সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

স্মৃতিকথা বলতে কী বোঝ? স্মৃতিকথার বৈশিষ্ট্য লেখ। স্মৃতিকথার কয়েকটি উদাহরণ দাও। ভারতের ইতিহাস রচনায় এর গুরুত্ব বর্ননা কর।

উত্তর : স্মৃতিকথা স্মৃতি বলতে মনে রাখা বিষয়কে বোঝায়, যার মধ্য দিয়ে নিকট অতীতকে স্মরণ করা যায়। কোনো কোনো ব্যক্তি তাঁর জীবনের ফেলে আসা সময়ের কোনো ঘটনার স্মৃতিচারণ বা প্রকাশ করে অতীতকে স্মরণ করে। এই অতীত স্মরণকেই বলা হয় স্মৃতিকথা। অন্যভাবে বলা যায় , স্মৃতিকথা হল এক ধরণের সাহিত্য , যেখানে লেখক তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া বা প্রত্যক্ষ করা বিভিন্ন ঘটনার বিবরণ স্মৃতি থেকে তুলে ধরেন । উদাহরণ – জ্যোতি বসুর লেখা “যতদূর মনে পড়ে” । ইংরেজ শাসন ও স্বাধীন ভারতের ইতিহাস জানতে সাহায্য করে । স্মৃতিকথার বৈশিষ্ট্য স্মৃতিকথার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলি হল – 1)    স্মৃতিকথা হল ইতিহাসের একটি অন্যতম মৌখিক উপাদান । স্থানীয় ইতিহাস লেখায় এটি বিশেষ উপযোগী । 2)    স্মৃতিকথা কোন কাল্পনিক কাহিনি নয় । এর একটি বাস্তব ভিত্তি আছে । 3)    স্মৃতিকথায় লেখকের সারা জীবনের অভিজ্ঞতার আলোচনা থাকে না । থাকে জীবনকালে ঘটে যাওয়া সুনির্দিষ্ট কিছু ঘটনার বিবরণ । যেমন , হিরন্ময় বন্দোপাধ্যায়ের “উদবাস্তু” । এখানে কেবল পশ্চিমবঙ্গের উদবাস্তুদের জীবন সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা উঠে এসেছে । 4) ...

লোককথা ও পৌরাণিক কাহিনির মধ্যে পার্থক্য দেখাও

উঃ পৌরাণিক কাহিনি ও লোককথার মধ্যে কিছু সুস্পষ্ট পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায় । যেমন – বিষয় পৌরাণিক কাহিনি / রূপকথা লোককথা / লোকগাথা প্রধান চরিত্র এখানে প্রধান চরিত্রগুলি অলৌকিক জগতের । ঈশ্বরই মূল নায়ক-নায়িকা লোককথায় মুখ্য চরিত্র সাধারণভাবে মানুষ হয় । ভিত্তি এই কাহিনিগুলি সাধারণত ধর্মভিত্তিক হয় । এখানে ধর্মীয় বিষয়বস্তুর বিশেষ গুরুত্ব লক্ষ্য করা যায় না । কালপঞ্জী পৌরাণিক কাহিনিগুলির একটি নিজস্ব কালপঞ্জি থাকে । লোককথার গল্পের স্থান-কাল-পাত্রের কোনো সুনির্দিষ্ট উল্লেখ থাকে না । সহায়ক উপাদান পৌরাণিক কাহিনিগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহায়ক উপাদান হিসাবে উপমার ব্যপক ব্যবহার হয় । অন্যদিকে , কাহিনিকে আকর্ষনীয় করে তোলার জন্য রূপকের মাধ্যমে দেবদেবী কিম্বা অপদেবতার সংগে মানব চরিত্রকে যুক্ত করা হয় । বিশ্বজনীনতা জে এফ বিয়ারলেইন দেখিয়েছেন যে , পৌরাণিক কাহিনিগুলিতে একধরণের বিশ্বজনীনতা রয়েছে । যেমন , বিশ্বের প্রায় সব জনগোষ্ঠির পৌরানি...

