খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে আর্যরা ভারতে আসে। এই সময় আর্যরা ভারতীয় জনসমাজকে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র -- এই চারটি বর্ণে ভাগ করেন। প্ৰথম তিন বর্ণের মানুষকে সেবা করতে বাধ্য করত শূদ্রদের। উচ্চবর্ণের মানুষের কাছে এরা ছিল অস্পৃশ্য। পরবর্তীকালে (বৃটিশ শাসনকালে) এরাই 'দলিত' নামে পরিচিত হয়।
উল্লেখ্য, দলিতরা নানা দিক থেকেই উচ্চবর্ণের শোষণ, অত্যাচার ও বৈষম্যের শিকার হয়েছিল।
----------xx----------
দলিত সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য :
‘দলিত’ শব্দের উৎপত্তি :
সংস্কৃত শব্দ 'দলন' (অর্থাৎ- দমন-পীড়ন করা) থেকে মারাঠি/হিন্দি 'দলিত' (অর্থাৎ-মর্দিত বা নিপীড়িত হয়েছে এমন) কথাটি এসেছে। )‘দলিত’ শব্দের পরিচিতি :
ঐতিহ্যনির্ভর ভারতবর্ষীয় হিন্দু সমাজে চতুর্থ বর্ণের- শূদ্র ও পঞ্চম বর্ণের- অতিশূদ্র অন্ত্যজ অস্পৃশ্য শোষিত, নিপীড়িত, নির্যাতিত, অধিকারবঞ্চিত, অবহেলিত, পিছিয়ে পড়া বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে (মুচি, মেথর, ঝাড়ুদার, মালি, চন্ডাল, নিষাদ প্রভৃতি) একত্রে 'দলিত' বলা হতো।১৯৩০ এর দশকে মহারাষ্ট্রের বিখ্যাত সমাজ সংস্কারক জ্যোতিবা গোবিন্দরাও ফুলে সর্বপ্রথম এই সকল জনগোষ্ঠীকে ‘দলিত’ হিসেবে পরিচিতি দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, মহাত্মা গান্ধী গান্ধি এই দলিতদের নতুন নামকরণ করেন- ‘হরিজন’, যার অর্থ ‘ঈশ্বরের সন্তান’।
‘দলিত’ নামে পরিচিত বিভিন্ন সম্প্রদায় :
ভারতে বসবাসকারী দলিতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সম্প্রদায়গুলি হল —- কেরালার- ‘এজাভা’, ‘পুলায়া’।
- তামিলনাডুর- ‘নাদার’।
- মহারাষ্ট্রের- ‘মাহার’।
- দিল্লির- ‘বালীকি’।
- পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের- 'চামার'।
- বাংলার- ‘নমঃশূদ্র’ প্রভৃতি।
Vare nice
উত্তরমুছুন👌🏻👌🏻👌🏻👌🏻👌🏻👌🏻👌🏻👌🏻👌🏻👌🏻👌🏻👌🏻
উত্তরমুছুনGood
উত্তরমুছুনখ্রি ষ্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে আর্যরা ভারতে আসে। এই সময় আর্যরা ভারতীয় জনসমাজকে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র -- এই চারটি বর্ণে ভাগ করেন। প্রথম তিন বর্ণের মানুষকে সেবা করতে বাধ্য করত শূদ্রদের। উচ্চবর্ণের মানুষের । কাছে এরা ছিল অস্পৃশ্য। পরবর্তীকালে (বৃটিশ শাসনকালে) এরাই 'দলিত' নামে পরিচিত হয়।
উত্তরমুছুনখ্রি ষ্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে আর্যরা ভারতে আসে। এই সময় আর্যরা ভারতীয় জনসমাজকে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র -- এই চারটি বর্ণে ভাগ করেন। প্রথম তিন বর্ণের মানুষকে সেবা করতে বাধ্য করত শূদ্রদের। উচ্চবর্ণের মানুষের । কাছে এরা ছিল অস্পৃশ্য। পরবর্তীকালে (বৃটিশ শাসনকালে) এরাই 'দলিত' নামে পরিচিত হয়।
উত্তরমুছুন