সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ প্রদত্ত তৃতীয় সেমিস্টারের নমুনা প্রশ্নপত্র

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ প্রদত্ত তৃতীয় সেমিস্টারের নমুনা প্রশ্নপত্র

Sample question paper of the third semester issued by the Higher Secondary,উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ প্রদত্ত তৃতীয় সেমিস্টারের নমুনা প্রশ্নপত্র
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ প্রদত্ত তৃতীয় সেমিস্টারের নমুনা প্রশ্নপত্র

১) দুয়ার্তে বারবোসা কোন্ দেশের পর্যটক ছিলেন?

ক) ইতালি, খ) পারস্য 
গ) জাপান, ঘ) পর্তুগাল 

২) পারস্যের পর্যটক এর নাম হল —

ক) পায়েজ, খ) নুনিজ
গ) আব্দুর রাজ্জাক, ঘ) নিকোলো কন্টি

৩) নিকোলো কন্টি কোন্ দেশের পর্যটক ছিলেন?

ক) জাপান, খ) ইতালি 
গ) পারস্য, ঘ) পর্তুগাল 

৪) মানচিত্রের চিহ্নিত জায়গাটির নাম হল —

ক) বিজয়নগর, খ) বাহমনি
গ) দ্বার সমুদ্র, ঘ) দিল্লি 

৫) বাহমনি রাজ্যে দেশীয় অভিজাতদের বলা হত —

ক) বাঙালি, খ) ভোজপুরি 
গ) দক্ষিণি মুসলমান, ঘ) গুজরাটি

৬) বানিহাটির যুদ্ধে (১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দ) একটা পক্ষের নাম —

ক) ইতালি, খ) পর্তুগাল 
গ) বঙ্গদেশ, ঘ) বিজয়নগর 

৭) কবির শিষ্য ছিলেন —

ক) নানক দেবের, খ) চৈতন্যদেবের 
গ) মীরা বাইয়ের, ঘ) রামানন্দের 

৮) দোঁহা রচনা করেন —

ক) কবির, খ) আকবর 
গ) মীরাবাঈ, ঘ) রামানন্দ 

৯) সুফিরা ‘হঠযোগ’ শিখেছিল —

ক) ব্রাহ্মণদের কাছে, খ) চিশতিদের কাছে 
গ) নাথ পন্থীদের কাছে, ঘ) বৈষ্ণবদের কাছে 

১০) সুফিবাদে শিষ্যকে কী বলা হত?

ক) দরগা, খ) পির
গ) শরা, ঘ) মুরিদ 

১১) ভারতের চিশতি সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন —

ক) মইনুদ্দিন চিশতি, খ) কুরুভিল্লা জাকারিয়া 
গ) কবির, ঘ) নানক দেব 

১২) ‘বাংলার ভক্তি আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র’ বলা হত —

ক) কলকাতাকে, খ) বীরভূমকে, 
গ) নবদ্বীপকে, ঘ) কোচবিহারকে 

১৩) ‘চৈতন্যচরিতামৃত’ গ্রন্থটি রচনা করেন —

ক) কৃষ্ণদাস কবিরাজ, খ) বৃন্দাবন দাস 
গ) জয়দেব, ঘ) নানকদেব 

১৪) মামুদ গাওয়ান কোন্ শাসকের মন্ত্রী ছিলেন?

ক) তিরুমল, খ) দ্বিতীয় ভেঙ্কট
গ) বাহমন শাহ, ঘ) তৃতীয় মোহাম্মদ শাহ 

১৫) বানিহাটির যুদ্ধ হয়েছিল —

ক) ১৫৩৫ খ্রিস্টাব্দে, খ) ১৫৪৫ খ্রিস্টাব্দে 
গ) ১৫৫৫ খ্রিস্টাব্দে, ঘ) ১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দে হয়ে গেছে 

১৬) বাহমনী বংশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সুলতান কে ছিলেন?

