সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ইতিহাস তৃতীয় সেমিস্টার। প্রথম অধ্যায়। প্রশ্ন সেট -১

ইতিহাস দ্বাদশ তৃতীয় সেমিস্টার সঠিক উত্তর সেট -১

দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস, তৃতীয় সেমিস্টার এমসিকিউ
ইতিহাস তৃতীয় সেমিস্টার। প্রথম অধ্যায়। প্রশ্ন সেট -১

১) বিদেশি পর্যটকরা নতুন দেশে ভ্রমণ করেন যে কারণে

ক) বাণিজ্যিক কারণে, খ) ধর্মপ্রচারের কারণে 
গ) নতুন নতুন দেশ দেখার কারণে ঘ) সবগুলি সঠিক 

২) আল বিরুনী জন্মগ্রহণ করেন—

ক) ৭৫০ খ্রিস্টাব্দে খ) ৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে
গ) ১০৫০ খ্রিস্টাব্দে ঘ) ১০৬০ খ্রিস্টাব্দে

৩) আল বিরুনী জন্মগ্রহণ করেন —

ক) তাজাকিস্তানে খ) কাজাকিস্তানে 
গ) আর্মেনিয়ায় ঘ) খোয়ারিজমে

৪) ‘হিন্দু’ শব্দটি উদ্ভব হয়েছে যে শব্দ থেকে—

ক) প্রাচীন গ্রিক শব্দ থেকে,খ) প্রাচীন পারসিক শব্দ থেকে 
গ) প্রাচীন সংস্কৃত শব্দ থেকে, ঘ) প্রাচীন বাংলা শব্দ থেকে 
৫) আরবরা সিন্ধু নদের পূর্ব দিকের অঞ্চলকে যে নামে ডাকতেন—
ক) অল হিন্দ, খ) হিন্দুস্তান
গ) ইন্দাস, ঘ) ইন্ডিয়া 

৬) ভারতকে ‘হিন্দুস্তান’ বলে উল্লেখ করেছেন যারা —

ক) গ্রীকরা, খ) আরবরা, 
গ) পারসিকরা, ঘ) তুর্কিরা

৭) তুর্কিরা হিন্দুস্তানের ভাষাকে যে নামে ডাকে 

ক) উর্দু, খ) হিন্দু, 
গ) হিন্দি, ঘ) হিন্দাভি

৮) পরবর্তী বৈদিক যুগে চারটি বর্ণকে_________করা হয়। 

ক) জন্মভিত্তিক, খ) মেধাভিত্তিক, 
গ) ধর্মভিত্তিক, ঘ) শারীরিক শক্তিভিত্তিক 

৯) ব্রাহ্মণদের কাছে শূদ্ররা__________সমতুল্য। 

ক) ভৃত্যের খ) শত্রুর 
গ) মিত্রের, ঘ) পুত্রের

১০) চীনের বন্দর থেকে মার্কো পোলোর জাহাজ পারস্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে________খ্রিস্টাব্দে। 

ক) ১২৯৫, খ) ১২৯৪ 
গ) ১২৯৩, ঘ) ১২৯২ 

১১) চীনের জাইতুন বন্দরের বর্তমান নাম_______।

ক) কোয়াংঝাউ, খ) শানটুং
গ) মেকং, ঘ) পিকিং 

১২) বার্নিয়ার ভাষায় তাজমহল পরিচিত ছিল_________নামে। 

ক) তখত মহল, খ) ভাল দে গ্রেস 
গ) পদ্ম মহল, ঘ) তেগ মেলে

১৩) ক স্তম্ভের সঙ্গে খ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো।

ক্রমিক ক স্তম্ভ খ স্তম্ভ
মার্কোপোলো A) পোর্তুগাল
আব্দুর রজ্জাক B) ফ্রান্স
ফ্রাঁসোয়া বার্নিয়ে C) ইতালি
ডমিংগো পায়েজ D) পারস্য
বিকল্প সমূহ :
ক )  1-D, 2-C, 3-B, 4-A
খ ) 1-C, 2-A, 3-B, 4-D
গ ) 1-A, 2-B, 3-C, 4-D
ঘ ) 1-C, 2-D, 3-B, 4-A

১৪) অল - বিরুনির বরুনীর বর্ণনা অনুযায়ী, ব্রাহ্মণদের জীবনযাপনের চারটি আশ্রম হল যথাক্রমে—

ক) ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ, বানপ্রস্থ ও সন্ন্যাস 
খ) সন্ন্যাস, বানপ্রস্থ, ব্রহ্মচর্য ও গার্হস্থ্য 
গ) ব্রহ্মচর্য, বানপ্রস্থ, সন্ন্যাস ও গার্হস্থ্য 
ঘ) গার্হস্থ্য, ব্রহ্মচর্য, সন্ন্যাস ও বানপ্রস্থ 