লোককথার গুরুত্ব / তাৎপর্য / ভুমিকা নির্নয় কর।

উঃ লোককথার কাহিনিগুলি ইতিহাস-নির্ভর না হলেও ইতিহাস জানার জন্য এর বিশেষ গুরুত্ব আছে । যেমন – 1)    সমাজ-সংস্কৃতির পরিচয় । অতীতকালের সামাজিক , সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্য সম্পর্কে মোটামুটি আভাস পাওয়া যায় । 2)    কোন কোন কাহিনি থেকে তৎকালীন সময়ের অর্থনৈতিক কাঠামো সম্পর্কে ধারণা করা যায় । যেমন , চাঁদ সদাগরের কাহিনি থেকে মধ্যযুগের বনিকদের দূরদেশে বানিজ্য করার কথা জানা যায় । 3)    বিনোদনের মাধ্যম । লোককাহিনিগুলি যুগ যুগ ধরে মানুষের আনন্দ-বিনোদনের কাজে লেগেছে । বর্তমান যুগেও এই কাহিনিগুলি সিনেমা , টিভি সিরিয়ালের মোড়কে একই কাজ করে চলেছে । যেমন , ‘ বেদের মেয়ে জোৎস্না ’, ‘ রূপবান কন্যা ’, ‘ সাত-ভাই-চম্পা ’ ইত্যাদি । 4)    শিশু-শিক্ষায় অবদান । এই কাহিনিগুলি শিশুশিক্ষায় গুরুত্বপূর্ন প্রভাব ফেলে । নীতি-শিক্ষার ক্ষেত্রে শিশুমনের ওপর এই কাহিনিগুলি সহজে প্রভাব ফেলে । যেমন , ‘ আলীবাবা ও চল্লিশ চোর ’ চুরি করার বিরুদ্ধে নীতিশিক্ষা দেয় । 5)    লোকশিক্ষার মাধ্যম । লোকশিক্ষার মাধ্যম হিসাবে লোকগাথা বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করে । এপ্...

লোককথার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখ।

উঃ লোককথার কয়েককটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হল –              I.         শিশুদের জন্য রসদ । লোককথায় সাধারণত শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য রসদ থাকে ।            II.         অজ্ঞাতপরিচয় লেখক । সাধারণভাবে এগুলির প্রকৃত রচয়িতাদের পরিচয় পাওয়া যায় না ।          III.         অলিখিত কাহিনি । লোককথার কাহিনিগুলি সাধারণভাবে অলিখিত হয় । বর্তমানে অবশ্য বিভিন্ন গবেষক এগুলি বই আকারে প্রকাশ করছেন ।         IV.         মানুষের আলোচনা । এই কাহিনিগুলিতে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সুখ-দুঃখের বিষয়গুলি বিশেষ গুরুত্ব পায় ।           V.         ধর্মীয় বিষয় গুরুত্বহীন । তবে রুপকের মাধ্যমে দেবদেবী বা অপদেবতার...

লোককথা কী? বা লোকগাথা বলতে কি বোঝ?

উঃ কার্ল টমলিনসন ও ক্যারল লিঞ্চ-ব্রাউনের মতে, মানুষের জীবন ও কল্পনার সংমশ্রণে যেসব গল্পগাথা গড়ে উঠেছে তা-ই হল লোককথা বা লোকগাথা। এই লোককথাগুলিতে এমন সব জগতের কথা থাকে যেখানে প্রাকৃতিক আইন কার্যকর হয় না। প্রকৃতপক্ষে যুগ যুগ ধরে লোকমুখে প্রচারিত এই সকল কাহিনি সাধারণ মানুষকে আনন্দিত, বিস্মিত, ভীত, আবার কখনও কখনও নব প্রেরণায় উদবুদ্ধও করে। উদাহরণ – ১) সাত ভাই চম্পা, ২) আলীবাবা ও চল্লিশ চোর, ইত্যাদি।