ক) তাজউদ্দীন ফিরোজ শাহ, খ) মহম্মদ শাহ 
গ) আদিল শাহ, ঘ) নাদির শাহ 

১৭) সঙ্গম বংশের শেষ রাজা ছিলেন —

ক) দ্বিতীয় বিরুপাক্ষ, খ) নরসিংহ 
গ) বীর সিংহ, ঘ) কৃষ্ণদেব রায় 

১৮) বিজয়নগর রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয় —

ক) ১৩৩৬ খ্রিস্টাব্দে, খ) ১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দে 
গ) ১৩৫৬ খ্রিস্টাব্দে, ঘ) ১৩৬৬ খ্রিস্টাব্দে 

১৯) ‘আমুক্তমাল্যদা’ গ্রন্থটির ভাষা হল —

ক) বাংলা, খ) মারাঠি 
গ) সংস্কৃত, ঘ) তেলুগু

২০) দক্ষিণ ভারতে বাহমনী রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন —

ক) মহম্মদ বিন তুঘলক, খ) মহম্মদ শাহ
গ) ফিরোজ শাহ, ঘ) হাসান গঙ্গু 

২১) ইনকা সভ্যতা ধ্বংস করেন —

ক) কলম্বাস, খ) কোর্টেস
গ) ফ্রান্সিস্কো পিজারো, ঘ) আমেরিগো ভেজপুচি

২২) ইন্দোনেশিয়া কোন্ ইউরোপীয় শক্তির উপনিবেশ ছিল? 

ক) ইংল্যান্ড, খ) ফ্রান্স
গ) স্পেন, ঘ) হল্যান্ড 

২৩) পর্তুগিজরা ‘ব্ল্যাক গোল্ড’ বলত —

ক) কয়লাকে, খ) লবণকে 
গ) গোল মরিচকে, ঘ) দারুচিনিকে 

২৪) পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের অপর নাম —

ক) সিঙ্গাপুর, খ) কম্বোডিয়া 
গ) মায়ানমার ঘ) ইন্দোনেশিয়া 

২৫) ‘নতুন বিশ্ব’ নামকরণ করেন —

ক) ওয়াল্টার র ্যালে খ) আমেরিগো ভেসপুচি
গ) গিলবার্ট, ঘ) কেব্রাল

২৬) ‘অবাদ বাণিজ্য নীতি’র একজন প্রবক্তা হলেন —

ক) কোলবার্ট খ) অ্যাডাম স্মিথ 
গ) চতুর্দশ লুই, ঘ) নেপোলিয়ন বোনাপার্ট 

২৭) ম্যাকাও বন্দর অবস্থিত —

ক) চিনে, খ) জাপানে 
গ) ইংল্যান্ডে, ঘ) ফ্রান্সে 

২৮) ‘ইম্পেরিয়ালিজম : এ স্টাডি’ গ্রন্থটি লেখেন —

ক) জে এ হবসন, খ) অ্যাডাম স্মিথ 
গ) চার্লস হগ, ঘ) নক্রমা 

২৯) টিউটনিক জাতির অংশ হল —

ক) ব্রিটিশরা, খ) ফরাসিরা 
গ) ভারতীয়রা, ঘ) জার্মানরা 

৩০) গন্ডামাকের সন্ধি হয়েছিল —

ক) ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে, খ) ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে 
গ) ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে, ঘ) ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে 

৩১) মনরো নীতি প্রণয়ন করে—

ক) ইংল্যান্ড, খ) চিন
গ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ঘ) জাপান 

৩২) ‘কঙ্গো ফ্রি স্টেট’ গঠনের প্রবক্তা ছিল—

ক) ব্রিটেন, খ) ফ্রান্স 
গ) জাপান, ঘ) বেলজিয়াম 

৩৩) ইয়ান্দাবুর সন্ধি হয়েছিল—

ক) ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে, খ) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে 
গ) ১৮১৬ খ্রিস্টাব্দে, ঘ) ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে 