১৫) আব্দুর রাজ্জাকের যাত্রাপথটি ছিল এমন—

১) দ্বিতীয় দেবরায়ের ডাকে রাজ্জাক জাহাজে করে ব্যাঙ্গালোর বন্দর ও সেখান থেকে হাঁটা পথে বিজয়নগরে যান
২) ১৮ দিনের সমুদ্র যাত্রা শেষে কালিকট বন্দরের উপস্থিত হন। 
৩) কোহিস্তান ও কেরমানের পথ ধরে তিনি হরমুজ বন্দরে পৌঁছান। 
৪) মাসকাত থেকে রাজ্জাক যাত্রা করেন কারিয়াতের দিকে।
বিকল্পসমূহ :
ক) ৩ - ৪ - ২ - ১, খ) ৪ - ৩ - ২ - ১
গ) ৩ - ২ - ১ - ৪, ঘ) ২ - ১ - ৩ - ৪

১৬) নিচের তথ্যগুলির মধ্যে কোনগুলি সঠিক লেখো।

১) বার্নিয়ের বিবরণী পঞ্চদশ শতকের পশ্চিমী তাত্ত্বিকদের প্রভাবিত করেছিল।
২) মন্তেস্কু তার প্রাচ্যের স্বৈরতন্ত্রের ধারণা গঠন করতে পার নিয়ে এর বিবরণী ব্যবহার করেছিলেন। 
৩) বার্নিয়ের বর্ণনা কাল মার্কস এর এসিও উৎপাদন পদ্ধতির ধারণা গঠনে সাহায্য করেছিল। 
৪) বার্নিয়ের মতে, মুঘল সাম্রাজ্যের দরবার গ্রামীণ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করত।
বিকল্পসমূহ :
ক) ২, ৩, ৪ সঠিক এবং ১ ভুল
খ) ২, ৩, ১ সঠিক এবং ২ ভুল
গ) ১, ২, ৩ সঠিক এবং ৪ ভুল 
ঘ) ১, ৪, ২ সঠিক এবং ৩ ভুল

১৭) বিদেশি পর্যটকদের বিবরণী ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, 

১) প্রাচীন ও মধ্যযুগের ভারত ইতিহাস রচনায় ঐতিহাসিক গ্রন্থের অভাব পূরণ করেছে পর্যটকদের বিবরণী। 
২) দেশী ও সাহিত্যিক উপাদানের গতানুগতিক বর্ণনা অপেক্ষা পর্যটকদের বিবরণী অনেক বেশি বাস্তব সম্মত। 
৩) প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লিখিত বর্ণনা থেকে সমকালীন অর্থসামাজিক সংস্কৃতি ও রাজনীতির নিরপেক্ষ পরিচয় মেলে 
৪) রাজ রসের ভয় কিংবা রাজনগ্রহ লাভের আকাঙ্কামুক্ত হয়ে পর্যটকরা ভারতকে যেমন দেখেছেন তেমনি লিখেছেন। 
বিকল্পসমূহ :
ক) ১, ২, ৪ সঠিক এবং ৩ ভুল
খ) ২, ৩, ৪ সঠিক এবং ১ ভুল 
গ) ১, ৩, ৪ সঠিক এবং ২ ভুল
ঘ) সবকটি সঠিক 

১৮) ক স্তম্ভের সঙ্গে খ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো।

ক্রমিক ক স্তম্ভ খ স্তম্ভ
নিজামউদ্দিন আউলিয়া A) ফেরদৌসি সম্প্রদায়
শেখ বাহাউদ্দিন জাকারিয়া B) নক্সবন্দিয়া সম্প্রদায়
খাজা বাকিবিল্লাহ C) চিস্তিয়া সম্প্রদায়
শেখ বদরউদ্দিন সমরকান্দি D) সোহরাবর্দি সম্প্রদায়
গল্পসমূহ :
ক) ১ - C, ২ - D, ৩ - A, ৪ - B
খ) ১ - C, ২ - D, ৩ - B, ৪ - A
গ) ১ - A, ২ - D, ৩ - B, ৪ - C
ঘ) ১ - C, ২ - A, ৩ - B, ৪ - D

১৯) বিবৃতি গুলির মানানসই ব্যাখ্যা খুঁজে বের করো। 

বিবৃতি : বার্নিয়ে ছিলেন একজন দার্শনিক পর্যটক 
ব্যাখ্যা ক : তিনি ছিলেন টমাস হাফসের একজন একনিষ্ঠ শিষ্য।
ব্যাখ্যা খ : তিনি ‘এ হিস্ট্রি অফ ওয়েস্টার্ন ফিলোসফি’ নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। 
ব্যাখ্যা গ : তিনি প্রকৃত অর্থে একজন দার্শনিকের দৃষ্টিতে গভীর পর্যবেক্ষণ শক্তি প্রয়োগ করে তার ভ্রমণ বৃত্তান্ত লিখেছিলেন। 
ব্যাখ্যা ঘ : বার্নিয়ে কেবলমাত্র ঘটনা পরম্পরা লিপিবদ্ধ করেছিলেন।

২০) বাংলাকে সকল প্রতিবেশী দেশ ও ইউরোপের কাপড়-চোপড়ের প্রধান আড়ৎ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। 

ব্যাখ্যা ক : বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে সুতি ও রেশম বস্ত্র তৈরি হতো যা প্রতিবেশী দেশ ও ইউরোপে রপ্তানি করা হতো। 
ব্যাখ্যা খ : ওলন্দাজরা রেশম বস্ত্র বিদেশে সরবরাহ করে প্রচুর মুনাফা লাভ করত।
ব্যাখ্যা গ : কেবলমাত্র এসিও উদ্যোগে বাংলায় কাপড়ের কল স্থাপিত হয়েছিল। 
ব্যাখ্যা ঘ : এখানকার চাষীরা, শুধুমাত্র তুলো ও রেশমের চাষ করতেন। 