পৌরাণিক কাহিনির বৈশিষ্ট্য লেখ।

পৌরাণিক কাহিনির বৈশিষ্ট্য উঃ পৌরাণিক কাহিনি বা রূপকথার কয়েকটি সার্বজনীন বৈশিষ্ট্য হল – I. এই কাহিনিগুলি উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া। বিয়ারলেইনের মতে, পৌরাণিক কাহিনি হল ‘আমাদের অবচেতন মনের কাহিনিবিশেষ যা সম্ভবত আমাদের জিন-এ লিপিবদ্ধ থাকে। II. এগুলি প্রাগৈতিহাসিক যুগের। মানব সভ্যতার উন্মেষের আগে অর্থাৎ যে সময়ের ইতিহাসের লিখিত উপাদান পাওয়া যায় না সেই সময়ে এই কাহিনিগুলির জন্ম। III. কাহিনিগুলির বিষয় হল অলৌকিক বা অতীন্দ্রিয় জগতের। তাই এখানে ঐশ্বরিক জগতের নানা কাল্পনিক ঘটনার কথা পাওয়া যায়। যেমন, বিশ্বসৃষ্টির রহস্য কিম্বা দেবদেবীর অলৌকিক ক্ষমতা ও কর্মকান্ড। IV. পৌরাণিক কাহিনিগুলি কোনো নির্দিষ্ট মানব সমাজ বা সম্প্রদায়ের পরিচয়ের মূলভিত্তি। এগুলি থেকে ঐ নির্দিষ্ট সমাজ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা করা যায়। V. এই ধরণের রূপকথাগুলি সমাজের প্রচলিত ধর্ম ও বিধিনিয়োমগুলির স্বীকৃতি দেয়। ফলে মানুষের মধ্যে সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ হয়। VI. পৌরাণিক কাহিনি বা রূপকথাগুলি হল একধরণের বিশ্বাস যা জীবনকে অর্থবহ করে তোলে। তবে মনে রাখতে হবে, এই কাহিনিগুলি ইতিহাসের উপাদান হিস...

পৌরাণিক কাহিনি কী? অথবা রূপকথা কী? অথাবা মিথ কী?

উঃ প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে জগৎ ও জীবনের রহস্য উৎঘাটনের চেষ্টা করেছে মানুষ । চিন্তাশক্তির দৈন্যতার কারণে প্রকৃত সত্যে তারা পৌঁছতে পারেনি । তাই জন্ম দিয়েছে নানান ধর্মীয় বা অলৌকিক কাহিনির । এই কাহিনিগুলিই বংশপরম্পরায় পৌঁছেছে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে । এগুলিই পৌরাণিক কাহিনি বা রূপকথা বা মিথ নামে পরিচিত । উদাহরণ – ভগবান ব্রহ্মার মানসকন্যা দেবী দুর্গা ব্রহ্মার নির্দেশে মর্ত্যে এসে অসুরদের পরাজিত করে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার কাহিনি ।

উৎপত্তির বিচারে জনশ্রুতিগুলিকে কয়টি ধারায় ভাগ করা যায়?

উঃ উৎপত্তির দিক থেকে বিচার করলে জনশ্রুতিগুলিকে দুইটি ধারায় ভাগ করা যায়। উদাহরণ - ১) মানুষের দেখা ঘটনার বিবরণ। যেমন , নবাব সিরাজকে নিয়ে নানা কিংবদন্তি। ২) মানুষের না-দেখা ঘটনার বিবরণ। যেমন , কচ্ছপের পিঠে পৃথিবীর অবস্থান ও তার নড়ে ওঠার কারণে ভুমিকম্প হওয়ার কাহিনি। কিন্তু সাধারণভাবে জনশ্রুতিকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয় – ১) পৌরাণিক কাহিনি ২) কিংবদন্তী ৩) লোককথা ৪) স্মৃতিকথা এবং ৫) মৌখিক ঐতিহ্য

জনশ্রুতি কী?