৩৪) মানচিত্রে চিহ্নিত জায়গা দুটির নাম হল —

ক) আফ্রিকা ও জাপান, খ) আমেরিকা ও চিন
গ) এশিয়া ও রাশিয়া, ঘ) চিন ও জাপান 

৩৫) প্রথম ভারতীয় আইসিএস এর নাম হল—

ক) সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, খ) জগদীশচন্দ্র বসু 
গ) লোকমান্য তিলক, ঘ) মহাদেব গোবিন্দ রানাডে 

৩৬) ‘জুডিশিয়াল মাডার’-এর ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বিভাগের নাম—

ক) শাসন বিভাগ, খ) আইন বিভাগ 
গ) বিচার বিভাগ, ঘ) সেনা বিভাগ 

৩৭) ১৭৭৩ সালের রেগুলেটিং আইন তৈরি হয়—

ক) ওয়ারেন হেস্টিংস এর আমলে, খ) কর্নওয়ালিসের আমলে, 
গ) নর্থব্রুকের আমলে, ঘ) ক্যানিংয়ের আমলে 

৩৮) বাংলার প্রথম গভর্নর জেনারেল ছিলেন—

ক) লর্ড নর্থব্রুক, খ) লর্ড কর্নওয়ালিস 
গ) লর্ড ক্যানিং, ঘ) ওয়ারেন হেস্টিংস 

৩৯) এলিজা ইম্পে ছিলেন—

ক) সেনা নায়ক, খ) সমাজ সেবক 
গ) দারোগা, ঘ) সুপ্রিম কোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি 

৪০) আধুনিক পলিসি ব্যবস্থার জনক ছিলেন—

ক) ওয়ারেন হেস্টিংস, খ) কর্নওয়ালিস 
গ) ক্যানিং, ঘ) চার্লস মেটকাফ
----------xx--------

প্রশ্নের উত্তর মিলিয়ে নাও।

প্রশ্ন ৫  ৬  ৭  ৮  ৯  ১০  
উত্তর ঘ   গ   খ    খ গ   ঘ  ঘ 
প্রশ্ন ১১  ১২  ১৩  ১৪  ১৫  ১৬  ১৭  ১৮  ১৯  ২০ 
উত্তর ক   গ   ক    ঘ ঘ   ক  ক 
প্রশ্ন ২১  ২২  ২৩  ২৪  ২৫  ২৬  ২৭  ২৮  ২৯  ৩০ 
উত্তর গ   ঘ   গ    ঘ খ  খ  ক 
প্রশ্ন ৩১  ৩২  ৩৩  ৩৪  ৩৫  ৩৬  ৩৭ ৩৮ ৩৯ ৪০
উত্তর গ   ঘ   ক    ক ক   গ  ক 

----------xx--------

এই সেটটি পড়ার পর মকটেস্ট দাও। এবং তোমার সামর্থ যাচাই করো।

মকটেস্ট দেওয়ার জন্য এখানে ক্লিক করো





মন্তব্যসমূহ

OUR OTHER BOOKS (ICSE & CBSE)
OUR BOOKS fOR WBBSE & WBCHSE


বাংলা বই ★ দ্বাদশ শ্রেণি
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার 👆আদর্শ প্রশ্নোত্তরের একমাত্র পোর্টাল

জনপ্রিয় প্রশ্ন-উত্তরগুলি দেখুন

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তগুলি (বৈশিষ্ঠ্য) উল্লেখ কর। ভারতের আর্থ-সামাজিক ইতিহাসে এই ভূমি-ব্যবস্থার গুরুত্ব আলোচনা কর।

