আচার-আচরণ করেছে, যা ভারতীয়দের মনে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।  সুভাষচন্দ্র বসুর মতে, কেবলমাত্র ব্রিটিশ আমলেই ভারত নিজেদের বিজিত জাতি হিসেবে প্রথম উপলব্ধি করে।   ২) ঘৃণা সূচক দৃষ্টিভঙ্গি : ভারতীয়দের প্রতি ইংরেজদের আচরণ ছিল ঔদ্ধত্যপূর্ণ এবং ঘৃণা সূচক। স্যার সৈয়দ আহমেদ এর মতে, ইংরেজ রাজকর্মচারীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে সম্ভ্রান্ত ভারতীয়রাও ভয় পেতেন।  ৩) ভারতীয়...

১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের রাজনৈতিক কারণ

১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের রাজনৈতিক কারণ ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের রাজনৈতিক কারণ Political causes of the Great Revolt of 1857 ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের রাজনৈতিক কারণ বিশ্লেষণ করো। ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধের মাধ্যমে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের ভিত্তি স্থাপিত হয়। ১৭৭২ সালে তার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। এবং ঠিক একশ বছর পর ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ সরকার গুরুতর সংকটের সম্মুখীন হয়। এই সংকটের নানামুখী রূপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হল রাজনৈতিক কারণ। 👉 আরও জানো : পলাশীর যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল মহাবিদ্রোহের রাজনৈতিক কারণ : রাজনৈতিক কারণের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল ব্রিটিশ সরকারের আগ্রাসন নীতি। এই নীতি তারা বিভিন্ন উপায়ে কার্যকর করেন। ১) স্বত্ববিলোপ নীতির প্রভাব :  লর্ড ডালহৌসি প্রবর্তিত স্বত্ববিলোপ নীতি দেশীয় রাজাদের দত্তপুত্রের উত্তরাধিকার অস্বীকার করে। এই নীতি প্রয়োগ করে ব্রিটিশ সরকার সাতারা, সম্বলপুর, ঝাঁসি, উদয়পুর প্রভৃতি দেশীয় রাজ্য ব্রিটিশ সরকারের কুক্ষিগত করে। নানা সাহেব বাৎসরিক ভাতা বন্ধ হয় এবং পেশোয়াপদ বিলুপ্ত করা হয়। 👉 আরও জানে নাও : স্বত্ববিলোপ নীতি ও তার শর্ত কি ছিল ? ২) অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি : ...

ইতিহাস তৃতীয় সেমিস্টার। প্রথম অধ্যায়। প্রশ্ন সেট -১

ইতিহাস দ্বাদশ তৃতীয় সেমিস্টার সঠিক উত্তর সেট -১ ইতিহাস তৃতীয় সেমিস্টার। প্রথম অধ্যায়। প্রশ্ন সেট -১ ১) বিদেশি পর্যটকরা নতুন দেশে ভ্রমণ করেন যে কারণে ক) বাণিজ্যিক কারণে, খ) ধর্মপ্রচারের কারণে  গ) নতুন নতুন দেশ দেখার কারণে ঘ) সবগুলি সঠিক  ২) আল বিরুনী জন্মগ্রহণ করেন— ক) ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে খ) ৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে গ) ১০৫০ খ্রিস্টাব্দে ঘ) ১০৬০ খ্রিস্টাব্দে ৩) আল বিরুনী জন্মগ্রহণ করেন — ক) তাজাকিস্তানে খ) কাজাকিস্তানে  গ) আর্মেনিয়ায় ঘ) খোয়ারিজমে ৪) ‘হিন্দু’ শব্দটি উদ্ভব হয়েছে যে শব্দ থেকে— ক) প্রাচীন গ্রিক শব্দ থেকে,খ) প্রাচীন পারসিক শব্দ থেকে   গ) প্রাচীন সংস্কৃত শব্দ থেকে, ঘ) প্রাচীন বাংলা শব্দ থেকে  ৫) আরবরা সিন্ধু নদের পূর্ব দিকের অঞ্চলকে যে নামে ডাকতেন— ক) অল হিন্দ , খ) হিন্দুস্তান গ) ইন্দাস, ঘ) ইন্ডিয়া  ৬) ভারতকে ‘হিন্দুস্তান’ বলে উল্লেখ করেছেন যারা — ক) গ্রীকরা, খ) আরবরা,  গ) পারসিকরা, ঘ) তুর্কিরা ৭) তুর্কিরা হিন্দুস্তানের ভাষাকে যে নামে ডাকে  ক) উর্দু, খ) হিন্দু,  গ) হিন্দি, ঘ) হিন্দাভি ৮) পরবর্তী বৈদিক যুগে চারটি বর্ণকে_________করা হয়।...