২১) বেমানান তথ্যটি নির্বাচন করো।

ক) আব্দুর রাজ্জাক — দ্বিতীয় দেবরায় 
খ) আল বিরুনি— মহম্মদ ঘুরি 
গ) ইবন বতুতা —মোহাম্মদ বিন তুঘলক 
ঘ) বার্নিয়ে — ঔরঙ্গজেব
[কারণ, আল বিরুনী ও মোঃ ঘুরির সঙ্গে কোন যোগাযোগ ছিল না। অন্যদের সঙ্গে পারস্পরিক যোগাযোগ ঘটেছিল। ]

২২) বিজয়নগরের মুদ্রা সম্পর্কে আব্দুর রাজ্জাক যে বর্ণনা দিয়েছেন তার সঙ্গে কোনটি বেমানান। 

ক) বরাহ, খ) পোতিন 
গ) পেরতাব, ঘ) ফেনম বা পানাম
[কারণ, পোতিন সাতবাহন রাজাদের মুদ্রা, অন্যগুলো বিজয়নগর সাম্রাজ্যের মুদ্রা]

২৩) মধ্য এশিয়ার খোয়ারিজম প্রদেশ থেকে আশা এই বিদেশী পর্যটক ছিলেন একাধারে জ্যোতির্বিদ, গণিতজ্ঞ, দার্শনিক, নৃতত্ত্ববিদ, ভূগোলবিদ ও ঐতিহাসিক।
—এই পর্যটকের নাম কী?
ক) আল বিরুনি, খ) আল মাসুদি
গ) মার্কো পোলো, ঘ) ইবন বতুতা

২৪) মার্কো পোলোর বর্ণনা অনুযায়ী এই রাজ্যে কেবল ধান ও তিল উৎপন্ন হত। মানুষের খাদ্য ছিল ভাত ও দুধ। তারা মাংস খেতেন না। আঙুরের রস থেকে তৈরি মদ পান করা অন্যায় কাজ বলে বিবেচিত হলেও পানীয় হিসেবে তাড়ি খাওয়ার প্রচলন ছিল। জল পানের পাত্র থেকে জল মুখে ঢেলে দিতেন। পাত্র মুখে ঠেকাতে না। মাটিতে আসন পেতে উপবেশনকে পুণ্যের কাজ বলে মনে করা হত।
—এখানে মারকও হল কোন রাজ্যের কথা বলেছেন? 
ক) কুইলন, খ) মাবার 
গ) কায়ল, ঘ) গুজরাট 

২৫) বিজয়নগরের এই প্রখ্যাত সম্রাট সম্পর্কে আব্দুর রাজ্জাক লিখেছেন,‘যে বড় ঘরে রাজা বসেন তাতে ছিল ৪০টি থাক। সিংহাসনে আসিন রাজার দুই পাশে ব্রাহ্মণ ও অন্যান্য জাতির লোক সারিবদ্ধভাবে দণ্ডায়মান। রাজার গায়ের রং জলপাইয়ের মত। খালি গায়ে সাটিনের উত্তরীয়। গলায় মহার্ঘমুক্তার গলাবন্ধ। তিনি লম্বা, সুঠাম ও সুন্দর। 
—আব্দুর রাজ্জাক এখানে কোন রাজার কথা বলেছেন? 
ক) প্রথম দেবরায়, খ) মল্লিকার্জুন
গ) দ্বিতীয় দেবরায়, ঘ) বুক্ক।

২৬) ক স্তম্ভের সঙ্গে খ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো।

ক্রমিক ক স্তম্ভ খ স্তম্ভ
মাবার রাজ্য A) মালাবার উপকূলে অবস্থিত
মতুপল্লী বন্দর B) করমন্ডল উপকূলে অবস্থিত
কায়ল বন্দর C) পূর্বে করমন্ডল থেকে মালাবার উপকূল পর্যন্ত প্রসারিত
৪  কুইলন রাজ্য D) কৃষ্ণা নদীর মোহনায় অবস্থিত
বিকল্প সমূহ :
ক ) 1-D, 2-C, 3-B, 4-A
খ ) 1-C, 2-D, 3-B, 4-A
গ ) 1-A, 2-B, 3-C, 4-D
ঘ ) 1-C, 2-D, 3-B, 4-A

২৭) ইবন বতুতার ভারত ভ্রমণকালে দিল্লি ছিল চারটি শহরের সমষ্টি। চার্টটি দেখে সঠিক তথ্যটি নির্বাচন করো।


বিকল্পসমূহ :
ক) A হল ফিরোজ শাহ তুঘলকের জৌনপুর
খ) A হল দিল্লির সুলতানদের তৈরি দিল্লি ই কুহনা
গ) A হল কুতুবউদ্দিন আইবকের তৈরি মেহরৌলি
ঘ) A হল মোহাম্মদ বিন তুঘলক এর তৈরি জাহান পনাহ