অথবা , চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি ব্যাখ্যা কর । এপ্রসঙ্গে ভারতের কৃষক সমাজের ওপর এই বন্দোবস্ত কীরূপ প্রভাব ফেলেছিল বর্ননা কর । উত্তর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত । চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হল এক ধরণের ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা ।   ১৭৯৩ সালে  লর্ড কর্ণওয়ালিস বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যায় এই ভূমি-ব্যবস্থা চালু করেন । পরবর্তীকালে বারাণসী , উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ও মাদ্রাস প্রেসিডেন্সির কোনো কোনো অঞ্চলে  এই ব্যবস্থা  চালু করা হয় । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি । কোম্পানির কর্মচারী ও ঐতিহাসিক আলেকজান্ডার ডাও ১৭৭২ সালে  প্রথম  চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কথা বলেন । এরপর হেনরি পাত্তুলো , ড্যাক্রিস , টমাস ল প্রমুখ এই বন্দোবস্তের সপক্ষে যুক্তি দেখান । ১৭৮৬ সালে কর্ণওয়ালিশ গভর্নর জেনারেল হয়ে ভারতে আসেন ।  তিন বছর ধরে  তিনি  বাংলার ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যপক অনুসন্ধান চালান ।  এরপর ১৭৯০ সালে দেশীয় জমিদারদের সঙ্গে দশ বছরের জন্য একটি বন্দোবস্ত করেন, যা ‘ দশসালা বন্দোবস্ত ’ নামে পরিচিত । সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন , ইংল্যান্ডের কর্তপক্ষ অনুমোদন করলে এই...

জাদুঘর কাকে বলে? অতীত পুনর্গঠনে জাদুঘরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা , জাদুঘর কী ? জাদুঘরের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলি বর্ননা কর । অথবা , জাদুঘর বলতে কী বোঝ ? আধুনিক ইতিহাস রচনায় জাদুঘরের গুরুত্ব লেখ । উঃ জাদুঘরের সংজ্ঞা বাংলা ‘ জাদুঘর ’ শব্দটির ইংরাজি প্রতিশব্দ হল মিউজিয়াম ( Museum) । ‘ মিউজিয়াম ’ শব্দটির মূল উৎস হল প্রাচীন গ্রীক শব্দ Mouseion ( মউসিয়ান) , যার অর্থ হল গ্রীক পুরাণের শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক মিউসদের মন্দির । এই ধরণের মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে প্রাচীন গ্রিসে পাঠাগার , প্রাচীন শিল্পকলা প্রভৃতির সংগ্রহশালা গড়ে উঠত । ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মিউজিয়াম -এর মতে, জাদুঘর হল একটি অলাভজনক, জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত এবং স্থায়ী সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান যা শিক্ষালাভ, জ্ঞানচর্চা ও আনন্দলাভের উদ্দেশ্যে মানব ঐতিহ্যের স্পর্শযোগ্য ও স্পর্শ-অযোগ্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করে, সংরক্ষণ করে, প্রদর্শন করে এবং সেগুলি নিয়ে গবেষণা করে। উদাহরণ – ব্রিটিশ মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ের নিদর্শন। এখানে পৃথক পৃথক ঘরে পৃথক পৃথক বিষয়ের নিদর্শন প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। জাদুঘরের উদ্দেশ্য , ক...

ঠান্ডা লড়াই কী? ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি আলোচনা করো।

ঠান্ডা লড়াই কী : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের (১৯৪৫) পর পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ পরস্পর দুটি রাষ্ট্রজোটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। একটি আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট অন্যটি সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট। এই দুই রাষ্ট্রজোট কোন প্রত্যক্ষ যুদ্ধ না করেও দীর্ঘকাল ধরে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও যুদ্ধের আবহ বা ছায়াযুদ্ধ চালাতে থাকে। এই ছায়াযুদ্ধই ইতিহাসে 'ঠান্ডা লড়াই' নাম পরিচিত। মার্কিন সাংবাদিক ওয়াল্টার লিপম্যান ( Walter Lippmaan ) ১৯৪৭ সালে তাঁর The Cold War গ্রন্থে সর্বপ্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য : 'ঠান্ডা লড়াই কী' এই অংশের জন্য ৩/৪ (তিন বা চার ) নম্বর (মার্কস) থাকলে অথবা বৈশিষ্ঠ্য লিখতে বললে  এখানে ক্লিক কর এবং যে অংশ বের হবে তা এই পয়েন্টের নিচে জুড়ে দাও। ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি : ঠান্ডা লড়াই-এর পিছনে শুধুমাত্র আদর্শগত বা অর্থনৈতিক কারণ বা ভিত্তি কাজ করেছিল এমন নয়। এর পিছনে আরও কিছু বিষয় তথা আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী কার্যকর ছিল। সমগ্র কারণকে এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। সাম্যবাদের বিরোধিতা : রাশিয়...