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ প্রদত্ত তৃতীয় সেমিস্টারের নমুনা প্রশ্নপত্র

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ প্রদত্ত তৃতীয় সেমিস্টারের নমুনা প্রশ্নপত্র উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ প্রদত্ত তৃতীয় সেমিস্টারের নমুনা প্রশ্নপত্র ১) দুয়ার্তে বারবোসা কোন্ দেশের পর্যটক ছিলেন? ক) ইতালি, খ) পারস্য  গ) জাপান, ঘ) পর্তুগাল  ২) পারস্যের পর্যটক এর নাম হল — ক) পায়েজ, খ) নুনিজ গ) আব্দুর রাজ্জাক, ঘ) নিকোলো কন্টি ৩) নিকোলো কন্টি কোন্ দেশের পর্যটক ছিলেন? ক) জাপান, খ) ইতালি  গ) পারস্য, ঘ) পর্তুগাল  ৪) মানচিত্রের চিহ্নিত জায়গাটির নাম হল — মানচিত্রের চিহ্নিত জায়গাটির নাম ক) বিজয়নগর, খ) বাহমনি গ) দ্বার সমুদ্র, ঘ) দিল্লি  ৫) বাহমনি রাজ্যে দেশীয় অভিজাতদের বলা হত — ক) বাঙালি, খ) ভোজপুরি  গ) দক্ষিণি মুসলমান, ঘ) গুজরাটি ৬) বানিহাটির যুদ্ধে (১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দ) একটা পক্ষের নাম — ক) ইতালি, খ) পর্তুগাল  গ) বঙ্গদেশ, ঘ) বিজয়নগর  ৭) কবির শিষ্য ছিলেন — ক) নানক দেবের, খ) চৈতন্যদেবের  গ) মীরা বাইয়ের, ঘ) রামানন্দের  ৮) দোঁহা রচনা করেন — ক) কবির, খ) আকবর  গ) মীরাবাঈ, ঘ) রামানন্দ  ৯) সুফিরা ‘হঠযোগ’ শিখেছিল — ক) ব্রাহ্মণদের কাছে, খ) চিশতিদের কাছে...
OUR OTHER BOOKS (ICSE & CBSE)
OUR BOOKS fOR WBBSE & WBCHSE


বাংলা বই ★ দ্বাদশ শ্রেণি
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার 👆আদর্শ প্রশ্নোত্তরের একমাত্র পোর্টাল

জনপ্রিয় প্রশ্ন-উত্তরগুলি দেখুন

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তগুলি (বৈশিষ্ঠ্য) উল্লেখ কর। ভারতের আর্থ-সামাজিক ইতিহাসে এই ভূমি-ব্যবস্থার গুরুত্ব আলোচনা কর।