২৮) নিচের দুটি স্থান ফাঁকা আছে।  উপযুক্ত তথ্য বসিয়ে ফাঁকা জায়গা দুটি পূরণ করো।

উপযুক্ত তথ্য বসিয়ে ফাঁকা জায়গা দুটি পূরণ করো
উপযুক্ত তথ্য বসিয়ে ফাঁকা জায়গা দুটি পূরণ করো
বিকল্পসমূহ :
ক) A =  তর, B = তাম্রমুদ্রা
খ) A =  ফালুস, B = রৌপ্যমুদ্রা
গ) A =  বরাহ, B = মিশ্রধাতুর মুদ্রা
ঘ) A =  রুপি, B = স্বর্ণমুদ্রা

২৯) নিচের বিবৃতিগুলির মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করো।

বিবৃতি (A) : ইবন বতুতা মাত্র একুশ বাইশ বছর বয়সে ইসলামের পবিত্র স্থানগুলি দর্শনের উদ্দেশ্যে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন। 
কারণ (R) তিনি বিশ্বাস করতেন যে, দেশ ভ্রমণের মাধ্যমে যে শিক্ষা বা অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়, পাঠ্যপুস্তকের দ্বারা তা কখনোই সম্ভব হয় না। 
বিকল্পসমূহ : 
ক) বিবৃতি (A) এবং কারণ (R)-এর মধ্যের সম্পর্কটি সঠিক। কেননা, কারণটি (R) হল বিবৃতির (A) সঠিক ব্যাখ্যা।
খ) বিবৃতি (A) এবং কারণ (R) দুটি সঠিক। কিন্তু কারণ (R) বিবৃতির (A) সঠিক ব্যাখ্যা নয়।
গ) বিবৃতি (A) সঠিক কিন্তু কারণ (R) ভুল।
ঘ) বিবৃতি (A) ভুল কিন্তু কারণ (R) সঠিক।

৩০) বিবৃতি দুটির মধ্যে কেমন সম্পর্ক লেখো।

বিবৃতি ১ : ইতালীয় পর্যটক মানুচ্চির মতে, বন্দি সাহাজাহানের প্রতি ঔরঙ্গজেবের ব্যবহার ছিল অত্যন্ত ভালো। বিবৃতি ২ : বার্নিয়ে লিখেছেন যে, বন্দী সম্রাট শাহজাহানের মনোরঞ্জন, কন্যা ও বেগমের সঙ্গে মেলামেশার সকল বন্দোবস্তই ঔরঙ্গজেব করেছিলেন।
বিকল্পসমূহ :
ক) বিবৃতি ২ সঠিক কিন্তু বিবৃতি ১ ভুল। 
খ) বিবৃতি ২ হল বিবৃতি ১ বিরোধী। 
গ) বিবৃতি ১ এবং বিবৃতি ২ একে অপরের থেকে আলাদা।
ঘ) বিবৃতি ২ হল বিবৃতি ১ সঠিক কারণ।

৩১) নিচের বিবৃতি দুটির মধ্যে সম্পর্ক কেমন?

বিবৃতি ১ : ইউরোপের দোকানগুলিতে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য পণ্য সামগ্রী প্রকাশ্যে সাজিয়ে রাখা হতো। এ কথা বলেছেন ফ্রাঁসোয়া বার্নিয়ে।
বিবৃতি ২ : দিল্লিতে পণ্য সামগ্রী রাখা হয়, গুদাম ঘরে, লোক চক্ষুর আড়ালে। 
বিকল্পসমূহ :
ক) বিবৃতি ২ হল বিবৃতি ১-এর বিরোধী। 
খ) বিবৃতি ২ হল বিবৃতি ১-এর সঠিক কারণ। 
গ) বিবৃতি ১ সঠিক কিন্তু বিবৃতি ২ ভুল। 
ঘ) বিবৃতি ১ এবং বিবৃতি ২ মধ্যে কোনো সম্পর্কই নেই। 

৩২) নিচের মানচিত্রে দেয়া (🟠) চিহ্নিত স্থানটির নাম হল —

মানচিত্রের চিহ্নিত জায়গাটির নাম লেখ।
মানচিত্রে (🟠) চিহ্নিত স্থান টির নাম কী?

ক) পান্ডুয়া, খ) কলকাতা, গ) গৌড়, ঘ) ঢাকা

৩৩) ক স্তম্ভের সঙ্গে খ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো।

ক্রমিক ক স্তম্ভ খ স্তম্ভ
মহম্মদ ওয়ালি বালখি A) ইংল্যান্ড
জাঁ বাতিস্ত তাভার্নিয়ে B) ফ্রান্স
অ্যান্টনিও মনসেরেট C) বালখ
পিটার মুন্ডি D) স্পেন
বিকল্পসমূহ :
ক) ১ - C, ২ - B, ৩ - D, ৪ - A
খ) ১ - A, ২ - B, ৩ - D, ৪ - C
গ) ১ - C, ২ - A, ৩ - D, ৪ - B
ঘ) ১ - C, ২ - B, ৩ - A, ৪ - D