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল বর্ননা কর।

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল পলাশির যুদ্ধ ১৭৫৬ সালে নবাব আলীবর্দি মারা যান । এরপর তাঁর পৌত্র সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার সিংহাসন আরোহন করেন । সিংহাসন আরোহনের কিছুদিনের মধ্যেই ইংরেজদের সাথে তাঁর বিরোধ বাঁধে , যার চূড়ান্ত পরিনতি হল ১৭৫৭ সালের পলাশির যুদ্ধ ।   এই যুদ্ধের পটভূমি বিশ্লেষণ করলেই সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি পরিষ্কার হয়ে ওঠে । সেই সঙ্গে এটাও বোঝা যাবে এই বিরোধে সিরাজেরে ‘ অহমিকাবোধ ’ ও ‘ অর্থলোভ ’ দায়ী ছিল কিনা । পলাশির যুদ্ধের পটভূমি / কারণ সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি হল –   আনুগত্যদানে বিলম্ব। সিরাজ বাংলার সিংহাসনে বসলে প্রথা অনুযায়ী নবাবের প্রতি আনুগত্য জানিয়ে ফরাসি, ওলন্দাজ প্রভৃতি কোম্পানিগুলি উপঢৌকন পাঠালেও ইংরেজরা ইচ্ছা করে উপঢৌকন পাঠাতে দেরি করে। এতে সিরাজ অপমানিত হন।   ষড়যন্ত্রের সংবাদ। সিংহাসনে বসার সময় থেকে ঘষেটি বেগম, সৌকত জঙ্গ ও কয়েকজন রাজকর্মচারি সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র লিপ্ত ছিলেন। খবর আসে যে, এই ষড়যন্ত্রে ইংরেজরা যুক্ত আছে এবং তাঁকে সরিয়ে অনুগত কাউকে সিংহাসনে বসানোর চক্রান্ত করছে।   কৃষ্ণদাসকে আশ্রয়দান। ঘষেটি ব...

বাংলার সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা, বাংলার সমাজ ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর। অথবা, ঊনবিংশ শতকে নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান উল্লেখ কর। অথবা, উনিশ শতকের নবজাগরণে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা কি ছিল? এ প্রসঙ্গে নারীজাতির উন্নয়নে তাঁর অবদান ব্যাখ্যা কর।  বিদ্যাসাগর ও সংস্কার আন্দোলন : ঊনবিংশ শতকে ভারতে যে কজন সংস্কারকের জন্ম হয়েছিল তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি ছিলেন বঙ্গীয় নবজাগরণের মূর্ত প্রতীক। তাঁর মধ্যে ইউরোপীয় নবজাগরণের প্রবল যুক্তিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, প্রগাঢ় মানবতাবাদ, এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবাদর্শের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছিল। মাইকেল মধুসূদনের মতে, ' যাঁর মনীষা প্রাচীন ঋষিদের মতো, কর্মদক্ষতা ইংরেজদের মত এবং হৃদয়বত্তা বাঙালি জননীর মত। ' বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টা : বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টাকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যায়। এক . শিক্ষা সংস্কার, দুই . সমাজ সংস্কার। তবে তাঁর এই দুই প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে ছিল নারীশিক্ষা ও ...