জনশ্রুতি হল এমন ঐতিহাসিক বিবরণ যা , ১) যথাযথ তথ্য ও সন-তারিখ দ্বারা যাচাই করা যায় না , ২) যেগুলি বংশপরম্পরায় পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছায়। যেমন – কচ্ছপের পিঠে পৃথিবীর অবস্থান ও কচ্ছপের সামান্য নড়াচড়ার কারণে ভুমিকম্প হওয়ার কল্প - কাহিনি।

স্বাধীন ভারতের প্রথম তিনটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার লক্ষ্য ও গুরুত্ব আলোচনা কর।

তেল কূটনীতি বলতে কী বোঝ? এই কূটনীতি কীভাবে উপসাগরীয় সংকট সৃষ্টি করে?

অথবা, তেল কূটনীতি কী? তেল কূটনীতি প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধের জন্য কতখানি দায়ী ছিল? অথবা, উপসাগরীয় সংকট কী? এই সংকটের পটভূমি আলোচনা কর।  অথবা, তেল কূটনীতির প্রকৃতি ও বিশ্বরাজনীতিতে তার প্রভাব আলোচনা কর।  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তেল সম্পদের সংকোচনে র ফলে আমেরিকার পরিবহন ও শিল্পক্ষেত্রে সংকট দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে তেল সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের উপর প্রাধান্য বিস্তারের লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার মার্কিন পদক্ষেপকে 'তেল কূটনীতি' (OIL DIPLOMACY) বলে। তেল কূটনীতির লক্ষ্য : আমেরিকা সহ অন্য ইউরোপীয় দেশগুলির তেল কূটনীতির লক্ষ্য ছিল মূলত তিনটি : ১) তেল-সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে নিরঙ্কুশ নিজের প্রভাব প্রতিষ্ঠা করা। ২) তেল কূটনীতি ও তেল-বাণিজ্য নিজ নিয়ন্ত্রণে রেখে সমগ্র বিশ্বরাজনীতিতে নিজের প্রাধান্য বজায় রাখা। ৩) তেল-বাণিজ্য থেকে প্রাপ্ত মুনাফার দ্বারা নিজের অর্থনীতিকে মজবুত করা। উপসাগরীয় সংকট : প্রকৃতপক্ষে তেল কূটনীতির সূচনা হয় বিশ শতকের শুরুতে মধ্যপ্রাচ্যে বিপুল পরিমাণ তেলের ভান্ডার খুঁজে পাওয়ার পরপরই। প্রথমে ব্রিট...
OUR OTHER BOOKS (ICSE & CBSE)
OUR BOOKS fOR WBBSE & WBCHSE


বাংলা বই ★ দ্বাদশ শ্রেণি
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার 👆আদর্শ প্রশ্নোত্তরের একমাত্র পোর্টাল

জনপ্রিয় প্রশ্ন-উত্তরগুলি দেখুন

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তগুলি (বৈশিষ্ঠ্য) উল্লেখ কর। ভারতের আর্থ-সামাজিক ইতিহাসে এই ভূমি-ব্যবস্থার গুরুত্ব আলোচনা কর।