৩৪) মোহাম্মদ বিন তুঘলক ১৩২৬ থেকে ১৩২৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দিল্লি থেকে রাজধানী দেবগিরিতে স্থানান্তরিত করেন। দেবগিরির নতুন নামকরণ করেন দৌলতাবাদ। ইবন বতুতার লেখা থেকে সমকালীন দিল্লি শহরের বর্ণনা পাওয়া যায়। তাঁর মতে, শহরটি শুধু ভারতের সবচেয়ে বড় শহরই নয়, পূর্ব দিকের যেকোনো মুসলমান শহরের থেকে বড়। তিনি কায়রো বাগদাদামাখা মক্কা-মদিনা সব দেখেছিলেন, দিল্লির সঙ্গে কারোর তুলনা হয় না।

— দিল্লি থেকে রাজধানী দৌলতাবাদের স্থানান্তর করার বিবরণ পাওয়া যায় কোন ঐতিহাসিকের বিবরণী থেকে? 
ক) আল বিরুনি, খ) আল মাসুদি
গ) আল জিলানি ঘ) ইবন বতুতা 

৩৫) ইবন বতুতা জানিয়েছেন যে, দিল্লি শহর আশপাশের চারটি শহরকে ঘিরে তৈরি হয়েছে। একটি দিল্লি, যেটি হিন্দুদের পুরনো শহর ছিল, পরে মুসলমানরা অধিকার করে। দ্বিতীয়টি সিরি, যাকে দার-উল-খলিফা বলা হত। তৃতীয়টি তুঘলকাবাদ ও চতুর্থটি জাহানপনাহ। ৬৬ মোহাম্মদ বিন তুঘলকের থাকার জন্য তৈরি।

—মোহাম্মদ বিন তুঘলকের থাকার জন্য তৈরি শহরটির নাম কি ছিল? 
ক) সিরি, খ) তুঘলকাবাদ 
গ) জাহানপনাহ, ঘ) ফিরোজাবাদ 

৩৬) চিত্র দেখে এবং বুঝে সঠিক ব্যাখ্যা নির্বাচন করো।

চিত্র দেখে ব্যাখ্যা নির্ণয় কর,
চিত্র দেখে সঠিক ব্যাখ্যাটি নির্বাচন করো

ক) ১০২৬ সালে মাহমুদ এই মন্দিরটি ধ্বংস করেন এবং মূর্তি ভেঙে দেন।
খ) এই মন্দিরের নিরাপত্তা রক্ষায় মামুদ প্রায় দুই কোটি স্বর্ণমুদ্রা ও প্রচুর অলংকার দান করেন। 
গ) চালুক্য সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত কাঠিয়াবাড়ীর পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত এই মন্দিরটি তার ধন ঐশ্বর্যের জন্য বিখ্যাত ছিল। 
ঘ) ক ও গ দুটোই সঠিক তথ্য।

৩৭) সত্য মিথ্যা খুঁজে বের করো।

👉 ভক্তিবাদী সাধক কবির ছিলেন
১) রামানন্দের শিষ্য, ২) দোহা রচনাকারী
৩) একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী, ৪) মূর্তিপূজায় বিশ্বাসী
বিকল্পসমূহ :
ক ) ২, ৩, ৪, ঠিক ১ ভুল
খ ) ১, ৪, ৩, ঠিক ২ ভুল
গ ) ১, ২, ৪, ঠিক ৩ ভুল
ঘ ) ১, ২, ৩, ঠিক ৪ ভুল

৩৮) বাংলার ইলিয়াস শাহী বংশের সুলতান ছিলেন

১) সিকান্দার শাহ, ২) গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
২) জালালউদ্দিন ফাতেহ শাহ, ৪) গিয়াসউদ্দিন মাহমুদ শাহ
বিকল্পসমূহ :
ক ) ২, ৩, ৪ ঠিক ১ ভুল
খ ) ১, ২, ৩ ঠিক ৪ ভুল
গ ) ১, ২, ৪ ঠিক ৩ ভুল
ঘ ) ১, ৩, ৪ ঠিক ২ ভুল

৩৯) ঘটনাগুলি ক্রমানুসারে সাজিয়ে দাও -

👉 ফ্রাসোয়া বানিয়ে ভারত ভ্রমণের পথটি পরপর সাজাও
১) মুঘল বাহিনীর সঙ্গে বার্নিয়ে কাশ্মীর যাত্রা করেন। 
২) একটি ভারতীয় জাহাজে সুরাট বান্দরে উপস্থিত হন। 
৩) বাংলা ভ্রমণ করে এই প্রদেশ সম্পর্কে একটি মনোগ্য বিবরণ লেখেন। 
৪) গোলকুণ্ডায় অবস্থানকালে তিনি সম্রাট শাহজাহানের মৃত্যু সংবাদ পান।
বিকল্পসমূহ :
ক ) ৪ - ৩ - ২ - ১ 
খ ) ২ - ৩ - ১ - ৪
গ ) ১ - ২ - ৩ - ৪ 
ঘ ) ২ - ১ - ৩ - ৪

৪০) ১) শ্রীচৈতন্যদেব, ২) কবির, ৩) মীরাবাঈ, ৪) নানক -- এই সমস্ত ভক্তি সাধকদের কালানুক্রমে সাজাও।

বিকল্পসমূহ :
ক ) ১ - ৩ - ৪ - ২ 
খ ) ৩ - ১ - ৪ - ২ 
গ ) ৪ - ২ - ১ - ৩ 
ঘ ) ২ - ৪ - ৩ - ১ 
-------------xx------------