অথবা , চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি ব্যাখ্যা কর । এপ্রসঙ্গে ভারতের কৃষক সমাজের ওপর এই বন্দোবস্ত কীরূপ প্রভাব ফেলেছিল বর্ননা কর । উত্তর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত । চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হল এক ধরণের ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা ।   ১৭৯৩ সালে  লর্ড কর্ণওয়ালিস বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যায় এই ভূমি-ব্যবস্থা চালু করেন । পরবর্তীকালে বারাণসী , উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ও মাদ্রাস প্রেসিডেন্সির কোনো কোনো অঞ্চলে  এই ব্যবস্থা  চালু করা হয় । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি । কোম্পানির কর্মচারী ও ঐতিহাসিক আলেকজান্ডার ডাও ১৭৭২ সালে  প্রথম  চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কথা বলেন । এরপর হেনরি পাত্তুলো , ড্যাক্রিস , টমাস ল প্রমুখ এই বন্দোবস্তের সপক্ষে যুক্তি দেখান । ১৭৮৬ সালে কর্ণওয়ালিশ গভর্নর জেনারেল হয়ে ভারতে আসেন ।  তিন বছর ধরে  তিনি  বাংলার ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যপক অনুসন্ধান চালান ।  এরপর ১৭৯০ সালে দেশীয় জমিদারদের সঙ্গে দশ বছরের জন্য একটি বন্দোবস্ত করেন, যা ‘ দশসালা বন্দোবস্ত ’ নামে পরিচিত । সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন , ইংল্যান্ডের কর্তপক্ষ অনুমোদন করলে এই...

জাদুঘর কাকে বলে? অতীত পুনর্গঠনে জাদুঘরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা , জাদুঘর কী ? জাদুঘরের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলি বর্ননা কর । অথবা , জাদুঘর বলতে কী বোঝ ? আধুনিক ইতিহাস রচনায় জাদুঘরের গুরুত্ব লেখ । উঃ জাদুঘরের সংজ্ঞা বাংলা ‘ জাদুঘর ’ শব্দটির ইংরাজি প্রতিশব্দ হল মিউজিয়াম ( Museum) । ‘ মিউজিয়াম ’ শব্দটির মূল উৎস হল প্রাচীন গ্রীক শব্দ Mouseion ( মউসিয়ান) , যার অর্থ হল গ্রীক পুরাণের শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক মিউসদের মন্দির । এই ধরণের মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে প্রাচীন গ্রিসে পাঠাগার , প্রাচীন শিল্পকলা প্রভৃতির সংগ্রহশালা গড়ে উঠত । ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মিউজিয়াম -এর মতে, জাদুঘর হল একটি অলাভজনক, জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত এবং স্থায়ী সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান যা শিক্ষালাভ, জ্ঞানচর্চা ও আনন্দলাভের উদ্দেশ্যে মানব ঐতিহ্যের স্পর্শযোগ্য ও স্পর্শ-অযোগ্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করে, সংরক্ষণ করে, প্রদর্শন করে এবং সেগুলি নিয়ে গবেষণা করে। উদাহরণ – ব্রিটিশ মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ের নিদর্শন। এখানে পৃথক পৃথক ঘরে পৃথক পৃথক বিষয়ের নিদর্শন প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। জাদুঘরের উদ্দেশ্য , ক...

ঠান্ডা লড়াই কী? ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি আলোচনা করো।

ঠান্ডা লড়াই কী : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের (১৯৪৫) পর পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ পরস্পর দুটি রাষ্ট্রজোটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। একটি আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট অন্যটি সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট। এই দুই রাষ্ট্রজোট কোন প্রত্যক্ষ যুদ্ধ না করেও দীর্ঘকাল ধরে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও যুদ্ধের আবহ বা ছায়াযুদ্ধ চালাতে থাকে। এই ছায়াযুদ্ধই ইতিহাসে 'ঠান্ডা লড়াই' নাম পরিচিত। মার্কিন সাংবাদিক ওয়াল্টার লিপম্যান ( Walter Lippmaan ) ১৯৪৭ সালে তাঁর The Cold War গ্রন্থে সর্বপ্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য : 'ঠান্ডা লড়াই কী' এই অংশের জন্য ৩/৪ (তিন বা চার ) নম্বর (মার্কস) থাকলে অথবা বৈশিষ্ঠ্য লিখতে বললে  এখানে ক্লিক কর এবং যে অংশ বের হবে তা এই পয়েন্টের নিচে জুড়ে দাও। ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি : ঠান্ডা লড়াই-এর পিছনে শুধুমাত্র আদর্শগত বা অর্থনৈতিক কারণ বা ভিত্তি কাজ করেছিল এমন নয়। এর পিছনে আরও কিছু বিষয় তথা আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী কার্যকর ছিল। সমগ্র কারণকে এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। সাম্যবাদের বিরোধিতা : রাশিয়...