চিনের ৪ ঠা মে আন্দোলনের কারণ বিশ্লেষণ কর। এই আন্দোলনের প্রভাব আলোচনা কর। (২০১৬)

অথবা, বিংশ শতকে চিনে ৪ ঠা মে-র আন্দোলনের উত্থান ও গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। চিনের সেই সময়কার দুটি উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্রের নাম লেখো। অথবা, চিনের ৪ ঠা মের আন্দোলনের পটভূমি আলোচনা কর। এই আন্দোলনের ফলাফল বা তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।  ৪ ঠা মে-র আন্দোলন : ১৯১৪  সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপান চিনে আগ্রাসন চালায়। যুদ্ধে চীন মিত্রপক্ষে যোগ দিলেও যুদ্ধের পর তারা কোনো সুবিচার পায় নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি আধিপত্যের বিরুদ্ধে চিনা জাতীয়তাবাদী জনগণ চেন-তু-শিউ এর নেতৃত্বে  ১৯১৯ সালে ৪ ঠা মে পিকিং-এর তিয়েন-আন-মেন স্কোয়ার -এ  এক আন্দোলনের ডাক দেয়। এই আন্দোলন চিনের ইতিহাসে ৪ ঠা মে-র আন্দোলন নামে পরিচিত। আন্দোলনের কারণ ( পটভূমি ) : এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করলে এর কারণগুলি অনুধাবন করা যায়। ইউয়ান-সি-কাই এর নৃশংসতা : ১৯১১ সালে বিপ্লবের পর রাষ্ট্রপতি সান-ইয়াত-সেন দেশের গৃহযুদ্ধ এড়াতে ইউয়ান-সি-কাই  - এর অনুকূলে স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রপতি পদ ত্যাগ করেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর  ইউয়ান-সি-কাই  সমস্ত সাংবিধানিক পদ্ধতি বাতিল করে সামরিক একনায়কতন...

তিন আইন কী?

তিন আইন কী? ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলনের ফলে ১৮৭২ সালে ব্রিটিশ সরকার বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রভৃতি সামাজিক কুসংস্কারগুলি নিষিদ্ধ করে এবং বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়। যে আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার এই ঘোষণা জারি করে তাকে ' তিন আইন ' বলে।

'মুক্তদ্বার নীতি' (Open Door Policy) কী?

চিনে ইউরোপীয় দেশগুলির উপনিবেশিক আধিপত্য স্থাপনের ফলে আমেরিকা শঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা ভাবতে শুরু করে এর ফলে চিনে আমেরিকার বাণিজ্যিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই পরিস্থি...

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল?

কোন পরিস্থিতিতে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) শুরু হয়? এই মামলায় অভিযুক্ত কয়েকজন শ্রমিক নেতার নাম লেখো। এই মামলার ফলাফল কী হয়েছিল? অথবা, মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল? অথবা, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কমিউনিস্ট পার্টির অবদানের একটি উদাহরণ দাও। এপ্রসঙ্গে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষাপট আলোচনা কর। এই মামলার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। উত্তর : মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা : ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে কমিউনিস্টদের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে ব্রিটিশ সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এইরূপ পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেছিল। মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) হল এরকমই এক দমননীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মামলার প্রেক্ষাপট : ১) শ্রমিক-মালিক বিরোধ । ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে ভারতে শিল্পায়ন শুরু হলে শ্রমিক শ্রেণির উদ্ভব হয়। বিংশ শতকের প্রথম দিকে মালিক শ্রেণির শোষণ ও অত্যাচারে শ্রমিক-মালিক সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। শ্রমিক শ্রেণির অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিস্টরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন জোরদার করে তুলে ব্রিটিশ সরকার চিন্তায় পড়ে যা...

ভাইকম সত্যাগ্রহ কী

ভাইমক বর্ণহিন্দুদের একটি মন্দির । দক্ষিণ ভারতের ত্রিবাঙ্কুরে এটি অবস্থিত। এই মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষদের চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। শ্রীনারায়ণ গুরু ...