অথবা , চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি ব্যাখ্যা কর । এপ্রসঙ্গে ভারতের কৃষক সমাজের ওপর এই বন্দোবস্ত কীরূপ প্রভাব ফেলেছিল বর্ননা কর । উত্তর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত । চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হল এক ধরণের ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা ।   ১৭৯৩ সালে  লর্ড কর্ণওয়ালিস বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যায় এই ভূমি-ব্যবস্থা চালু করেন । পরবর্তীকালে বারাণসী , উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ও মাদ্রাস প্রেসিডেন্সির কোনো কোনো অঞ্চলে  এই ব্যবস্থা  চালু করা হয় । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি । কোম্পানির কর্মচারী ও ঐতিহাসিক আলেকজান্ডার ডাও ১৭৭২ সালে  প্রথম  চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কথা বলেন । এরপর হেনরি পাত্তুলো , ড্যাক্রিস , টমাস ল প্রমুখ এই বন্দোবস্তের সপক্ষে যুক্তি দেখান । ১৭৮৬ সালে কর্ণওয়ালিশ গভর্নর জেনারেল হয়ে ভারতে আসেন ।  তিন বছর ধরে  তিনি  বাংলার ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যপক অনুসন্ধান চালান ।  এরপর ১৭৯০ সালে দেশীয় জমিদারদের সঙ্গে দশ বছরের জন্য একটি বন্দোবস্ত করেন, যা ‘ দশসালা বন্দোবস্ত ’ নামে পরিচিত । সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন , ইংল্যান্ডের কর্তপক্ষ অনুমোদন করলে এই...

জাদুঘর কাকে বলে? অতীত পুনর্গঠনে জাদুঘরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা , জাদুঘর কী ? জাদুঘরের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলি বর্ননা কর । অথবা , জাদুঘর বলতে কী বোঝ ? আধুনিক ইতিহাস রচনায় জাদুঘরের গুরুত্ব লেখ । উঃ জাদুঘরের সংজ্ঞা বাংলা ‘ জাদুঘর ’ শব্দটির ইংরাজি প্রতিশব্দ হল মিউজিয়াম ( Museum) । ‘ মিউজিয়াম ’ শব্দটির মূল উৎস হল প্রাচীন গ্রীক শব্দ Mouseion ( মউসিয়ান) , যার অর্থ হল গ্রীক পুরাণের শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক মিউসদের মন্দির । এই ধরণের মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে প্রাচীন গ্রিসে পাঠাগার , প্রাচীন শিল্পকলা প্রভৃতির সংগ্রহশালা গড়ে উঠত । ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মিউজিয়াম -এর মতে, জাদুঘর হল একটি অলাভজনক, জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত এবং স্থায়ী সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান যা শিক্ষালাভ, জ্ঞানচর্চা ও আনন্দলাভের উদ্দেশ্যে মানব ঐতিহ্যের স্পর্শযোগ্য ও স্পর্শ-অযোগ্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করে, সংরক্ষণ করে, প্রদর্শন করে এবং সেগুলি নিয়ে গবেষণা করে। উদাহরণ – ব্রিটিশ মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ের নিদর্শন। এখানে পৃথক পৃথক ঘরে পৃথক পৃথক বিষয়ের নিদর্শন প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। জাদুঘরের উদ্দেশ্য , ক...

ঠান্ডা লড়াই কী? ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি আলোচনা করো।

ঠান্ডা লড়াই কী : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের (১৯৪৫) পর পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ পরস্পর দুটি রাষ্ট্রজোটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। একটি আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট অন্যটি সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট। এই দুই রাষ্ট্রজোট কোন প্রত্যক্ষ যুদ্ধ না করেও দীর্ঘকাল ধরে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও যুদ্ধের আবহ বা ছায়াযুদ্ধ চালাতে থাকে। এই ছায়াযুদ্ধই ইতিহাসে 'ঠান্ডা লড়াই' নাম পরিচিত। মার্কিন সাংবাদিক ওয়াল্টার লিপম্যান ( Walter Lippmaan ) ১৯৪৭ সালে তাঁর The Cold War গ্রন্থে সর্বপ্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য : 'ঠান্ডা লড়াই কী' এই অংশের জন্য ৩/৪ (তিন বা চার ) নম্বর (মার্কস) থাকলে অথবা বৈশিষ্ঠ্য লিখতে বললে  এখানে ক্লিক কর এবং যে অংশ বের হবে তা এই পয়েন্টের নিচে জুড়ে দাও। ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি : ঠান্ডা লড়াই-এর পিছনে শুধুমাত্র আদর্শগত বা অর্থনৈতিক কারণ বা ভিত্তি কাজ করেছিল এমন নয়। এর পিছনে আরও কিছু বিষয় তথা আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী কার্যকর ছিল। সমগ্র কারণকে এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। সাম্যবাদের বিরোধিতা : রাশিয়...