প্রশ্নগুলোর উত্তর মিলিয়ে নাও

প্রশ্ন ৫  ৬  ৭  ৮  ৯  ১০  
উত্তর ঘ   খ   ঘ  ঘ 
প্রশ্ন ১১  ১২  ১৩  ১৪  ১৫  ১৬  ১৭  ১৮  ১৯  ২০ 
উত্তর ক   ঘ   ঘ    ক ক 
প্রশ্ন ২১  ২২  ২৩  ২৪  ২৫  ২৬  ২৭  ২৮  ২৯  ৩০ 
উত্তর খ   খ  ক   খ খ  ঘ 
প্রশ্ন ৩১  ৩২  ৩৩  ৩৪  ৩৫  ৩৬  ৩৭ ৩৮ ৩৯ ৪০
উত্তর ঘ   গ   ক    ঘ গ   ঘ 

মন্তব্যসমূহ

OUR OTHER BOOKS (ICSE & CBSE)
OUR BOOKS fOR WBBSE & WBCHSE


বাংলা বই ★ দ্বাদশ শ্রেণি
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার 👆আদর্শ প্রশ্নোত্তরের একমাত্র পোর্টাল

জনপ্রিয় প্রশ্ন-উত্তরগুলি দেখুন

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কী? এর উদ্দেশ্য কী ছিল? চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তগুলি (বৈশিষ্ঠ্য) উল্লেখ কর। ভারতের আর্থ-সামাজিক ইতিহাসে এই ভূমি-ব্যবস্থার গুরুত্ব আলোচনা কর।

অথবা , চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি ব্যাখ্যা কর । এপ্রসঙ্গে ভারতের কৃষক সমাজের ওপর এই বন্দোবস্ত কীরূপ প্রভাব ফেলেছিল বর্ননা কর । উত্তর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত । চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হল এক ধরণের ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা ।   ১৭৯৩ সালে  লর্ড কর্ণওয়ালিস বাংলা , বিহার ও উড়িষ্যায় এই ভূমি-ব্যবস্থা চালু করেন । পরবর্তীকালে বারাণসী , উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ও মাদ্রাস প্রেসিডেন্সির কোনো কোনো অঞ্চলে  এই ব্যবস্থা  চালু করা হয় । চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি । কোম্পানির কর্মচারী ও ঐতিহাসিক আলেকজান্ডার ডাও ১৭৭২ সালে  প্রথম  চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কথা বলেন । এরপর হেনরি পাত্তুলো , ড্যাক্রিস , টমাস ল প্রমুখ এই বন্দোবস্তের সপক্ষে যুক্তি দেখান । ১৭৮৬ সালে কর্ণওয়ালিশ গভর্নর জেনারেল হয়ে ভারতে আসেন ।  তিন বছর ধরে  তিনি  বাংলার ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যপক অনুসন্ধান চালান ।  এরপর ১৭৯০ সালে দেশীয় জমিদারদের সঙ্গে দশ বছরের জন্য একটি বন্দোবস্ত করেন, যা ‘ দশসালা বন্দোবস্ত ’ নামে পরিচিত । সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন , ইংল্যান্ডের কর্তপক্ষ অনুমোদন করলে এই...

জাদুঘর কাকে বলে? অতীত পুনর্গঠনে জাদুঘরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা , জাদুঘর কী ? জাদুঘরের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলি বর্ননা কর । অথবা , জাদুঘর বলতে কী বোঝ ? আধুনিক ইতিহাস রচনায় জাদুঘরের গুরুত্ব লেখ । উঃ জাদুঘরের সংজ্ঞা বাংলা ‘ জাদুঘর ’ শব্দটির ইংরাজি প্রতিশব্দ হল মিউজিয়াম ( Museum) । ‘ মিউজিয়াম ’ শব্দটির মূল উৎস হল প্রাচীন গ্রীক শব্দ Mouseion ( মউসিয়ান) , যার অর্থ হল গ্রীক পুরাণের শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক মিউসদের মন্দির । এই ধরণের মন্দিরগুলিকে কেন্দ্র করে প্রাচীন গ্রিসে পাঠাগার , প্রাচীন শিল্পকলা প্রভৃতির সংগ্রহশালা গড়ে উঠত । ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মিউজিয়াম -এর মতে, জাদুঘর হল একটি অলাভজনক, জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত এবং স্থায়ী সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান যা শিক্ষালাভ, জ্ঞানচর্চা ও আনন্দলাভের উদ্দেশ্যে মানব ঐতিহ্যের স্পর্শযোগ্য ও স্পর্শ-অযোগ্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করে, সংরক্ষণ করে, প্রদর্শন করে এবং সেগুলি নিয়ে গবেষণা করে। উদাহরণ – ব্রিটিশ মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, ইতিহাস, বিজ্ঞান প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ের নিদর্শন। এখানে পৃথক পৃথক ঘরে পৃথক পৃথক বিষয়ের নিদর্শন প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। জাদুঘরের উদ্দেশ্য , ক...