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল বর্ননা কর।

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল পলাশির যুদ্ধ ১৭৫৬ সালে নবাব আলীবর্দি মারা যান । এরপর তাঁর পৌত্র সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার সিংহাসন আরোহন করেন । সিংহাসন আরোহনের কিছুদিনের মধ্যেই ইংরেজদের সাথে তাঁর বিরোধ বাঁধে , যার চূড়ান্ত পরিনতি হল ১৭৫৭ সালের পলাশির যুদ্ধ ।   এই যুদ্ধের পটভূমি বিশ্লেষণ করলেই সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি পরিষ্কার হয়ে ওঠে । সেই সঙ্গে এটাও বোঝা যাবে এই বিরোধে সিরাজেরে ‘ অহমিকাবোধ ’ ও ‘ অর্থলোভ ’ দায়ী ছিল কিনা । পলাশীর মূল ষড়যন্ত্র :👉  তথ্য তালাশে পলাশির যুদ্ধের পটভূমি / কারণ সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি হল –   আনুগত্যদানে বিলম্ব। সিরাজ বাংলার সিংহাসনে বসলে প্রথা অনুযায়ী নবাবের প্রতি আনুগত্য জানিয়ে ফরাসি, ওলন্দাজ প্রভৃতি কোম্পানিগুলি উপঢৌকন পাঠালেও ইংরেজরা ইচ্ছা করে উপঢৌকন পাঠাতে দেরি করে। এতে সিরাজ অপমানিত হন।   ষড়যন্ত্রের সংবাদ। সিংহাসনে বসার সময় থেকে ঘষেটি বেগম, সৌকত জঙ্গ ও কয়েকজন রাজকর্মচারি সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র লিপ্ত ছিলেন। খবর আসে যে, এই ষড়যন্ত্রে ইংরেজরা যুক্ত আছে এবং তাঁকে সরিয়ে অনুগত কাউকে সিংহাসনে বসানোর চক্...

বাংলার সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা, বাংলার সমাজ ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর। অথবা, ঊনবিংশ শতকে নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান উল্লেখ কর। অথবা, উনিশ শতকের নবজাগরণে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা কি ছিল? এ প্রসঙ্গে নারীজাতির উন্নয়নে তাঁর অবদান ব্যাখ্যা কর।  বিদ্যাসাগর ও সংস্কার আন্দোলন : ঊনবিংশ শতকে ভারতে যে কজন সংস্কারকের জন্ম হয়েছিল তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি ছিলেন বঙ্গীয় নবজাগরণের মূর্ত প্রতীক। তাঁর মধ্যে ইউরোপীয় নবজাগরণের প্রবল যুক্তিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, প্রগাঢ় মানবতাবাদ, এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবাদর্শের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছিল। মাইকেল মধুসূদনের মতে, ' যাঁর মনীষা প্রাচীন ঋষিদের মতো, কর্মদক্ষতা ইংরেজদের মত এবং হৃদয়বত্তা বাঙালি জননীর মত। ' বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টা : বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টাকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যায়। এক . শিক্ষা সংস্কার, দুই . সমাজ সংস্কার। তবে তাঁর এই দুই প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে ছিল নারীশিক্ষা ও ...

তিন আইন কী?