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল বর্ননা কর।

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল পলাশির যুদ্ধ ১৭৫৬ সালে নবাব আলীবর্দি মারা যান । এরপর তাঁর পৌত্র সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার সিংহাসন আরোহন করেন । সিংহাসন আরোহনের কিছুদিনের মধ্যেই ইংরেজদের সাথে তাঁর বিরোধ বাঁধে , যার চূড়ান্ত পরিনতি হল ১৭৫৭ সালের পলাশির যুদ্ধ ।   এই যুদ্ধের পটভূমি বিশ্লেষণ করলেই সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি পরিষ্কার হয়ে ওঠে । সেই সঙ্গে এটাও বোঝা যাবে এই বিরোধে সিরাজেরে ‘ অহমিকাবোধ ’ ও ‘ অর্থলোভ ’ দায়ী ছিল কিনা । পলাশির যুদ্ধের পটভূমি / কারণ সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি হল –   আনুগত্যদানে বিলম্ব। সিরাজ বাংলার সিংহাসনে বসলে প্রথা অনুযায়ী নবাবের প্রতি আনুগত্য জানিয়ে ফরাসি, ওলন্দাজ প্রভৃতি কোম্পানিগুলি উপঢৌকন পাঠালেও ইংরেজরা ইচ্ছা করে উপঢৌকন পাঠাতে দেরি করে। এতে সিরাজ অপমানিত হন।   ষড়যন্ত্রের সংবাদ। সিংহাসনে বসার সময় থেকে ঘষেটি বেগম, সৌকত জঙ্গ ও কয়েকজন রাজকর্মচারি সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র লিপ্ত ছিলেন। খবর আসে যে, এই ষড়যন্ত্রে ইংরেজরা যুক্ত আছে এবং তাঁকে সরিয়ে অনুগত কাউকে সিংহাসনে বসানোর চক্রান্ত করছে।   কৃষ্ণদাসকে আশ্রয়দান। ঘষেটি ব...

বাংলার সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা, বাংলার সমাজ ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর। অথবা, ঊনবিংশ শতকে নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান উল্লেখ কর। অথবা, উনিশ শতকের নবজাগরণে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা কি ছিল? এ প্রসঙ্গে নারীজাতির উন্নয়নে তাঁর অবদান ব্যাখ্যা কর।  বিদ্যাসাগর ও সংস্কার আন্দোলন : ঊনবিংশ শতকে ভারতে যে কজন সংস্কারকের জন্ম হয়েছিল তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি ছিলেন বঙ্গীয় নবজাগরণের মূর্ত প্রতীক। তাঁর মধ্যে ইউরোপীয় নবজাগরণের প্রবল যুক্তিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, প্রগাঢ় মানবতাবাদ, এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবাদর্শের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছিল। মাইকেল মধুসূদনের মতে, ' যাঁর মনীষা প্রাচীন ঋষিদের মতো, কর্মদক্ষতা ইংরেজদের মত এবং হৃদয়বত্তা বাঙালি জননীর মত। ' বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টা : বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টাকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যায়। এক . শিক্ষা সংস্কার, দুই . সমাজ সংস্কার। তবে তাঁর এই দুই প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে ছিল নারীশিক্ষা ও ...