ঠান্ডা লড়াই কী? ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি আলোচনা করো।

ঠান্ডা লড়াই কী : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের (১৯৪৫) পর পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ পরস্পর দুটি রাষ্ট্রজোটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। একটি আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমি ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট অন্যটি সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রজোট। এই দুই রাষ্ট্রজোট কোন প্রত্যক্ষ যুদ্ধ না করেও দীর্ঘকাল ধরে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও যুদ্ধের আবহ বা ছায়াযুদ্ধ চালাতে থাকে। এই ছায়াযুদ্ধই ইতিহাসে 'ঠান্ডা লড়াই' নাম পরিচিত। মার্কিন সাংবাদিক ওয়াল্টার লিপম্যান ( Walter Lippmaan ) ১৯৪৭ সালে তাঁর The Cold War গ্রন্থে সর্বপ্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। ঠান্ডা লড়াইয়ের বৈশিষ্ঠ্য : 'ঠান্ডা লড়াই কী' এই অংশের জন্য ৩/৪ (তিন বা চার ) নম্বর (মার্কস) থাকলে অথবা বৈশিষ্ঠ্য লিখতে বললে  এখানে ক্লিক কর এবং যে অংশ বের হবে তা এই পয়েন্টের নিচে জুড়ে দাও। ঠান্ডা লড়াইয়ের পটভূমি : ঠান্ডা লড়াই-এর পিছনে শুধুমাত্র আদর্শগত বা অর্থনৈতিক কারণ বা ভিত্তি কাজ করেছিল এমন নয়। এর পিছনে আরও কিছু বিষয় তথা আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী কার্যকর ছিল। সমগ্র কারণকে এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। সাম্যবাদের বিরোধিতা : রাশিয়...

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল বর্ননা কর।

পলাশির যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল পলাশির যুদ্ধ ১৭৫৬ সালে নবাব আলীবর্দি মারা যান । এরপর তাঁর পৌত্র সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার সিংহাসন আরোহন করেন । সিংহাসন আরোহনের কিছুদিনের মধ্যেই ইংরেজদের সাথে তাঁর বিরোধ বাঁধে , যার চূড়ান্ত পরিনতি হল ১৭৫৭ সালের পলাশির যুদ্ধ ।   এই যুদ্ধের পটভূমি বিশ্লেষণ করলেই সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি পরিষ্কার হয়ে ওঠে । সেই সঙ্গে এটাও বোঝা যাবে এই বিরোধে সিরাজেরে ‘ অহমিকাবোধ ’ ও ‘ অর্থলোভ ’ দায়ী ছিল কিনা । পলাশির যুদ্ধের পটভূমি / কারণ সিরাজের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারণগুলি হল –   আনুগত্যদানে বিলম্ব। সিরাজ বাংলার সিংহাসনে বসলে প্রথা অনুযায়ী নবাবের প্রতি আনুগত্য জানিয়ে ফরাসি, ওলন্দাজ প্রভৃতি কোম্পানিগুলি উপঢৌকন পাঠালেও ইংরেজরা ইচ্ছা করে উপঢৌকন পাঠাতে দেরি করে। এতে সিরাজ অপমানিত হন।   ষড়যন্ত্রের সংবাদ। সিংহাসনে বসার সময় থেকে ঘষেটি বেগম, সৌকত জঙ্গ ও কয়েকজন রাজকর্মচারি সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র লিপ্ত ছিলেন। খবর আসে যে, এই ষড়যন্ত্রে ইংরেজরা যুক্ত আছে এবং তাঁকে সরিয়ে অনুগত কাউকে সিংহাসনে বসানোর চক্রান্ত করছে।   কৃষ্ণদাসকে আশ্রয়দান। ঘষেটি ব...

বাংলার সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর।

অথবা, বাংলার সমাজ ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা কর। অথবা, ঊনবিংশ শতকে নারীশিক্ষা ও নারীমুক্তি আন্দোলনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান উল্লেখ কর। অথবা, উনিশ শতকের নবজাগরণে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভূমিকা কি ছিল? এ প্রসঙ্গে নারীজাতির উন্নয়নে তাঁর অবদান ব্যাখ্যা কর।  বিদ্যাসাগর ও সংস্কার আন্দোলন : ঊনবিংশ শতকে ভারতে যে কজন সংস্কারকের জন্ম হয়েছিল তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি ছিলেন বঙ্গীয় নবজাগরণের মূর্ত প্রতীক। তাঁর মধ্যে ইউরোপীয় নবজাগরণের প্রবল যুক্তিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, প্রগাঢ় মানবতাবাদ, এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবাদর্শের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছিল। মাইকেল মধুসূদনের মতে, ' যাঁর মনীষা প্রাচীন ঋষিদের মতো, কর্মদক্ষতা ইংরেজদের মত এবং হৃদয়বত্তা বাঙালি জননীর মত। ' বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টা : বিদ্যাসাগরের সংস্কার প্রচেষ্টাকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যায়। এক . শিক্ষা সংস্কার, দুই . সমাজ সংস্কার। তবে তাঁর এই দুই প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে বেশিরভাগ জায়গা জুড়ে ছিল নারীশিক্ষা ও ...

তিন আইন কী?