তিন আইন কী? ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলনের ফলে ১৮৭২ সালে ব্রিটিশ সরকার বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রভৃতি সামাজিক কুসংস্কারগুলি নিষিদ্ধ করে এবং বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়। যে আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার এই ঘোষণা জারি করে তাকে ' তিন আইন ' বলে।

চিনের ৪ ঠা মে আন্দোলনের কারণ বিশ্লেষণ কর। এই আন্দোলনের প্রভাব আলোচনা কর। (২০১৬)

অথবা, বিংশ শতকে চিনে ৪ ঠা মে-র আন্দোলনের উত্থান ও গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। চিনের সেই সময়কার দুটি উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্রের নাম লেখো। অথবা, চিনের ৪ ঠা মের আন্দোলনের পটভূমি আলোচনা কর। এই আন্দোলনের ফলাফল বা তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।  ৪ ঠা মে-র আন্দোলন : ১৯১৪  সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপান চিনে আগ্রাসন চালায়। যুদ্ধে চীন মিত্রপক্ষে যোগ দিলেও যুদ্ধের পর তারা কোনো সুবিচার পায় নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি আধিপত্যের বিরুদ্ধে চিনা জাতীয়তাবাদী জনগণ চেন-তু-শিউ এর নেতৃত্বে  ১৯১৯ সালে ৪ ঠা মে পিকিং-এর তিয়েন-আন-মেন স্কোয়ার -এ  এক আন্দোলনের ডাক দেয়। এই আন্দোলন চিনের ইতিহাসে ৪ ঠা মে-র আন্দোলন নামে পরিচিত। আন্দোলনের কারণ ( পটভূমি ) : এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করলে এর কারণগুলি অনুধাবন করা যায়। ইউয়ান-সি-কাই এর নৃশংসতা : ১৯১১ সালে বিপ্লবের পর রাষ্ট্রপতি সান-ইয়াত-সেন দেশের গৃহযুদ্ধ এড়াতে ইউয়ান-সি-কাই  - এর অনুকূলে স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রপতি পদ ত্যাগ করেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর  ইউয়ান-সি-কাই  সমস্ত সাংবিধানিক পদ্ধতি বাতিল করে সামরিক একনায়কতন...

'মুক্তদ্বার নীতি' (Open Door Policy) কী?

চিনে ইউরোপীয় দেশগুলির উপনিবেশিক আধিপত্য স্থাপনের ফলে আমেরিকা শঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা ভাবতে শুরু করে এর ফলে চিনে আমেরিকার বাণিজ্যিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই পরিস্থি...

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল?

কোন পরিস্থিতিতে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) শুরু হয়? এই মামলায় অভিযুক্ত কয়েকজন শ্রমিক নেতার নাম লেখো। এই মামলার ফলাফল কী হয়েছিল? অথবা, মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল? অথবা, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কমিউনিস্ট পার্টির অবদানের একটি উদাহরণ দাও। এপ্রসঙ্গে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষাপট আলোচনা কর। এই মামলার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। উত্তর : মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা : ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে কমিউনিস্টদের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে ব্রিটিশ সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এইরূপ পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেছিল। মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) হল এরকমই এক দমননীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মামলার প্রেক্ষাপট : ১) শ্রমিক-মালিক বিরোধ । ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে ভারতে শিল্পায়ন শুরু হলে শ্রমিক শ্রেণির উদ্ভব হয়। বিংশ শতকের প্রথম দিকে মালিক শ্রেণির শোষণ ও অত্যাচারে শ্রমিক-মালিক সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। শ্রমিক শ্রেণির অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিস্টরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন জোরদার করে তুলে ব্রিটিশ সরকার চিন্তায় পড়ে যা...

ভাইকম সত্যাগ্রহ কী

ভাইমক বর্ণহিন্দুদের একটি মন্দির । দক্ষিণ ভারতের ত্রিবাঙ্কুরে এটি অবস্থিত। এই মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষদের চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। শ্রীনারায়ণ গুরু ...