চিনের ৪ ঠা মে আন্দোলনের কারণ বিশ্লেষণ কর। এই আন্দোলনের প্রভাব আলোচনা কর। (২০১৬)

অথবা, বিংশ শতকে চিনে ৪ ঠা মে-র আন্দোলনের উত্থান ও গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। চিনের সেই সময়কার দুটি উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্রের নাম লেখো। অথবা, চিনের ৪ ঠা মের আন্দোলনের পটভূমি আলোচনা কর। এই আন্দোলনের ফলাফল বা তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।  ৪ ঠা মে-র আন্দোলন : ১৯১৪  সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপান চিনে আগ্রাসন চালায়। যুদ্ধে চীন মিত্রপক্ষে যোগ দিলেও যুদ্ধের পর তারা কোনো সুবিচার পায় নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি আধিপত্যের বিরুদ্ধে চিনা জাতীয়তাবাদী জনগণ চেন-তু-শিউ এর নেতৃত্বে  ১৯১৯ সালে ৪ ঠা মে পিকিং-এর তিয়েন-আন-মেন স্কোয়ার -এ  এক আন্দোলনের ডাক দেয়। এই আন্দোলন চিনের ইতিহাসে ৪ ঠা মে-র আন্দোলন নামে পরিচিত। আন্দোলনের কারণ ( পটভূমি ) : এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করলে এর কারণগুলি অনুধাবন করা যায়। ইউয়ান-সি-কাই এর নৃশংসতা : ১৯১১ সালে বিপ্লবের পর রাষ্ট্রপতি সান-ইয়াত-সেন দেশের গৃহযুদ্ধ এড়াতে ইউয়ান-সি-কাই  - এর অনুকূলে স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রপতি পদ ত্যাগ করেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর  ইউয়ান-সি-কাই  সমস্ত সাংবিধানিক পদ্ধতি বাতিল করে সামরিক একনায়কতন...

তিন আইন কী?

তিন আইন কী? ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলনের ফলে ১৮৭২ সালে ব্রিটিশ সরকার বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রভৃতি সামাজিক কুসংস্কারগুলি নিষিদ্ধ করে এবং বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়। যে আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার এই ঘোষণা জারি করে তাকে ' তিন আইন ' বলে।

'মুক্তদ্বার নীতি' (Open Door Policy) কী?

চিনে ইউরোপীয় দেশগুলির উপনিবেশিক আধিপত্য স্থাপনের ফলে আমেরিকা শঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা ভাবতে শুরু করে এর ফলে চিনে আমেরিকার বাণিজ্যিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই পরিস্থি...

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল?

কোন পরিস্থিতিতে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) শুরু হয়? এই মামলায় অভিযুক্ত কয়েকজন শ্রমিক নেতার নাম লেখো। এই মামলার ফলাফল কী হয়েছিল? অথবা, মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল? অথবা, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কমিউনিস্ট পার্টির অবদানের একটি উদাহরণ দাও। এপ্রসঙ্গে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষাপট আলোচনা কর। এই মামলার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। উত্তর : মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা : ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে কমিউনিস্টদের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে ব্রিটিশ সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এইরূপ পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেছিল। মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) হল এরকমই এক দমননীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মামলার প্রেক্ষাপট : ১) শ্রমিক-মালিক বিরোধ । ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে ভারতে শিল্পায়ন শুরু হলে শ্রমিক শ্রেণির উদ্ভব হয়। বিংশ শতকের প্রথম দিকে মালিক শ্রেণির শোষণ ও অত্যাচারে শ্রমিক-মালিক সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। শ্রমিক শ্রেণির অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিস্টরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন জোরদার করে তুলে ব্রিটিশ সরকার চিন্তায় পড়ে যা...

ভাইকম সত্যাগ্রহ কী

ভাইমক বর্ণহিন্দুদের একটি মন্দির । দক্ষিণ ভারতের ত্রিবাঙ্কুরে এটি অবস্থিত। এই মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়ে নিম্নবর্ণের মানুষদের চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। শ্রীনারায়ণ গুরু ...