তিন আইন কী? ব্রাহ্মসমাজের আন্দোলনের ফলে ১৮৭২ সালে ব্রিটিশ সরকার বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রভৃতি সামাজিক কুসংস্কারগুলি নিষিদ্ধ করে এবং বিধবাবিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়। যে আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার এই ঘোষণা জারি করে তাকে ' তিন আইন ' বলে।

চিনের ৪ ঠা মে আন্দোলনের কারণ বিশ্লেষণ কর। এই আন্দোলনের প্রভাব আলোচনা কর। (২০১৬)

অথবা, বিংশ শতকে চিনে ৪ ঠা মে-র আন্দোলনের উত্থান ও গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। চিনের সেই সময়কার দুটি উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্রের নাম লেখো। অথবা, চিনের ৪ ঠা মের আন্দোলনের পটভূমি আলোচনা কর। এই আন্দোলনের ফলাফল বা তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।  ৪ ঠা মে-র আন্দোলন : ১৯১৪  সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপান চিনে আগ্রাসন চালায়। যুদ্ধে চীন মিত্রপক্ষে যোগ দিলেও যুদ্ধের পর তারা কোনো সুবিচার পায় নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি আধিপত্যের বিরুদ্ধে চিনা জাতীয়তাবাদী জনগণ চেন-তু-শিউ এর নেতৃত্বে  ১৯১৯ সালে ৪ ঠা মে পিকিং-এর তিয়েন-আন-মেন স্কোয়ার -এ  এক আন্দোলনের ডাক দেয়। এই আন্দোলন চিনের ইতিহাসে ৪ ঠা মে-র আন্দোলন নামে পরিচিত। আন্দোলনের কারণ ( পটভূমি ) : এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনা করলে এর কারণগুলি অনুধাবন করা যায়। ইউয়ান-সি-কাই এর নৃশংসতা : ১৯১১ সালে বিপ্লবের পর রাষ্ট্রপতি সান-ইয়াত-সেন দেশের গৃহযুদ্ধ এড়াতে ইউয়ান-সি-কাই  - এর অনুকূলে স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রপতি পদ ত্যাগ করেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর  ইউয়ান-সি-কাই  সমস্ত সাংবিধানিক পদ্ধতি বাতিল করে সামরিক একনায়কতন...

মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল?

কোন পরিস্থিতিতে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) শুরু হয়? এই মামলায় অভিযুক্ত কয়েকজন শ্রমিক নেতার নাম লেখো। এই মামলার ফলাফল কী হয়েছিল? অথবা, মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) কী? এই প্রেক্ষাপট কী ছিল? এই মামলার পরিণতি কী হয়েছিল? অথবা, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কমিউনিস্ট পার্টির অবদানের একটি উদাহরণ দাও। এপ্রসঙ্গে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষাপট আলোচনা কর। এই মামলার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। উত্তর : মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা : ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে কমিউনিস্টদের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে ব্রিটিশ সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এইরূপ পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেছিল। মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা (১৯২৯) হল এরকমই এক দমননীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মামলার প্রেক্ষাপট : ১) শ্রমিক-মালিক বিরোধ । ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে ভারতে শিল্পায়ন শুরু হলে শ্রমিক শ্রেণির উদ্ভব হয়। বিংশ শতকের প্রথম দিকে মালিক শ্রেণির শোষণ ও অত্যাচারে শ্রমিক-মালিক সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। শ্রমিক শ্রেণির অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিস্টরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন জোরদার করে তুলে ব্রিটিশ সরকার চিন্তায় পড়ে যা...

'মুক্তদ্বার নীতি' (Open Door Policy) কী?

চিনে ইউরোপীয় দেশগুলির উপনিবেশিক আধিপত্য স্থাপনের ফলে আমেরিকা শঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা ভাবতে শুরু করে এর ফলে চিনে আমেরিকার বাণিজ্যিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই পরিস্থি...

সার্ক (SAARC) কী?

সার্ক হল দক্ষিণ এশিয়ার একটি আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা। এর পুরো নাম 'দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা'  ( South Asian Association for Regional Co-operation) । ১৯৭৯ সালে এই সংস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে সর্বপ্রথম উদ্যোগ নেন স্বাধীন বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। অবশেষে ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় মোট ৭টি দেশ নিয়ে এই সংস্থা আত্মপ্রকাশ করে। এর সদস্য রাষ্ট্রগুলি হল ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ।  -----------x---------- অষ্টম অধ্যায়ের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন বিভাগের আরও প্রশ্ন  ১)  অব-উপনিবেশবাদ কী?   ২)  অব-উপনিবেশিকরণ শব্দটি কে কবে প্রথম ব্যবহার করেন?  ৩)  নয়া-উপনিবেশবাদ কী?  ৪)  তৃতীয় বিশ্ব কী?   ৫)  'তৃতীয় বিশ্ব' কথাটি কবে, কোথায়, কে প্রথম ব্যবহার করেন?  ৬)  কোন দেশকে কেন্দ্র করে আফ্রিকা ঠান্ডা যুদ্ধের আবর্তে জড়িয়ে পড়ে?  ৭)  আলজেরিয়া কবে কার শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে?   ৮)  বেন বেল্লা কে ছিলেন?  ৯)  'ত্রিপোলি কর্মসূচি' কী?  ১০)  HIT AND R...